• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমিককে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করলেন প্রেমিকা
নাটোরে আশ্বাস দিয়ে বিয়ে না করায় প্রেমিক মদাদুল ইসলামকে (৩০) অপহরণ করে কুপিয়ে জখম করেছেন তার প্রেমিকা মনি খাতুনের (২৭)। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে লালপুর উপজেলার পুরানো বাজার এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, লালপুরের রামানান্দপুর গ্রামের মোমিনের মেয়ে মনি খাতুনের (২৭) সঙ্গে একই গ্রামের মৃত সের আলীর ছেলে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ছয় মাস আগে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন এলাকাবাসী। এরপর বিয়ের জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান এমদাদুল। ঈদে বাড়ি ফিরলে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিকা মনি। কিন্তু এমদাদুল রাজি হওয়ায় মনি তার বাবা মোমিন মিয়ার সহায়তায় এমদাদুলকে তুলে নিয়ে লালপুর বাজারে নিয়ে যান। সেখানে তাকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা এমদাদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।    এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া পেয়েছি। দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
৫ ঘণ্টা আগে

মোংলায় আ.লীগ নেতা ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম
বাগেরহাটের মোংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিলা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম হাওলাদার (৫৫) ও তার ছেলে সোহাগ হাওলাদারকে (৩৬) কুপিয়ে জখম করেছে সুন্দরবনের আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু বেল্লাল সরদার।  রোববার (২৫ মার্চ) রাতে চিলা ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী এলাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় তাদের।  পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনা মেডিকেলে পাঠান। এ ঘটনার থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আহত সাবেক ইউপি সদস্য হালিম হাওলাদারের ভাই আলম হাওলাদার।  তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি সাবেক ইউপি সদস্য হালিম হাওলাদারের শ্যালক হাফিজ হাওলাদারকে দেখতে তার ছেলে সোহাগ হাওলাদার মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় চিলা ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের বনদস্যু বেল্লাল সরদারের গায়ে রাস্তার ধুলো গায়ে লাগলে ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে সোহাগ হাওলাদারকে মারধর করেন তিনি। খবর পেয়ে তার বাবা হালিম হাওলাদার ছুটে আসলে তাকে এবং তার ছেলেকে বেল্লাল সরদার এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এ দিকে অভিযুক্ত বেল্লাল সরদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১১:০৯

তিতুমীর কলেজে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিতুমীর কলেজে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজে একটি ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে হামলার শিকার হন ওই সাংবাদিক। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করেছেন। এ বিষয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। তিনি আর‌ও বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।   এই বিষয়য়ে বক্তব্য জানতে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।  এদিকে হামলার বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নজরে আনলে তারা বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

সাভারে সাংবাদিকের ছেলেসহ ২ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
ঢাকার সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিকের স্কুলপড়ুয়া ছেলে ও তার বন্ধুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, স্কুলে দ্বন্দ্বের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দুজনকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে আহত করেছে। আহত দুই শিক্ষার্থীকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) সাড়ে ৮টার দিকে পৌরসভার রেডিওকলোনী বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত জিসান প্রামাণিক (১৫) দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত সিয়াম সরকারসহ তারা দুজনই সাভারের বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত জিসানের বাবা সাংবাদিক মতিউর রহমান বলেন, প্রায় এক মাস আগে গাজীপুরের সাফারি পার্কে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজনে গিয়েছিলো স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে বাসা উঠা নিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পরে উপস্থিত শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িক ভাবে মীমাংসা করা হয়৷ এরপর আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অবগত করি যাতে পরবর্তীতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তিনি আরও বলেন, আজ সন্ধ্যায় ইফতার করে বন্ধু সিয়ামের সঙ্গে সাভার রেডিওকলোনীতে আসে আমার ছেলে জিসান। এ সময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ২৫-৩০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ছেলে ও তার বন্ধু সিয়ামের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় তাদের দুজনকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। আমার ধারণা, স্কুলের বনভোজনের বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন জানান, দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে আহত হওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে।  এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩১

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবকের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে ইফতারের পর কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকার বিআরটিসি মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম (৩০) ও একই ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাগর কুমার রায় (২৯)। আহতদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোমিনুল আশংকাজনক অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাগর সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রসঞ্জিত রায় সঞ্জিত বলেন, আহত মোমিনুল ও সাগর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেউজগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। রেলওয়ে মার্কেট নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে। প্রসঞ্জিত রায় সঞ্জিত আরও বলেন, ইফতারের আধাঘণ্টা পর বিআরটিসি মার্কেটের সামনে থেকে মোমিনুল ও সাগর মোটরসাইকেলে সেউজগাড়ি দিকে আসছিলেন। এই সময় পেছন থেকে প্রায় ১০ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের শজিমেক হাসপাতালে আনা হয়। আহত সাগরের হাতে ও মোমিনুলের মাথায় একাধিক আঘাত করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, আহতদের মধ্যে মোমিনুলের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১১

নড়াইলে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৪ দিন আগে গুরুতর জখম ব্যক্তির মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরের লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হুমায়ুন ঠাকুর (৫০) চারদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তিনি লোহাগড়া পৌরসভাধীন কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত মো. নিরু মিয়া ঠাকুরের ছেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায়। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন বুধবার (৬ মার্চ) থানায় একটি মারামারির মামলা হয়, যা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। মামলার পরে পুলিশ লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুর শেখ ও হিরু শেখের ছেলে হামীম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান থানা পুলিশের এ কর্মকর্তা।  প্রসঙ্গত, এক ভ্যান চালককে মারধরের জেরে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কাউন্টারের সামনে উপজেলার রাজাপুর ও কচুবাড়িয়া এলাকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আব্দুল্লাহ ঠাকুর ওরফে শিপলা ও তাঁর বাবা হুমায়ুন ঠাকুর ও রুমান কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা।  পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। হুমায়ুন ঠাকুরের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮

রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ২ পুলিশকে জখম
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় টহলরত দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  রোববার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘি গ্রামের হাসিখালি ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শ্রীপুর থানা পুলিশের কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল  মো. রুহুল আমিন (২৫) ও মো. সেলিম (৩৫)। আহত ডাকাত দলের সদস্য রুবেল মিয়া (২৭) শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।  শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির বলেন, রোববার রাতে শ্রীপুর থানা পুলিশের এএসআই আলিমের নেতৃত্বে চার জন পুলিশ সদস্য নিয়ে মাওনা ইউনিয়নে টহল ডিউটি চলছিল। রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘী গ্রামের হাসিখালি ব্রিজে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতি করছে একদল ডাকাত। এ সময় এএসআই আলিমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এতে পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন ও সেলিম গুরুতর আহত হন। এরপর পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ধাওয়া দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির নিচে চাপা পড়ে। এ সময় রুবেল নামে ডাকাত দলের এক সদস্য গুরুতর জখম হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আহত পুলিশ সদস্য এবং আটক ডাকাত দলের সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারাহ বিনতে ফারুক বলেন, আহত দুই পুলিশ সদস্য ও অপর এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডিউটি চলাকালে পুলিশের ওপর ডাকাতদলের হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে আহত অবস্থায় দুজন পুলিশ সদস্য এবং দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আহত এক ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১

বরগুনায় ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
বরগুনার পাথরঘাটায় মহিউদ্দিন বাবু নামের এক‌ ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় বাবুকে বরিশাল শের-ই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী বাবু জানান, সন্ধ্যায় পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র এলাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সুমন, জাকির, হেলাল, সোহেল, ইউনুসসহ তার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। এতে ক্ষতবিক্ষত হয় তার শরীরের বিভিন্ন স্থান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পুলিশের। এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটায় পরবর্তীতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তা এড়াতে পাথরঘাটায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১

বাড়ির উঠানে ফেলে শাশুড়ি-পুত্রবধূকে পিটিয়ে জখম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর বাড়িতে ঢুকে উঠানে ফেলে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় দুই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, ওই এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী শিবলি বেগম (৪৫) এবং আকাশ মিয়ার স্ত্রী শারমিন (২২)। এই ঘটনায় রাবেয়া নামের আরও এক কিশোরীকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি চট্রগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতাম। গত দুইমাস আগে বিজয়নগরে পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করি। বাড়িতে আমার স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে এবং গত ৬ মাস আগে বিয়ে করিয়ে আনা পুত্রবধূ বসবাস করেন। আমার বাড়ির সামনে একটি নালায় স্থানীয় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল। শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া মানিক এবং সবুজ দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে।  এ সময় বাড়িতে তারা ঢুকে আমার স্ত্রী, আমার ছেলের নববধূ ও আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে ফেলে চলে চলে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেই। আমার স্ত্রী রক্তবমি করছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশাদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬

জমি নিয়ে বিরোধ, একই পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে জখম
মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের খাগদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন খাগদাহ গ্রামের রুহুল আমিন (৫৫), আব্দুল সালাম হাওলাদার (৭৩), আব্দুল কালাম হাওলাদার (৬৮), লিয়া আক্তার (৩৮), মেহেদি হাসান (২৫) ও মো. অলিউল্লাহ (৫৫)। এদের মধ্যে আব্দুল সালাম হাওলাদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে খাগদাহ গ্রামের আবুল কালাম হাওলাদারের সঙ্গে প্রতিবেশি আয়উব আলী হাওলাদার ওরফে আনোয়ার হাওলাদারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশীবৈঠকও বসে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এরই জেরে আয়উব আলী হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে রাতে আবুল কালাম হাওলাদার ও তার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।  এ সময় কুপিয়ে জখম করা হয় একই পরিবারের ৬ জনকে। আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আব্দুল সালাম হাওলাদারকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।  মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।  
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়