• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্য পণ্যের দাম: জাতিসংঘ
বিশ্ববাজারে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের দাম হ্রাস পেয়েছে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ দাম হ্রাস পেল। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এফএও বলছে, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দাম কমেছে পাঁচ ভাগ। আর এই দাম গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় সাড়ে ২২ ভাগ কম। এতে বলা হয়েছে, ভোজ্যতেল, গম, মাংস ও দুগ্ধজাতীয় পণ্যের দাম নেমেছে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মিলে বিশ্ববাজারে টানা দু-মাস ধরে বাড়ছে চিনির দাম। এফএওর হিসাব মতে, এক বছর আগের তুলনায় গত মাসে চিনি বেচাকেনা হয়েছে সাড়ে ১২ ভাগ বেশি দামে। ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্ববাজারে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যে দামে ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হয়েছে তারচেয়ে ১১ শতাংশ কমে। সয়া, সানফ্লাওয়ার আর রাই-সরিষার মতো পণ্যের দাম পড়ে যাওয়ার সুফল পেয়েছেন ভোক্তারা। তবে গত মাসে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে কিছুটা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় ভুট্টার ভালো উৎপাদনের সঙ্গে সমুদ্রপথে স্বাভাবিক গতিতে পণ্য পরিবহনে ইউক্রেনের আশ্বাসে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে পণ্যটির দাম। আর গমের দাম কমতির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, চাহিদা কমের বিপরীতে রাশিয়ার বাড়তি রপ্তানি।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থ দেবে জাতিসংঘ 
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলমান অর্থবছরে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। আর এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে নিজ বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষতির টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইসও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, এডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি এডাপটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০১

জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনের হাই লেভেল সেগমেন্টে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে যোগ দেওয়ার জন্য কেনিয়া যাচ্ছেন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। বিশ্ব এখন জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের হ্রাস এবং (প্লাস্টিক) দূষণের ত্রিশঙ্কা মোকাবিলা করায় এবারের জাতিসংঘ পরিবেশ অধিবেশনের থিম নির্ধারিত হয়েছে ‘জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের হ্রাস এবং দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ’। সাবের চৌধুরী অধিবেশনের হাই লেভেল সেগমেন্টে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদান করবেন এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনে দেশের সাফল্যগুলো তুলে ধরবেন। পরিবেশগত সুরক্ষায় জাতীয় উদ্যোগ ও মালিকানার গুরুত্বের পাশাপাশি তিনি বৈশ্বিক ঐক্য ও কর্মের গুরুত্ব তুলে ধরবেন। জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগদান শেষে ৩ মার্চ তার ফেরার কথা রয়েছে।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৫

নোবিপ্রবিতে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের সমাপনী 
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে তিনদিনব্যাপি চলা এ সম্মেলনটির সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ৬টি কমিটির মোট ২৪ জনকে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড এবং প্রায় ২০ জনকে 'ভারভাল মেনশন' অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রায় ১১টি গণমাধ্যমকে মিডিয়া পার্টনারের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।  এর আগে, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম। সম্মেলনটিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিকদের ভূমিকায় ছিলেন ২২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার মো. জসীমউদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট মো. আবু তারেক। এ বছরের সম্মেলনটি মোট ৬টি কমিটি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে– জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষায়িত কমিটি, আন্তর্জাতিক প্রেস, নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কমিটি, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন কমিশন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৯

নোবিপ্রবিতে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু
'সুসংহত অবকাঠামো ও শিল্পায়নের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সমৃদ্ধির পথে' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ৬ষ্ঠ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম। সম্মেলনটিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিকদের ভূমিকায় ছিলেন ২২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী। তারা কূটনৈতিক দক্ষতা বিকাশ, নির্দিষ্ট বিষয়ে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন এবং রাজনৈতিক বিতর্ক পরিচালনার মানসিকতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছেন এবং ২০ জন নির্বাহী বোর্ড সদস্য তাদের আলোচনা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছেন। এ বছরের সম্মেলনটি মোট ৬টি কমিটি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে– জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষায়িত কমিটি, আন্তর্জাতিক প্রেস, নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কমিটি, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন কমিশন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার মো. জসীমউদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান, ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট মো. আবু তারেক। ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০২৪ এর মহাসচিব মো. নাইম উদ্দিন বলেন, নোবিপ্রবি প্রশাসনের সহযোগিতা ফলে আমরা সুন্দর একটি প্রোগাম আয়োজন করতে পেরেছি। আমি আমার সকল ডিলেগেটকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের প্রোগামে অংশগ্রহণ করায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিগত সময়ের তুলনায় সংগঠনটির কাজগুলো অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সংগঠনটি তাদের  কাজের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা বলার দক্ষতা পাশাপাশি নিজেদেরকে আত্নপ্রত্যয়ী করে তুলতে সহযোগিতা করছে বলে তিনি মনে করেন। এসময় বহির্বিশ্বে জাতিসংঘের বিভিন্ন অবদান তিনি তুলে ধরেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি সংগঠনের মধ্যে নোবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ আলাদা একটি সংগঠন তাদের কথা বলা, কাজের ধরন সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে। বর্তমান সময়ে মধ্য প্রাচ্যর দেশগুলোতে যে ক্রাইসিস চলছে সেখানে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতিসংঘ মানবতা নিয়ে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু এতে যখনি বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক স্বার্থ চলে যায় তখন সেটা খুবই দুঃখজনক হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদের গুরুত্ব তুলে ধরার মাধ্যমে শেষ করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২২

পাকিস্তানের সহিংসতার নিন্দা জানাল জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা এবং তার অযোগ্যতার পাশাপাশি নির্বাচনে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, পাকিস্তানে সংসদীয় নির্বাচনের আগে আমরা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অর্থবহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্তত ২৪টিরও বেশি ঘটনা ঘটেছে যেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ভোটের আগে রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। গত ১৫ বছরে অনেক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অর্জন। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য নারী ও সংখ্যালঘুসহ সকল মানুষের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ওএইচসিএইচআর মুখপাত্র পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা, সমর্থক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং দীর্ঘায়িত আটকের’ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে একটি ‘সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও এমন একটি পরিবেশের প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যাতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পূর্ণ পরিসরকে প্রচার ও সুরক্ষা দিতে পারে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা
জর্জ ফ্লয়েডের কথা মনে আছে তো। ২০২০ সালের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়া পোলিস শহরে পুলিশের হাতে মৃত্য হয় তাঁর। অবৈধ মুদ্রা রাখার মামলায় কৃষ্ণাঙ্গ এই আমেরিকানকে হত্যা করে পুলিশ। ফ্লয়েডের ঘাড়ের উপর হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন। মৃত্যুপথযাত্রী ফ্লয়েড তখন বার বার বলছিলেন, ‘আই কান্ট ব্রিদ’ (আমি শ্বাস নিতে পারছি না)। পুলিশ কিন্তু মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়েনি।   ফিলিস্তিনের গাজায় দিনের পর দিন নির্বিচারে বোমা মেরে নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। কই এসব বিষয়ে তো একেবারেই নিশ্চুপ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশ যক্তরাষ্ট্র। যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানেই তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় থাকে সেখোনেই তারা মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা হয়ে দিনরাত চিৎকার করে ‘মানবাধিকার গেল, মানবিাধিকার গেল’ বলে চিৎকার করে।   শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, তাদের পথ অনুসরণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াসচসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। বাংলাদেশেশের মানাবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে দেখলাম, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তারা বলার চেষ্টা করেছেন, টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেন অবশ্যই মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দেয়। দমনমূলক প্রবণতা পরিহার করে এবং অংশগ্রহনমূলক রাজনীতির দিকে ঝোঁকে।  বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কয়েক মাস হাজার হাজার বিরোধী কর্মীকে নির্বিচারে আটক করা বা ভয় দেখানো, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা এবং হয়রানি করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিরোধী ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আরও অনেক বিষয় তারা কথা বলেছেন। বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের এই বিবৃতি যে একেবারেই মনগড়া, এটা যে কারো বুঝতে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তারা যে বিবৃতি দেওয়ার জন্য একটা বিবৃতি দিয়েছেন সেটাও খুব পরিস্কার। কারণ বিবৃতির কোন জায়গায় সুষ্পষ্ট কোনো তথ্য তারা উল্লেখ করেনি। প্রথমত, তারা বলেছেন, গত নির্বাচনের আগে নির্বিচারে সরকার বিরোধীদের আটক করা হয়েছে। এখানে তারা বলেনি এই সংখ্যা কত? তারপরেই আবার বলেছেন, ২৫ হাজারের মত নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের কাছে ঠিকঠাক পরিসংখ্যান নেই। সরকার বিরোধী জোট বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন সময়ে তাদের কর্মী সমর্থকদের আটকের বিষয়ে যেসব মনগড়া তথ্য সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছে তার ভিত্তিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন একেক সময় একেক রকম বিবৃতি দিয়েছে। সেসব বিবৃতিতে কোন নিশ্চিত সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।   জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও একইভাবে একটা বিবৃতি দিয়েছেন, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। তাছাড়া দেশজুড়ে যেসব সহিংসতা হয়েছে, বাস, ট্রেনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদেরকেও হিসাবে নিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা।  আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হলো সে বিষয়ে তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ তারা মানবাধিকার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, বিষয়টা খুবই হাস্যকর। তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা এবং হয়রানি করা হচ্ছে। এ জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  কিন্তু বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি, সুশীল সমাজের কার ওপর কিংবা মানবাধিকারকর্মীদের কার বা কাদের ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। অথচ জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা ঢালাওভাবে একটা বিবৃতি দিয়ে দিলেন। যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও বেমানান।  বাংলাদেশে অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। একই বছরের ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতাকে জেলের ভিতর হত্যা হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমকে সামরিক আদালতে সাজানো মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান। জিয়ার সামরিক শাসনামলে বহু মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিককে কোনোরকম অপরাধ ছাড়াই তথাকথিত বিচারের নামে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।  বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এখনও অনেকে সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই যে এত এত ঘটনা, সেগুলোতে কি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি? এসব ঘটনার বিষয়ে তো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো কিংবা জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কোনো বিবৃতি আমরা দেখি না।      জিয়াউর রহমানের শাসনামলে যেসব মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক বিনা অপরাধে প্রহসনের বিচারের হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা দশকের পর দশক ধরে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করেছেন। কিন্তু মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা আন্তর্জাতিক কোনো মানবাধিকার সংগঠনকে বা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের তো আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে একটা বিবৃতি দিতে দেখিনি। এমনকি উদ্বেগ জানাতে কিংবা তাদের বিচার পাওয়া দরকার, এ বিষয়ে সরকাররের ওপর কোনো চাপ দিতে দেখা যায়নি! অথচ সরকার হঠানোর রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সহিংসতায় জড়িত মামলার আসামীদের পক্ষে বিবৃতি দিতে দেখা যায় মানবাধিকারের ফেরিওয়ালাদের।  এটাও ঠিক যে, বিরোধী যেসব নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন (সরকারের হিসাবে এ সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি না) তারা সবাই যে অপরাধ করেছেন তেমনটা নয়। যারা অপরাধ করেছেন তাদের সঙ্গে কিছু নিরপরাধ নেতাকর্মীও আটক হয়েছেন। অনেকে হয়তো জামিন পেয়েছেন। আবার অনেকে পাননি। এ ব্যাপারে সরকারকে চাপ দেওয়াই যেতে পারে যে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের দ্রুত জামিন দেয়া দরকার। কিন্তু এটাও তো সত্য যে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে এবং যারা নিরপরাধ তারা ঠিকই মুক্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদেরকে সাজার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে যদি আমরা অপরাধী-নিরাপরাধী সবার মুক্তি দাবি করি তাহলে তো ন্যায় বিচার কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এক তরফা বিবৃতি দিয়ে মূলত অপরাধীদেরকেই আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হয়।  বাংলায় একটা বহুলপ্রচারিত প্রবাদ আছে- ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’ । অর্থাৎ যারে আমি দেখতে পারি না তার সবই খারাপ। আমার মনে হয়, রাংলাদেশে টানা চতুর্থবারের মত শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ায় অনেকেই এটিকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য নানান ইস্যুতে ঘটনা যতোটা না বড়, তার চেয়ে বড় করে উপস্থাপন করে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবশ্যই বিবৃতি দেবেন, তার আগে প্রকৃত ঘটনা যাচাই-বাছাই করে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য নির্ভর বিবৃতিই আমরা আশা করি। লেখক: গণমাধ্যম কর্মী  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১

চিঠি নিয়ে বিএনপির সন্দেহ দূর করল জাতিসংঘ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকার গঠনের পরে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে বিএনপির সন্দেহ দূর করলো জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র।  যে চিঠি নিয়ে বিএনপি সন্দেহ প্রকাশ করেছে সে চিঠি তারাই পাঠিয়েছেন বলে ব্রিফিং তিনি জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘের মতো সংস্থার চিঠি নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়ে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করেছে বিএনপি। মহাসচিবের চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকারের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।  টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি চিঠি লেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বাগত জানিয়ে, জাতিসংঘের দেয়া চিঠির সত্যতা নিয়ে ২০ জানুয়ারি প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, চিঠির ভাষায় নানা অসংঙ্গতি রয়েছে। এসব অসংঙ্গতির জবাব চায় দলটি।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন এবং শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চান। জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেমনটা বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা পুনর্নির্বাচিত হলে মহাসচিব (চিঠি) পাঠিয়ে থাকেন। জাতিসংঘের মতো একটি সংস্থার চিঠি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মিথ্যাচার করবে এটা ভাবাই বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘তারা পাবলিক পরিসরে এধরনের দাবি কীভাবে করলো। জাতিসংঘের মতো সংস্থার চিঠি কি ছেলেখেলা, চাইলেই এটা পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এধরনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই।’   এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশীদ বলেন, ‘বিএনপি যদি মনে করে জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে তাদের সন্দেহ বিষয়ে একটা উড়ো কথা বলবে এবং সেটা জাতিসংঘের নজরে আসবে না সেটা ভুল। ফলে এধরনের অদায়িত্বশীল আচরণের জন্য তাদেরকে মাশুল গুণতে হবে। জনগণের কাছে এখন সব তথ্য অনেক বেশি থাকে। তারা মিথ্যা ও সত্য তথ্য মিলিয়ে দেখার সুযোগ পায়। সেহেতু যা খুশি বক্তব্য না দিয়ে তাদের উচিত গঠনমূলক রাজনীতির পথে আসা।’
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের মহাস‌চিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে মহাসচিব বৈশ্বিক অর্থনীতির কাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখার জন্য অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। ২০২৪ সাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ এটিকে যথাযথভাবে উদযাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গুতেরেসকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মহাসচিবকে ব্রিফ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত,  কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৬

শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাল জাতিসংঘ
টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক চিঠিতে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এ অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে আপনার উপস্থিতি ও আপনার ওপর থাকা বিশ্বাসকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি আশা করতে পারি, বৈশ্বিক সমস্যাগুলোতে আপনাকে পূর্বের ন্যায় পাব। যার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো। তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি উদারতা এবং একটি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা। চিঠিতে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে জাতিসংঘ আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারের সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পায়। এর ফলে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়