• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘর ছাড়লো বিটিএসভক্ত দাখিল পাস ছাত্রী
কোরিয়ান ব্যান্ড দল বিটিএসের সঙ্গে যোগ দিতে ঘর ছেড়েছে নারায়ণগঞ্জের দাখিল পাস ১৬ বছরের এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের শিয়াচর এলাকার বাসা থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণী। শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বাবা। কিশোরীর বাবা বলেন, গত বছর আমার মেয়ে দাখিল পাস করে। এরপর বাসায় থাকার সময় মোবাইলে গেম খেলতো এবং ইউটিউবে গান ও সিনেমা দেখতো। মোবাইলে আসক্তির কারণে সে খাওয়া-দাওয়াও কমিয়ে দেয়। বাসা থেকে চলে যাওয়ার সময় সে কোরিয়ান ব্যান্ড দল বিটিএসের কিছু ছবি রেখে গেছে। তিনি বলেন, ঝগড়া হলেই সে কোরিয়া চলে যাওয়ার হুমকি দিতো। আমরা তাকে নিয়ে শঙ্কিত। সে যেকোনো সময় নিজের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। তার খোঁজ পাইনি। পুলিশ সাহায্য করলে হয়তো মেয়েকে ফিরে পাবো।  তবে কিভাবে সে বিটিএস গ্রুপের নামে কোনো অসামাজিক গ্রুপে জড়িয়ে গেলো সে সম্পর্কে জানেন না ওই বাবা। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই খালেদ উদ্দিন বলেন, থানায় জিডি করেছে শুনেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

ডিবি অফিসে মুখোমুখি জবির দুই শিক্ষক, যা বললেন সেই ছাত্রী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দুই শিক্ষককে সেই ছাত্রীর মুখোমুখি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তাদের ডেকে নেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। জগন্নাথের ওই ছাত্রী রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ডিবি কর্মকর্তারা আলাদাভাবে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার দুই শিক্ষকের সামনেও কথা বলেছেন। অভিযোগের বিষয়ে শুনেছেন ডিবি কর্মকর্তারা। ওই ছাত্রী আরও বলেন, ডিবি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষককে তার (ছাত্রী) নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং অপর একজনের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। গত সোমবার তিনি ডিবিতে গিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছেও একটি আবেদন করেন। পরদিনই ডিবি ওই ছাত্রী ও দুই শিক্ষককে ডেকে নিল। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন–অর–রশীদ উপস্থিত ছিলেন। ডিবি কার্যালয়ে যাওয়া দুই শিক্ষকের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু ওই ছাত্রী ডিবিতে অভিযোগ জানিয়েছেন, সেহেতু ডিবি তাদের (দুই শিক্ষক) ডেকেছিল। তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, সেখানে ছাত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো কারণই নেই। ছাত্রীর অভিযোগ ‘কাল্পনিক’। ওই ছাত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিচার চেয়ে তিনি ২০২০ সাল থেকে ঘুরছেন। এরপর তাকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হয়েছে। একটি পরীক্ষায় তিনি ৪০–এ শূন্য পান। তিনি বলেন, যে ম্যাডাম তাকে পরীক্ষায় শূন্য দিয়েছেন, তিনি ওই স্যারের বন্ধু ছিলেন। বিচার চাওয়ার কারণেই তাকে ওই ম্যাডামের একটি ও বিভাগীয় প্রধানের দুটি বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে, সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ শিক্ষার্থী সোচ্চার হন।
২১ মার্চ ২০২৪, ০০:২৬

ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রী হত্যা মামলার রায় ফের পেছাল
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা তৃতীয়বারের মতো পেছানো হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এ দিন রায় ঘোষণা করেননি। আগামী ৯ এপ্রিল রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।   গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। তবে ওই দিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ওই দিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আজ (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। গত ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লেখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী। এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী। অরিত্রীর আত্মহত্যার পর তার সহপাঠীরা বিক্ষোভে নামে। ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা জামিন পান। মামলার এজাহারে অরিত্রীর বাবা লেখেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাদের অপমান করে। ওই অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।  তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ নাজনীন ও জিনাতকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। সেখানে বলা হয়, আসামিদের ‘নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণ’ অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। মামলার এজাহারে অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাও আসামি ছিলেন। তবে অভিযোগপত্রে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে নাজনীন ফেরদৌস জিনাত আক্তারের বিচার শুরু করে আদালত। মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম। অরিত্রীর বাবা, মামলার বাদী দিলীপ অধিকারী, মা বিউটি অধিকারী, অরিত্রীদের বাড়ির নৈশ প্রহরী শুকদেব, অরিত্রীর বাবার সহকর্মী সনজয় অধিকারী, প্রতিবেশী মেরিনা মণ্ডল সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মামলায়। আসামিদের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে ওই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৩

১০ মাসে হাতে কোরআন লিখলেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নুদার
১২ বছর বয়সী নুরে জারিন নুদার। বর্তমান সময়ের ছেলে-মেয়েদের থেকে একটু আলাদা। যে বয়সে মেয়েরা মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত। ওই বয়সে খুদে এ শিক্ষার্থী হাতে কোরআন লিখে পার করছে ব্যস্ত সময়। তার গল্প শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। এই মাদরাসা শিক্ষার্থীর কোনো ক্লাসে পড়তে হয়নি প্রাইভেট। মাত্র ১০ মাসে নির্ভুলভাবে সে পুরো আল-কোরআন হাতে লিখেছেন। তার দৃষ্টিনন্দন হাতের লেখা দেখলে যে কারও চোখ আটকাবে। মনে হবে এটি কম্পিউটারে ছাপা লেখা। চোখ জুড়ানো হাতের লেখায় পবিত্র কোরআন লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সে। বর্তমানে নুদার বসুরহাট দারুল ইহসান গার্লস মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। তখন ১০ বছর বয়সী নুদার বাড়ির পাশের ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। একদিন হঠাৎ মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা চোখে পড়ে বাবার। এরপর তিনি মেয়েকে উদ্বুদ্ধ করেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখতে। যে কথা, সেই কাজ। মেয়েকে প্রথমে এক রিম খোলা সাদা কাগজ এনে দেন তিনি। সেই থেকে শুরু। এরপর আস্তে আস্তে ১০ মাসে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নুদার কোরআন লিখে শেষ করেন। এরপর তার বাবা হাতে লেখা কোরআন শরীফ নিয়ে নুদারের মাদরাসার আরবি শিক্ষক মুফতি মুহা. আবদুল্লাহ আল নোমানের শরনাপন্ন হন। সেই থেকে নুদারের লেখা শেষে তিনি বানান সংশোধন করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতেন। তার উৎসাহে ও সহযোগিতায় নুদারের লেখা আরও গতি পায়। পরবর্তীতে পান্ডুলিপি থেকে ১০ পারা করে তিন ভাগে পূর্ণাঙ্গ কোরআন বাঁধাই করা হয়। কোরআন লিখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬১১টি এ ফোর সাইজের সাদা কাগজ ও ৫৫টি বলপেন কলম। মেয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা-বাবা, দাদা-দাদিসহ এলাকাবাসী। মা-বাবার আশা মেয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশবাসীর কল্যাণে দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে কাজ করবে। নুরে জারিন নুদার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ স্কুল এলাকার ছেলামত মঞ্জিলের মো. নুরুল হুদা মামুনের মেয়ে।   নুরে জারিন নুদার বলেন, বাবা-মায়ের উৎসাহে আমি চতুর্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় পবিত্র কোরআন লেখা শুরু করি।  এরপর পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলে আমার লেখা শেষ হয়। আমার এ লেখা দেখে মা-বাবা আমাকে মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি এখন হিফজ বিভাগে ভর্তি করে দেয়। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।   নুদারের বাবা মো. নুরুল হুদা, আমি প্রথমে আমার মেয়ের সুন্দর আরবি হাতের লেখা দেখে খুব আনন্দিত হই। আমারও তার শিক্ষকদের উৎসাহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সে কোরআন নিজ হাতে লেখা শুরু করে। যখন এক পারা লেখা সম্পন্ন হতো তখন ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার শিক্ষক মুফতি মুহা.আবদুল্লাহ আল নোমান আরবি বানানগুলো যাচাই-বাছাই করে পুনঃনিরীক্ষণ করে দিতে। এভাবে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পুরো কোরআন লিখে শেষ হয়। পরে পুনরায় আবার বানান পুনঃনিরীক্ষণ করে ১০ পারা করে তিন ভাগে বাধাই করা হয়। মেয়ের এমন কাজে আমি গর্বিত। এমন কাজে অন্য ছেলে মেয়েরা উদ্ধুদ্ধ হবে বলেও আমি আশা করি।  মা বিবি ফাতেমা বলেন, আমার মেয়ে নিজ হাতে কোরআন লিখেছে, আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি। লেখার সময় অনেক সময় মনমানসিকতা অন্য রকম হয়ে যেত, তো লিখবো, লেখে না। আবার মনমানসিকতা ঠিক করে আগ্রহ দিয়ে লিখতে বসত। বিশেষ করে ভালো কাজে শয়তানের প্ররোচনা থাকে। খাতা-কলমে দাগ টানাসহ বিভিন্নভাবে তাকে আমি সহযোগিতা করেছি। চার বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত নামাজ পড়ে।           ইকরা আরাবিয়া মাদরাসার নাজেমে তালিমাত, মুফতি মুহা. আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কোরআন লেখার যে প্রাচীন নিয়ম রয়েছে। সে অক্ষরে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে নুদার ১০ মাসের প্রচেষ্ঠায় হাতে লিখে সম্পন্ন করেন। ওই সময় আমি তার লেখার তত্বাবধান করি। বোঝার উপায় নেই, এটি হাতে লেখা না, না কম্পিউটারে। তার লেখা কোরআন পুরোটাই আমি পুনঃনিরীক্ষণ করি।   ইকরা আরাবিয়া মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মোতালেব হোসেন পারভেজ বলেন, নুরানি বোর্ডের সমাপনী পরীক্ষায় নুদার পুরো বাংলাদেশে দশম স্থান অর্জন করে। সে একজন মেধাবী ছাত্রী।      বসুরহাট পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ বি এম ছিদ্দিক বলেন, পবিত্র কোরআন হাতে লেখার উদ্যোগ নিয়ে সম্পন্ন করার কাজটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এতো সুন্দরভাবে কোরআন লিখলেন সেটি আসলেই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। 
০১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪

মায়ের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
গোপালগঞ্জ সদরে মায়ের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে সুমাইয়া নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সের ওই শিক্ষার্থীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আরবি ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালে হরিদাসপুর রয়েল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার এসএসসি পরীক্ষার্থী খাদিজা নিজে পরীক্ষা না দিয়ে তার মেয়ে গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়াকে দিয়ে নিজের এসএসসি পরীক্ষা দিতে পাঠায় কেন্দ্রে। কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান জানান, পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পরে হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে এক পরীক্ষার্থীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। দেখা যায়, গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী খাদিজা খানমের স্থলে তার মেয়ে সুমাইয়া খানম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পরে মায়ের পরীক্ষায় মেয়ে অংশগ্রহণ করার অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা বড় ধরনের অপরাধ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী খাদিজা বেগম জানান, এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েকে দিয়ে দেওয়ানো ভুল হয়েছে। তবে এই বয়সে মনের ইচ্ছা মেটাতেই পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৪

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩ ছাত্রী অজ্ঞান, হাসপাতালে ভর্তি 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার বেলাট দৌলতপুর আলিম মাদরাসার ৩ পরীক্ষার্থীর একসঙ্গে জ্ঞান হারানোর খবর পাওয়া গেছে। জ্ঞান হারানো ৩ শিক্ষর্থীকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সকাল ১০টায় কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর মাজদিয়া আয়েশা ফুলজাল মেমোরিয়াল দাখিল মাদরাসার ছাত্রী শামিমা খাতুন (১৬) অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর একই মাদরাসার মোছা. নদী খাতুন (১৬) ও মোছা. সুরাইয়া খাতুন (১৬) নামের আরও দুই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন।  বেলাট দৌলতপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ অলিউর রহমান জানান, প্রাথমিক চিকিৎসায় তাদের জ্ঞান না ফিরলে দ্রুত কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় তাদের। আমি ছাত্রীদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শিশির কুমার সানা জানান, অসুস্থ শিক্ষার্থীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে জ্ঞান হারানোর কারণগুলো জানতে পারবো ।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১২

মাদরাসায় ছাত্রী ধর্ষণ, মুহতামিমসহ গ্রেপ্তার ৫
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার মূলহোতা ওই মাদরাসার মুহতামিম ইসমাইল হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম। তিনি জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার মূল আসামি ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মাদরাসার মুহতামিম ইসমাইল হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে মেয়েটির বাবা বলেন, তার মেয়ে মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়েন। বুধবার সন্ধ্যার পর আমার মেয়ে মাদরাসা থেকে বাড়িতে আসার পর তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ মনে হচ্ছিল। মেয়েকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানায়। পরে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই আমার মেয়ের চিকিৎসা চলছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৪

রুমে ডেকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন স্যার : চবি ছাত্রী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের জৈব শাখার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘আমি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে মাস্টার্সের থিসিস করছি। থিসিস চলাকালে আমার সুপারভাইজারের মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন। ওই ছাত্রী আরও বলেন, জোর করে হাত-পা চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে জোরপূর্বক স্পর্শ করাসহ অসঙ্গত ও অনুপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি ল্যাবে একা কাজ করা অবস্থায় তিনি জোর করে জড়িয়ে ধরেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা প্রকাশ না করতে ওই শিক্ষক বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একই সঙ্গে আমার পক্ষে এ গবেষণাগারে থিসিসের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘এমনিতেই আমি বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ নিয়ে আছি, তার ওপর এ অভিযোগ। ৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবন পার করছি, কিন্তু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একটি ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছে, যার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ওই ছাত্রী বিভিন্ন সময় আমার ঘরে আসত। আমার স্ত্রীর সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক। আমার বয়স হয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা আমি কেন করব। আমার এক ছাত্রর কাছ থেকে দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। থিসিসের কারণে বিভিন্ন সময় কেমিক্যাল চাইতো ছাত্রীটি। আমি অনেক ক্ষেত্রে দিইনি। হয়তো সে কারণে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এই চেষ্টা বলে জানান অধ্যাপক।’ এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান দেবাশীষ পালিত জানান, শিক্ষক হিসেবে আমাদের কাছে বিষয়টি লজ্জার। ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন অভিযুক্ত শিক্ষক। উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে  ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৬

নিউইয়র্কের সড়কে বাংলাদেশি কলেজছাত্রীর মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় দেবপ্রীতা দে ব্রতী (১৮) নামের এক বাংলাদেশি কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন।  স্থানীয় সময় রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পুলিশ জানায়, বন্ধু জীবন লেইকেনের (১৯) সঙ্গে ইনফেনিটি গাড়ির আরোহী ছিলেন ব্রতী। বাহির পথে অন্য একটি জিপের সঙ্গে তাদের গাড়িটির ধাক্কা লাগলে পিছলে গিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বন্ধুসহ ব্রতীর লাশ উদ্ধার করেন। পুলিশ অন্য জিপের চালককে আহত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনার কারণ জানতে না পারায় নিউইয়র্ক পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রোববার বেলা ২টার দিকে পুলিশ পরিবারের খোঁজ করে দেবপ্রীতার বোনকে মৃত্যুসংবাদ জানায়। জানা গেছে, নিহত ব্রতী সিলেটের ওষুধ ব্যবসায়ী ও সেন্ট্রাল ফার্মেসি পরিবারের পরিচিত মুখ দেবাশীষ দে বাসুর মেয়ে। ম্যানহাটন কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রীতা পরিবারের সঙ্গে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামের এলাকায় থাকতেন। তবে বর্তমানে তার বাবা-মা দেশে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার সিলেট শহরের চালিবন্দরে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।   
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৯

অবশেষে ভাইভা দিলেন নেকাব না খোলা সেই ছাত্রী
নেকাব খুলতে রাজি না হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা দেড় মাস ধরে আটকে ছিল। অবশেষে আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপাচার্যের নির্দেশে সেই ছাত্রীর ভাইভা গ্রহণ করা হয়।  ভাইভার আগে পৃথক কক্ষে দুই নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।  এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর পুরুষ শিক্ষকদের সামনে নেকাব খুলতে অসম্মতি জানানোয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা নেওয়া হইনি তার। এর প্রতিবাদে দুই দফায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির নির্দেশে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে তার ভাইভা নিয়েছেন শিক্ষকরা।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি শিক্ষক শিমুল রায়। তিনি বলেন, ভাইভা ঠিকমতো সম্পন্ন হয়েছে। ভাইভার আগে নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এর আগে ভিসি স্যার আমাদের ডেকে ভাইভা নিতে বলেছিলেন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, বিভাগের পক্ষ থেকে নেকাব না খোলার আশ্বাস পেয়ে ভাইভাতে অংশগ্রহণ করেছি। ভাইভা ঠিকঠাক মতোই হয়েছে। বোর্ডে স্যার ম্যামরাও অনেক আন্তরিক ছিলেন। ভবিষ্যতে অন্য কারোর সঙ্গে যেন এইরকম না ঘটে সেটাই আমার চাওয়া। গত ১৩ ডিসেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভাইভায় নেকাব পরে অংশ নেয় এক ছাত্রী। এ সময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। এ সময় ওই ছাত্রী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের সামনে নেকাব খুলতে বলা হয়। পরে নেকাব না খোলায় তার ভাইভা নিতে অস্বীকৃতি জানান শিক্ষকরা।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়