• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঈদে তিন অভিনেতাকে নিয়ে হল মাতাবেন বুবলী
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। ক্যারিয়ারে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবার আসন্ন ঈদে তিন অভিনেতাকে নিয়ে হল মাতাবেন বুবলী। জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বুবলী অভিনীত সিনেমা ‘মায়া : দ্য লাভ’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন তরুণ পরিচালক জসিম উদ্দিন জাকির। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্যও লিখেছেন এই নির্মাতা। মুক্তিকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সেই ধারাবাহিকতায় সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশ করা হয়। তবে পোস্টার একটি হলেও এতে লুকিয়ে রয়েছে চারজন অভিনয়শিল্পী।     সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিন অভিনেতা— আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক এবং জিয়াউল রোশান। ইতোমধ্যে পোস্টারটি নিজেদের ফেসবুকে শেয়ার করে তিন অভিনেতাই লিখেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছবি ‘মায়া’। এ প্রসঙ্গে বুবলী জানান, তিন নায়কের বিপরীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার জন্য  নতুন ছিল। তাই কাজটাও খুব আনন্দের সঙ্গেই করেছেন তিনি।  সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা বলেন, রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘মায়া: দ্য লাভ’। কারণ ঈদের সময় সিনেমা হলে দর্শক বেশি থাকে। ফলে প্রচারণার কাজও শুরু করে দিয়েছি আমরা।  প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে আলিনুর আশিক ভূঁইয়ার প্রযোজনায় শুরু হয় সিনেমাটির কাজ। গত দুই বছরে কখনও সিনেমার কাজ টানা চলেছে, কখনও আবার বাধাও পড়েছে। অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে বুবলীর ‘মায়া’।      
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কারণ জানালেন জাকির তালুকদার
কথাসাহিত্যিক ও কবি জাকির তালুকদার বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। ২০১৪ সালে প্রাপ্ত এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ায় বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে চাঞ্চল্য তথা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে? ঠিক কী কারণে জাকির তালুকদার পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন, এই প্রশ্ন এখন জনমনে।    অবশেষে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন বরেণ্য এই সাহিত্যিক।  দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে জাকির তালুকদার লেখেন, বাংলা একাডেমির সমস্যা এবং কার্যক্রম নিয়ে ১০ বছরে তিনজন মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। কখনো একা, কখনো আরো কয়েকজন লেখক-কবির উপস্থিতিতে। তাদের দুজন প্রয়াত। একজন বর্তমানের ডিজি। তারা কেউ সমস্যাগুলোকে অযৌক্তিক বলেননি। কিন্তু প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন বলে মনে হয়নি। বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন খুব দরকার উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ২৫ বছর ধরে নির্বাচন দেওয়া হয় না। নির্বাচিত সদস্যের পক্ষে সম্ভব কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় জোরালো ভূমিকা রাখা। কিন্তু সেই সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে বাংলা একাডেমি। পছন্দের লোকদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটি তৈরি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মহাপরিচালকসহ একাডেমির কর্মচারি-কর্মকর্তারাই সর্বেসর্বা। তারাই নির্ধারণ করেন একাডেমির আলোচনা অনুষ্ঠানগুলিতে কাদের কাদের ডাকা হবে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দই মানদণ্ড তাদের। সেইসাথে তল্পিবাহকতাই বিশেষ গুণ। মেধা বা যোগ্যতা নয়। খ্যাতিহীন মেধাবীদের পাণ্ডুলিপি বাংলা একাডেমি দিনের পর দিন ফেলে রাখে জানিয়ে জাকির তালুকদার লেখেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে পাণ্ডুলিপি চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন একাডেমির কর্মকর্তা। বছরে একবার বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যরা কিছু দাবি বা সংস্কার প্রস্তাব করার সুযোগ পান। কোনো কোনো প্রস্তাব গৃহীতও হয়। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নিত হলো কি না, তা পরের বছরের সাধারণ সভায় জানানো হয় না। আসলে সেগুলো হিমঘরেই পড়ে থাকে। বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রদানের গতবাধা কিছু প্যাটার্ন রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জাকির। তিনি লেখেন, গত কয়েক বছর ধরে পুরস্কারের একটি প্যাটার্ন লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন কয়জন আমলা পাবেন পুরস্কার, বাংলা একাডেমির অন্তত একজন কর্মকর্তা পাবেন পুরস্কার, আর মহাপরিচালকের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ পাবেন পুরস্কার। নিশ্চয়ই যে কোনো পেশার লেখক পুরস্কার পেতে পারেন। কিন্তু যখন পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের চাইতে অধিকতর যোগ্য লেখককে বাদ দিয়ে পুরস্কারটা তাকে দেওয়া হয়, তখন তার সমালোচনা হবেই। অথচ একাডেমি কোনো সমালোচনায় কান দেয় না। আত্মসমালোচনা করে না। সেইসাথে দেখা যাচ্ছে কোনো কবি বা লেখকের কাজের ক্ষেত্র বাদ দিয়ে তাকে অন্য ক্যাটেগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলো সবই ভব্যতার ব্যত্যয়। প্রায় এক যুক পরে পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখা করে তিনি লেখেন, ১০ বছর আমি কী করেছি? আলোচনা করেছি, সভা-সমাবেশে এসব কথা বলেছি, পত্রিকায় লিখেছি, ফেসবুকে লিখেছি অনবরত। প্রতিবাদের সর্বশেষ ধাপ পুরস্কার ফেরত দেওয়া। আমার মতো একজন লেখকের এর চেয়ে বেশি আর কোনো সামর্থ্য নেই।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৬

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন জাকির তালুকদার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এই তথ্য জানান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর এক লাখ টাকা অর্থমূল্য ফেরতের ব্যাংক চেকের ছবি এবং পুরস্কার ফেরত দেওয়ার চিঠি সংযুক্ত করে দিয়ে স্ট্যাটাসের ক্যাপশনে জাকির তালুকদার লিখেছেন, ‌‘পাঠিয়ে দিলাম। খুব ভারমুক্ত লাগছে।’ কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার তার ‘মুসলমানমঙ্গল’ গ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১০ বছর পর তিনি এটি ফেরত দিলেন।  জাকির তালুকদার বলেন, বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা, প্রতিষ্ঠানের মানের নিম্নগামিতা, আমলাতান্ত্রিকতা, ২৫ বছর ধরে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন না দিয়ে নিজেদের পছন্দমত একাডেমি চালানোর জন্য বাংলা একাডেমি সচেতন মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের মান যখন নিম্নগামী হতে থাকে, তখন এই পুরস্কার অর্থহীন হয়ে যায়। এজন্যই আমি পুরস্কার ফেরত পাঠিয়েছি। এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ বছর ১৬ জন পুরস্কার পাচ্ছেন। কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়