• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ট্রেনে ছুরিকাঘাতে যাত্রী নিহত, অভিযানে ১৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে গোপাল পাল নামে এক ট্রেনযাত্রী ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার পর ১৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মন্টু মিয়া, মো. জয়নাল, গোবিন্দ চন্দ্র দাস, মো. রবিন মিয়া, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হানিফ মিয়া, মো. সোহাগ মিয়া, জুয়েল মিয়া, সাইফুল ইসলাম, আকাশ, আরিফ হোসেন, মো. আপেল, মো. রিপন মিয়া, আশিকুর রহমান মনি, আশিকুর রহমান রুমান, মো. মামুন ও মো. রানা মিয়া। তারা প্রত্যেকেই ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ও সবাই পাঁচ থেকে ১০ মামলার আসামি। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা ডিবি কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, স্টেশনে ট্রেনযাত্রী নিহত হওয়ার পর পুলিশ সুপাশের নির্দেশে গোয়েন্দা চারটি টিম অভিযান নামে। বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি মো. ফারুক বলেন, এই ১৮ জনের কেউই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর লাইনে দাঁড়ায়। এ সময় গোপাল পাল নামে এক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের অপর প্রান্তে পরিত্যক্ত বগির পেছনে প্রস্রাব করতে যান। সেখানে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫২

বিদেশি নাগরিকের ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার, ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার 
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ারের (রাশিয়ান নাগরিক) ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মো. আসিফ (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাকে সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফোনসেটটি উদ্ধারের পর রাশিয়ান নাগরিক মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম। গ্রেপ্তার আসিফ উপজেলার কামারখন্দ হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানান, গত শনিবার ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী যাওয়ার পথে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এ সময় বিদেশি ওই নাগরিকের হাত থেকে আই ফোন-১৩ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান আসিফ। এ ঘটনায় রাশিয়ান নাগরিক ওই দিনই ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে কামারখন্দ থানা-পুলিশ ফোনসেটটি উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করে। কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফোনটি উদ্ধার করে বিদেশি নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপরাধীকে আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

সব কেড়ে নিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা
ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বজনকে দেখতে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজারে এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন কৃষক আলম মিয়া। কিছুক্ষণ পর ময়মনসিংহ থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস আসলে কয়েকজন যাত্রীকে বাসে দেখে তিনিও ওই বাসে ওঠে বসেন। বাসটি জৈনাবাজার ছেড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রীবেশি ছিনতাইকারী তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় বাসে থাকা ছিনতাইকারীরা। সম্প্রতি রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ছিনতাইকারীরা এ কৃষকের কাছ থেকে সব কেড়ে নেয়। ঘটনার শিকার আলম মিয়া শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের মৃত আলফাজ উদ্দিনের ছেলে। ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টা থেকে পৌনে ৫টার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে বা ভোরের আলো ফোটার আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পথচারী ও বাসযাত্রীদের আতঙ্ক হলো এসব যাত্রীবেশি ছিনতাইকারী। প্রায়ই ভোররাতে খালি বাস নিয়ে ছিনতাই করেন তারা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোনো স্থান থেকে যাত্রীকে বাসে তুলে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকাসহ মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৫টা। মুদি ও মুনিহারী ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া (৫৫) দোকানের মালামাল কেনার জন্য জৈনাবাজার থেকে গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি অজ্ঞাত যাত্রীবাহী বাসে উঠেন। ওই বাসে ৪-৫ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি মাওনা চৌরস্তা উড়াল সেতুর ওপর উঠার সঙ্গে সঙ্গে বাসে বসে থাকা ওই ৪-৫ জন যাত্রী বাসের দরজা বন্ধ করে তার মুখ বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। হামলাকারীরা তার জ্যাকেটের বুক পকেটে থাকা মালামাল কেনার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে তাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার ২নং সিএন্ডবি বাজারের ১০০ গজ সামনে নিয়ে বাস থেকে ফেলে দিয়ে বাসটি দ্রুতগতিতে চলে যায়। ফেলে দেওয়ার আগে এ ঘটনা কারো সঙ্গে শেয়ার করলে তাকে খুন করে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় ওই ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী সিরাজ মিয়া গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের জন্দর আলীর ছেলে। তিনি জৈনাবাজার আমিন সুপার মার্কেটের মুদি ও মনোহারি ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে ওইদিন রাতে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ৪-৫ জন একসঙ্গে গাড়িতে থেকে বাসে একা যাত্রী পেলে এভাবে ছিনতাই করে এই ছিনতাইকারী চক্রটি। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিক জানান, আমার নিজের এক আত্মীয়ও এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ছিনতাইয়ের বিষয়গুলো লোকাল (শ্রীপুর) থানা পুলিশ দেখবে। আমরা হাইওয়ে থানা পুলিশ এগুলো দেখি না। তিনি ভুক্তভোগীদের শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য এ প্রতিনিধিকে পরামর্শ দেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়