• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মাংস বিক্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন খলিল
সম্প্রতি নানা আলোচনা-সমালোচনায় উঠে এসেছে মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের নাম। কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন তিনি। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে। তাকে নিয়ে বিতর্কও অনেক। কেউ বলছেন, রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে দাম কমিয়ে আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন খলিল। আবার সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে নিম্নমানের মাংস দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ক্ষুব্ধ ক্রেতার সঙ্গে মারামারির ঘটনাও সামনে এসেছে। এবার মাংস বিক্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন খলিল। ‘যাদের জন্য এতকিছু করেছেন তারাই আজ পাশে নেই’ জানিয়ে আগামী ২০ রমজানের পর থেকে আর মাংস ব্যবসা করবেন না বলে জাতীয় একটি দৈনিককে জানিয়েছেন তিনি। মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা এখন কেউ আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এতদিন আমার কাছে কাছে থাকলেও এখন আর নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। ফলে আমি আর মাংস ব্যবসাই করবো না। কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আর মাংস ব্যবসা করবো না। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। তবে ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এই মাংস ব্যবসায়ী। তবে এবার সেখান থেকে সরে এসে আবারও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন খলিল। রোববার (২৪ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:০৫

‘ওকে বলে দিন ক্রিকেট ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দিতে’ 
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে চারটি ক্যাচ মিস করেছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। তবে চলমান পিএসএলে ইমাদ ওয়াসিমের সাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে বেশ উদযাপন করতে দেখা তাকে। গ্যালারির দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শফিকের এমন উদযাপনে চটেছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের কাছে শফিকের এমন উদযাপন মোটেও ভালো লাগেনি। তা আকরামের কাছে অভিনয় মনে হয়েছে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার তাই শফিককে ক্রিকেট ছেড়ে নাটকে নাম লেখাতে বলেছেন।  তা ছাড়া কড়া সমালোচনা করে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে শফিকের বাজে ফিল্ডিংয়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওয়াসিম।পাকিস্তানের এ স্পোর্টস এর ‘দ্য প্যাভিলিয়ন’ অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম বলেন, সন্দেহ নেই ক্যাচটা দারুণ।  ‘কিন্তু ও যে অস্ট্রেলিয়ায় ৩৬টি ক্যাচ (আসলে ৪টি) ফেলল, সেগুলোর ব্যাপারে কী বলবে। এক ক্যাচ ধরেই সে চুপ থাকতে বলে দিল! ওকে কেউ বলে দিন, ওর আসলে ক্রিকেট ছেড়ে নাটকে নাম লেখানো উচিত।’ গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধবলধোলাই হয়েছে পাকিস্তান। বিব্রতকর সেই হারের অনেকটা দায় দেওয়া হয় শফিককে। সিরিজে চার-চারটি ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি। এর মধ্যে স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের যে দুটি ক্যাচ ছাড়েন, সেগুলো ছিল তুলনামূলক সহজ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯

আসন ছেড়ে বিজয়ী বললেন, ইমরানের প্রার্থীই আসলে জিতেছেন 
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জেতার পরও আসন ছেড়ে দিয়েছেন জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই) নেতা হাফিজ নাঈম-উর-রহমান। সেইসঙ্গে বলেছেন, 'কারচুপি করে আমাকে জেতানো হয়েছে; জিতেছেন আসলে ইমরানের প্রার্থীই। এ জয় আমি চাই না।' সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে সিন্ধের প্রাদেশিক পরিষদের পিএস-১২৯ আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ নির্বাচনে করাচি সেন্ট্রাল থেকে সিন্ধ অ্যাসেম্বলির পিএস-১২৯ আসন থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় হাফিজ নাঈম-উর-রহমানকে। তবে ফলাফল ঘোষণার পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত-ই-ইসলামির এ নেতা দাবি করেন, আসনটিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীই জিতেছেন। তিনি কোনও ‘দাতব্য’ আসন চান না। এ আসনে যার অধিকার আছে তাকেই দেওয়া উচিত। এমপিএ হিসেবে শপথ নেবেন না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ বলেন, তিনি নিজের আসনটি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তবে কারচুপির কারণে তার দলের হারানো সব আসন পুনরুদ্ধার করতে আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ম্যান্ডেট (জনসমর্থন) দিয়ে জনগণের মন পরিবর্তন করা যাবে না। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন। তাই পিটিআইয়ের জয় ও ম্যান্ডেট মেনে নিচ্ছি।  উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে।  ফলে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনও দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৮

গুপ্তচরবৃত্তি / ১৮ মাস পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে ছেড়ে দিলো কাতার
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের কারাগারে থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক ৮ কর্মকর্তা অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জন ইতোমধ্যে নিজ দেশে ফিরেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। তারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন। আটজনের মধ্যে সাতজন ইতোমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন। এসব ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কাতারের আমির নিয়েছিলেন। আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই। মুক্তি পাওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক এসব কর্মকর্তা দেহরা গ্লোবাল নামের এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাতারের নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। সেখানে কাজ করার সময় এসব কর্মকর্তা ইসরায়েলের কাছে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তারা কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে এই ৮ ভারতীয়কে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কাতারের একটি আদালত। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ভারত। পরে বছরের শেষ দিকে তাদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়। সবশেষ ভারতের ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের সবাইকে ছেড়ে দিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০

সেবা করতে না পারলে এমপি পদ ছেড়ে দেব : ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি নিজেকে এমপি মনে করি না।আমি আপনাদের বা জনগণের শ্রমিক। যদি আপনাদের সেবা করতে না পারি, তাহলে এমপি পদ ছেড়ে দেব। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার লাল চান্দ চা বাগানের চা-শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জিআর চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সব নেতাদের জনগণের পাশে থাকতে হবে। নাহলে নেতৃত্বে থাকতে দেবেন না। ভোটের আগে আমি বলেছিলাম আপনারা আমার জন্য শুধু একদিন ৭ ঘণ্টা ভোটকেন্দ্রে থাকবেন, আমি আগামী পাঁচ বছর আপনাদের পাহারাদার হয়ে থাকব।   তিনি বলেন, আগে মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যানরা ত্রাণের চাল চুরি করত, গম চুরি করত। কিন্তু এখন আর এসব হবে না। আমারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেউ দুর্নীতি করব না, কাউকে করতেও দেব না। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন চা-শ্রমিকও না খেয়ে থাকবে না। প্রয়োজনে আমি আমার খাবার দিয়ে দেব।  এ সময় চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানার সভাপতিত্বে ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২ হাজার শ্রমিকদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল কাদির লস্কর, শানখলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৬

বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে টেলিটক, বিটিসিএল ও টেশিস
বছরের পর পর লোকসান গোনার কারণে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে টেলিটক, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে (টেশিস)। এ তিন প্রতিষ্ঠানকে অবশ্য আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লাভে ফিরতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে, লোকসান চক্রে পড়ে যাওয়া শিল্পগুলোকে বাঁচানোর জন্য বেসরকারিকরণই এই মূহুর্তে সবচেয়ে উপযুক্ত উপায় বলে মনে করছে সরকার। সাশ্রয়ী প্যাকেজ দিয়ে গ্রাহকদের মাঝে সাড়া ফেলে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা টেলিটক। অপারেটর হিসেবে সরকারি এ কোম্পানিই প্রথম দেশে থ্রিজি ও ফাইভ-জি সেবা চালু করে। টেলিটক ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্র বলছে, সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা টেলিটক গত ২০ বছরে লোকসান গুনেছে ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। তরঙ্গ ও লাইসেন্স ফি বাবদ প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পাওনা বিটিআরসির। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে টেলিটকের মোট ব্যয় ছিল ৭৪৯ কোটি টাকা এবং তারা লোকসান গুনেছে ২৪৭ কোটি টাকা। বিটিসিএলের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরের আগে টানা ১৫ বছর লোকসান গুনেছে বিটিসিএল। লোকসানের ধারা এখনো অব্যাহত আছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তাদের মোট ব্যয় প্রায় ৮৮৮ কোটি টাকা এবং তাদের লোকসান হয় ১৪৬ কোটি টাকা। বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির মোট পাওনার পরিমাণ ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এগুলো আদায় নাও হতে পারে। বর্তমানে বিটিসিএলের কাছে আয়ের অংশ ও বিভিন্ন ফি বাবদ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা পায় বিটিআরসিও।  এ ব্যাপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎসে কোনো লাভ নেই; শুধু লোকসান রয়েছে। সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ১৯৭৩ সালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৪ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে টেলিফোন শিল্প সংস্থা। এখানে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করে সিমেন্স। এর মধ্যে ২০০৪ সালে বড় অংকের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে স্যামসাং। তবে টেশিসের অব্যবস্থাপনা ও কমিশন বাণিজ্যের কারণে দুটি ব্র্যান্ডই চলে গেছে। এমনকি সম্প্রতি টেশিস পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তাদের প্রতারণার শিকার হোন খোদ প্রতিমন্ত্রী। টেশিসের অব্যবস্থাপনা নিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টেশিসে নজরদারি ও জবাবদিহিতা ছিল না। তারপরেই ধীরে ধীরে টেশিসের লাভ কমতে থাকে এবং তারা এফডিআর ভেঙে ভেঙে বেতন খাওয়া শুরু করে। অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে লোকসানে পড়া কোনও প্রতিষ্ঠানে আর বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে না সরকার। সেজন্য টেলিটক, বিটিসিএল ও টেশিসকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।  তিনি বলেন, টেলিটক, বিটিসিএল ও টেশিস- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যালুয়েশন করতে হবে। এ বিষয়টি আগামী বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপনের জন্য আমি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছি। এই কোম্পানিগুলোকে লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য আমরা একদিকে দেশীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই; পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও।    
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৪

ম্যাজিস্ট্রেট দেখে চেম্বার ছেড়ে পালালেন ‘ডাক্তার’
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ম্যাজিস্ট্রেট দেখে চেম্বার ছেড়ে ‘ডাক্তার’ পালিয়ে যাওয়ায় দুটি ডেন্টাল চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজারের মেঘা ডেন্টাল কেয়ার ও মোহনা ডেন্টাল কেয়ারে তালা ঝুলিয়ে সাময়িক বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল হক। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল হক। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে চেম্বার দুটির চিকিৎসক ওলিয়ার রহমান ও জামাল উদ্দিন মোল্লা চেম্বার খোলা রেখে পালিয়ে যান। চেম্বারে তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি কেউ চেম্বার দুটির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ কারণে চেম্বার দুটি তালা ঝুলিয়ে সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে চেম্বার দুটি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।  টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার মান কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আলিফ শাহরিয়াসহ আরও অনেকে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২২

‘নগ্ন করে আমাদেরকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে’
জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে সরকারের সঙ্গে নিজেদের পছন্দের লোকদের সমঝোতা করেছেন। এরপর বাকিদের নগ্ন করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছেন। এর ফলে নির্বাচনে সারাদেশে দলের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা এসব কথা বলেন। জাপার পরাজিত প্রার্থীরা বলেন, লোভ-লালসার রাজনীতি কর্মীরা নয়, নেতারা করেন। তাদের বলির পাঁঠা আমরা। অনেকে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও পরে আর থাকেননি। চেয়ারম্যান জিএম কাদের তো দেখাও করেননি। তবুও নির্বাচনে ভালো কিছু করতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করছিলাম। কিন্তু আর্থিক ও মানসিক সাহায্য পাইনি। তবে ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সামনে এগোতে হবে। জনগণের আস্থার দাম দিতে হবে। এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবের প্রতি আহ্বান, দলকে বাঁচান। বহিষ্কার, অব্যাহতি বাদ দিয়ে সবাই দলের হয়ে কাজ করব। দলকে সুসংগঠিত করুন। দল কেউ ভাঙতে পারবে না। আপনাদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদেরকেই তা ঠিক করতে হবে। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নয়। সংবিধানের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনে গিয়েছি। আল্টিমেটামের সঙ্গে সম্পর্ক নয়। কে দিলো, কেন দিলো তদন্ত করে বের করব। ঐক্যের ভিত্তিতে দল করতে চাই আমরা। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, অনেকে নির্বাচন থেকে সরে আসতে চেয়েছিলেন। আমি না করেছিলাম। কারণ দলের ক্ষতি হবে। মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বললেন, টাকা পেয়েছি। কিন্তু তিনি কাউকে না দিয়ে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রীকে দিয়ে চলে গেছেন। পরে কেউ টাকা না পেয়ে সবাই এলাকায় চলে যান। ২৬টি জায়গা দেখে নৌকা তুলে নিয়েছে, বাকিদের কী হবে? সরকার টাকা দিয়েছে অনেক। শেরিফা কাদের আসন পাওয়া মাত্র সবাইকে ভুলে গেল নেতারা। তিনি বলেন, ভয়াবহ অবস্থা দলের। এজন্য দায়ী চেয়ারম্যান-মহাসচিব। ভিক্ষা নিয়েও সেটার মধ্যে জালিয়াতি করেছেন তারা। আপনাদের পোস্টার দেখে আওয়ামী লীগও লজ্জা পায়। আপনাদের ভেলকিবাজি সবাই বুঝে গেছে। তবে ক্ষতি হয়েছে দলের। আঘাতপ্রাপ্ত আর বহিষ্কারপ্রাপ্ত লোক একা হয়ে গেছে। সাইফুদ্দিন মিলন বলেন, নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টি হিরো হতো। জিএম কাদের অনেক কিছু করেছেন দলের জন্য। তার সব শ্রম বৃথা হয়ে যাবে। আপনার বিকল্প নেই। সঠিক নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাবেক এমপি ইয়াহয়া চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমানত হোসেন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, হাসান ইফতেখার, মিজানুর রহমান মিরু, সাহিন আরা চৌধুরী রিমা, সুজন দে এবং শাহনাজ পারভিন প্রমুখ।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৭

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় খালেদা জিয়া
টানা পাঁচ মাসের অধিক সময় হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এখন তিনি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের নেতাকর্মীরা। এর আগে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করলে ম্যাডামকে বাসায় আনার সিদ্ধান্ত হয়। ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যায় অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। একই হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসক দেশে আসেন। ওই তিন চিকিৎসক হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। অস্ত্রোপচারের ফলে লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরোনো হয়। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়