• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাবির কোয়ার্টার থেকে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে রাজধানীর দক্ষিণ ফুলার রোডে ঢাবির আবাসিক কোয়ার্টারের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত আদ্রিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেনের মেয়ে। বাবা মায়ের সঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে আমরা শিক্ষার্থীকে বিছানায় শায়িত অবস্থায় দেখতে পাই। আদ্রিতার পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিজের ওড়না ফ্যানের সঙ্গে পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৫

ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য ফাঁস
সম্প্রতি অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তির ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এখনও ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।  তদন্তে ইতোমধ্যে ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।  জানা গেছে, ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি প্রভাতি শাখার প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।   জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হোক, তখন জানা যাবে।’ এদিকে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে। ছাত্রী ভর্তিতে তাকে দায়ী করা হলে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে মো. শাহ আলম খান জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য। লিখিত অভিযোগে অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান শাহ আলম।   এরপর তদন্ত শুরু করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির মাধ্যমে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন ভর্তি সংশ্লিষ্টদের। জবাব পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে বলে জানানো হয় ওই চিঠিতে।   এর আগে একই প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানোর ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটের রায়ে ভর্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ওই ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আপিল করলে হাইকোর্টের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৯

পাবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, স্বামী আটক
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী শারভিন সুলতানা আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী আসিফ মোর্শেদকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী। সোমবার (২৫ মার্চ) পাবনা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর রোডের ‘গ’ ব্লকের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে শারভিনের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এখনও এর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। শারভীন সুলতানা মেহেরপুরের সালদা থানার গাংনী উপজেলার সালদা এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। পাবিপ্রবির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে ওসি রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে বাসা থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শারভিনের বাবা-মাকেও খবর দেওয়া হয়েছে এবং তারা চাইলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০০

জবির পর এবার পাবিপ্রবির এক ছাত্রীর আত্মহত্যা
শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা নিয়ে উত্তপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে এবার শারভিন সুলতানা নামের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহরের মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শারভিন সুলতানা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী। মেহেরপুরের সালদা থানার এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে মাত্র এখানে এসেছি। উড়না কেটে মরদেহ নামানো হলো। এখনও বিস্তারিত কিছু পায়নি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আমিও রওনা দিয়েছি। এখনও পৌঁছায়নি। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৪

শিক্ষকের বিরুদ্ধে সেই ছাত্রীর অভিযোগে যা বললেন ডিবিপ্রধান
শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফারজানা মীমের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। হারুন বলেন, মীমের করা অভিযোগটি নিয়ে আমাদের সাইবারের একটি টিম কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে জবি ভিসির সঙ্গেও কথা হয়েছে। অভিযোগের অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই। তিনি বলেন, মীমকে কেন বারবার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা বা হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি। এর আগে, সোমবার বিকেলে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ফারজানা মীম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়। তিনি আরও বলেন, আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১১

সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৩১ ছাত্রীর কুপ্রস্তাবের অভিযোগ
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টার অভিযোগ আনেন এক ছাত্রী। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন আরও ৩০ ছাত্রী। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের অন্তরঙ্গ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়।  স্ক্রিনশটগুলোতে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। এতে অঙ্ক বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে মাঝরাতে ছাত্রীদের চা পানের নিমন্ত্রণ করা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ছবি ও ভিডিও চাওয়া, অশ্লীল ভিডিও লিংক শেয়ার করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৯ সালে ভর্তির পর থেকেই সাজন সাহা স্যার আমাকে নানান ধরনের মেসেজ দিতেন। রাত বিরাতে চা পানের আমন্ত্রণ, বাসায় কেউ না থাকলে আসতে বলা, একাকি অফিসে ডাকা এবং পাশাপাশি অশ্লীল ছবি ও ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে বিরক্ত করতেন। তার কোর্সে ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অফারও দিয়েছেন বহুবার। তার কথায় রাজি না হলে আমার ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট আটকে রাখাসহ নানাভাবে হয়রানি করেন শিক্ষক সাজন সাহা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাজন সাহা স্যারের চা পানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমার সব বিপদ নেমে আসে। ক্লাসে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে জরিমানা গুনতে হয়েছে আমাকে। পরীক্ষার নম্বর কমে গেছে, থিসিস পেপার নিয়ে বারবার হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ ছাড়া এমন আর অনেক ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাকে। সবশেষ উপায় না পেয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি।’ ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি ২০১৮-১৯ ব্যাচে ভর্তি হই। এরপর ২০১৯ সাল থেকে শিক্ষক সাজন সাহা আমার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছেন। এখন অপারগ হয়ে আমি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছি। আমার দাবি একটাই, ওই শিক্ষকের বহিষ্কার।’ ওই ছাত্রী মুখ খোলার পর আরও অন্তত ৩০ জন ছাত্রী একই অভিযোগ করেছে। তারা জানান, ফেসবুকে তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলেন সাজন সাহা। শিক্ষক বলে তার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন তারা। এরপরেই তাদেরকে জ্বালানো শুরু করেন সাজন সাহা। তাদেরকে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে মাঝরাতে ছাত্রীদের চা পানের নিমন্ত্রণ করা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বলেন ওই শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের জ্বালায় অতিষ্ঠ তারা। তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র সাজন সাহাকে পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাকে জানালে তিনি বিষয়টি সমাধানে নানা শর্ত জুড়ে দিতেন।  এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকে চাকরিচ্যুতি, অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অনতিবিলম্বে পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ভবিষ্যতে এ ঘটনার কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ার নিশ্চয়তার দফা দাবিসহ একটি লিখিত অভিযোগ উপাচার্যের কাছে জমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্য শিক্ষকের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় তো আমরা নেবো না। এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওই শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেবে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে শিক্ষার্থীরা এসেছিল। এটি খুবই বিব্রতকর, ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭

স্কুলে শিক্ষকের বেত্রাঘাত, অভিমানে ছাত্রীর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্কুলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতের পাঁচ দিন পর অভিমান করে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।    নিহত ইসরাত জাহান সামিয়া (১৪) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মাস্টার বাড়ির মোহাম্মদ ওয়াসিমের মেয়ে এবং স্থানীয় চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।    সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।   এর আগে একই দিন দুপুর ১২টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি চরকাঁকড়া একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক নাজিম উদ্দিন ক্লাসে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ভালোবাসতে হলে প্রথমে মা-বাবাকে ভালোবাসবে, অন্য কাউকে ভালোবাসবেনা। এমন বক্তব্য দিয়ে শিক্ষক ক্লাস থেকে চলে যায়। এরপর ক্লাসে সামিয়া নাকি মন্তব্য করেন অন্য কাউকে ভালোবাসলে অসুবিধা কি। তাৎক্ষণিক অন্য দুজন ছাত্রী গিয়ে স্যারকে সামিয়ার মন্তব্যের বিষয়ে অবহিত করে। পরবর্তীতে শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ওই ছাত্রীকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন। পরবর্তীতে সোমবার সকালে সামিয়া তার মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে চায়। তার মা অসুস্থ থাকায় যেতে পারেননি। দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সামিয়া।    কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ০২:০৪

বাকৃবিতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি : বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে ওই অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।  এ সময় আমার বোন লাঞ্চিত কেন প্রশাসন জবাব চাই, বোবা প্রশাসনের টনক নড়বে কবে, সিসিটিভি আছে ফুটেজ নাই, নিরাপত্তা কোথায়, ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন এমন সব স্লোগান ও পোস্টার হাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।   রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পশুপালন অনুষদীয় গেইট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনার পরবর্তীতে সম্মানহানির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই সেখানে আমাদের কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছেন। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা স্বাক্ষর করে একযোগে পদত্যাগপত্র প্রক্টরিয়াল অফিসে জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।  শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং রিকশার নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং গতদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার অবিলম্বে বিচার করা। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো ও সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে সোমবার থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। শ্লীলতাহানির এ ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্যে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।  প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের বিষয়ে তিনি জানান, প্রক্টর এবং ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সাময়িক বিষয়। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। ২-১ দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রক্টররা আবার তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবেন। উল্লেখ্য, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রাস্তায় সিএনজি প্রবেশ করান চালক। সেই সময়, তার সিএনজিতে কোনও যাত্রী ছিলো না। পরবর্তীতে সেই সিএনজিচালককে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

গলায় ফাঁস দিয়ে ঢাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমাইয়ার বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সে অভিমান করে নিজরুমে সিলিংফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেয়। পরে আমরা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করা হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৫

একই কলেজের ২ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
খুলনায় ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দু’টি বাড়ি থেকে এশিয়ান নার্সিং কলেজের দুই ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুজাতা মন্ডল এবং দিবাগত রাত ১টায় সীমা খাতুন নামে ওই দুই ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা দুজনই নগরীর শেখপাড়া এলাকার পৃথক দু’টি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। জানা গেছে, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আমিরপুর গ্রামের শ্যামল কান্তি মন্ডলের মেয়ে সুজাতা মন্ডল। তিনি এশিয়ান নার্সিং কলেজে বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আর সীমা খাতুন ছিলেন ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলায়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই ছাত্রী একই প্রতিষ্ঠানের। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা আমরা তদন্ত করছি। নিহতের পরিবার যদি কোনো মামলা করতে চায় আমরা মামলা নেব।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়