• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‌‘সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে অপরাধ করা ব্যক্তিদের ছাড় নয়’
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে অপরাধ করা ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। সরকার যেহেতু অপরাধের দায়ে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না, তাই বুঝতে হবে সরকার নির্বাচনে যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে।’ তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে একযোগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনগুলো মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। ভোটাদের টার্ন আউট নিয়ে অনেক অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে বিতর্কিত তথ্য পরিবেশন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের প্রতি জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে— এই ধরনের অপপ্রচার যারা করে, তাদের অপপ্রচারের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। দেশের জনগণের নির্বাচন, রাজনীতির প্রতি ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ভোটাদের টার্ন আউট প্রমাণ করে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের ব্যাপারে আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা নিরাপদ। এই কথাটি আজকে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশি কারও আদেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না। তবে বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে আওয়ামী লীগ।’
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৩

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।  রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। এরপর তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।’ ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।’ অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৯

খতনায় শিশু মৃত্যু / দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : ডিবিপ্রধান
সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই একই ঘটনায় আরও এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর হয়েছে। এসব ঘটনায় দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ডিবিপ্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবিও এসব ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে। বাবা-মায়ের কোল থেকে এভাবে শিশু হারিয়ে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।  হারুন অর রশীদ বলেন, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন। তিনি আবেদন করলে মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে নিয়ে এসে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে। এদিকে, গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার এক মাস পরেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে শিশু আয়ানের বাবা মো. শামীম আহমেদ, আমার সন্তান আয়ান হত্যার যদি সঠিক বিচার হতো তাহলে হয়তো রামপুরায় আবার শিশুর খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো না। তিনি অভিযোগ করেন, আমি মামলা করলেও কোনো অগ্রিগতি নেই। জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ফলে আমি ডিবির শরণাপন্ন হয়েছি। আমি মনে করি ডিবি আমাদের শেষ ভরসাস্থল।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৭

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ছাড়
ভর্তি ফিতে বিশেষ ছাড় দিয়ে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্রিং ২০২৪ সেমিস্টারের ভর্তি মেলা শুরু হয়েছে। ৭দিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে ভর্তি ফিতে ছাড় ছাড়াও স্পট অ্যাডমিশন নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় নিয়মিত ২১ ক্যাটাগরি ছাড়াও বিশেষ ৫-১০% ছাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী ক্যাম্পাসে সরকারি ছুটির দিনসহ ৭ দিনই সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভর্তি মেলা চলবে এবং ভর্তি শাখা খোলা থাকবে।  বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর এইচ বি আর টাওয়ারে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফ্ফাত জাহান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুভময় দত্ত ও রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাইদুর রহমান খান৷  মেলা চলাকালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি রয়েছে। যারা এই দুটি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে পৃথকভাবে জিপিএ–৫ পেয়েছেন, তারা টিউশন ফিতে এ বৃত্তি পাবেন। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, গরিব ও মেধাবীদের জন্যও থাকছে শতভাগ ছাড়। শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে প্রতিটি বিভাগে রয়েছে একাধিক পিএইচডিধারী অধ্যাপকসহ অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ। ইতোমধ্যে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন, ওবিই কারিকুলামভিত্তিক সিলেবাস, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাইমএশিয়া অর্জন করেছে আইইবি, ফার্মেসি কাউন্সিল ও বার কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশন। বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ইউনিভার্সিটির এডমিশন অফিস অথবা সরাসরি ০১৯৫৮৬৬৫৫০০-০২ নম্বরে কল করুন। এছাড়াও ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইট www.primeasia.edu.bd থেকে যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। অনলাইনে ভর্তির জন্য ভিজিট করুন www.facebook.com/pau.edu.bd -তে।  যেসব বিষয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে— বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ইংরেজি, মাইক্রোবায়োলজি (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর), বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মেসি (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর), পাবলিক হেল্থ এন্ড নিউট্রিশন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ও এলএলবি৷
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৩

শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার
আমদানি শুল্কে ছাড় ঘোষণার পরও নিয়ন্ত্রণহীন রয়ে গেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শাক-সবজি ও মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যেরই। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।   সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে শুক্রবার বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আরও আগেই শুল্ক কমানো উচিত ছিল। এখন কমিয়ে তেমন একটা কাজ হবে না। আর ক্রেতারা বলছেন, অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে শুধু আমদানি শুল্ক কমালেই চলবে না, তদারকি জোরদার করতে হবে এর পাশাপাশি।  এদিকে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম ঘাম ধরাচ্ছে ক্রেতা সাধারণের কপালে। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।    অথচ শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত একমাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে।  অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও! এরই মধ্যে আকাশ ছুঁয়েছে খেজুরের দাম বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। বিক্রেতারা বলছেন, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়তে থাকায় দামও বাড়ছে খেজুরের। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রাকিব জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা রাকিব জানান, দাম যা বাড়ার তা আগেই বেড়ে গেছে। মূলত রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। আর তার প্রভাবই এখন পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ ও দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, আমদানিকারকদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম। নতুন করে ঝাঁজ লেগেছে পেঁয়াজের দামেও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আমদানিশুরু হলেও বাজারে দেখা নেই ভারতীয় পেঁয়াজের। উধাও পুরাতন দেশি পেঁয়াজও। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে, তাই ফের দাম বাড়ছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া বাজারে অন্য জাতের পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজও নেই। তাই দাম বাড়ছে।র তবে, সরবরাহ ঠিক থাকায় নতুন করে দাম বাড়েনি আদা ও রসুনের। কেবল মানভেদে দামে কিছুটা তারতম্য আছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলু ও মরিচ বাদে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি বেগুন জাতভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ক্ষীরাই ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কহি ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আকারভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ব্রকলি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে কমেছে নতুন আলু ও কাঁচামরিচের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এদিকে, উভয় পর্যায়ে দাম কমে পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা ও লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যসব পণ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবারও দাম বেড়েছে মাংস ও ডিমের। প্রতি কেজিতে মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে।  বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। বাজারে আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। গত মাসে নিজেরাই গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিলেও এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা। মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কথা বললেও কেন ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ৭৫০ টাকায় ভালো মানের মাংস বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করে পোষাচ্ছে না তাদের। গত সপ্তাহের তুলনায় এখন ডজন প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে আজ। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মাছের বাজারের অস্থিরতাও থামছে না। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে দেশি মাছের দাম।  হাতে গোনা কয়েকটি চাষের মাছের দাম কমলেও তা নাগালের বাইরে বলে দাবি ক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৬৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইম ১ হাজার টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকার ওপরে। কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী হরিপদ বলেন, মাছের সরবরাহ না বাড়ায় দামও কমছে না। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, খাদ্য অধিদফতরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মাঠে নামলেও সুখবর নেই চালের বাজারে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে দাম যতটা বেড়েছে, তার তুলনায় কমেছে সামান্য। খুচরা পর্যায়ে চালভেদে কেজিতে কেউ কেউ এক-দুই টাকা কম রাখলেও বেশিরভাগ বিক্রেতা আগের বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করছেন। কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিব বলেন, নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। তবে মিল-মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আবারও বাড়তে পারে চালের দাম। নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা সাধারণের। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৯

‘ধান মজুতকারী আমার বাবা হলেও ছাড় নয়’
মিল মালিক হয়েও যদি কেউ ধান মজুত করে তাহলে ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই, আমার বাবা হলেও নেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান-চালের বাজার ঊর্ধ্বগতি রোধে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা হাজার হাজার মণ ধান আড়তদারির নাম করে বিনা লাইসেন্সে স্টক করছেন, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আপনি মিল মালিক হয়েও যদি আপনার কাছে ধান মজুত থাকে তাহলে আপনাকেও ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার বাবা হলেও উপায় নেই। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপারেশনে আছে। ব্যবসায়িক সূত্র বা ইকোনমিক্স থিওরিতে বলে, যখন চাহিদা বেশি হয় তখন দাম বাড়ে, সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। আমি তো এই মুহূর্তে সরবরাহ কমের কোনো অবস্থা দেখছি না। প্রচুর ধান আছে। সরবরাহ যাতে না কমে যায় এর জন্য আমরা ইতোমধ্যে ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়ে আমদানি করার চেষ্টা করছি। আমাদের ফাইল প্রসেসে আছে। হয়তো আমরা এটা কিছুদিনের মধ্যে ফাইনাল করব। কারণ অযথা স্টক করে রেখে পরে আবার বলবেন, আমরা মরে গেলাম, মরে গেলাম। এ কথা যেন না শুনি। তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে অভিযান, আরেকদিকে আপনাদের বিবেক, আরেকদিকে আমাদের আমদানি পদ্ধতি। প্রয়োজনে সরকারিভাবে আমদানি করব। দরকার হলে আমরা ওএমএস থানায় থানায় ছেড়ে দেব কিন্তু বাজার বাড়তে দেওয়া যাবে না।’ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আপনারা আমার সঙ্গে একমত হলে হাত উঠান। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা হাত উঠিয়ে বলেন, ‘একমত।’ পরে মন্ত্রী বলেন, তাহলে কাল থেকে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমি কিন্তু আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করলাম। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪

নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়নি আ.লীগ : জি এম কাদের
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ কোনো ছাড় দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী জি এম কাদের।  সোমবার (১ জানুয়ারি) রংপুরের কাচারি বাজার কোর্ট এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি। যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে, সেগুলোর দু-একটি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষেই কাজ করছেন। তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগি হলো কী করে? এবারের নির্বাচনে কোনো মহাজোট হয়নি। যারা এসব নিয়ে কথার ফুলঝুরি ছড়ান, তারা অপপ্রচার করছেন। তিনি বলেন, আমরা সব জায়গায় চেয়েছিলাম প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আরেকটা চেয়েছিলাম, অস্ত্র, পেশিশক্তি এবং অর্থের প্রভাব থেকে নির্বাচনকে সরিয়ে রাখা। তাহলে আমরা নির্বাচন করব। সেখানে আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় ২৬টি আসনে তাদের নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে এসব আসনে তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। তারা কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছে। তারা আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না। তিনি আরও বলেন, বরিশালসহ কয়েকটি আসনে জাপার কয়েকজন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটি করা ঠিক হয়নি। এতে দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। তবে আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। দলীয়ভাবে প্রার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুরে আমাদের প্রচার-প্রচারণায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না এবং কেউ বাধাও দিচ্ছে না। তবে নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে পরিবার-পরিজনসহ ভোট দিতে আসেন, সেটিই প্রত্যাশা। এবারের নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু রংপুরে প্রচণ্ড শীত আর হিমেল বাতাস অব্যাহত রয়েছে। এটা কমে গেলে ভোটারদের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক হবে। তিনি বলেন, যেখানেই যাচ্ছি, দলমত নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। এ ছাড়া রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্গ এবং লাঙ্গলের ঘাঁটি। এখানকার মানুষ জাতীয় পার্টির প্রতি এমনিতেই সহানুভূতিশীল। সম্প্রতি রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের দলের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এক লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। আর যেহেতু সদর আসন, ভোটারও বেশি, আমি আশা করি বিপুল ভোটে জয়ী হব।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়