• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
মাকে ছাড়া কীভাবে থাকব : পূজা
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ঝর্ণা রায়। মাকে হারিয়ে শোকে কাতর পূজা। মা হারানোর বেদনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। গণমাধ্যমে পূজা জানান, এমন শোক সহ্য করার শক্তি আপাতত খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। পূজা বলেন, এভাবে মামুনি আমাকে একা করে চলে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এই শোক কীভাবে ভুলব আমি। বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করব। মাকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন যুদ্ধ করে একাই আমাকে সেগুলো পূরণ করতে হবে। ভালো থেকো মা আমার। সবাই আমার মামুনির জন্য প্রার্থনা করবেন।   বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পূজার মা। ফেসবুক পোস্টে মায়ের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন নায়িকা। অভিনেত্রীর মা ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে বাসায় এনে চিকিৎসকের পরামর্শে রাখা হয়। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ঝর্ণা আন্টি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। কয়েক সপ্তহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় আনা হয়। আজ হুট করেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।  প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন টু’ সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই নায়িকা। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পূজা। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৪

মদ কোম্পানির লোগো ছাড়া খেলতে নেমে প্রশংসায় ভাসছেন মোস্তাফিজ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চার উইকেট শিকার করে চেন্নাইকে জয় এনে দিতে বিশেষ অবদান রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও আরও একটি কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এই টাইগার পেসার। শুক্রবার (২২ মার্চ) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে জার্সিতে অ্যালকোহল কোম্পানির লোগো ছাড়াই মাঠে নামেন ফিজ। ম্যাচে চেন্নাইয়ের একাদশে থাকা অন্যান্য ক্রিকেটারদের জার্সির হাতায় সেই মদ ব্র্যান্ডের লোগো থাকলেও সেটি দেখা যায়নি কাটার মাস্টারের জার্সিতে। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশি এই মুসলিম ক্রিকেটার। ক্রিকেট বিশ্বে এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। যে কাতারে ছিলেন হাশিম আমলা, মইন আলীসহ বিশ্বের নামকরা সব মুসলিম ক্রিকেটার। এবার সেই খাতায় নিজের নাম লেখালেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে যারা বাঁহাতি রয়েছে তাদের জার্সির ডান হাতায় দেখা গেছে সেই লোগো। একইভাবে সিএসকের উইকেট কিপার ব্যাটার ধোনির বামহাতে ছিল সেই লোগো। কারণ, ধোনি ডানহাতি ব্যাটার। তাই, সে অনুযায়ী ফিজের ডান হাতেই অ্যালকোহল কোম্পানির সেই লোগো থাকার কথা ছিল। গুঞ্জন আছে, জার্সিতে মদের ব্র্যান্ডের লোগো ছাড়া মাঠে নামার এ ঘটনায় জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন ফিজ। যদিও এ বিষয়ে তিনি সিএসকের ম্যানেজমেন্ট এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অনুমতি থাকলে, লোগো না লাগানোর কারণে এই নির্দিষ্ট স্পন্সরের অর্থ পাবেন না তিনি।  উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১২০ ফ্যান্টাসি পয়েন্ট নিজের করে নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ফলে, ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার ওঠে তার হাতে। আর ৪ ওভারে ২৯ রানের খরচায় বেঙ্গালুরুর মূল্যবান ৪টি উইকেট নেয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতে নেন ফিজ। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

‘সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই’
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছেন সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ। বিবিসি সোমালি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী ‘অপারেশন আটলান্টা’ সমুদ্রের পাশে জাহাজটিকে নজরদারিতে রেখেছে। আর জলদস্যুরা যেন সোমালিয়ার ভূমি থেকে কোনো সহযোগিতা না পায়, এ জন্য অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির পুলিশ। এখন এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই। এরইমধ্যে জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের জন্য মাদক সরবরাহের চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছ। এ বিষয়ে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়। জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। তিনি বলেন, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সেখানেই নোঙর করা আছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২২:২৯

দস্যুদের নির্দেশ ছাড়া ঘাড় ফেরাতে পারছেন না নাবিকরা
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক শামসুদ্দিন বলেছেন, জলদস্যুদের নির্দেশ ছাড়া তারা ঘাড় ফেরাতে পারছেন না। এদিক-ওদিক করলেই রাইফেলের বাঁট দিয়ে গুঁতো দেওয়া হচ্ছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে জিম্মি নাবিক শামসুদ্দিন চট্টগ্রামে তার পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে এক মিনিটের মতো কথা বলেছেন। শামসুদ্দিনের পরিবারের ওই সদস্য বলেন, ‘দস্যুরা জাহাজের খাবার ইচ্ছেমতো খেয়ে ফেলছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে-২৪ ঘণ্টায় ব্যবহারের জন্য পানি দেওয়া হবে এক ঘণ্টা। ওয়াশরুমে ব্যবহার করতে হবে সাগরের পানি। সেহেরি ও ইফতারে দুই বেলা খাওয়ার দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘শামসুদ্দিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নতুন আস্তানায় নোঙর করার পর জাহাজে আরও ৩০-৪০ জন জলদস্যু উঠেছে। তাদের সবার হাতেই রয়েছে স্টেনগান, একে-৪৭ রাইফেলের মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্র। ডিউটিরত নাবিকদের কেবিনে থাকতে দেওয়া হলেও অন্য নাবিকদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে ইঞ্জিন রুমে গাদাগাদি করে। জাহাজের ক্যাপ্টেন ও চিফ অফিসারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, জলদস্যুদের নির্দেশ ছাড়া তাদের ঘাড় ফেরাতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিক-ওদিক করলেই রাইফেলের বাঁট দিয়ে গুঁতো দেওয়া হচ্ছে। কেবিনে থাকা নাবিকদের এক-দুই ঘণ্টা পরপর এসে নক করে যাচ্ছে জলদস্যুরা। এ অবস্থায় দিন যতই যাচ্ছে জিম্মি নাবিকদের মানসিক অবস্থা ততই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্ধারে মালিকপক্ষ ও সরকার যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় সেই আকুতি জানিয়েছেন জিম্মি এই নাবিক পরিবারের সদস্যরা। এক নাবিক ভয়েস মেসেজে  বলেছেন, ‘একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করি সবাই। বড় বড় ফ্রিগেট আসছে দুইটা। একদম সব ইক্যুইপমেন্টস নিয়ে। কিন্তু ওরা ভয় পায় না এগুলো। ওরা আমাদের মাথায় গুলি ধরে রাখে। বড় বড় মেশিনগান গান তাক করে রাখছে। এ অবস্থায় ঘুম যা হওয়ার হচ্ছে। যেহেতু জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে। ১৫ দিন পর খাওয়া-দাওয়া যখন শেষ হয়ে যাবে তখন আমরা খুব কষ্টে পড়ে যাব।’ চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের ভাই আসিফ নুর বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এক মিনিট কথা বলেছেন তার ভাই। সবার আগে পানি সংকটে পড়বেন বলে জানিয়েছেন। একসঙ্গে ৪০ জন খাওয়া-দাওয়া করার কারণে দ্রুত খাদ্য ফুরিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। এ অবস্থায় ঈদের আগেই যাতে তাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয় সেই আকুতি জানিয়েছেন চিফ অফিসার।’ জানা গেছে, জিম্মি নাবিকরা ঈদের আগেই প্রিয়জনের কাছে ফিরতে চান। স্বজনদেরকে ফোনে এবং ভয়েস মেসেজে এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তারা। নাবিকদের পরিবারগুলোও চাই ঈদের আগেই ফিরে আসুক তারা। এদিকে সরকার ও মালিকপক্ষ বলছে, জিম্মি নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে তাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। জিম্মিদের বিষয়ে সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এদিকে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদশের সব টেলিভিশন জিম্মিকারী জলদস্যুরা দেখে বা দেখার সুযোগ আছে। জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন তারা দেখে তখন জলদস্যুরা অনমনীয় হয়। জিম্মিদের উদ্ধারে সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের অধীন এসআর শিপিং-এর সিইও মেহেরুল করিম বলেন, গ্যারাকাড উপকূল থেকে জাহাজটি জলদস্যুদের নতুন আস্তানা গোদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত ওইখানেই ছিল। নতুন কোনো আপডেটও আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘দ্বিতীয় দফায় গ্যারাকাড উপকূল থেকে ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সোমালিয়ার ‘গোদবজিরান’ উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করা হয়েছে। জলদুস্যদের পক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত জাহাজের মালিকপক্ষ বা সরকারি কোনো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’  
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪

ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই বছরে পিকনিক ছাড়া কিছু করেনি : সোহেল রানা
ভারতীয় সিনেমা দেশে এসে সয়লাব করে দিচ্ছে। দুই দিনের মধ্যে সেন্সর হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না। যতদূর শুনেছি, শিল্পী সমিতি ও অন্য একটি সমিতি এর সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় সিনেমা মুক্তি দিতে হলে তাদের (সমিতিকে) টাকা দিতে হয়। এটা চরম অন্যায়। এভাবে সমিতি টাকা নিয়ে বিদেশি কালচার আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এটা মানা যায় না। ভিনদেশি সিনেমা দেশের প্রেক্ষাগৃহে আমদানি প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অন্যতম অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। রূপালি পর্দার এক সময়ের সাড়া জাগানো এই নায়ক আরও বলেন, ভারতীয় সিনেমা আমাদের দেশে আসুক। আমরা আটকে থাকতে চাই না। আমাদের সিনেমাও ভারতে যাক। তবে যেসব সিনেমা সেখানে পাঠানো হয় যেগুলো আমাদের দেশেই চলে না। সেখানেও সেটি বস্তার মধ্যে পড়ে থাকে। আমাদের দেশে ১০ বছরে কি ভালো সিনেমা তৈরি হয়নি? শাকিবের ভালো-ভালো সিনেমা বাংলাদেশে নেই? যেগুলো ভারতে গিয়ে কাঁপিয়ে দিতে পারে। সেগুলো তো পাঠানো হয় না। পাঠায় কারা সেখানে তো কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। সেখানে সমিতির কিছু করণীয় থেকে যাচ্ছে। সেগুলো তাদের করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনে প্রতিটি সমিতির পাশে দাঁড়াতে হবে। সম্প্রতি শিল্পী সমিতি থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন রাখলে এই অভিনেতা বলেন, কি অপরাধে পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত জায়েদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে জানি না। তার ভুল থাকতে পারে কিন্তু তাকে শোকজ করা হয়েছে কিনা, নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে কিনা বলতে পারছি না। আমার জানা মতে, কারো সদস্যপদ স্থগিত করতে হলে তিনবার শোকজ করতে হয়। তার উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয়ে থাকে তাহলে সবাই মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এভাবে হয়েছে কিনা আমার ঠিক জানা নেই। সঠিকভাবে হয়ে থাকলে ঠিক আছে। আর যদি সঠিক নিয়মে না হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের আগে তাকে বের করে দেওয়া ভালো হয়নি। তাদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেটা মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল সেটাকে আরও উসকে দেওয়া হয়েছে। একসময় শিল্পীদের দাওয়াত দিতেন জায়েদ খান। সেই তিনিই দুই বছর ধরে সমিতির দাওয়াত পাচ্ছেন না। সম্প্রতি পিকনিকে দাওয়াত পায়নি এই অভিনেতা। এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল রানা বলেন, এটা সাধারণ একটা অভদ্রতা। জায়েদের সদস্যপদ যদি নাও থাকে পূর্বে সমিতির জন্য কয়েক বছর কাজ করেছে সে জন্য হলেও ওরে দাওয়াত দেওয়া ছিল ভদ্রতা। জায়েদ তো বড় অন্যায়কারী কিংবা ক্রিমিনাল না যে, দাওয়াত দেওয়া যাবে না। শিল্পী না তারপরও অনেককেই তো দাওয়াত করা হয়েছে। নিজের সহকর্মীর প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সেখানে দাওয়াত না দেওয়া শোভনীয় মনে হয়নি। জায়েদকে আটকে দেওয়ার জন্যই সদস্যপদ স্থগিত করেছে। ওরাই বেশি কাজ করেছে। সবার নাম আসে না। জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক যার কারণে বার বার নাম আসে।  জায়েদ খানকে ঘিরে শিল্পী সমিতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চলমান। এ নিয়েও কথা বলেছেন এই অভিনেতা। বললেন, আমার জানা মতে জায়েদের পক্ষ থেকে কোনও কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে না। জায়েদকে নিয়ে যদি কেউ কেউ বলে সেটা হয়ত বিশেষ কয়েকজন লোক বলতে পারে। যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের কাছে প্রচার যন্ত্র একটু বেশিই থাকে। তারা যদি ইচ্ছে করে অনেক কে লাগিয়ে দিয়ে বলতে পারে তাদেরকে ছোট করো। এটা তো আমাদের স্বভাব চরিত্রের মধ্যেই আছে। যোগ করে বলেন, আগে কখনো এই পদটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। শেষ দুই বছর এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে কখনো জায়েদ বেশি কথা বলেনি। যখনই বলেছে সম্মান রেখেই বলেছে। আর নিপুণকে নিয়ে যেটা বলেছে আইনের কথা টেনে বলেছে। এটা বলতেই পারে। উভয়ের মধ্যে যে ভেদাভেদ রয়েছে সেটা থাকা ভালো না। আগামী নির্বাচনে সেটা দূর হবে বলে আশা করি। রাজনীতিতে যেমন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই এবার শিল্পী সমিতিতেও সেটাই চাই। ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই বছরে পিকনিক ছাড়া কিছু করেনি সে কথা উল্লেখ করে সোহেল রানা বলেন, শিল্পী সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন এই দুই বছরে কিছুই করতে পারেনি। কারণ, পুরো কমিটি নিয়ে একটা মিটিংই করতে পারেনি। এক দল কখনো মিটিংয়ে আসেনি। একা তো ওর পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। ওর জীবনের এই একটা পার্ট সেটা ভুলে যেতে চাইবে। এই সময়ে শিল্পী সমিতি একটা পিকনিক ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। আগে মিশা-জায়েদ যেভাবে কাজ করত এ কমিটি আসার পর সেরকম কিছুই দেখিনি আমি। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকলে কখনোই ভালো কিছু করা সম্ভব না। ভালো কিছু করতে হলে সবাইকে এক হয়ে করতে হবে। সে দিক থেকে মিশা-জায়েদ কমিটি অনেক ভালো ছিল। মানুষ জানত একটি কমিটি আছে বিপদে পাশে পাওয়া যায়। সবসময় ঈদে দু-তিনশো মানুষের বাসায় উপহার যেত। -বললেন এই অভিনেতা। অনেকে সমিতির এ কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। কি বলবেন? উত্তরে সোহেল রানা বলেন, তাহলে সমিতির কাজ কি? তাদের কাজ ডাকাতি-চুরি করা? সমিতির কাজই হচ্ছে শিল্পীদের সাহায্য করা। প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো। পাশে দাঁড়িয়েছে কিনা সেটাই বড় কথা। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার বাতিল করেছিল শিল্পী সমিতির সর্বশেষ সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের কমিটি। এ নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল। ইলিয়াস কাঞ্চন কমিটিতে এসে তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেন। তবে এই সদস্যপদ বাতিলের দায় জায়েদের কাঁধে আসে বরাবরই। যদিও দফায় দফায় উত্তর দিয়েছেন এই নায়ক। জানিয়েছেন তিনি এক নয়, পুরো কমিটির সিদ্ধান্তে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সে সময়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সোহেল রানা। তিনি বলেন, সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল সবার সিদ্ধান্তেই। এখানে একা জায়েদের দোষ হবে কেন? এখানে দায়ী হলে পুরো কমিটি হবে। আমি, ইলিয়াস, আলমগীর, ফারুক, উজ্জ্বল ছিল। তাহলে তো আমরা পাঁচ জনই দায়ী। আমরা ৪৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছিলাম। পরবর্তীতে ওরা আরো কিছু এড করেছিল। সেটা কমিটি করতে পারে। আমরা যে ৪৬ জন বাতিল করেছিলাম তার মধ্যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না কেন তাদের বাতিল করেছি। এটা নিয়ে নয়, শেষ নির্বাচন থেকে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। নিজেদের মধ্যে এটা থাকা ঠিক না। এবার চাচ্ছি সবাই মিলে কাজ করবে। আর যেন ভাগ না হয়। সবাই মিলে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবে। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:০১

শিল্পাঞ্চল ছাড়া গ্যাসের লাইন নয় : নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল ছাড়া কোথাও গ্যাসের লাইন হবে না, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।  বুধবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি এলাকায় প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। বেইলি রোডের ঘটনায় চট্টগ্রামে যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বরোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে কেউ যদি হোটেল-কারখানা করেন, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এসব নজরদারি করা হবে, কর্মকর্তারা গাফিলতি করলেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় আগামী ৩ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামবাসীকে গ্যাসের প্রিপ্রেইড মিটারের আওতায় আনা হবেও বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৮

ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কিছুই নেই কাচ্চি ভাইয়ের, লাখ টাকা জরিমানা
আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই অংশ হিসাবে ওই এলাকায় অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ও সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে কাচ্চি ভাইকে এ জরিমানা করা হয়। জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা আছে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয়। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য রাখা যন্ত্রাংশগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই সেখানে। কাচ্চি ভাইয়ের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কিছুই নেই কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর। এ জন্য কাচ্চি ভাইকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে রেস্তোরাঁটি যদি ফায়ার সার্টিফিকেট, পরিবেশের ছাড়পত্রসহ সকল অনুমোদন সম্পন্ন করতে না পারে তাহলে এটি সিলগালা করা হবে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আগুন লেগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৭

যেভাবে রমজানে তেল ছাড়া খাবার বানাবেন
রমজান দরজায় কড়া নাড়ছে। এ সময়টাতে ইফতার থেক সেহরিতে কী, খাবেন ঘরের রাঁধুনির জন্য তা একটা চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। অন্যদিকে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় তেলে ভাজা খাবার খেলে অনেকের নানান রকমের আসুস্থতায় ভুগতে হয়। কিন্তু মুখরোচক খাবার তৈরি করতে তেল তো লাগবেই। আবার বেশি তেলের খাবার বানাতে গেলে পকেটেও খালি হবে তাড়াতাড়ি। অল্প তেলে রান্না করেও পোষাচ্ছে না, তাহলে উপায়। এরও সমাধান আছে। ডিজিটালের এ যুগে রান্নার জন্য অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এয়ার ফ্রায়ার। যাকে ভাজা-পোড়া রান্নার আদর্শ যন্ত্র বলা যেতে পারে। এ যন্ত্র দিয়ে ভাজা খাবারগুলো তেল ছাড়াই রান্না করা যায়। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, কেবল ভাজা নয় চাইলে এয়ার ফ্রায়ারে আরও অনেক পদ রান্না করা যায়।  জেনে নিন এয়ার ফ্রায়ারে কী কী রান্না করা যায়- আলু, বেগুন, মাছ তেল ছাড়াই এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা যাবে। এছাড়াও চিকেন উইংস বা চিকেন পকোড়াও বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। চিকেন বা বিফ স্টেক বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। প্রিহিট করা এয়ার ফ্রায়ারের মধ্যে রসালো চিকেন স্টেক বানিয়ে নেওয়া যায় সহজেই। বাড়িতে তেল আর মাখন কম ব্যবহার করে কেক বানাতে চান। এয়ার ফ্রায়ারে বানাতে পারেন। কুকি, কাপ কেক হোক বা মাফিন তৈরিতে অনেক তেল মাখন লাগে। মাখনের ব্যবহার কমাতে ভরসা রাখুন এয়ার ফ্রায়ারে। এছাড়াও চিকেন ম্যারিনেট করে রেখে কষা তরকারিও রান্না করা যাবে। প্রিহিটেড এয়ার ফ্রায়ারে চাইলে রসালো চিকেন স্টেকও বানানো যায়। মুখরোচক চিকেন উইংগস তৈরি করতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারের সাহায্যে।  কিশমিশ, কাজু বা আখরোট এয়ার ফ্রায়ারে দিয়ে একবার শুকিয়ে স্টোর করে রাখতে পারেন। এয়ার ফ্রায়ারে রোস্ট বানিয়ে নেওয়া যাবে। স্বাদে বদল আসবে। যেসব খাবার এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না- চিজ দেওয়া কোনো খাবার এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না। চিজ উচ্চ তাপমাত্রায় গলে গিয়ে এয়ার ফ্রায়ারের সঙ্গে লেগে যাবে। যা পরিষ্কার করা কষ্টকর হবে। বার্গার, পাস্তা, পিৎজা এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না। এয়ার ফ্রায়ারের তাপমাত্রা অনেকটা বেশি থাকায় এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৬

সিন্ডিকেট-চাঁদাবাজি বন্ধ ছাড়া রোজায় দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না 
পথে পথে চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলের আইকন ভবনে রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই, নিত্যপণ্যসামগ্রী উৎপাদক ও আমদানিকারকরা ছাড়াও যেখানে অংশ নেন পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। এ সময় চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ ও সিন্ডিকেট বন্ধ না করা গেলে রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে এবারের রমজানে নিত্যপণ্যের ওপর গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।  সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও ন্যায্য মুনাফা করতে হবে। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দাম যাতে অস্বাভাবিক না হয়, সেজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন বাজার সমিতির নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম সংকট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদা চাইলে এফবিসিসিআই'র হটলাইনে কল করে তথ্য দিলে তা সরকারকে জানানো হবে। রমজানে বাজার তদারকির বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পুলিশ দিয়ে বাজার তদারকির দরকার নেই। বাজার কমিটির নেতারা করলেই হবে। পণ্যের মূল্য তদারকি না করলে ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। ফলে প্রতিটি বাজার কমিটিকে নিজে থেকেই এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। এসময় রমজান উপলক্ষে পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে বলে জানান তারা এবং বলেন, এবারের রমজানে দাম বাড়ার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই।  নৈতিকতা না থাকলে সেমিনার করে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার। আর কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, পণ্য বহনকারী ট্রাক থেকে কয়েক ধাপে চাঁদা নেওয়া হয়। ট্রাক থেকে পণ্য আড়তে নেওয়া, আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের গন্তব্যে যাওয়া পর্যন্ত স্তরে স্তরে চাঁদা দিতে হয়। এসব কারণে দাম বেড়ে যায়। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে কাপ্তানবাজার আড়ত মালিক সমিতির সহসভাপতি আবদুল মান্নান খান বলেন, বাজারে পণ্য এলে কিছু লোক দাম ঠিক করে দেন। সে দামেই বেচাকেনা হয়। দোকানিরাও মূল্যতালিকা ঝোলান না। বাজারে সিন্ডিকেট আছে, এটা স্পষ্ট। কৃষক কখনও দায়ী নন, আগে সিন্ডিকেট ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। মুরগি তো ডিম দিতে থাকে। যোগান বেশি হওয়ায় ডিম নষ্ট হয়। রোজার সময় চাহিদার অতিরিক্ত ডিম হিমাগারে রাখার ব্যবস্থা করলে, পরে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। নতুবা রোজার পরে ডিমের দর নাগালে রাখা মুশকিল হবে। চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সমর্থন করে এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, রাস্তায় পুলিশ, নেতা, মেয়র, জেলা প্রশাসক, শ্রমিক কল্যাণ সংস্থা, ট্রাকে পণ্য বোঝাই-খালাসসহ সবখানে চাঁদাবাজি হয়। এ বিষয়ে তথ্য চাইলে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করতে পারবেন। চাঁদাবাজি বন্ধ ছাড়া দাম কমবে না। ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিলাসপণ্যের ক্যাটেগরিতে হওয়ায় খেজুর আমদানিতে এখনও উচ্চ শুল্ক বিদ্যমান। কাস্টমস ইচ্ছামতো খেজুরের আমদানি মূল্য বেশি ধরে শুল্ক ধার্য করছে। গত চার-পাঁচ মাস অনুরোধ জানানোর পর শুল্ক কমানো হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। এখনও ১১০ টাকার খেজুরে ১৪০ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে। এদিকে মাংস নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির দিকে ইঙ্গিত করে রোজার জন্য গরুর মাংস আমদানির ওপর গুরুত্বারোপ করেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম এরই মধ্যে ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এটি নিয়ে যেন কোনও তেলেসমাতি না হয়। নির্বাচনের আগে হওয়া ৬৫০ টাকা কেজির গরুর মাংস হয়েছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। মসলার দামও অস্বাভাবিক। রোজার জন্য গরুর মাংস আমদানির অনুমতি ছাড়া বাজার স্বাভাবিক হবে না। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না অভিযোগ করে পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলার ১১০ টাকা নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীদের দিতে হচ্ছে ১২০ টাকার বেশি। তিনি বলেন, একদিকে দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে; অন্যদিকে বলা হয় শুল্ক, কর না দিলে উন্নয়ন হবে কীভাবে? পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করে আদায় করা হয়। এটি সরকারের দ্বিমুখী আচরণ। মসলায় অস্বাভাবিক কর আরোপ করা হয়েছে। চিনি আমদানিতে ৬৫ পয়সা শুল্ক কমিয়েছে। তাতে কী লাভ হয়েছে? এস আলম গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক সালাহ উদ্দিন বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত আছে। তবে এলসির ক্ষেত্রে ডলারের দর কারও কাছ থেকে ১২০, ১২৪ আবার কারও কাছ থেকে ১২৫ টাকা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে তদারকি দরকার। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে রোজায় পণ্যের সংকট থাকবে না। দেশবন্ধু গ্রুপের প্রতিনিধি সারোয়ার জাহান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনিকে নিত্যপণ্য উল্লেখ করলেও এনবিআর সেটির ওপর বিলাসপণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করেছে।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১

অনুমতি ছাড়া হজ করলে জেল-জরিমানা
পর্যটক এবং বাসিন্দাদের অনুমতি ছাড়া হজ পালনে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা করেছে সৌদি আরবের সরকার। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানায়, অনুমতি ছাড়া হজ পালন করা বেআইনি। যারা আইন ভঙ্গ করবেন তাদের ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এমনকি যারা অনুমতিবিহীন ব্যক্তিদের মক্কায় পরিবহন করে ধরা পড়বেন তাদেরও ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। অন্যদিকে যেসব প্রবাসী আইন ভঙ্গ করে অনুমতি ছাড়া হজ পালন করবেন তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। কারাভোগের পর তাদের নিজ দেশে তাদের ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি পরবর্তী ১০ বছর সৌদিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ হজ করতে সৌদিতে যান। এ ছাড়া সৌদির স্থানীয়রাও হজ পালন করে থাকেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৪ জুন হজ শুরু হতে পারে। করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় গত বছরের মতো এবারও হজ পালনে পবিত্র মক্কা নগরীতে সমবেত হবেন লাখ লাখ মানুষ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়