• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেলার চাঁদা নিয়ে বিরোধ, মাদরাসাছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারে বৈশাখী মেলার চাঁদা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মাজহারুল ইসলাম শাওন নামে এক মাদরাসাছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিয়াসকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও উভয়পক্ষের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।  বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার সেবারহাট বাজারে একদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার এ মেলার আয়োজন করেন। বুধবার রাতে মেলার প্রাঙ্গণে ১৫ থেকে ২০টি স্টল চালু হলে সেখানে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিতে দু’পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। জসিম কনট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের নেতৃত্বে কিশোরগ্যাং সদস্যরা হামলা চালিয়ে শাওন ও পিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পিয়াসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ঘটনার পরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কীভাবে মেলা বসানো হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪০

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক খুন
ময়মনসিংহ নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে মো. সামিউল সামি নামে এক শ্রমিক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ‍্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর সামি কমিউনিটি সেন্টারের অনিয়মত খাবার পরিবেশক শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পারিবারিক পরিচয় জানা যায়নি।  ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।  তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘লাশ ঘরে’ নেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে এই খুনের মূল কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও ঘটনার নেপথ্যে মাদক সম্পৃক্ততা বা অন‍্য কোন বিষয় আছে কিনা- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।     এ দিকে খুনের ঘটনায় কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬

যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য হাসপাতালে 
টাঙ্গাইলে যাত্রীবাহী বাসে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নামক এলাকায় ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে সুভাষ চন্দ্র সাহা নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সুভাষচন্দ্র নাটোরের সিংড়া থানার ডাহিয়া গ্রামের কুবির সাহার ছেলে। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন। জানা যায়, পুলিশ সদস্য সুভাষচন্দ্র গতকাল ঢাকায় একটি মামলার সাক্ষী দেওয়া শেষে রাতের দিকে বাসযোগে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নামক স্থানে পৌঁছালে  একদল ডাকাত বাসের ভেতর উঠে ডাকাতি শুরু করে। এ সময় পুলিশ সদস্য সুভাষ চন্দ্র বাধা দিলে ডাকাত দল তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, আজ সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পুলিশকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৫

থানায় পুলিশের সামনে ছুরিকাঘাতে যুবকের আত্মহত্যা চেষ্টা
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভেতরে পুলিশের সামনেই নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সুজন গাজী নামের এক যুবক।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টায় থানার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।  যুবক সুজন গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যরা জানান, চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার রঘুনাথপুর এলাকার মিজান গাজীর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মীম আক্তার গত ২৪ মার্চ হারিয়ে যান। ১ এপ্রিল তার বাবা চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মঙ্গলবার শহরের বিষ্ণুদী এলাকা থেকে সুজন গাজী নামে এক যুবকের বাসা থেকে নিখোঁজ মীম আক্তার ও যুবকের মাকে থানায় নিয়ে আসেন। রাত ৯টায় যুবক সুজন গাজী থানায় আসলে এস আই আব্দুল আলিম তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে সুজন গাজী তার প্যান্টের পকেটে করে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।  এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মীম নামের একটি মেয়ের জন্য তার বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই নিখোঁজ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ধারের দায়িত্বভার পড়ে এসআই আব্দুল আলিমের ওপর। দায়িত্ব পেয়ে এসআই আব্দুল আলিম ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে সুজন গাজী নামের এক যুবকের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এসআই আব্দুল আলিম। পরে ভিকটিম যেই ছেলের সঙ্গে চলে যায়, সেই সুজন গাজীকে থানায় খবর দেয়া হয়।  ইয়াছিন আরাফাত আরও বলেন, পরে সুমন গাজী থানায় এসে এসআই আব্দুল আলিমের সঙ্গে উত্তেজিত জিগ্যেস করেন, তার প্রেমিকা মীমকে কেন থানায় নিয়ে আসা হয়েছে? এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সুজন গাজী তার প্যান্টের পকেটে করে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে নিজেকে ছুরিকাঘাত করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ তাকে সিএনজি দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেছে।  এ বিষয়ে এখনও যাচাই-বাছাই চলছে, পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মা-ছেলে আহত
রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে মা ও ছেলেকে পাওনাদার ছুরিকাঘাতে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) লংগদু উপজেলার ২নং কালাপাকুজ্যা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের রশিদপুর এলাকায় লিটনের দোকানে সামনে ঘটে। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অপরাধী শাহিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আহত জহির (২২) শাহিন নামে এক যুবকের কাছে ৩৩৫০ টাকা পায়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির পরে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শাহিন, জহিরের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে মা এগিয়ে আসলে মায়ের মাথায় ছুরিকাঘাত করে শাহিন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে লংগদু সদর হাসপাতলে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে জহিরের অবস্থার অবনতি হলে খাগড়াছড়ি সদর হাসতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অপরাধী শাহিনকে আটকে রেখে পুলিশকে সোপর্দ করে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষিজমির পত্তনের (ইজারা) পাওনা ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় মুসা মিয়া (৩৪) নামে এক কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মুসা মিয়া দক্ষিণখার গ্রামের মৃত জজু মিয়ার ছেলে। হত্যায় অভিযুক্তের নাম রুহুল আমিন। তিনি একই গ্রামের মৃত তৌহিদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত রুহুল আমিন। স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে ঘটনার সময় রুহুল আমিনদের কাছ থেকে পত্তন নেওয়া জমিতেই কাজ করছিল মুসা মিয়া। সকালে টাকা আনতে গিয়ে বাড়িতে না পেয়ে জমিতে যায় রুহুল আমিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনের সঙ্গে থাকা একটি ছুরি দিয়ে কৃষক মুসা মিয়াকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মুসা মিয়ার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহমেদ জানান, জমির টাকা নিয়ে ছুরিকাঘাতে কৃষক নিহতের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. এমরাজ হোসেন সুমন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় আফ্রিকার বেস্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এমরাজ হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার জগৎপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। নিহতের স্বজনরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, শুক্রবার সকালে সুমনের দোকানে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এমরাজ হোসেন সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা আরও জানান, ১০ বছর আগে এমরাজ জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে বেস্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায় একটি স্টেশনারি ও মুদিদোকানে কাজ করতেন তিনি। পরিবারে তার ৫ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  এ বিষয়ে দাগনভূঞা উপজেলার ইউএনও নিবেদিতা চাকমা বলেন, নিহতের মরদেহ দেশে আনার জন্য সার্বিক সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া পরিবারের জন্য সরকার নির্ধারিত সহযোগিতা যেন খুব দ্রুত পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪১

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সাভারে যুবকের মৃত্যু
সাভারে শহিদুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, দুপুরে ছায়াবিথী এলাকার স্থানীয় একটি সড়কে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। নিহত শহিদুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের চরধরমপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে। তিনি সাভারের ছায়াবিথী এলাকার একটি ডেন্টালে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে শহিদুলকে অজ্ঞানামারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ফিউচার ডেন্টালের মালিক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে শহিদুল বাসা থেকে বের হয়ে ছায়াবিথীর আমতলা এলাকায় যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পরই খবর আসে শহিদুলকে কেউ ছুরিকাঘাত করেছে। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখান থেকে রেফার্ড করে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরের প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে আমজাদ হোসেন নামের আরেক ব্যক্তিকে একই এলাকায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪০

তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন
ফেনীর সোনাগাজীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. আবির হোসেন ওরফে ছোটন (২৩)। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। আবির উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া এলাকার কালা মিয়া ছেলে। অভিযুক্ত আরিফুর রহমান একই এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোনাগাজী-ফেনী সড়কের মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরিফের বড় ভাই মো. নিলয়ের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। রোববার বিকেলে আবির ও আরিফ দুই বন্ধু একসঙ্গে ওই দোকানে ইফতার করতে যান। পরে আরিফ ইফতারি প্রস্তুত করার সময় আবিরের সঙ্গে আগের একটি ঘটনা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আবিরের পেটে ও বুকে দুটি আঘাত করেন। এতে সঙ্গে সঙ্গে আবির মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আরিফ দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আবিরকে ফেনীর ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, আবির ও আরিফ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। দুজন একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আরিফ পলাতক। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও আরিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। বর্তমানে মরদেহ ফেনীর ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সোমবার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

ছুরিকাঘাতে বেয়াই খুন, আটক ১
নওগাঁর মান্দায় বেয়াইয়ের ছুরিকাঘাতে আজিবর রহমান (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের বৈদ্যপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আজিবর ভালাইন ইউনিয়নের বনতসর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতের বেয়াই দেলোয়ার হোসেনকে (৪৮) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আটক দেলোয়ার হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে আজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে উর্মি খাতুনের বিয়ে হয়। তারা ভালোবেসে বিয়ে করায় তখন থেকে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মেয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন একজন ফল ব্যবসায়ী। বৈদ্যপুর বাজারের স্কুল মার্কেটে তার দোকান রয়েছে।  বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুই বেয়াই বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে থাকা চাকু নিয়ে বেয়াই আজিবর রহমানের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। এতে আজিবর রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটক দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়