• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফেনীতে গরু, মুরগি ও ছাগলের মাংসের দাম নির্ধারণ
রমজান উপলক্ষে ফেনীতে গরু, মুরগি ও ছাগলের মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে পৌরসভার উদ্যোগে পৌর মিলনায়তনে শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাম নির্ধারণ করা হয়। দাম নির্ধারণ করে দেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফেনীর মানুষের স্বার্থে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি হলেও ঈদের পরে তাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে। শুধু রমজান উপলক্ষে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেই দামে বিক্রি করার অনুরোধ জানাই। সভায় প্রতি কেজি ২শ গ্রাম হাড়সহ গরুর মাংস ৭০০ টাকা, হাড় ছাড়া ৮৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০৫০ টাকা, সাদা মুরগি ১৯০টাকা এবং সোনালী মুরগির দাম ২৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

পঞ্চগড় প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল / ভুল চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ
পঞ্চগড়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে কম্পাউন্ডারের ভুল চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চত্তরে চিকিৎসকের অবহেলায় তার ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেন সদর উপজেলার মীরগড় এলাকার দরিদ্র রংমিস্ত্রী আব্দুর রহমান লিটন। পরে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। লিটন জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে দুটি ছাগল চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপতালে। তবে সেখানে কোনো চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। অফিসের ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট এসে চিকিৎসা দেয়। সেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তাতে কোন উন্নতি না হওয়ায় আবারো মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ছাগল দুটি নিয়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে হাজির হন লিটন। দুই ঘন্টা পরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কম্পাউন্ডার রেজাউল করিম এসে তার ছাগলের চিকিৎসা শুরু করে।  ব্রঙ্কোভেট নামের একটি সিরাপ এনে খাওয়াতে বলেন। ওই সিরাপ খাওয়ানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই মারা যায় একটি ছাগলটি। ছাগলটির পেটে ৫ মাসের বাচ্ছা ছিলো।  নিজের কষ্টে পালিত ছাগলটির এমন মৃত্যুতে চোখে জল চলে আসে লিটনের। সেই সাথে ক্ষোভ ঝারতে থাকেন প্রাণী সম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের প্রতি। পরে মৃত ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। তিনি বলেন, এই অফিসে দুই দিনেও আমি কোন ডাক্তার পাইনি। ডাক্তারের সহকারীরা এসে চিকিৎসা দেয়। তাদের ভুল চিকিৎসা আর অবহেলায় আমার ছাগলটি মারা গেলো। গরু ছাগল আমাদের গরিবের সম্পদ। ছাগলটি বাজারে নিলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দাম হতো। এতো কষ্ট করে পালন করা পর চিকিৎসার অভাবে পশু মারা গেলে কি কষ্ট, যার যায় সেই জানে। আমি এর বিচার চাই। এদিকে রেজাউল করিম স্বাক্ষর করে ঔষুধের লিস্ট লিটনের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। শুধু লিটনই না প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা আর অনিয়মে ক্ষুব্ধ জেলার খামারিরাও। খামারিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম ঠিক মতো অফিস করেন না। ভেটেনারি সার্জন ডা. মরিয়ম রহমান আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। তাই হাসপাতালে অসুস্থ পশু নিয়ে আসলে চিকিৎসা দেন কমাউন্ডার বা ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্টরা। এভাবেই চলছে হাসপাতালটির কার্যক্রম।  অন্যদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামকে খামারিরা চিকিৎসার জন্য ডাকলে মোটা অঙ্কের ভিজিট দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন খামারিরা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বড় খামারিদের বিশেষ সুবিধা দেয়া, ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ভেটেনারি ক্লিনিকের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে গণ অভিযোগ করেন খামারিরা। পঞ্চগড় সদর উপজেলার জালাসী এলাকার খামারি মো. সোহেল বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে ডাকলে ১০০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়। ভিজিট না দিলে তারা আসে না। মডেলহাট এলাকার এক গরিব খামারি তাকে ভিজিটের টাকা দিতে না পারলে গাড়ি চালক দিয়ে তার খাসি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে রেখে যেতে বাধ্য হন। ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট রেজাউল করিম বলেন, আমি ইউএলও স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করি। স্যারের নির্দেশনায় চিকিৎসা দেই। শ্বাসকষ্টের কারণে ছাগলটি মারা গেছে। আমি স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে আছি। চিকিৎসা দেয় স্যার আমি জাস্ট স্যারের এডভাইস ফলো করি। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  ডা. শহিদুল ইসলামের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। এমনকি তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৪

মরা ছাগলের মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
খাগড়াছড়িতে মরা ছাগলের মাংস বিক্রি করায় এক কসাইকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফান উদ্দিন এ জরিমানা করেন। অভিযুক্ত কসাই ওয়াসিম খাগড়াছড়ি সদরের মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুব আলীর ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ওয়াসিম মরা ছাগল জবাই করে বাজারে বিক্রি করতে আনলে স্থানীয় ক্রেতারা বুঝতে পেরে থানায় খবর দেন। পরে জেলার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সিরাজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাগলটি মরা বলে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে এরফান উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযুক্ত কসাইকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়