• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেন এত জনপ্রিয় ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে সব জায়গায় নতুন নতুন কনটেন্ট দেখা যায়। তবে সবার প্রিয় এই উৎসবটি এলেই সবার কানে বাজতে থাকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি। এটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সের মানুষই গানটির সঙ্গে এখন পরিচিত। গানটির এত জনপ্রিয়তা থাকলেও এটি কেন জনপ্রিয় এবং এর শুরু কীভাবে―তা হয়তো অজানা অনেকের। ২০০৯ সাল, অর্থাৎ দীর্ঘ পনেরো বছর আগে বেসরকারি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লিখেন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। ২০১১ সালে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন তিনি। তবে ওই সময় তার লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের থিম সং হলেও গান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে এটি। প্রকাশের প্রায় দেড় দশক হলেও এখনো এর কদর একদমই কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে গানটি। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় গানটির কথা। আবার যেসব মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ছেড়ে কর্মস্থলে ঈদ করেন, তাদেরও অনেক অনুভূতির মিশেল পাওয়া যায় গানটির কথায়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের উন্মাদনার ব্যাপারে এর গীতিকার আনিকা মাহজাবিন বলেন, আমাদের সময়ের কথা ভেবে খুবই ভালো লাগে। গানটির কথার সঙ্গে এর সুর ও কণ্ঠের জন্যও ভালোবেসে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছেন মানুষ। ২০০৯ সালের ঘটনা। ঈদের খুব বেশি বাকি নেই তখন। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করতে হবে। আনিকা মাহজাবিন অতীত মনে করে বলেন, খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বলেন, কিছু একটা করতে হবে। তখন লিখে ফেলি কথাগুলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার’। এরপর গানটি হাবিব ওয়াহিদ সুর করেন। তার ধানমন্ডির হোম স্টুডিওতে গানটির কথাগুলো পান সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, গানটির সুর হওয়ার পর হাবিব নিজেই গাইছিল। আমি বললাম, তোমার কণ্ঠেই ভালো হচ্ছে। তখন হাবিব বলল, আপনি শুধু ভয়েসটা দিয়ে দেখেন, তারপর দেখেন কী ঘটে। ভয়েস দেয়ার পর তো অনুভূতিই পাল্টে গেল। এরপর গ্রামীণফোনের কাছে পছন্দ হয় গানটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেন কিসলু গোলাম হায়দার। এরপর গানটির ভিডিওচিত্র তৈরি করেন রম্য খান। যা বিভিন্ন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেললে এর সাত বছর পর ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে-২’ তৈরি করা হয়। এটিও বিজ্ঞাপনের থিম সং ছিল। যার সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখায় গানটিতে কণ্ঠ দেন সংগীতশিল্পী মিথুন চক্র।  এটিও প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি হাবিব ওয়াহিদের বা মিলন মাহমুদের। আসলে তা নয়, এটি গেয়েছেন মিঠুন চক্র। দুটি গানের শিরোনাম একই হলেও কথা একদমই আলাদা। এর গীতিকারও আলাদা। কিন্তু দুটি গানেরই সুরে কিছুটা মিল থাকায় দ্বিধায় পড়তে হয় দর্শক-শ্রোতাদের। আর ২০২২ সাল থেকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান নিয়েই নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র করছে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৬

শাহরুখের চেয়ে আমি বেশি জনপ্রিয় : ঝন্টু
শাহরুখ খানের চেয়েও বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয় দেলয়ার জাহান ঝন্টু। শুধু তাই নয়, ভারতে যতটা শাহরুখ জনপ্রিয় তারচেয়েও অনেক বেশি বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই নির্মাতা। নিজমুখেই এমনটা বললেন প্রখ্যাত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।  একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ঝন্টু বলেন, শাহরুখ খান ওখানে যে পরিমাণ জনপ্রিয়, তারচেয়ে আমার দেশে আমি বেশি জনপ্রিয়। কে আমার নাম না জানে? আমি বলি না যে ওর থেকে আমি বেটার। আমার নাম ওর থেকে বেশি জানে আমার দেশে।  দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, চলচ্চিত্র আমাকে সুনাম দিয়েছে। ২০ কোটি লোকের মধ্যে ১৮ কোটি লোক আমার নাম জানে। আপনি রাস্তায় যান, যেকোনো রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন। রিকশাওয়ালাকে যদি বলেন, শাহরুখ খানরে চেনোস, তখন ওই রিকশাওয়ালা কয় ওর বাপের নাম কী, বাড়ি কই? তাকে যদি বলেন, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুরে চেনোস? হ, ওই যে সিনেমা বানায়। নির্মাতা বলেন, আমি সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না। যে যত অপরাধ সে কথা বলতে আমি দ্বিধা করি না। সত্যি কথা বলবো আমি ভয় পাবো কেন? তবে আমার কোনো শত্রু নেই। সবাই জানে আমি স্পষ্ট কথা বলি। তবে যেখানে সত্য কথা বলললে আমাকে গুলি করে দেবে, সেখানে সত্য কথা বলবো না।  দর্শক বেড়েছে কিন্তু মানুষ হলে কম যায়- এমনটাই অভিমত তার। বললেন, চলচ্চিত্রের দর্শক বেশি হয়েছে। কারণ, এখন ইউটিউব বা ইন্টারনেট আসায় মানুষ এক টিপ দিলেই পৃথিবীর সব ছবি দেখতে পায়। সিএনজি ভাড়া করে কিংবা রিকশা ভাড়া করে সিনেমা হলে গিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে সিনেমা দেখার লোক কমে গেছে। চাইলেই ঘরে বসে অর্ধেক ছবি দেখে পরে যখন সময় হবে তখন সেখান থেকে আবার শুরু করতে পারবে।  দীঘিকে নিয়ে আর কোনো চলচ্চিত্রই বানাবেন না এই নির্মাতা। বললেন, আমি ভেবেছি তাকে নিয়ে সিনেমা বানাবো। একটা সিনেমা বানিয়েছি। কিন্তু এখন আর তাকে নিয়ে কাজ করবো না। কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমি যেমন তাকে নেব না বলেছি তেমনই সেও বলতে পারে আমার সিনেমায় কাজ করবে না।  হিন্দি ছবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বললেন, হিন্দি ছবি আছে শুধু অল্প কয়টা ছাড়া প্রচুর ছবি আছে সেগুলোর ব্যবসা হয় না। সেসব আসে না তাই আমরা জানি না। আর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ছবি গেলে সেখানে লাভের একটা অংশ দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তো হয় না। এই যে কদিন আগে শাহরুখের ছবি আসলো। তবে আমি বাংলাদেশে হিন্দি ছবি আসুক এটা চাই না, ভালো হলেও চাই না; মন্দ হলেও চাই না।  সম্প্রতি অপারেশন জ্যাকপট সিনেমা নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। 
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কমলেশ আর নেই
বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কমলেশ অবস্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। আর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গায়কের পরিবার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, পশ্চিম ভারতের আহমেদাবাদে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তার। বলিউডের গুণী নির্মাতা রাজ কাপুরের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন তিনি। এমনকী তার অনেক সিনেমার গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন কমলেশ। ১৯৪৫ সালে জন্ম কমলেশের। ভাবনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি। সংগীতের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ভীষণ অনুরাগী ছিলেন। এ জন্য একটু বড় হওয়ার পরই গুরু ভার্বাই পাণ্ডের তত্ত্বাবধানে গানের তালিম নিতে থাকেন। ‘ট্রিবিউট টু মুকেশ’ অ্যালবামের মাধ্যমে প্রথম পরিচিতি লাভ করেন এ গায়ক। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মুকেশের সঙ্গে তার কণ্ঠের সাদৃশ্য খুঁজে পায় শ্রোতারা। এ কারণে তাকে ‘ভয়েজ অব মুকেশ’ নামেও ডাকা হয়। বলিউড ছাড়াও গুজরাটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কমলেশ। ‘গোপিচন্দ জাসুস’ ছবির ‘তেরা সাথ হো’, নসিবের ‘জিন্দেগি ইমতিহান লেতি হে’র মতো অনেক জনপ্রিয় গান তার গাওয়া।  
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল’
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্র এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ফুটবলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শনিবার (৯ মার্চ) মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) জাতীয় পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফুটবলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নিজেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। সবসময় এই টুর্নামেন্টের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি। নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে বিসিবি বলেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ সবার নজর কেড়েছে। এতে হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে ফুটবলের। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল ৬-০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শুধু ক্রিকেট-ফুটবলে নয়, ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ আরও ভালো ফলাফল অর্জন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক অনূর্ধ্ব-১৭) প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৬৬৭টি দলের ৮৪ হাজার ৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। একই বছরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭) প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৫৮৪টি দল থেকে অংশগ্রহণ করেন ১০ হাজার ৫১২ জন খেলোয়াড়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৮

হার্ট অ্যাটাকে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতার মৃত্যু
হার্ট অ্যাটাকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা, লেখক ও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান রিচার্ড লুইস। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের নিজ বাড়িতে ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তার। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। আশির দশকে ‘ডার্ক জোক’ ও স্ব-অপমানজনক কৌতুকের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেল এইচবিও’র ‘কার্ব ইয়োর ইনথেসিয়াম’- প্রোগ্রামে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন রিচার্ড লুইস। চলতি বছরের এপ্রিলে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রিচার্ড লুইস। প্রায় দুই বছর আগে পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার পিঠ ও কাঁধে পরপর চারটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপরই স্ট্যান্ড-আপ কমেডি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকান টকশো ‘দ্য টুনাইট শো’র মাধ্যমে পর্দায় আবির্ভাব ঘটে জনপ্রিয় এ অভিনেতার। ‘দ্য রং গাইস’, ‘ওয়ানস আপন অ্যা ক্রাইম’, ‘রবিন হুড: ম্যান ইন টাইটস্‌’, ‘দ্যা ইভালেটর’ ইত্যাদি তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও ‘দ্যা গ্রেট বাস্টার: অ্যা সেলিব্রেশন’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি ছাড়াও অসংখ্য টিভি শো’তে নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন রিচার্ড লুইস।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২২

না ফেরার দেশে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাসিনা মমতাজ
ষাট ও সত্তরের দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাসিনা মমতাজ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মা তিনি।   হাসিনা মমতাজ সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তার গাওয়া ‘তন্দ্রাহারা নয়ন আমার’ গানটি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।  তার স্বামী রফিকুল ইসলাম খান ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাদ জোহর মরহুমার জানাজা ধানমন্ডি ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, হাসিনা মমতাজের মৃত্যুতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম), সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ডিবিএ), সিইও ফোরাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ), অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজিএফ), বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনোয়োগকারী ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শোক জানিয়েছেন।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১

মডেলিং-অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে সন্ন্যাসী জনপ্রিয় মডেল
নাম, যশ, খ‍্যাতির জন্য অনেকেই অভিনয় জগতে পা রাখেন। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা তরুণ-তরুণীরা লাইমলাইটে আসতে শুরু করেন মডেলিং, অভিনয় দিয়ে। অনেকে সফল হন, অনেকে হারিয়ে যান। কারও আবার মোহভঙ্গ হয়ে সমস্ত ভোগ-বিলাসের রাস্তা ছেড়ে নিজেকে সঁপে দেন সৃষ্টিকর্তার চরণে। এমন উদাহরণ কম নেই বলিউডে। তাদের একজন বরখা মদন। বলিউডের একসময়কার নামকরা মডেল ছিলেন। কিন্তু তার কাল হয় অভিনয়ে এসে। ১৯৯৬ সালে অক্ষয় কুমার, রেখা ও রাবিনা ট‍্যান্ডনের সঙ্গে ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ ছবিতে অভিষেক হয় তার। কিন্তু সমস্ত লাইমলাইট নিয়ে নেন তিন তারকা। সে বছরেই একটি ইন্দো-ডাচ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন বরখা। কিন্তু সাফল‍্য কিছুতেই পাচ্ছিলেন না। ১৯৯৪ সালে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় রানারআপ হওয়ার পর মডেলিংয়ে পা রেখেছিলেন তিনি। নামও করেছিলেন বেশ। কিন্তু অভিনয় তাকে শেষ করে দেয়। রাম গোপাল ভার্মার ‘ভূত’ ছবিতে অভিনয় করে যাও বা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, সেটা ছিল ক্ষণিকের। বাধ‍্য হয়ে ছোটপর্দায় নাম লেখান বরখা। কিন্তু সেখানেও তেমন লাভ হয়নি তার। ধীরে ধীরে মানসিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষমেষ নিজের এক প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের ক্যারিয়ারের মতো এতেও সফল হননি। তখনি মানসিক শান্তি খুঁজতে বৌদ্ধ মঠগুলোতে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছিলেন বরখা। সেখানকার পরিবেশে শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। বৌদ্ধ মঠে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে বৌদ্ধ ধর্মও গ্রহণ করেন। নিজের পুরোনো নাম বদলে গ্রহণ করেন নতুন নাম গ‍্যালটেন সামটেন। সম্পূর্ণরূপে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবনে অভ‍্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এখন তার মাথা মোড়ানো, পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুর পোশাক। নতুন জীবন নিয়ে প্রাক্তন অভিনেত্রী সন্তুষ্ট। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত শান্তি খুঁজে পেয়েছেন বোরখা।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯

জনপ্রিয় অভিনেতা আজ নিরাপত্তারক্ষী
অক্ষয়কুমার, আয়ুষ্মান খুরানাসহ জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে সহ-অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কাজ করেছিলেন সাবী সিধু। সুভাষ ঘাই ও যশরাজ ফিল্মসের ছবিতেও তাকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখন তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন নিরাপত্তারক্ষীর কাজের মাধ্যমে। ‘গুলাল’, ‘পাতিয়ালা হাউস’, ‘বেওকুফিয়া’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবী সিধু। কিন্তু ধীরে ধীরে তার কাছে অভিনয়ের সুযোগ আসা বন্ধ হয়ে যায়। নানা ধরনের কাজ করার পর বাধ্য হয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছেন। অনেক যন্ত্রণা সত্ত্বেও বাস্তব তাকে মেনে নিতে হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে সাবী জানিয়েছেন, জীবনের কঠিন সময়ে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে। সুযোগ পেয়েছিলেন অনুরাগের ‘পাঞ্চ’ ছবিতে। কিন্তু এই ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। এরপর ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে তিনি কমিশনার সামরার ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার এই অভিনয় প্রশংসিতও হয়। অনুরাগ ছাড়া পরিচালক নিখিল আদভানীর সঙ্গেও কাজ করেছেন সাবী। তার শৈশব কেটেছে লখনৌ শহরে। তার পর চণ্ডীগড়ে যান। এ সময়ে মডেলিং শুরু করেন। এর পর লখনৌ ফিরে এসে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে থিয়েটার। সাবীর ভাই মুম্বাই শহরে এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি পান পরে। ভাইয়ের সঙ্গে মায়ানগরীতে আসেন সাবীও। দু’চোখে অভিনয় করার স্বপ্ন। প্রথম দিকে কাজের কোনো অভাব হয়নি। কিন্তু হঠাৎ তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিনয় থেকে দূরে সরে যান। এখন দুবেলা দুমুঠো অন্নসংস্থান হয় সিকিউরিটির কাজের মাধ্যমে।  এত কিছুর পরও সাবী সিধু জানিয়েছেন তিনি এটা ভেবে খুশি যে ভিক্ষাবৃত্তি করে নয়, তিনি উপার্জন করছেন কাজ করে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

ঘুমের মধ্যেই মারা গেলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা
মারা গেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা কার্ল ওয়েদার্স। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৬। বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় মুভি সিরিজ ‘রকি’,‘প্রিডেটর’ ও ‘স্টার ওয়ারস’ এ অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন কার্ল ওয়েদার্স। সত্তরের দশকে ‘রকি’ ফ্রাঞ্চাইজির চার সিনেমায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন কার্ল ওয়েদার্স। পরে অ্যাপোলো ক্রিড চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো সিনেমাপ্রেমীদের নজর কাড়েন তিনি।  এরপর ‘স্টার ওয়ারস’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও দেখা গেছে ওয়েদার্সকে। হলিউডের বড় বড় সব তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ‘রকি’ সিনেমায় সিলভেস্টার স্ট্যালন, প্রিডেটরে আরনল্ড শোয়ার্জনেগার ও স্টার ওয়ারসের হ্যারিসন ফোর্ডের সঙ্গে কাজ করেন এই গুণী অভিনেতা। ১৯৪৮ সালে নিউ অরলিন্সে জন্মগ্রহণ করেন কার্ল ওয়েদার্স। লুইজিয়ানায় দিনমজুর বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল একজন ফুটবলার হিসেবে। পরে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ১৯৭৪ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন এই তারকা।    জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নাম লেখান কার্ল ওয়েদারস। ১৯৭০ সালে অকল্যান্ড রেইডারের এজন ফ্রি এজেন্ট হিসেবে সাতটি খেলায় অংশ নেন তিনি। ১৯৭৫ সালে আর্থার মার্কসের বাকটাউন এবং ‘ফ্রাইডে ফস্টার’র মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিষেক হয় কার্ল ওয়েদারসের।  ক্যরিয়ারে ৭৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কার্ল ওয়েদারস। এরমধ্যে রয়েছে ‘রকি’ সিরিজের চারটি চলচ্চিত্র, প্রিডেটর, হ্যাপি গিলমোরের মতো অসংখ্য জনপ্রিয় কাজ রয়েছে অভিনেতার ঝুলিতে।  সূত্র : বিবিসি
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়