• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সঙ্গীতশিল্পী সনজীদা খাতুনের ৯১তম জন্মদিন আজ
আজ ৪ এপ্রিল, ভাষাসৈনিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের জন্মদিন। জীবনের ৯০ বসন্ত পেরিয়ে ৯১-তে পা রাখলেন তিনি। সনজীদা খাতুন একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিক্ষক। এছাড়া জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও তিনি। পাশাপাশি ভিন্নধর্মী শিশুশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দার ও ছায়ানটের সভাপতিও তিনি।   ১৯৩২ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন সনজীদা খাতুন। তার বাবা সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব কাজী মোতাহার হোসেন এবং মা সাজেদা বেগম। তার বাবা একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি ও জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কাজ করেন এবং একজন দক্ষ অনুবাদকও ছিলেন তিনি। কাজী আনোয়ার হোসেনের বোন এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক ওয়াহিদুল হকের স্ত্রী সনজীদা খাতুন।  ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত ও সংস্কৃতি কর্মে জড়িয়ে পড়েন সনজীদা খাতুন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন।  ১৯৬১ সালে স্বামী ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করেন সনজীদা খাতুন। এ সংগঠনের মধ্যদিয়ে ষাট দশক থেকে সঙ্গীত ও বাঙালি সংস্কৃতি জাগরণের আন্দোলনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ছায়ানটের মাধ্যমে সারাদেশে সঙ্গীত ও সংস্কৃতি কর্ম ছড়িয়ে দেন সনজীদা খাতুন। গঠন করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। তিনি এই সংগঠনের সভাপতি। সঙ্গীত, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সনজীদা খাতুনের বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৬২ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়, এতে নেতৃত্ব দেন সনজীদা খাতুন। ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করে সঙ্গীত ও সংস্কৃতির উন্নয়নেই বেশি সময় কাটান তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার পেয়েছেন সনজীদা খাতুন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার(পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)।  এছাড়া ১৯৮৮ সালে কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট সনজীদা খাতুনকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি, ২০১৯ সালে ‘নজরুল মানস’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে। ২০২১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে। সনজীদা খাতুনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে— ‘কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত’, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাবসম্পদ’, ‘ধ্বনি থেকে কবিতা’, ‘অতীত দিনের স্মৃতি’, ‘রবীন্দ্রনাথ: বিবিধ সন্ধান’, ‘ধ্বনির কথা আবৃত্তির কথা’, ‘স্বাধীনতার অভিযাত্রা’, ‘সাহিত্য কথা সংস্কৃতি কথা’, ‘জননী জন্মভূমি’, ‘রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ’।   
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

টাইমস স্কয়ারে শাকিবের জন্মদিন উদযাপন ভক্তদের
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান। বৃহস্পতিবার (২৮) মার্চ ছিল তার জন্মদিন। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন টালিউডেও। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অগণিত ভক্ত। তাই মাঝে মধ্যেই প্রিয় তারকার জন্য নানান কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ভক্তরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিউইয়র্ক শহরের টাইমস স্কয়ারে শাকিবের জন্মদিন উদযাপন করলেন তার ভক্তরা। ইতোমধ্যে জন্মদিন উদযাপনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।     ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আলোকজ্জ্বল বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে শাকিবের একটি স্থিরচিত্র। এতে লেখা রয়েছে— ‘আমরা আপনাকে ভালোবাসি।’ পাশাপাশি তার অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপও প্রদর্শিত হয় বিলবোর্ডটিতে।  জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এফ আর ফারজানা আক্তার তার ফেসবুকে শাকিবের জন্মদিন উদযাপনের একাধিক ভিডিও পোস্ট করেছেন। মূলত সেখানে তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে এই নায়কের জন্মদিন পালন করেন।    যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের টাইমস স্কয়ারকে বলা হয় বিশ্ব বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র। আর সেই টাইমস স্কয়ারের সবচেয়ে বড় বিলবোর্ডে প্রদর্শিত হয় শাকিবের ছবি ও ভিডিও। এ প্রসঙ্গে ফারজানা বলেন, আজ একজন শাকিবিয়ান হিসেবে স্বপ্ন সত্যি হবার দিন। নিউইয়র্ক টাইম স্কয়ারে এই উদযাপন সকল শাকিবিয়ানদের পক্ষ থেকে শাকিব খানকে উৎসর্গ করলাম। শুভ জন্মদিন! শাকিবিয়ানরা আপনাকে ভালোবাসে।  আরেক শাকিব ভক্ত বলেন, বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান জন্মদিন উপলক্ষে ভীষণ আনন্দিত আমি। আজ আমরা টাইমস স্কয়ারে প্রিয় নায়কের জন্মদিন উদযাপন করলাম। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে শাকিব খান তার সুপারস্টারের খ্যাতি ছড়িয়েছেন বিশ্বেও।    প্রসঙ্গত, বিলবোর্ডে শাকিবের ছবি প্রদর্শনীর পাশাপাশি টাইমস স্কয়ারে কেকও কাটেন শাকিব ভক্তরা। আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিবের নতুন সিনেমা ‘রাজকুমার’। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী কোর্টনি কফি।     
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের জন্মদিন আজ
হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের শুভ জন্মদিন শুক্রবার (২৯ মার্চ)।  জীবনের ৩৩ বসন্ত পেরিয়ে ৩৪ পা রাখলেন তিনি। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অনেক নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমা উপহার দিয়েছেন সিয়াম। বিজ্ঞাপনেও বিচরণ রয়েছে তার। বর্তমান প্রজন্মের সফল নায়কদের একজন তিনি। শুধু অভিনয় নয়, ব্যক্তিত্বের জন্যও বেশ জনপ্রিয় সিয়াম।  ১৯৯০ সালের আজকের এই দিনেই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন সিয়াম। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি। যুক্তরাজ্যে নর্থাম্ব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন সিয়াম। ২০১৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন সিয়াম। পরে ২০১৪ সালে ‘ভালোবাসা ১০১’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। প্রথম নাটকেই দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেতা। বর্তমানে বড় পর্দায় চুটিয়ে কাজ করছেন সিয়াম। মাত্র কয়েকটি সিনেমা করেই নিজের অভিনয়ের নৈপুণ্যতায় দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই তারকা। ২০১৮ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে সিনেমায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন টু’ মুক্তির পর ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সিয়াম। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতাকে। একে একে উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকটি হিট সিনেমা। তিনবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ সানসিল্ক আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, বাচসাস পুরস্কার, ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও রয়েছে সিয়ামের ঝুলিতে। সিয়ামের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে— ‘দহন’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘শান’, ‘দামাল’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘অন্তর্জাল’, ‘পাপ পুণ্য’সহ আরও অনেক।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৪

এরশাদের ৯৫তম জন্মদিন আজ
প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা  চেয়ারম্যান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কুড়িগ্রাম শহরের ‘লাল দালান’ বাড়ি’খ্যাত নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সকাল ৮টায় কাকরাইলের পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং বাদ আছর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া এদিন দুপুর ২টায় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল হবে। এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি, পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপিসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভাসহ প্রত্যেক ইউনিটে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন।  
২০ মার্চ ২০২৪, ০২:০৬

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ইফতার মাহফিলে সংঘর্ষ, আহত ৪
মুন্সীগঞ্জ সদরের পশ্চিম মুক্তারপুরের চরসন্তোষপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন।  রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন নাজির ইসলাম (৫৫), খোরশেদা বেগম (৫০), মোহাম্মদ রাজু (৩২) ও সাথি আক্তার (২৫)।  তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চরসন্তোষপুর গ্রামের নাজির ইসলাম নিজেকে শ্রমিক লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি দাবি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যানার টাঙিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা তাকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে ইফতার মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু নাজির ইসলাম অনুষ্ঠান চালিয়ে গেলে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মারামারির বিষয়ে পঞ্চসার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জানান, নাজির ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ ছাড়াই মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফয়সাল বিপ্লবের ছবি ব্যবহার করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

জাতির পিতার জন্মদিন আজ
আজ ১৭ মার্চ, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনে  তিনি তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুন দম্পতির তৃতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। জাতির পিতার জন্মদিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘জাতীয় শিশু দিবস’হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটিতে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে  রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন। জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। নানা কর্মসূচির পাশাপাশি দিনটিতে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।  কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন শেখ মুজিব। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। এসব নেতার সাহচার্যে নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আযাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠন হলে যুগ্ম সম্পাদক পদ পান বঙ্গবন্ধু। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তী সময়ে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বেশি দিন দেশ গঠনের কাজ করতে পারেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে   তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন।  বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এ উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—রোববার (১৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির নেতারা টুঙ্গিপাড়ায়  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশ নেবেন তারা। এদিন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালন করা হবে। এর অংশ হিসেবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার এবং সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে। পরদিন সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩০

বরেণ্য অভিনেতা মামুনুর রশীদের ৭৬তম জন্মদিন আজ
দেশের জনপ্রিয় বরেণ্য অভিনেতা মামুনুর রশীদের জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছেন তিনি। জীবনের ৭৫ বসন্ত পেরিয়ে ৭৬ পা রাখলেন এই অভিনেতা। তবে এখনও নিজকে ১৯ বছরের তরুণ বলেই মনে করেন মামুনুর রশীদ। অন্যান্যদের থেকে তার জন্মদিনের বিশেষত্ব হচ্ছে প্রতি বছর নয়, চার বছর পর পর আসে অভিনেতার এই বিশেষ দিন।    মামুনুর রশীদ একাধারে নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। মঞ্চ,  টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সমান তালে কাজ করে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ইতোমধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় অভিনয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেতা। মামুনুর রশীদ তার নাটকে শ্রেণিসংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু তুলে ধরেন। লেখা ও নির্দেশনার মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন নাট্যজগতে অপরিহার্য একজন।    ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি টাংগাইল জেলার কালিহাতির পাইকড়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ নেন মামুনুর রশীদ। অভিনেতার বাবা হারুনুর রশীদ ডাক বিভাগের একজন সরকারি চাকরিজীবী। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করেছেন। ঢাকা পলিটেকনিক থেকে পুরকৌশল বিভাগে ডিপ্লোমা করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ ও এমএ ডিগ্রি নিয়ে পড়াশুনা সম্পন্ন করেন মামুনুর রশীদ।  স্কুলজীবনে অভিনয় করতেন মামুনুর রশীদ। অভিনয়ের নেশা তখনই তৈরি হয় এই অভিনেতার। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ার সময়ই মামুনুর রশীদ তার প্রথম নাটক লেখেন। নাটকটির নাম— ‘মহানগরীতে একদিন’। তবে অভিনয় পেশা হবে, এমনটা কোনো দিন ভাবেননি তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাবলেন, অভিনয়টাই জীবিকা হবে তার।  ১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন মামুনুর রশীদ। তবে তার নাটকের বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। সেসময় কমেডি নাটকও লিখতেন এই অভিনেতা। নাট্যশিল্পের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা শুরু হয় টাংগাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে অভিনেতার নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে।  মুক্তিযুদ্ধকালীন তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্রসদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায় নাটকটি আর তখন মঞ্চায়িত হয়নি।   পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে মঞ্চায়িত হয় নাটকটি। সেই সময়টাও তার নাট্যচর্চায় প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় তার আরেক নাট্যসংগ্রাম ‘মুক্ত নাটক আন্দোলন’। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেই মামুনুর রশীদ তৈরি করেন ‘আরণ্যক নাট্যদল’।  মামুনুর রশীদের উল্লেখিত মঞ্চ ও টিভি নাটকগুলো হলো—  মঞ্চ- ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’, ‘গন্ধর্ব নগরী’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘অববাহিকা’, ‘জয় জয়ন্তী’, ‘সংক্রান্তি’, ‘বনাম রাঢ়াং’, ‘ভঙ্গবঙ্গ’।      ধারাবাহিক টিভি নাটক- ‘অলসপুর’, ‘সুন্দরী’ ও ‘মুর্দা ফরেশ’।  নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে একুশে পদকে ভুষিত হন মামুনুর রশীদের। এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী সম্মাননা, মাওলানা ভাসানী পুরস্কার, অনীক থিয়েটার সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।   
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০

পপগুরু আজম খানের ৭৪তম জন্মদিন আজ
বাংলাদেশের পপগুরু আজম খানের জন্মদিন বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৫০ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন প্রয়াত এই সংগীতশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। বেঁচে থাকলে আজ ৭৪ বছরে পা দিতেন আজম খান।        গানের প্রতি, বিশেষ করে গণসংগীতের প্রতি একটা বাড়তি টান থেকেই নিজেকে সংগীত জগতে বিলিয়ে দেন আজম খান। বরাবরই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দেশ ও প্রজন্মের স্বার্থে বাস্তবিকতাকে গানে রূপ দিতেন তিনি।  আজম খানের প্রকৃত নাম মাহবুবুল হক খান। সবাই তাকে ‘গুরু’ বলেই ডাকতেন। কিন্তু গুরু নয়, ‘আজম ভাই’ সম্বোধনটি পছন্দ করতেন আজম খান। তবে সবার ভালোবাসাই তাকে ‘গুরু’ করে তুলেছিল। আজ তার অগণিত গুণগ্রাহী ও ভক্তরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সহকারে স্মরণ করছেন প্রিয় শিল্পীকে। সামাজিকমাধ্যমে নিজের মতো করে অনেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আজম খানকে।   ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন আজম খান। শৈশবের ৫ বছর সেখানেই ছিলেন তিনি। ৫ বছর বয়সে ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। এরপর সপরিবারে কমলাপুরের বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস করেন আজম খান।   ১৯৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের সময়েই সোচ্চার হয়ে ওঠেন প্রগতিশীল চেতনার ধারক আজম খান। সে সময়ের ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচারে অংশ নেন তিনি। দলটির সঙ্গে ঘুরে ঘুরে গানও করেছেন। বরাবরই দেশের মানুষের কল্যাণে গান গেয়ে গেছেন এই পপগুরু। এরপর ১৯৭১ সালে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লা ও ঢাকার আশপাশে সেকশন কমান্ডার হিসেবে অনেকগুলো গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন তিনি। দেশ স্বাধীন হলে ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন আজম খান। দেশের সংগীত জগতে তখন দারুণ আলোড়ন তোলে ব্যান্ডটি। এখান থেকে তিনি পশ্চিমা ঢঙে গান বানানো শুরু করেন। তবে তার গানগুলো ছিল সহজ-কথা সুরে। কাগজ-কলমে কখনও গান লিখতেন না আজম খান। এমনকি তার এত এত গানের সংরক্ষণও তার কাছে ছিল না। মাথায় কোনো শব্দ এলে সেটাকেই বড় করে গানে রূপ দিতেন। এরপর সুর দিয়ে সেটাকে গাইতেন। জাদুকরি উপায়ে সেই অলিখিত কথা-সুর ছড়িয়ে যেতো দেশজুড়ে। যা এখনও সমানভাবে আকৃষ্ট করে দর্শক-শ্রোতাদের। ১৯৭২ সালে তার ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচার হয়ে প্রশংসিত হয়। পরবর্তী সময়ে বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে ব্যাপক আলোড়ন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন আজম খান।  আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘অনামিকা’, ‘আমি যারে চাইরে’ ইত্যাদি।  দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজম খান। শিল্পকলায় (সংগীত) অবদানের জন্য ২০১৯ সালের মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হয় তাকে। তবে আজম খানের শূন্যতা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ৮১তম জন্মদিন আজ
আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই গীতিকবির ৮১তম জন্মদিন। একাধারে তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার।       অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পাশাপাশি প্রায় ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই সেখানে গান লিখেছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান আছে ৩টি।    ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আলোয়ার। ৬০ বছরের সংগীতজীবনে ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছেন তিনি। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই গীতিকার। তার শূন্যতা আজও বহন করে চলেছে বিনোদন অঙ্গন।  ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। ১৯৬৭ সালে প্রথম ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন তিনি।  ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’। ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়   সিনেমাটি।  স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। ৫ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া, ২০২১ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে 'যৈবতী কন্যার মন' সিনেমার গানের জন্য সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কার পান। ২০০২ সালে শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। পরে ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত হণ তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে— জয় বাংলা বাংলার জয়, আছেন আমার মোক্তার, এক তারা তুই দেশের কথা, গানের কথায় স্বরলিপি লিখে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, এই মন তোমাকে দিলাম, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম, চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে ইত্যাদি। এছাড়া ‘স্বাক্ষর’, ‘শাস্তি’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘লাল দরিয়া’, ‘জীবনের গল্প’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘পাষানের প্রেম’, ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’সহ আরও বেশকিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়