• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ছাগল চুরি করতে গিয়ে খেলনা পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার
পাবনায় ছাগল চুরির অভিযোগে এক যুবককে খেলনা পিস্তলসহ আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বাগুয়ান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ইমরান হোসেন (২০) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শুকুলহাট গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। পুলিশ জানায়, ভাঙ্গুড়ার বাগুয়ান গ্রামের আবেদুল মমিন তার গোয়ালঘরে তিনটি ছাগল বেঁধে রেখেছিলেন। গভীর রাতে মমিন ছাগলের ডাক শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তিনি দেখেন গোয়াল থেকে তার তিনটি ছাগল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এক যুবক। এ সময় গৃহকর্তা চিৎকার করলে যুবক তার হাতে থাকা খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে লোকজন খেলনা পিস্তলসহ ইমরানকে আটক করেন। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২১

ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ৩ ছাগল
দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হলো বাংলাদেশের চায়না বেগম নামের এক নারীর তিনটি ছাগল। পরে বিজিবি স্থানীয় কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামকে হস্তান্তর করেন মালিককে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হিলি সীমান্তের ৬নং বিজিবি পোস্টে সীমান্তের শূন্য রেখায় বিএসএফের এস আই রাজেস বালুদাহ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফজলুর রহমানের হাতে ছাগল বুঝিয়ে দেন। ছাগলের মালিক চায়না বেগম বলেন, ছাগল তিনটি গতকাল খাবারে খেতে বাসা থেকে বের হয়ে যায়, পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভারতে চলে গেছে জানতে পেরে বিজিবি সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করলে তারা আজকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আমার ছাগল ফিরিয়ে এনে দেয়। ছাগল পেয়ে আমি অনেক খুশি। হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফজলুর রহমান বলেন, এক মহিলার তিনটি ছাগল ভারতে চলে যায় সেগুলো বিএসএফ সদস্যরা তাদের হেফাজত রাখে। আজ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ছাগল ফিরিয়ে আনা হয় এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে ছাগল পরিবারটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪

‘ছাগল চুরি দেখে ফেলায় রণজিৎকে হত্যা’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ‌্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া গ্রাম পুলিশ রণজিৎ কুমার দে’র (৪০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মুক্তার হোসেন (২৮) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ। পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় মুক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুক্তার। এ ছাড়া তাদের ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক ও চুরি হওয়া দুটি ছাগলের মধ্যে একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি সকালে চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি মেহগনি বাগান থেকে রণজিতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৮ জানুয়ারি দুপুরে নিহতের স্ত্রী রিতা দে বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত রণজিৎ কুমার দে বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি গ্রামের শিবেন্দ্র দে’র ছেলে। আর গ্রেপ্তার মুক্তার শেখ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঝাউকাঠি গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাই। মূলত ছাগল চুরি দেখে ফেলাকে কেন্দ্র করে রণজিৎকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে তিনজনের একটি দল পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে দুটি ছাগল চুরি করে ইজিবাইকে নিয়ে এসে চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে অবস্থান নেন। রণজিৎ দে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যখন বাইরে বের হন তখন তিনি বিষয়টি দেখে ফেলেন। এ সময় চোর চক্রটি রণজিৎকে ডেকে টাকার লোভ দেখায়। কিন্তু রণজিৎ দে তাতে রাজি না হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে চাইলে তখন রণজিৎকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে তারা রনজিতের মরদেহটি পাশের এক মেহগনি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের এসআই রাজিবুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

ঠান্ডায় মারা গেল খামারির ১০৫ ছাগল
ফেনীর সোনাগাজীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এক খামারির ১০৫টি ছাগল মারা গেছে।  চলতি মাসে উপজেলার চর খোয়াজ এলাকায় এসব ছাগলের মৃত্যু হয়। শহীদুল ইসলাম নামের ওই খামারি পুঁজি হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা নেবু লাল দত্ত। তিনি জানান, শীতকালে অপরিচ্ছন্ন ও খোলা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ছাগলগুলোকে রাখায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সেগুলোর মৃত্যু হয়েছে।  ছাগলের মৃত্যুর বিষয়ে খামারি শহীদুল ইসলাম জানান, তার প্রধান পেশা গরু-ছাগল পালন। আগে ছয়-সাতটি গরুর খামার থাকলেও ২০১৮ সালে সাড়ে আট লাখ টাকা খরচ করে ৩০টি ছাগল দিয়ে ছাগলের খামার শুরু করেন। ধীরে ধীরে ছাগলগুলো বাচ্চা দিয়ে খামার ভরপুর হয়ে ওঠে। ৩০টি ছাগল থেকে তার খামারে প্রায় দেড়শো ছাগলের খামার হয়। পরে গত কোরবানির ঈদে ৪০টি ছাগল বিক্রি করে দেন। এরপর খামারে থাকা ১১০টি ছাগলকে লালন-পালন করেন। চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাগলগুলো। কোনোটা দাঁড়াতে পারছিল না ও খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিছু ছাগলের মুখ দিয়ে লালা ঝরতেও দেখা যায়। তিনি আফসোস করে বলেন, সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে ছাগলগুলোকে চিকিৎসা করান। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মৃত ছাগলগুলোর মধ্যে দুটিকে ফেনীর আঞ্চলিক পশু হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তে ছাগলের মধ্যে কোনো রোগের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। মারা যাওয়া ছাগলগুলোকে গর্ত করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়