• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাপার অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বনানী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। কিন্তু সরকার সেখানে ইন্ধন দেয়, এসব ঠিক নয়। তিনি বলেন, বৈষম্যকে লালন করে দেশকে নানাভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা চলছে। সুবিধাভোগীরা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলা হয়। যেভাবে আইনকানুন করে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল টিকবে না। সরকার ঠিক থাকলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে, কিছু মানুষকে উপরে ওঠানো হচ্ছে, কিছু মানুষকে মুছে ফেলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। এমনও দেখা যাচ্ছে, বয়স ৫০ হয়নি অথচ সে মুক্তিযোদ্ধা, এইগুলো কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। দেশকে ভুবিয়ে দিয়ে আপনারা বাঁচতে পারবেন না, মানুষের অভিশাপ লাগবে।  তিনি বলেন, বৈষম্য করে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা বৈষম্যমুক্ত দেশ ও সমাজ চাই। আর এই বৈষম্যের কারণেই একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৭

বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে রওশনপন্থী জাপার সম্মেলন
জাতীয় পার্টির (জাপা) বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করছেন রওশন এরশাদ। শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর রমনা ইনস্টিটিউটের সামনে খোলামাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে রওশন এরশাদ ছাড়াও রয়েছেন, জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু। ফলে জাতীয় পার্টি নামে আরও একটি দলের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে জাতীয় পার্টি ভেঙে একই নামে পাঁচটি দল হয়েছে। রাজধানী ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেবর-ভাবির কোন্দলের মাত্রা চরমে ওঠে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা সরাসরি পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন। ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করেন। তাদের পদত্যাগও চান পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই। এ ঘটনা কেন্দ্র করে দলে থাকা দীর্ঘদিনের মিত্রদের একে একে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাপার স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হন রওশন এরশাদ। মূলত রওশন অংশে তিনি ছাড়া বাকি শীর্ষ নেতাদের সবাই দল থেকে বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়েই নতুন করে দল গঠন করতে যাচ্ছেন সাবেক এই বিরোধী দলের নেতা। তবে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করেননি জিএম কাদের। দলটির একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাপায় সবচেয়ে বড় ভাঙন হতে যাচ্ছে আজ শনিবার। যদিও ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না রংপুরসহ ১৭টি জেলা। অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও কমবেশি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বিভক্তি প্রসঙ্গে রওশনের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব কাজী ফিরোজ রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছি, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। জাপা ফের ভাঙছে। এজন্য কে দায়ী, তা হয়তো সময় মূল্যায়ন করবে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এরপর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে অন্তত ছয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলটি। তারপর থেকে এরশাদ-রওশন ও জিএম কাদের জাপার মূল ধারায় ছিলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৬

সংরক্ষিত নারী আসনে জাপার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা
নির্বাচনে কমিশনে (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (ঢাকা) ও নূরুন নাহার বেগমের (ঠাকুরগাঁও) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু। এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ভাগাভাগি করে জাতীয় পার্টি দুটি আসন পাই। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুইজনই আমার দলের পরীক্ষিত নিবেদিত পুরোনো কর্মী। তাদের এবার দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। মুজিবুল হক বলেন, জাতীয় পার্টি গতবারের মতো এবারও সংসদে শক্ত ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্যসংখ্যা কম, কিন্তু সংখ্যা দিয়ে কিছু হয় না। জাতীয় পার্টির ১৩ জন সদস্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারলে সংসদকে কার্যকরী করা সম্ভব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তিনি যখন সংসদ নেতা ছিলেন তখন একজন সংসদ সদস্যই মরহুম বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। মনে হয় আমরা বর্তমানে পার্লামেন্টে যারা আছি ১১ জনের মধ্য একজন ছাড়া অন্যরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মতো ক্যাপাসিটি আছে। আশাকরি এদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলা সরকারের ঘাটতিগুলো ধরিয়ে দেওয়া সরকারের দুর্নীতি উচ্চকণ্ঠে গত পার্লামেন্ট বলেছি এই পার্লামেন্ট নিশ্চয়ই বলবো। এটা আমাদের ওপর জাতি ভরসা রাখতে পারেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ মার্চ এবার সংরক্ষিত আসনে ভোট হবে। তফসিল অনুযায়ী, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রয়েছে। এদিন দুপুর ২টায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়বে না।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯

সংরক্ষিত নারী আসনে জাপার মনোনয়ন পেলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। জাপা কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান নূরুন নাহার বেগমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার পর জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মাহমুদ আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (ঢাকা) ও নূরুন নাহার বেগমকে (ঠাকুরগাঁও) মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বলেন, শিগগির নির্বাচন কমিশনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, শেরিফা কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী। অন্যদিকে সালমা ইসলাম জাপার অন্যতম কো–চেয়ারম্যান। তিনি দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান। নুরুন নাহার বেগম দলের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের জাপার সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের আত্মীয়। এই দুজনই গত সংসদে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৪

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের ৪৮, জাপার ২ সদস্য
স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থনে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন নারী নতুন করে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হতে পারেন। আর বাকি দুজন জাতীয় পার্টি থেকে হতে পারেন। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান, মহিলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীনেত্রীরা বেশি গুরুত্ব পাবেন বলে জানান জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে সংরক্ষিত নারী আসনে দলের অবস্থান জানাতে এসে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এসব কথা বলেন। আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। দ্বাদশ সংসদের ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রয়েছেন। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন ৪৮ জন বাকি দুজন জাতীয় পার্টির থেকে হতে পারেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২২

জাপার প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি বাতিল চেয়ে নোটিশ
জাতীয় পার্টিকে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, তা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান। তিনি জানান,  গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বানানো হয়েছে বিরোধী দলের উপনেতা। এবারের সংসদে জাতীয় পার্টির ১১ জন সংসদ সদস্য। কোন আইন ও কর্তৃত্বের বলে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন ভাতা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে আইনি নোটিশে। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের উদ্যোগ নিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে নোটিশে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে। নোটিশে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের ফলে সরকারের গাড়ি-বাড়ি ও অর্থ অপচয় হয়। জাতীয় পার্টি ১০ শতাংশ আসনও লাভ করেনি। ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০টি আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) থাকলে বিরোধী দলের নেতা হবে. এমন আইন থাকা অতি জরুরি। ভারতের লোকসভায় ১০ শতাংশ সদস্যসহ দ্বিতীয় স্থানে না থাকলে বিরোধী দলের নেতার পদ খালি থাকে, এমন আইন আছে। কিন্তু, আমাদের দেশে নিয়োগেরও আইন নেই, কত সংখ্যক এমপি থাকলে বিরোধী দলের নেতা হতে পারবে তাও উল্লেখ নেই। আইনি নোটিশে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, কতজন সংসদ সদস্য থাকলে বিরোধী দলীয় নেতা হতে পারবে সে বিষয়ে সংসদে আইন করতে হবে। আইন না করা পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ ভারতের মতো খালি থাকবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৪

সিটি ও উপ-নির্বাচন / জাপার মনোনয়ন ফরম বিক্রির তারিখ ঘোষণা
সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ উপনির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণের তারিখ ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ/উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে দলীয় প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করবে জাতীয় পার্টি। ‘জাতীয় পার্টির বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও গ্রহণ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বনানীতে চেয়ারম্যান কার্যালয়ের দপ্তর থেকে মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর সাধারণ আসনের কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ও ২২ নম্বর সাধারণ আসনের কাউন্সিলরের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন তিনি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমি বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক- এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, বিগত দিনের জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ব্যর্থতা পর্যালোচনা করে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টিতে এখন একটি ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। এক. দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বক্তব্য ও বিবৃতি এবং দ্বাদশ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দুই. জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করা এবং আসন সমঝোতার পরেও জনসম্মুখে অস্বীকার করে- দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। তিন. ২৬টি আসন সমঝোতার পর বাকি আসনের প্রার্থীদের রাজনৈতিকভাবে জনগণের বিরূপ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মহাসচিব তাদের কোনো খোঁজ-খবর না নেয়ার ফলে ভোটের মাঠে পার্টি চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। চার. নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ায় পার্টির নেতাকর্মীরা তার প্রতিবাদ করার অধিকার রাখেন। এই প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা কিংবা সান্ত্বনা প্রদান না করে ক্রমাগত বহিষ্কার ও অব্যাহতির মাধ্যমে পার্টির অস্তিত্ব নষ্ট করা হয়েছে। পাঁচ. পার্টির অবস্থা সার্বিকভাবে বিবেচনায় করে আমি গত ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ইং তারিখ পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দলে ঐক্য ফিরিয়ে এনে সকল বহিষ্কার ও অব্যাহতির আদেশ বাতিল করে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা তা আমলে নেননি। ছয়. এই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পল্লীবন্ধুর ৬৬৮ জন নেতাকর্মী পার্টি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় দলে বিরাট সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমার সিদ্ধান্ত- এক. এমতাবস্থায় উল্লেখিত সংকট নিরসনে পার্টির নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জি. এম. কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম। দুই. নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। তিন. পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজী মো. মামুনুর রশিদকে মহাসচিবের দায়িত্ব প্রদান করলাম। তিনি সার্বিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। চার. পার্টির অন্যান্য পদ-পদবী স্ব স্ব অবস্থায় বহাল থাকবে এবং পার্টির যে সকল নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কিংবা বহিষ্কার করা হয়েছে এবং যাদের পার্টির কমিটির  বাইরে রাখা হয়েছিল, তাদের পূর্বেকার স্ব-পদে পুনর্বহাল করা হবে। পাঁচ. যথা-শিগগিরই পার্টির জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪

জাপার এত শক্তি, জানতামই না : চুন্নু
‘দলে এত সক্রিয় কর্মী ছিল, এত শক্তি ছিল, আমি মহাসচিব হিসেবে জানতাম না। এটা তো আমার ব্যর্থতা। তারা আবার পদত্যাগ করছেন, এতে আমি অবাক হয়ে গেলাম।’ জাতীয় পার্টির (জাপা) ঢাকা মহানগরীর ৯ থানার ৬৭১ নেতাকর্মীর পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টিতে রাতারাতি এত কর্মী কোথা থেকে উদয় হলো, মূলত তা নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।   শফিকুল ইসলাম সেন্টুর এত কর্মী কি আকাশ থেকে এসেছে, এমন প্রশ্ন রেখে জাপা মহাসচিব বলেন, রাতারাতি এত কর্মী এলো কোথা থেকে, সেটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। যদিও পদত্যাগকারীদের মধ্যে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে আমি ৭ থেকে ৮ জনকে চিনি, আর কাউকে কোথাও দেখিনি। এ ছাড়া নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করলেও দলে কোনো প্রভাব পড়বে না চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকেও অনেক কর্মী চলে গেছেন। এতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটির ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৭১ নেতাকর্মী গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন।    
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৫

সংসদের বিরোধী দল থাকার সিদ্ধান্ত জাপার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। ইতোমধ্যে কারা বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা এবং চিফ হুইপ থাকবেন সেই সিদ্ধান্তও নিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আরও পড়ুন : যাকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করল জাতীয় পার্টি   সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির সংসদ সদস্যরা। এখন সভার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে স্পিকারকে জানাবে দলটি। এবারে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ে প্রায় ছয়গুণ বেশি আসনে জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলে সংসদে বিরোধী দলের আসনে কে বসবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এর মধ্যেই সংসদের বিরোধী দল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো জাপা। এখন বিষয়টি স্পিকারের ওপর নির্ভর করছে। আরও পড়ুন : টিআইবি বিএনপির দালাল : কাদের   তবে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসছে, এটা নিশ্চিত। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী অন্য কারো সংসদে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে জয়লাভ করেছে। জাতীয় পার্টি জিতেছে মাত্র ১১টি আসনে। এ ছাড়া ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়