• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। তাপদাহের ভেতরেই তাদের বের হতে হচ্ছে। নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রৌদ্রের প্রখর তাপে বিভন্ন জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি হিটস্ট্রোকে বিভিন্ন পশুপাখি মারা যাচ্ছে। বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গরম সহ্য করেত না পেরে অনেকেই  আক্রান্ত হচ্ছেন  হিট স্ট্রোকে। রোববার (২১ এপ্রিল) ছয় জেলায় হিট স্ট্রোকে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  রাজধানীর মগবাজারে রাস্তার পাশে শরবত পান করছিলেন রিক্সাচালক কালাম মিয়া। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, অনেক কষ্ট হচ্ছে। কি আর করার। আমরা গরীব মানুষ। পেটের দায়ে বের হচ্ছি। ঘরে খাবার থাকলে, এই গরমে বাইরে বের হতাম না। মালিবাগ মোড়ে ভ্যানে হরেক রকম পণ্য বিক্রি করছিলেন বরিশালের খালেক আকন। পরিবার নিয়ে থাকেন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায়। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, এত গরম এর আগে কখনোও অনুভব করিনি। দেখতেইতো পারছেন ঘেমে জামা আর শরীর একাকার। কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। ঈদের পর বিক্রি কম। মানুষ এখনও গ্রামে আছে। সব মানুষ ঢাকায় ঢুকলে মনে হয় গরম আরও বেশি লাগতো। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিলেট জেলা সমূহের ওপর দিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫

যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন
যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বাড়ছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে রোদে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ এর ওপরে ওঠানামা করছে।  এদিকে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ২৫ রোগী। যার মধ্যে ১১ জন শিশু। লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে লাগাতার কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস দুপুরে জানিয়েছে, এদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ। তবে এ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ ধরে ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। এছাড়াও সামনে জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর ই মোর্শেদ জানান, এরকম রোদে ঘর থেকে পারতপক্ষে বাইরে সতর্কতা অবলম্বন করে যেতে হবে। ছাতা কিংবা গায়ে কাপড় পরে যেতে হবে। ঘন ঘন পানি পান করাসহ বিশ্রামে থাকতে হবে। এদিকে, জেলায় লাগাতার তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে ভাবছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।  কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। সেজন্য সকলেই সতর্ক থাকতে হবে। জেলার মানুষকে সচেতন করতে তাদের কাছে আমরা দ্রুত কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কতা বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি দ্রুত আবহাওয়া অফিসে খোঁজখবর নিয়ে সাধারণ মানুষকে ম্যাসেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। লোকজন যেন প্রয়োজন ছাড়া এই রোদে ঘর থেকে বের না হন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন ইত্যাদি। জেলায় প্রতিদিন তাপপ্রবাহ বাড়ছে। 
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১২

টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, বিপর্যস্ত জনজীবন
টাঙ্গাইলে সপ্তাহব্যাপী দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস। এটিই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল হোসাইন।  তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আরও বাড়বে। সন্ধ্যা ৬টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা মাপা হবে। আরও দুইদিন এ দাবদাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। এদিকে গরম আর প্রখর রোদে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকালে লোকজন বাইরে বের হয়ে আসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাগম কম দেখা যাচ্ছে। বাইরে আসা লোকজন গরম সইতে না পেরে চায়ের দোকান ও গাছপালার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ।   অন্যদিকে তাপদাহে চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবীরা। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ। দুপুর ৩টা নাগাদ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। বৃহস্পতিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এদিকে যশোরে লাগাতার তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে ভাবছে। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আজকের অবস্থাও সেদিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে আমরা দ্রুত কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কতা বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। লোকজন যেন এই রোদে ঘর থেকে বের না হয়। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে ইত্যাদি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

দুবাই বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা, দুর্বিষহ জনজীবন
ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক শহরগুলোর অন্যতম দুবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরটির বহু বাড়ি ও শপিং মল হাঁটু পর্যন্ত  তলিয়ে গেছে। দুবাইয়ের মতো শহরে এ ধরনের চিত্র অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা বিমানবন্দরের পরে দুবাই বিমানবন্দরই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। গত বছর এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছে আট কোটি যাত্রী। দুবাই বিমানবন্দর তলিয়ে যাওয়ায় বাতিল করতে হয়েছে শতশত ফ্লাইট। বিমানবন্দরের ভেতরে চরম এক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দর যেভাবে তলিয়ে গেছে সেটি দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।  বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় দুবাইগামী ও দুবাই ছেড়ে আসা ফ্লাইট কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকার বাসিন্দা প্রসূন রায় গত তিন দিন ধরে দুবাই বিমানবন্দরে আটকে আছেন। দুবাই থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছিল প্রসূন রায়ের। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তিনি ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। কবে ঢাকায় আসতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করেছে তার মধ্যে। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটবার তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইট কখন ছেড়ে যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ফ্লাইটের কোনো নিশ্চয়তা না পেয়ে এন্ট্রি ভিসা নিয়ে শহরের ভেতরে এসেছি। কারণ, এয়ারপোর্টের ভেতরে কোনো হোটেলে কক্ষ খালি নেই। তার বর্ণনা অনুযায়ী, হাজার হাজার যাত্রী দুবাই এয়ারপোর্টের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। অনেকে শ্লোগান দিচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাত-দিন কাজ করেও কূলকিনারা করতে পারছে না। পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গাড়িগুলোতে পানি ঢুকে যাওয়ায় সেগুলোর ব্রেক কাজ করছিল না। ফলে একটি গাড়ি গিয়ে আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। অনেক গাড়ি রাস্তায় পানির মধ্যে ডুবে ছিল। ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে যারা বুধবার দুবাইতে অবতরণ করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা ছিল দুর্বিষহ। অবতরণ করার জন্য বিমানগুলো ঘটনার পর ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিলেও অবতরণের অনুমতি পাচ্ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে শতশত গাড়ি বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, অনেকবার ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছেছেন। ঢাকায় তিনি ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে প্লেন ছেড়ে যায়। রেজাউল করিম লিখেছেন, দুবাইতে সিনেমার মতো যাত্রা। এক ঘণ্টা পঞ্চাশ মিনিট প্লেনের ভেতরে বসে আছি। কারণ, কোনো গ্রাউন্ড সার্ভিস নেই। তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকিব ইরফানের। তার স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকা আসার কথা ছিল। একদিন অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে উঠতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইট কনফার্ম না হলে কাউকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কারণ, ভেতরে যাত্রীদের এতো বেশি চাপ তৈরি হয়েছে যে আর যাত্রী ভেতরে নেওয়া সম্ভব ছিল না। দুবাই বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট অ্যান উইং, তার স্বামী ও তিন সন্তান। তারা লন্ডনের হিথ্রোতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। অ্যান উইং বলেন, এটা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমদের পশুর মতো করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক। আমার পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো খাবার নেই। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে খাবার আনতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, বিমানবন্দর অভিমুখে সবগুলো সবগুলো সড়ক ডুবে গেছে। দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক মশিউর রহমান বলেন, গত ৭৫ বছরের মধ্যে দুবাইতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা আছে বলে তিনি জানান। কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬০ মিলিমিটার। দুবাইয়ের সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলছেন, সেখানে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের অপ্রতুল ব্যবস্থা। এখানে বৃষ্টির কালচার ছিল না। ড্রেনেজ সিস্টেমের কথা তারা চিন্তাই করেনি। শহর গড়ে উঠেছে ড্রেনেজ সিস্টেম ছাড়া। তিনি জানান, শহরের কেন্দ্রস্থলে ড্রেনেজ সিস্টেম আছে, কিন্তু এর বাইরে ড্রেনেজ সিস্টেমের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তিনি জানান অল্প বৃষ্টিতেও অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। দুবাইয়ে ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য জন্য ২০২৩ সালে দেশটির সরকার প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, আগামী ১০০ বছরের কথা চিন্তা করে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি খাত মিলে এই কাজ করবে। দুবাইয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তারা কখনো বুঝতেই পারেনি যে এ পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য তারা কোনো ড্রেনেজ সিস্টেম রাখেনি। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক নম্বর টার্মিনালে কিছু বিমান অবতরণ করা শুরু করেছে। কিন্তু দুবাই ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোর আরও বিলম্ব হবে। দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান পল গ্রিফিথস বলেন, এটা এখনো সাংঘাতিক একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমার মনে হয় না কেউ তার জীবনে কখনো এ ধরনের অবস্থা দেখেছে। বিমানবন্দরের আশপাশের সড়কগুলো যানজটে স্থবির হয়ে আছে। কারণ, হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। বুধবার দুবাই বিমানবন্দরে ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং আরো শতশত ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে। -বিবিসি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯

সোনারগাঁয়ে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
তীব্র গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সোনারগাঁয়ের জনজীবন। গরম আর লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে মুসল্লিদের পবিত্র রমজানের তারাবি পড়তে কষ্ট হচ্ছে এবং রাতে ঘুমাতেও পারছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দিন-রাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে স্থানীয় শিল্প মার্কেট, জামদানি পল্লী, হাসপাতালগুলোতে প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন পেশাজীবীর শ্রমিকরা অল্প সময় কাজ করে হাঁপিয়ে উঠছে। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।  স্থানীয় বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।  অটোচালক মো. হোসেন জানান, রোজা রেখে তীব্র গরমে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে অটোরিকশা ঠিকমতো চার্জ দিতে পারছে না। ফলে এবারের ঈদে পরিবারের প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে সন্ধিহান রয়েছেন তিনি।  ধন্দী বাজার মুদি ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার মিয়া জানান, এমনিতেই তীব্র গরম তার ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যায়। এতে করে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাড়ির শিশু থেকে বয়স্করা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।  জামদানি শিল্পী আবু তাহের জানান, ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করার কথা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তীব্র গরমে জামদানি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কারিগর ও ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ মুনাফা হবে না বলে দাবি তার।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা হক জানান, গরমে হিটস্ট্রোকের কোনো রোগী আমাদের এখানে এখনো পর্যন্ত আসেনি। তবে হিটস্ট্রোক এড়াতে বেশি বেশি পানি পান করা, প্রচণ্ড রোদ বা তাপ এড়িয়ে চলা ও প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক।  স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম দীলশাদ ই ঐক্যতান জানান, স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদার শতকরা ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৫

হিলিতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এদিকে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎহীন হিলিবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হিলি মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মোকছেদুল মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সারাদিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব নেই। তার ওপর শুধু রাতেই ৩-৪ বার লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে গরমে আমার পরিবারের কেউই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। কেননা রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ঘেমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। একই সমস্যায় গ্রামের প্রায় সব পরিবার। ঘন ঘন এমন লোডশেডিংয়ে গ্রামের মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যেমন-তেমন কিন্তু, রাতে লোডশেডিং বন্ধ রাখা গেলে মানুষজন শান্তিতে অন্তত ঘুমাতে পারবে। হিলি রেলস্টেশন কলোনির আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, রমজান মাসে রোজা থেকে শরীর এমনিতেই দুর্বল। এর মধ্যে ৭-৮ দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। রমজান মাসে এমন লোডশেডিং আগে কখনও দেখিনি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছেন।   হিলি পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের সূত্রে জানা যায়, হিলি বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে আড়াই থেকে ৩ মেগাওয়াট, আবার কখনো বা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২ মেগাওয়াট। তাই প্রতিনিয়ত ৪ থেকে ৫ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকায় কিছুটা লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে।     
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৪

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও ভোগান্তিতে জনজীবন
কুড়িগ্রামে মাঘের শীতের দাপট কোনোভাবেই যেন কমছে না। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলায় শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ এখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন মেঘের আনাগোনা। ফলে দেখা যায় না সূর্যের মুখ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জেলায় শনিবার আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দুপুরের পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপমাত্রা তেমন না থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি মেলেনি। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে না পেরে পড়েছেন চরম বিপাকে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই নিম্নগামী হওয়ায় শীত কষ্টে ভুগছেন নদনদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। জেলায় সাড়ে ৪০০ শতাধিক চরের বাসিন্দা ঠাণ্ডায় কাতর অবস্থায় রয়েছেন। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।  এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় ৬ দিন ধরে। রোববার তাপমাত্রা কমে গিয়ে ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানায় জেলা শিক্ষা বিভাগ। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে বোরো আবাদ।  রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরও দুএকদিন তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হতে পারে। এ পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান অনেক শীতার্ত মানুষ।  এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যেই ৬৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার কম্বল শিগগিরই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৬

১২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ / তীব্র শীতে থমকে গেছে জনজীবন
তীব্র শীতে থমকে গেছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল শীত মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ দেশের ১২ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঢাকায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও দেশের অধিকাংশ জায়গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পঞ্চগড়ের বাসিন্দা আকবর বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে  মনে হয় এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি শীত। এত ঠান্ডা যে বাসা থেকে বের হলেই হাত পা বরফ হয়ে আসে।  এই এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ঠান্ডার কারনে বাইরে বের হতে পারছি না। কাজকর্ম করতে পারছি না। বিপদে আছি। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। খুব সমস্যার মধ্যে আছি।  আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কয়েকটি জেলা ও বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই দিন থাকবে এবং শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পার বলেও জানান তিনি। নাজমুল আরও বলেন, আগামী চার দিন দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে। গত কিছু দিন যেমন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঘন কুয়াশা পড়ছিল, এখন সেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে গুঁড়িগুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এ ছাড়া তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়