• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় যেভাবে ত্রাণ পাঠাচ্ছে জার্মানি
ইসরায়েল এখন গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য কয়েকটি পথ সাময়িকভাবে খুলছে। এর মধ্যে গাজায় আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাতজন কর্মী মারা গেছেন। এই ত্রাণ কর্মীরা গাজার ২৪ লাখ মানুষের কষ্ট কিছুটা কম করার জন্য কাজ করছিলেন। এই ঘটনা আবার দেখিয়ে দিয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানো কতটা কঠিন। ফলে জার্মানিও সেখানে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জার্মান ত্রাণ সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, পরিস্থিতির তুলনায় তারা সামান্য সাহায্য করতে পেরেছে। জার্মান রেড ক্রস সাধারণত বাড়িয়ে-চড়িয়ে কোনো মন্তব্য করে না। তারা জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। জার্মানির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যাসেলফিল্ডটসহ রক্ষণশীল সিএসইউ রাজনীতিকরা সম্প্রতি বলেছেন, গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য খুবই সামান্য জায়গা খোলা রয়েছে। ফলে সেখানে যা ত্রাণ যাচ্ছে তা খুবই কম। সেখানে সবকিছুর অভাব রয়েছে। তার উপর সেখানে লড়াই তীব্র হচ্ছে, ঝুঁকিও বাড়ছে। আরো আক্রমণের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে। ২০১৭ থেকে জার্মান রেড ক্রসের নেতৃত্বে আছেন হ্যাসেলফিল্ডট। তিনি এখনো বলতে পারছেন না কবে নাগাদ তার সংস্থা গাজায় ত্রাণ পাঠাতে পারবে। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি প্লেনভর্তি করে ত্রাণসামগ্রী তিনি মিশর হয়ে গাজা ভূখণ্ডে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে খাবার ছাড়াও ওষুধ ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল। জার্মানি ও অন্য দেশগুলির সরকার ও সরকারি সংস্থার মধ্যে উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতার ব্যবস্থা থাকে। আর্থিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাটজা হুমেল ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, জার্মান করপোরেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপরেশন (জিআইজেড) গাজার জন্য কোনো স্থায়ী কর্মকর্তা রাখেনি। আগে জার্মানি থেকে কর্মীরা গাজায় যেতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। চার্চ গ্রুপগুলি যেভাবে কাজ করছে জার্মানির চার্চের ত্রাণ সংস্থাগুলিরও একই অবস্থা। ক্যারিটাস ইন্টারন্যাশনালের মুখপাত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, আমরা সবসময় স্থানীয় মানুষ বা সংগঠন, যারা মানুষকে সাহায্য করছে, তাদের সঙ্গে কাজ করি। আমরা বিশ্বের অন্য ক্যাথলিক গোষ্ঠীর সঙ্গেও হাত মিলিয়ে কাজ করি। জার্মানির বিমানবাহিনী জর্ডান থেকে বিমানে করে ত্রাণসামগ্রী আকাশ থেকে ফেলেছে। এই সাহায্য যদি মানুষের কাছে পৌঁছায় তো সবচেয়ে বলশালী মানুষের কাছে পৌঁছেছে। সাধারণত সড়কপথে বা সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছে দেয়াটা সহজ। কিন্তু হামাসের আক্রমণের পর এই ধরনের পথ খুবই কম আছে। মার্চের মাঝামাঝি থেকে জার্মানি বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলছে। জর্ডান থেকে দুইটি বিমান এই ত্রাণসামগ্রী ফেলার কাজে লাগানো হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন জার্মানি ও ফ্রান্সের কর্মীরা। সম্প্রতি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশর সফর করেছেন। তিনি সেখানে সড়কপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। বেয়ারবক বলেছেন, আকাশপথে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ফেলে দেয়াটা সমুদ্রে এক বিন্দু জল ফেলার মতো।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭

আশ্রয়প্রার্থীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জার্মানি
বেড়ে চলা আশ্রয়প্রার্থীর ঢল সামলাতে জার্মানি নভেম্বর মাসে যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুধবার চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা তার পর্যালোচনা করেন৷ জুন মাসের মধ্যে সব পদক্ষেপের মূল্যায়ন করবেন তারা৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংকটের জের ধরে ইউরোপে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ জার্মানিতে বহিরাগতদের সেই ঢলকে কেন্দ্র করে প্রবল রাজনৈতিক বিবাদ চলছে৷ এএফডি-র মতো চরম দক্ষিণপন্থি দল বিষয়টিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের অনিশ্চয়তার ফায়দা তুলছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি সংকট সামাল দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীনতার অভিযোগ খণ্ডন করার চেষ্টা করছে৷ গত নভেম্বর মাসে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা একগুচ্ছ পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্যে এসেছিলেন৷ বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অভিবাসন নীতির বিভিন্ন দিক ও বাস্তব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ বার্লিনে শলৎস বলেন, বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনই তার সুফল দেখা যাচ্ছে না৷ যেমন আশ্রয়প্রার্থীদের নগদ আর্থিক সহায়তার বদলে ডেবিট কার্ড দেওয়ার পদক্ষেপ কার্যকর করতে সময় লাগছে৷ অনেক আশ্রয়প্রার্থীরা এতকাল নগদ অর্থ নিজেদের দেশে পাঠিয়ে আসছেন বলে সমালোচনা হচ্ছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশে শরণার্থীদের আবেদন পরীক্ষার ব্যবস্থার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আগামী ২০শে জুন আগামী শীর্ষ বৈঠকের আগে সেই উদ্যোগের প্রাথমিক ফলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরা চাপ দিচ্ছেন৷ সেই সব পদক্ষেপের পাশাপাশি শলৎস অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন সীমিত করতে সব সময়ে সক্রিয় থাকার উপর জোর দেন৷ তার মতে, গত ২০-২৫ বছরে এমন সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি৷ প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির সরকারের উপর আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমা স্থির করার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনের আওতায় এমন কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার ও কয়েকটি রাজ্য মনে করছে৷ তবে সব মিলিয়ে নভেম্বর মাসে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছু বাড়তি পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ যেমন বাভেরিয়া ও স্যাক্সনি রাজ্য সরকার ইউক্রেন থেকে আসা মানুষের বিশেষ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে তাদের সাধারণ আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে গণ্য করার দাবি তুলছে৷ আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমাতে ইউনিয়ন শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীরা আরো কিছু দেশের সঙ্গে অভিবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সরকারের উপর চাপ দিচ্ছেন৷ সে ক্ষেত্রে আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হলে সেখান থেকে আসা মানুষদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে৷ ২০২৩ সালে জার্মানিতে প্রায় তিন লাখ ২৯ হাজার বহিরাগত রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ ২০২২ সালের তুলনায় সংখ্যাটা প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি৷ তার উপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে প্রায় দশ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে এসেছেন৷  বহিরাগতদের এমন ঢল সামলাতে বিশেষ করে পৌর স্তরে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ তাদের বাসস্থান, ভাষা শিক্ষা, শিশু-কিশোরদের জন্য কিন্ডারগার্টেন বা স্কুলের ব্যবস্থা অনেক পৌর কর্তৃপক্ষের সাধ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷ বাড়তি আর্থিক ব্যয়ভার নিয়েও সমস্যা দূর হয় নি৷ নভেম্বরের বৈঠকে প্রত্যেক আশ্রয়প্রার্থীর জন্য পৌরসভাগুলিকে বছরে ৭,৫০০ ইউরো অনুদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও অনেক শহর ও গ্রাম ঘাটতির অভিযোগ করছে৷
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫০

জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটে জার্মানির মিউনিখের মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচ‌নে সরকার গঠনের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তানীতিবিষয়ক এ বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচ শ প্রতিনিধি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও উপস্থিত হবেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে সময় দিয়েছেন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাই হবে। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ফলে ঢাকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে হেরফের হওয়ার প্রশ্নই আসে না। মস্কোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং ঐতিহাসিক। তিনি আরও বলেন, সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সেভেনজা সুলজ, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটার গ্লোবাল এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও আশা করা যায়। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেবেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রীর মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২০

যে কারণে জার্মানি গেলেন সালাউদ্দিন
গত ২৮ ডিসেম্বর বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর চিকিৎসকের নির্দেশনায় তিনি বাসায় খানিকটা নিভৃতেই ছিলেন। কয়েক দিন আগেই সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় গিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। এবার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টার ফ্লাইটে দেশত্যাগ করেছেন বাফুফে সভাপতি। ফেডারেশন ও পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।  জানা গেছে, পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জার্মানিতে কিছুদিন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। সপ্তাহ দুয়েক আগে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। এই সপ্তাহে ভিসা পাওয়ার পর জার্মানিতে উড়াল দিয়েছেন তিনি।  জার্মানিতে সালাউদ্দিনের একমাত্র মেয়ে সারাহজিন থাকেন। শ্বশুরকে নিতে ঢাকায় এসেছিলেন সারাহজিনের স্বামী। এরপর জামাই-শ্বশুর একসঙ্গে জার্মানি রওনা হয়েছেন।  বাফুফে সভাপতি পেশাগত ও ব্যক্তিগত কারণে বিশ্বের অনেক দেশে গিয়েছেন। ঘন ঘন দেশের বাইরে গেলেও এক সপ্তাহের বেশি সময় তিনি থাকেন না। সাম্প্রতিক সময়ের সফরগুলোতে ২-৩ দিনের মধ্যেই দেশে ফিরেছেন অধিকাংশ সময়। এবার প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। শারীরিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ ও আরেকটু বিশ্রামের জন্য জার্মানিতে চার সপ্তাহের মতো সময় থাকতে পারেন সালাউদ্দিন। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

ফেব্রুয়ারিতে জার্মানি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে দেশটিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাইডলাইনে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা চলছে। সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনাই তোলেননি। উল্টো জার্মান ও ফ্রান্সের সরকারপ্রধানের অভিনন্দন বার্তার লিখিত কপি আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রাষ্ট্রদূত আমার কাছে সেই শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এর আগে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের মধ্যদিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজ। আর গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১

নাগরিকত্ব অর্জনের পথ সহজ করল জার্মানি 
নাগরিকত্বের আবেদনের শর্ত সহজ করে নতুন আইন পাস হয়েছে জার্মানিতে। নতুন আইন অনুযায়ী, জার্মানিতে টানা পাঁচ বছর বসবাসকারী বিদেশিরা দেশটির নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। আগের আইনে এ সম্পর্কিত সময়সীমা ছিল ৮ বছর। এ ছাড়া আগের আইনে দ্বৈতনাগরিক এবং সব দেশ থেকে আগত লোকজনকে নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করা হতো না। নতুন আইনে সেই বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্দেসতাগ নতুন এই আইনটি প্রণয়ন করেছে।  শুক্রবার বুন্দেসতাগে  নতুন আইনটি ভোটের জন্য উত্থাপনের পর সেটির পক্ষে ভোট দেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের নেতৃত্বাধীন বাম ও উদারপন্থী জোটের আইনপ্রণেতাসহ মোট ৩৮২ জন এমপি। আর সেটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩৪ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট দেওয়া এমপিদের সবাই দেশটির রক্ষণশীল ডানপন্থী দলগুলোর সদস্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, জার্মানির অভিবাসন সংক্রান্ত আইনগুলোর আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে নতুন এই আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বহুত্ববাদ জার্মান সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। যারা বছরে পর বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস করছেন, এই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন, নতুন আইনের মাধ্যমে আমরা তাদের কাছে বার্তা দিতে চাই—জার্মানি আপনাদেরও দেশ।’ বর্তমানে জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে নাগরিকত্ব পাননি— এমন লোকের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ, যা জার্মানির মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। তাদের মধ্যে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষ গত ১০ বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৫

জার্মানি দিয়ে শুরু হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য 'মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে' অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে  প্রথম বিদেশ সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও পৃথিবীর বিখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ নেতারা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে থাকেন এ কনফারেন্সে। ২০১৮ সালেও টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স দিয়ে নিজের বিদেশ সফর শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে এবারের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।  মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে সবসময় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ফলপ্রসূ কূটনৈতিক আলোচনার জন্য এই কনফারেন্সটি বেশ গুরুত্ব পেয়ে থাকে।   সর্বশেষ ২০২৩ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ফ্রান্স ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য। বিভিন্ন বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা এবং ২০২৬ এর পরে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য বিদেশিদের সঙ্গে সুসম্পর্কসহ বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার কোনও বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সাবেক একজন কূটনীতিক বলেন, একটি দেশে যত উন্নয়ন হয়, তার বিদেশ নির্ভরতা তত বেশি বাড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মাত্রা অনেক বেশি। কারণ ওই সব দেশের উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয় এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে কোন দেশের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক রাখা হবে।’  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়