• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেএনএফ আতঙ্কে উৎসব মাটি, থানচি ছাড়ছে বহু মানুষ
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি ব্রাঞ্চে নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এরপর বৃহস্পতিবার থানচি বাজারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে তাদের। একইদিন গভীর রাতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বান্দরবানের আলীকদমে; পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে।   এমন পরিস্থিতি ঈদ ও বৈসাবির আনন্দ মাটি হয়ে গেছে থানচিবাসীর। কেএনএফের হামলার ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন বহু মানুষ। গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) একদিনেই থানচি বাজার এলাকা থেকে বান্দরবান সদরে চলে গেছে দেড় শতাধিক পরিবার। যারা এখনও আছেন, তাদেরও দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। কেউ থাকতে চাইছেন না থানচি বাজার এলাকায়।  বাসিন্দারা বলছেন, সামনেই ঈদ ও পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতা তাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। উৎসবের আনন্দ হারিয়ে থানচি, রুমা ও আলীকদমের বাসিন্দাদের মনে এখন ভর করেছে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় ২৪০টি দোকানের মধ্যে সব মিলিয়ে মোটে ১৫টি দোকান খোলা। তালা ঝুলছে অন্য সব দোকানে।  ক্রেতাশূন্য পুরো বাজার; এমনকি পাহাড়ি মানুষের উপস্থিতিও চোখে পড়েনি। চারদিকে যেন চাপা এক আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বাজার এলাকার মোড়ে মোড়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। ভাই ভাই মুদি দোকানের মালিক মো. সাইদুল বলেন, ‘আগে দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। আর গত তিন দিনে ব্যবসা হয়েছে মাত্র ৫০০ টাকার। শুক্রবার মাত্র ৬০ টাকা আয় হয়েছে। বাজারে এখন ভয়ে কেউ আসছে না।’ থানচি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কেএনএফের অস্ত্রের মহড়া, ব্যাংক ডাকাতি, থানায় আক্রমণ আর গোলাগুলির ঘটনায় বাজার ও আশপাশের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রাত নামলেই ভয় বেড়ে যাচ্ছে। দিনে পুলিশ ও বিজিবির কড়া পাহারা থাকায় রাতের অন্ধকারে ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসীরা। জীবন বাঁচাতে পাহাড়ি-বাঙালি সাবাই এখন থানচি ছাড়তে চাইছে।’ এদিকে বান্দরবানের রুমা থানার এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কেএনএফের অন্তত চারটি আস্তানা রয়েছে বলে জানা গেছে। আস্তানাগুলোর অবস্থান বেথেলপাড়া, কেসপাইপাড়া, ইডেনপাড়া ও মুয়ালপিপাড়ায়। তার মধ্যে কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের বাড়ি ইডেনপাড়ায়। এই চার পাড়াতেই বম জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকেও রুমা বাজারের পাশে অবস্থিত বেথেলপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একইভাবে থানচি থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত তংকংপাড়া। সেখান থেকেই কেএনএফ সন্ত্রাসীরা দুটি চাঁদের গাড়ি করে গিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে। আবার ওই গাড়িতেই তারা তংকংপাড়ায় ফিরে যায়। তংকংপাড়া ছাড়াও পাশের বোডিংপাড়া, কাইন্দংপাড়া, শেরকরপাড়ায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা কয়েকটি অংশে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।  নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বলছে, রুমা ও থানচিতে ডাকাতি এবং অস্ত্র লুট করার পর গভীর জঙ্গলে না গিয়ে তাদের ঘাঁটি বমপাড়ায় অবস্থান নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অতীতে আরেক সশস্ত্র সংগঠন জেএসএসকে দেখা গেছে, পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর পর গভীর জঙ্গলে চলে যেত তারা। কিন্তু তা না করে নিজেদের ঘাঁটিতেই অবস্থান নিচ্ছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সূত্রমতে, ড্রোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে দেখা গেছে, এখনও থানচি থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সংগঠিতভাবেই অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে তারা। কেএনএফের এ ধরনের তৎপরতার কারণে যেকোনো সময় আবার কোথাও তারা হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  পুলিশ অবশ্য বলছে, কেএনএফকে দমনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরেশোরে চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘থানচিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত আরও ১০০ পুলিশ সদস্য থানা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের জবাব দিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।’ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, ‘রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদমে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরেশোরে চলছে। ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছে। থানায় আক্রমণের ঘটনায় পৃথক মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন সদরঘাট ছাড়ছে ১২০ লঞ্চ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় সদরঘাটের চিত্র বদলে গেছে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ১২০টি লঞ্চ এখান থেকে চলাচল করছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।    প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটে এখন যাত্রীচাপ নেই বললেই চলে। এক কথায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। যাত্রীচাপ কমায় এ এলাকার যানজটও কমে গেছে। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন লঞ্চভর্তি মানুষ ছিল। মানুষ ছাদে উঠে যেত। সেই চিত্র এখন অতীত। তাই এখন আর তেমন দুর্ঘটনাও ঘটছে না। চলতি মাসে আবহাওয়া মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই লঞ্চ মালিকদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে মিরপুর এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে একটা সময় সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেল কানেক্ট করা হবে। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৯

৩০ ব্যাংকে ১১ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ছে সরকার
সংকটের কারণে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি পরিশোধ করতে পারছিল না সরকার। শেষ পর্যন্ত বিশেষ বন্ড ছেড়ে সেই পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত তিন সপ্তাহে চার দফায় মোট ১১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা পরিশোধে গতকাল বুধবার ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে ২৪টি ব্যাংকের অনুকূলে ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। ব্যাংক, পাওনাদার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যে এই এমওইউ সই হয়। এর আগে গত মাসে ৬ ব্যাংকের অনুকূলে একই রকম এমওইউর পর তিন দফায় ছাড়া হয় ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড। সব মিলিয়ে ৩০টি ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে এমওইউ সই করা হলো। জানা গেছে, আগে ছাড়া বন্ডের বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক টাকা ঋণও নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। গতকালের এমওইউর পর অর্থ বিভাগ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠাবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক পরে ব্যাংকগুলোর অনুকূলে বন্ড ছাড়বে। সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। আর কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা শোধ করতে পারছিল না। কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল। তাদের পক্ষেই এখন দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যই বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার হচ্ছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এই বন্ডের সুদের হারও বাড়বে, আর রেপো রেট কমলে বন্ডের সুদও কমবে।  বন্ড ছাড়ার ফলে কোনো ব্যাংক আর সংশ্লিষ্ট দেনাদার বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছে টাকা চাইতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় এখন সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর। মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ডের মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ বছর হলেও বিশেষ বন্ডের ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ১০ বছর হয়ে থাকে। নগদ টাকার বদলে বিশেষ বন্ড ছেড়ে সংকট মোকাবিলার উদ্যোগের ফলে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হবে, আর ব্যাংকগুলোই–বা কীভাবে সুবিধাভোগী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এখন এটা সবার জন্য লাভজনক হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লাভ, তাদের দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে এবং ব্যবসা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে এবং অন্য ব্যাংকের কাছে এগুলো বিক্রিও করতে পারবে। এই বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারবে। অন্যদিকে সরকারের সুবিধা হচ্ছে, আপাতত নগদ টাকা পরিশোধ করতে হলো না। বিদ্যুৎ খাতের বাইরে এর আগে গত ৪ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার ব্যাপারে বহুপক্ষীয় চুক্তি হয়।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

মর্টার শেলে দুজন নিহতের পর সীমান্তে আতঙ্ক, গ্রাম ছাড়ছে মানুষ
বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে দুইজন নিহতের ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী ও আশপাশের এলাকার লোকজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জলপাইতলী গ্রামসহ আশপাশের আরও দুটি গ্রাম থেকে অন্তত ৫০টি পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।  ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অনেকেই বাড়িতে থাকতে চাইছেন না। এ জন্য অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল হোসনে আরা নামের এক বাসিন্দার রান্নাঘরে এসে পড়েছে। এতে দুজন নিহত হন। এরপর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। অনেকে নিরাপদে থাকতে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম হুসনে আরা (৫০)। তিনি জলপাইতলি এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত রোহিঙ্গা তাদের বাড়ির কাজের লোক। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তার ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাদশা মিয়ার বসতবাড়িতে এসে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ওই নারীসহ তাদের বাড়ির কাজের লোক নিহত হন।  বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত সপ্তাহ থেকে আরাকান আর্মি ও দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। সংঘর্ষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। গত রোববার ভোর থেকে বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

বিশ্বকাপ খেলতে মধ্যরাতে দেশ ছাড়ছে যুবারা
প্রথমবার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিদায়ী বছরটা স্মরণীয় করে রেখেছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নতুন বছরের শুরুতেই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় তারা । বিশ্বকাপ খেলতে মধ্য রাতে দেশ ছাড়বে টাইগার যুবারা। চলতি মাসের ১৯ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। জানা গেছে, টুর্নামেন্টে অংশ নিতে রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করবে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।  আফ্রিকায় পৌঁছে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের যুবারা। এরপর আগামী ২০ জানুয়ারি ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে যুব টাইগাররা। টুর্নামেন্টের এ গ্রুপে ভারত ছাড়াও রাব্বিদের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড। ২৩ জানুয়ারি টাইগারদের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২৬ জানুয়ারি লড়বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি ভেন্যুতে চলবে এই বিশ্বকাপ আসর। ১১ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আসরের পর্দা নামবে। সব মিলিয়ে মোট ৪১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দল : মোহাম্মদ আশিকুর রহমান শিবলি, মাহফুজুর রহমান রাব্বি (অধিনায়ক), জিসান আলম, চৌধুরি মোহান্মদ রিজওয়ান, আদিল বিন সিদ্দিক, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বর্ণ, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিহাব জেমস, আহরার আমিন (সহ-অধিনায়ক), শেখ পারভেজ জীবন, মোহাম্মদ রাফি উজ্জামান রাফি, মোহাম্মদ রোহানতৌদ্দৌলা বর্ষণ, মোহাম্মদ ইকবাল হাসান ইমন, ওয়াসি সিদ্দিক, মারুফ মৃধা। স্ট্যান্ডবাই : নাঈম আহমেদ, মোহাম্মদ রিজান হোসেন, আশরাফুল হাসান, তানভীর আহমেদ ও একান্ত শেখ।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়