• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. কাউছার উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার করে তাকে। গ্রেপ্তারকৃত কাউছার জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাত্রাপাড়া এলাকার মৃত আ. কাদিরের ছেলে। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে আসামি কাউছার উদ্দিনের সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে কাউছার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকার নেহাল গ্রিন পার্কে ভিকটিমকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘোরাফেরা করে বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে পার্কের ভেতর একটি পরিত্যক্ত অন্ধকার ঘরে কাউছার ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তারের থেকে বাঁচতে পলাতক ছিলেন। আসামিকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পলাতক আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সোমবার বিকেলে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির জানান, র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তার আসামি কাউছার উদ্দিন উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি : ৭ দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় শিক্ষার্থী আন্দোলনে সাত দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এ কারণে বিভাগটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬টি ব্যাচের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ।  বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।     এরপরও আন্দোলন অব্যাহত রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অশালীন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারিরা দুই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে জুতার মালা পড়ায়।  এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে শিক্ষকদের ‘সম্মান হত্যা’ হয়েছে বলে দাবি করেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১০ মার্চ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে তালাবদ্ধ বিভাগের সামনে মানববন্ধন করেন ১১ শিক্ষক।  এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১২ মার্চ) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর সঙ্গে দেখা করে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হল- যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক বিচার, কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ভাঙচুর ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।   এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের বক্তব্য জানা যায়নি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, যৌন হয়রানির ঘটনায় অধিকতর তদন্ত কমিটিসহ দুইটি কমিটি অভিযোগের তদন্ত করছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য বৈঠক করেছেন। আশা করছি দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেবে। এ বিষয়ে ট্রেজারার ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে আছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২

জুনাইদের বিরুদ্ধে এবার বিইউপি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ফের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এবার অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ‘আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছি, সেখানে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ একটি কোর্স পড়াতে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে আমাদের বিভাগে এসেছিলেন। আমি ক্লাসের সিআর হওয়ার সুবাদে আমাকে তার সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ রাখতে হতো। প্রথমত উনি নিয়মিত আমাকে ফোন দিতেন। বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিতেন। কিন্তু সমস্যা হলো, উনি ব্যক্তিগত অনেক তথ্য জিজ্ঞেস করতেন। আমাকে এমনও জিজ্ঞেস করেছেন, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কি না- এ রকম। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল, ওনার পড়াশোনার কাজের থেকে বেশি আগ্রহ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এসব নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে চাইতেন। সাধারণত উনি রাত ১০টা বা ১২টার দিকে ফোন দিতেন। উনি আমাকে যখন এইভাবে ফোন বা ভিডিও কল দিতেন, আমি খুবই বিব্রত হতাম। আমি প্রায় ওনার ফোন না ধরার চেষ্টা করতাম, কিন্তু সেটার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পরবর্তী ক্লাসে দেখা যেত। ফোন না ধরায় আমাকে ক্লাসে নানাভাবে হেনস্তা করতে চাইতেন। ক্লাসে এভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরও উনি আবারও আমার সাথে যোগাযোগ করতেন।’ তিনি বলেন, ‘ক্লাসে এবং ক্লাসের বাইরে ওনার মুখ ও মুখোশ ছিল আলাদা। উনি ক্লাসে হেনস্তা করার পরে আবার দুঃখপ্রকাশ করে আমাকে মেসেজ দিতেন, ফোন দিতেন। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে ওনার ফোন এবং ভিডিও কল রিসিভ করতাম। তখন ভিডিও কলে বলতেন, একটু তোমার চেহারাটা দেখি, তোমার চুলটা একটু দেখি, তোমার জুম পিক দেখি। আমার কয়েকবার মনে হইছে তখন উনি হস্তমৈথুন করেন। উনি সবসময় চাইতেন, তাকে সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি। ‘উনি অনেক হ্যান্ডসাম’- এটা উনি বারবার শুনতে চাইতেন। উনি এত সুদর্শন, এত তরুণ, ওনাকে দেখে আমরা কেন আকর্ষিত বোধ কেন করছি না- এরকম বিষয় নিয়ে প্রায়ই খোঁচা দিতেন। প্রায়ই মেসেঞ্জারে/হোয়াটসঅ্যাপে ওনার ভিডিও বা ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘আমি দেখতে কেমন’। পরে বুঝেছি, এর সবই ছিল ওনার ফাঁদপাতার কৌশল।’ ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি আমাকে শারীরিক স্পর্শ বা সেরকম কিছু করেননি। কিন্তু বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথোপকথন চালিয়ে গেছেন। উনি প্রায় অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন। নানা রকম যৌন উত্তেজনামূলক কথা আমার সঙ্গে বলতে চাইতেন। সবসময় অন্তরঙ্গ কথা বলার প্রতি ওনার বিশেষ আগ্রহ থাকত। আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা নিয়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করতেন। আমার পোশাক নিয়েও অযাচিত মন্তব্য করতেন। বলতেন, আমি কেন ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরি না। কেন বাংলাদেশের মেয়েদের পোশাক এত বাজে? নানারকম অশ্লীল কথাবার্তা তিনি গল্প আকারে বলতেন। যেমন কোন সিনেমায় নায়ক নায়িকা কীভাবে অন্তরঙ্গ হলো, নায়ক নায়িকার সঙ্গে কী কী করল, এসব উনি খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে শোনাতেন এবং নানাভাবে বোঝাতেন যে উনি এইসব করতে চান। আমাকে বলতেন, মনে করো আমরাও এমন করছি।’ অভিযোগকারী বলেন, ‘আমার ক্লাসের আরেকটা মেয়ের সঙ্গেও এমন করেছেন উনি। ওই মেয়েকেও উনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছেন। ছয় মাসের জন্য পড়াতে গিয়ে একই ক্লাসের দুজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন, এটাকে স্বাভাবিক মনে করার কোনো কারণ নেই। আমাকে ‘গোয়েন্দা’র মতো ব্যবহার করে অন্য মেয়েদের খোঁজ নিতেন উনি। উনি প্রায়ই ফোন করে জিজ্ঞেস করতেন, ক্লাসের কোন মেয়ের কার সঙ্গে প্রেম চলতেছে। ক্লাসের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে ওনার অস্বাভাবিক রকমের আগ্রহ ছিল।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজনের কাছ থেকে অধ্যাপক ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। ওই শিক্ষার্থী মূলত বিইউপির। সে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মূলত উপাচার্য বরাবর দেওয়া হয়। প্রক্টরের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়। আমি সেই অনুলিপিটা পেয়েছি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক নারী শিক্ষার্থীও নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে। যদিও তিনি (নাদির জুনাইদ) এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০

দেবীগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ
পঞ্চগড়ে বাড়িতে একা পেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম আমির আলী (৩৫)। বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। সে সম্পর্কে ভুক্তভোগীর ফুপাত ভাই।   এই ঘটনায় দেবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু দমন নির্যাতন দমন আইনে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওই ছাত্রীর মা প্রতিদিনের মত বাদামের মিলে শ্রমিকের কাজ করতে যান। এদিকে ওই ছাত্রী বাড়িতে একা থাকার সুযোগে আমির আলী তাদের ঘরে প্রবেশ করে। ছাত্রীকে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। সেই সাথে পড়নের কাপর ছিড়ে ফেলে জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে অভিযুক্ত আমির আলী পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পামুলি ইউনিয়নের সাত নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গৌরিকান্ত রায় জানান ফুপাত ভাই কর্তৃক মামাত বোনকে ধর্ষনের ঘটনা শুনেছি। অভিযুক্ত আমির আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত নজরুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আমির আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় / ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অধ্যাপক বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একটি বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেটের তিন সদস্য অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীন খান ও মোহাম্মদ আলী। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বিকেল চারটায় এই সভা শুরু হয়ে রাত পৌনে দশটায় শেষ হয়। সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, দু’টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। আমরা বিকেল ৪টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছি। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন ওই বিভাগের এক ছাত্রী। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি পরদিন যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়। একই দিন তদন্তও শুরু করে পাঁচ সদস্যের যৌন নিপীড়ন সেল। পরে নিপীড়ন সেলের করা সুপারিশ অধিকতর যাচাই করতে আরও একটি কমিটি গঠন করে হয়। সর্বশেষ শুক্রবার বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০

কলেজে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাজন মিয়া (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌরসদরের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, অভিযুক্ত সাজন মিয়া মদন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাসুদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাসা পৌরসদরে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মঙ্গলবার সকালে পৌরসদরের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার সময় বখাটে সাজন তার পথরোধ করে কুপ্রস্তার দেন। একপর্যায়ে জোর করে দেওয়ান বাজার রোডের একটি চালের দোকানে তুলে নিয়ে যান। পরে সাজনের একজন সহযোগী বাইরে থেকে দোকানের তালা লাগিয়ে দেন। দোকানে কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে সাজন। পরে ঘটনাটি পরিবারকে জানান ওই ছাত্রী।  ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, আমি চিৎকার শুরু করলে হত্যার হুমকি দিয়ে সাজন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে আমি ঘটনাটি আমার পরিবারকে জানাই। আমি সাজনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।    মেয়েটির মা বলেন, কলেজে যাওয়ার পথে দিনদুপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বাসায় গিয়ে মেয়েটি কান্নাকাটি করে আমাকে সব জানিয়েছে। বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, এবার উত্তাল ঢাবি
শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এবার উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাস।অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার হাতে বিভাগের সামনে অবস্থান নেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে বয়কট করে পোস্টারিং করেন। পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের কার্যালয় হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন ও তার শাস্তির দাবি জানান।এরপর তারা বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান।দাবিগুলো হলো, অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, যৌন নিপীড়ককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে, তদন্ত চলাকালে বা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরত রাখতে হবে। বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে সবসময়ই আমরা জিরো টলারেন্স।অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো উপাচার্য স্যারের কাছে পেশ করা হবে। এ বিষয়ে তিনি যেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেই অনুরোধ করব। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী।ওই শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯

সিরাজগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ : গ্রেপ্তার ৪
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ৯ বছরের এক  মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন এনায়েতপুর থানার গোপালপুর এলাকার হানজালা হোসেন, তার বাবা ইব্রাহিম, চাচা লুৎফর রহমান লতু ও প্রতিবেশী রনজিদা খাতুন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ। তাকে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।  আজ দুপুরে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর মসজিদ রোড থেকে মিছিলটি বের হয়ে এনায়েতপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি হানজালা হোসেনের (২৩) কুশ পুত্তলিকায় দাহ করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে  মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল এক ছাত্রী (৯)। পথে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার হানজালা হোসেন। পরে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায়  মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অসুস্থ   মাদরাসা ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  মাদরাসা ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় ভোরে সায়দাবাদ এলাকা থেকে মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮

ধামরাইয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি সিপারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সিপারের বাড়ি ধামরাই এলাকার সুহুরীটোলায়। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিপারের নামে ধামরাই এলাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেপ্তার সিপার সেই মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলাটি করে ভুক্তভোগীর পরিবার। তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে রাজধানীর গেন্ডারিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন সিপার। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। গত ১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই বিষয়টিকে হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এই তিন মাস অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরেক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গত ১১ নভেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়রের অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি উল্লেখ করে ২৮ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।  পরবর্তীতে গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়