• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিব নারায়ণ দাশকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে : জি এম কাদের 
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে শিব নারায়ণ দাশের অনন্য ভূমিকা অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন শিব নারায়ণ দাশ জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।  তিনি আরও বলেন, শিব নারায়ণ দাশের স্বপ্নের পতাকা আমাদের গৌরবের অর্জন। তাকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে একইভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৭

‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বুধবার (২৭ মার্চ) প্রবাসীকল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ হলে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। তাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে তথা বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি লক্ষ্য স্থির করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২

একমাত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে : দুদু
এই উপমহাদেশে পাঠান-পাঞ্জাবসহ বহু জাতি থাকা স্বত্বেও একমাত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সেগুনবাগিচা মেট্রো লাউঞ্জে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এই উপমহাদেশে পাঠান-পাঞ্জাবসহ বহু জাতি রয়েছে। সবাই সাহসী। তবে একমাত্র বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। বাঙালি একমাত্র জাতি যারা উই রিভোল্ট বলে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির নাম উঁচু করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’ তিনি বলন, ‘দেশের যে জনগণের জন্য স্বাধীনতা তারাই আজ কোণঠাসা। শুধু তাই নয়, তারা এতটাই নির্যাতনের শিকার যে, এই উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে তা দেখা যায় না। আজ আমাদের শিশুরাও অসহায়। এমনকি রাষ্ট্র দ্বারাও নির্যাতনের শিকার। তাদের ভালো স্কুলে ভর্তি বা অর্থের যোগানটাও রাষ্ট্র কিংবা তাদের পিতা-মাতা দিতে পারে বলে আমার মনে হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‌‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। এর কারণে সমাজের সবক্ষেত্রে নীতিবান, বিবেকবান মানুষ উপেক্ষিত। আমার ভাবতে অবাক লাগে মসজিদের ইমাম কীভাবে খুতবা দেবেন সেটাও সার্কুলারের মাধ্যমে বলে দেওয়া হচ্ছে। যখন সমাজে অন্যায়-অবিচার থাকে তখন শিশুরা অবহেলিত হয়। আর আমাদের দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলেই এগুলো হচ্ছে।’
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:১৩

কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি মেনে নেবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনোদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোনো প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনোদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে। শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। এ সময় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিশ্চিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ আওয়ামী লীগ বন্ধ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ আমরা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছি। দেশের সব গণতান্ত্রিক দল এবং সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য অতদ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধানই গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া ও সমুন্নত রাখার সর্বোচ্চ রক্ষাকবচ। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে বা পদদলিত করে কোনো কিছু করার চেষ্টার অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্রকে খর্ব করা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জাতীয় সংসদকে আমরা রাষ্ট্রের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। স্থানীয় সরকারের সব স্তরে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার এবং ১৯৭৫ এর পর পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করেছে। একই সঙ্গে আমার দল আমাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব অর্পন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশবাসীর প্রতি আমার কর্তব্য হিসেবে এবং আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য আমি বারবার এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি সকলের সমর্থন এবং সহযোগিতা নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাবার। তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোন অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ওপরে আস্থা রাখার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ওপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য, যে উন্নয়ন-অগ্রগতি আমরা এখন পর্যন্ত সাধন করেছি, তা আরও এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০৩

মেধাহীন জাতি তৈরিতে সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে : রিজভী
একটি মেধাহীন জাতি তৈরি করার জন্য সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষানীতি নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।    লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘শিক্ষানীতির কোনও মৌলিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। পাসের হার বাড়িয়ে দেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। শিক্ষার্থী উত্তরপত্রে কিছু লিখুক আর না লিখুক তাকে পাস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। বলা হয়েছে, ফেল করানো যাবে না। অথচ পড়াশোনা করেই পাস করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘শিশুশ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একেকবার একেক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে হযবরল করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্কুলমুখী না করে কোচিং সেন্টার ও গাইড বইমুখী করা হয়েছে। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থায় এহেন অরাজকতায় কখনোই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ঘটবে না। একটি মেধাহীন জাতি তৈরি করার জন্য সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে।’ মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও দেশপ্রেম প্রকাশে সরকারিভাবে ‘কপটতা ও রাজনৈতিক শঠতা উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন রুহুল কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা চাই, জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা চাই ইত্যাদি সরকারি প্রোপাগান্ডা অব্যাহত রয়েছে। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলা ভাষা চর্চার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমান দখলদার শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য আন্তপ্রাণ দেখালেও বাস্তবে দেশকে পরিণত করা হচ্ছে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচর্যা কেন্দ্র হিসেবে। আত্মনির্ভরশীলতার স্থলে পরনির্ভরশীলতাকে করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি। এখন ভারত থেকে কচুরমুখীও আমদানি করতে হয় আমাদের। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত এখন ছেপে আসে ভারত থেকে। পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত অনেক প্রবন্ধ কবিতায় বানান ভুলে ভরা। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ভাষার চর্চাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কায়দায় পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রভাষার চর্চাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে নিরন্তরভাবে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩

ভাষা রক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের মাতৃভাষা রক্ষায় যারা আত্মোৎসর্গ করেছে সেই শহীদদের প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়ে গেছে। আর সেই দিবসটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অর্থাৎ, মাতৃভাষা সংরক্ষণের প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ছাড়া একটা বিজাতীয় ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন, তিনি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়ে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ দিয়েই আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ভাষার রাষ্ট্র। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এই মর্যাদা অর্জন করেছি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

যত বেশী গবেষণা হবে, দেশ ও জাতি তত উন্নত হবে : উপাচার্য বিআইইউ
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ) আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মতিঝিলের বিসিআইসি অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ‘ইসলামিক কালচার এন্ড হেরিটেজ, বিজনেস, লিগ্যাল পারস্পেক্টিভ এন্ড ইম্পোরটেন্স অব ইংলিশ এজ এ লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা’ শীর্ষক শিরোনামে দিনব্যাপী দু’টি টেকনিক্যাল সেশনে নয় জন গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এতে দেশ-বিদেশের ৫ শতাধিক গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষাবিদ ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, গবেষণা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যত বেশী গবেষণা কর্ম সম্পাদন হবে, দেশ ও জাতি তত উন্নত হবে। প্রকৃত গবেষণাই আদর্শ জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে।  তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান অবশ্য করণীয়, আর তা হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের যথাযথ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি বিআইইউ পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্মেলনের আহবায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার বদরুল হায়দার চৌধুরী। প্রথম টেকনিক্যাল সেশনে স্ট্যামফোর্ড ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ইউসুফ আলী, দ্বিতীয় টেকনিক্যাল সেশনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিজিইডি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর শের মোহাম্মদের পৃথক সভাপতিত্বে প্রথম টেকনিক্যাল সেশনে ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা এবং সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও মনিরুল হক, মালয়েশিয়ার এরটিকা একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক ড. মাহমুদ আহমেদ এ আব্দেল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী মোহাম্মদ কাওসার এবং দ্বিতীয় টেকনিক্যাল সেশনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল) প্রফেসর ড. সরদার মাহমুদ হোসাইন, বিআইইউ’র ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাব্বির হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুছ সবুর মাতুব্বর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সাঈদ খান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেশন দুটি পরিচালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত সুলতানা ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম। সম্মেলনের সদস্য সচিব, বিআইইউর প্রক্টর ও সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়