• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জালে আটকা লক্ষ্মীপ্যাঁচা, উদ্ধারের পর অবমুক্ত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জালে আটকা পড়া একটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের পর অবমুক্ত করা হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমীরাবাদ গ্রাম থেকে আবুল বাশার (৫৫) নামের এক ব্যক্তি এ প্যাঁচাটি উদ্ধার করেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি ওই এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যার সময় এ লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি আমার এক প্রতিবেশীর জালে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে রাতে আমি প্যাঁচাটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্যদের উপস্থিতিতে প্যাঁচাটি অবমুক্ত করি। এখন আগের মতো আর লক্ষ্মীপ্যাঁচা সচরাচর দেখা মেলে না। আর এ প্রজাতির প্যাঁচা এর আগে আমি আর এই এলাকায় লক্ষ্য করিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক মনি। তিনি জানান, লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের খবর শুনেছি। এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যরা এ প্যাঁচাটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করতে সাহায্য করেছে। আমরা বন বিভাগ সব সময় তাদেরকে সহযোগিতা করি।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৫

চাঁদপুরে নিষিদ্ধ জালে জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ কম্বিং অপারেশনে নিষিদ্ধ জালে জাটকা ধরার দায়ে আটক ১৫ জেলেকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৫টি বেহুন্দি জাল, ৫ কেজি জাটকা জব্দ এবং একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান। কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলে হলেন- মতলব উত্তর উপজেলার মো. রুবেল সরদার (৩০)।  ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার মো. হুমায়ুন মৃধা (৩৭), আক্তার হোসেন (২৫), ইয়াকুব ব্যাপারী (৪৫), ইয়াজল চোকদার (৪৩), সাইদুল রহমান (২৪), আরিফুল ইসলাম (২৮), লিটন বর্মন (৪৩), মো. হোসেন (২২), আবুল হোসেন (৪২), মনির হোসেন (৪৮), ছৈয়দ হোসেন (৩৫), মো. সাদেক (৩৫), মাদব চন্দ্র বর্মন (৩৮) ও মো. আলী নুর (২২)। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩টি হাইস্পীডবোট নিয়ে মোহনা এলাকার মিনি কক্সবাজার, রাজরাজেশ্বর, মোহনপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কাচিকাটা নামক স্থান থেকে জাটকা ধরা অবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় ১ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৫টি বেহুন্দি জাল, ৫ কেজি জাটকা জব্দ এবং একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়। অভিযান শেষে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলেদের কারাদণ্ড এবং জব্দকৃত জাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত জাটকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে। অভিযানে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামিল হোসেন. মো. আশরাফুল ইসলাম, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চীফ পেটি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মো. মাইনুলসহ কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

জালে ধরা পড়ল ৮০ কেজির পাখি মাছ 
বরগুনার পাথরঘাটায় দেশের বৃহত্তম মৎস্য বন্দর বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে ৮০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির মাছ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে বিএফডিসি ঘাটে এ মাছ বিক্রির জন্য জেলেরা নিয়ে আসেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওজনের আরও ২৯টি পাখি মাছ নিয়ে আসে এফবি মারিয়া নামের একটি ট্রলার।  এ সময় স্থানীয়রা এ পাখি মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় করেন। মেসার্স জোবায়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম মিয়া জানান, ‘কয়েক দিন আগে এফবি মারিয়া ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায়। সমুদ্রে জাল ফেলে অপেক্ষা করলে অন্যান্য মাছের সঙ্গে সাতটি পাখি মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো প্রায় ৭ ফুট লম্বা। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে এ মাছটিকে ‘পাখি মাছ’ বা ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই চিনেন। তবে ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই এ এলাকায় এ মাছ বেশি পরিচিত। তিনি আরও জানান, এক একটি মাছ ৬০০০ টাকায় পাইকার জাহিদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পাইকার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে এ মাছের চাহিদা কম। তবে তিনি মাছগুলো কম টাকায় ক্রয় করতে পেরেছেন। এ মাছগুলো বিদেশেও রপ্তানি করা যায়। দেশের নামীদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। মাছগুলো বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাবেন বলেও জানান এ মাছ ব্যবসায়ী। পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, ‘এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস (Sail Fish)। এ মাছ খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। বিদেশে অনেক চাহিদা থাকার কারণে এ মাছ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। তবে এ মাছ গভীর সমুদ্র ছাড়া সহজে পাওয়া যায় না।’
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

হাইমচরে নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ৮ জেলের জরিমানা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ জালে জাটকাসহ অন্যন্যা প্রজাতির ছোট মাছ ধরায় হাতেনাতে আটক ৮ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী নৌপুলিশ ফাঁড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহণকারী হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ। তিনি বলেন, কম্বিং অপারেশনের চতুর্থ ধাপে তৃতীয় দিন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ মেঘনা নদীর গাজীপুর, মনিপুর, কাটাখালি, চরভৈরবী এলাকায় সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, একটি চরঘেরা জাল ও ১৫ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। একই সময় নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে জাটকা, চেউয়া এবং অন্যান্য প্রজাতির ছোট মাছ আহরণরত অবস্থায় ৮ জেলেকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক জেলেদেরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জব্দকৃত কারেন্টজাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় অসহায়, গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অভিযানে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) শীর্ষ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কোস্টগার্ড হাইমচর আউট পোস্টের সিসি মো. মোমিনুর রহমানসহ কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০১

মেঘনায় নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৫ জেলের অর্থদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে কারেন্টজালসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় আটক ১৫ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- খোরশেদ (৩৮), মো. সোহাগ (৩২), মো. রাছেল (২৯), রিয়াদ মিজি (২৭), মো. মোহন মীর (২১), মো. শাওন (২০), মো. শান্ত মোল্লা (১৯), মো. বাবু (২০), মো. রাজিব বেপারী (৩০), মো. হৃদয় মীর (২৫), সেলিম মীর (৫০), মো. রুবেল (৩৫), মো. রিয়াদ (২৫), সোহাগ খান (৩০) ও আবু বকর বেপারী (৫০)। অভিযানে অংশগ্রহণকারী হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ জানান, কম্বিং অপারেশনের চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিন আজ বেলা সাড়ে ১১টা হতে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর চরভৈরবী এলাকায় উপজেলা টাস্ক ফোর্স যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়। নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে ১০০ কেজি জাটকা, চেউয়া মাছের একটি ব্রুড স্টক এবং অন্যান্য প্রজাতির মাছ আহরণরত অবস্থায় ১৫ জেলেকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক ১৫ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দকৃত জাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অভিযানে নীল কমল নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২

সুন্দরবনে জেলের জালে বিরল প্রজাতির মাছ
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির একটি সামুদ্রিক জাভা ভোল মাছ। শুকুর আলী নামের ওই জেলের জালে এ মাছ ধরা পড়ে। মাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা। তবে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত মাছটির দাম উঠেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জেলে শুকুর আলী বলেন, বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুন্দরবনের ফিরিঙ্গি এলাকার একটি খালে জোয়ারের সময় খাল পাটা দিয়েছিলাম। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর ফিরিঙ্গি এলাকা থেকে ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের মাছটি ধরা পড়ে। সন্ধ্যায় মাছ নিয়ে ঘাটে পৌঁছালে ব্যবসায়ীরা মাছটি কিনতে এসেছিলেন। সেখানে নিলামে দাম উঠেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে এটির দাম আরও অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, এখানকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা মাছটির সঠিক মূল্য বলছেন না। এটি খুলনায় নিয়ে গেলে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো। এজন্য এখনও মাছটি বিক্রি করিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭

মেঘনায় মশারি জালে ছোট মাছ ধরায় ১৩ জেলের অর্থদণ্ড
চাঁদপুর মেঘনা নদীতে মশারি ও অন্যান্য জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন। কোস্টগার্ড জানায়, মেঘনা নদীর সদর উপজেলার কাছিকাটা এলাকায় মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা অবস্থায় ১৩ জন জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় জব্দ করা হয় ১০টি মশারি জাল এবং নিষিদ্ধ ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল। জব্দকৃত জাল রাত ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- রহিম আলী (৪৭), সিটু মোল্লা (৪৭), তাহের মোল্লা (৪৫), মো. ফারুক (৫০), সাইফুল ইসলাম (২২), গফুর বেপারী (৩৫), সুমন (১৬), নাজমুল (১৮), আল আমিন (৩০), মো. আহসান উল্লাহ (৩০), সুলতান বেপারী (৩০), শাহজালাল (৩০) ও মো. আবদুর রহমান (৩০)। এসব জেলেরা শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়া ও চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকার বাসিন্দা। চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল এবং নিষিদ্ধ চাই অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ক্ষেত্র সহকারী মো.জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চীফ পেটি অফিসার মো. সফিকুল ইসলামসহ কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২

এক জালে মিলল ৯২ মণ ইলিশ, ২০ লাখে বিক্রি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে ৯২ মণ ইলিশ।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে এসব মাছ মহিপুরের ঝুমুর এন্ড বাদ্রার্স নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ২০ লাখ ২৪ হাজার টাকায়। এর আগে মঙ্গলবার পায়রা বন্দরের শেষ বয়া থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মাছগুলো ধরা পড়ে। শীত মৌসুমে দীর্ঘদিন পর এই জেলের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি জেলে ও ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম থেকে আসা ‘এফবি মা জননী’ নামের ট্রলারের জেলে ফরিদ মাঝি বলেন, আটদিন আগে আমরা ১৭ জন জেলে মাছ ধরতে সাগরে যাই। প্রথম দিকে তেমন একটা মাছ পাচ্ছিলাম না, অনেকটা হতাশা নিয়েই সাগরে জাল ফেলছিলাম। এইভাবে আরও গভীর সাগরে পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে যাই। সেখানে আমরা অল্পকিছু মাছ পাই। পরের দিন আরও একটু গভীরে গিয়ে জাল ফেলার পর সেখানে আমাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরে। ট্রলার বোঝাই হয়ে গেলে তখন আমরা ঘাটের দিকে ফিরে আসি। এফবি মা জননী ট্রলারের মালিক শহীদ কোম্পানী বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। তার মধ্যে এই শীত মৌসুমে এতো পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে সেটা কল্পনাও করতে পারি নি। এই মাছ বিক্রি করে আগের সব লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। ৯২ মণ ইলিশ আমি ২২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। শীত মৌসুমে এর আগে আর কখনো এত ইলিশ আমরা পাই নি।  মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, শীতের মৌসুমে এমনিতেই আমাদের তেমন একটা মাছের দেখা মিলেনা। এরমধ্যে হঠাৎ এতগুলো মাছ নিয়ে ঘাটে আসায় অন্য জেলেরাও উৎসাহ পেয়েছে। জেলেদের এই উৎসাহ সারা বছর থাকলে আমরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হব। আশা করি সমুদ্রে থাকা সব জেলারাই ভালো মাছ পাবেন। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গভীর সাগরে যদি জেলেরা জাল ফেলেন তাহলে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে। এছাড়া ফেরুয়ারি এবং মার্চ মাসে জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে পারে। জেলের জালে এত ইলিশই বলে দিচ্ছে সমুদ্রে মা ইলিশ রক্ষায় বছরে দুই বার নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়