• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গলফ কার্টে চড়ে ওমরাহ করার সুযোগ
বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য কাবা শরীফে তাওয়াফ করতে স্মার্ট গলফ কার্টের ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরব। দুবাইভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে গলফ কার্টগুলো মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে নেওয়া হয়েছে। গলফ কার্টগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এগুলো মসজিদের ছাদে সুন্দরভাবে চলতে পারে। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এই সেবা পাওয়া যাবে। একেকটি গলফ কার্টে একসঙ্গে ১০ জন বসতে পারবেন। গলফ কার্টে চড়তে প্রত্যেককে খরচ করতে হবে ২৫ রিয়াল। এদিকে গলফ কার্টে চড়ে ওমরাহ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, গলফ কার্টে বসে আছেন ওমরাহকারীরা। আর সেটি তাদেরকে নিয়ে কাবা শরীফ তাওয়াফ করছে। কাবা তাওয়াফের জন্য ২০১৪ সাল থেকেই গলফ কার্ট চালুর পরিকল্পনা করছিল সৌদি আরব। দেশটির প্রয়াত বাদশা আব্দুল্লাহ ওমরাহকারীদের সুবিধার্থে গলফ কার্ট চালুর নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৩

মেট্রোরেলে চড়ে অফিস পরিদর্শনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মেট্রোরেলে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেস ক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে তিনি পৌঁছান বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান। এরপর সেখান থেকে তিনি আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেস ক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ মিনিট। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাহবাগ-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট-বিজয় সরণি স্টেশনে প্রায় এক মিনিট করে যাত্রী ওঠা-নামার সময় ছিল। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেট্রোরেল আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে যুক্ত। সময় কত মূল্যবান ঢাকার মানুষ সেটি বুঝতেছি। এ রুটে যারা যাতায়াত করে এখন তাদের দুই তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এটি আনন্দের। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মেট্রোরেল করতে পেরেছেন। মেট্রোরেল যাতে নির্মাণ না হয়- সেজন্য ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটিয়েছিল। জাপানের সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে সম্পর্ক সেটি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ছিল। ঢাকাবাসী যেন মেট্রোরেলের মত এরকম একটি পরিবহন না পায় সেজন্য ষড়যন্ত্র ছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর একটি মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেতো। এখন সেটা আনন্দের বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, দিন বদলের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগে মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন এই রোডে যানজট যেটা নিত্যদিনের ছিলো সেটা কিন্তু নাই। যাত্রীদের ভোগান্তি নাই। মাত্র কয়েক মিনিটেই চলে যাচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কর্মচারীরা এখন মেট্রো রেলে যাতায়াত করে। আগে যেখানে দুই ঘণ্টা লাগতো এখন মাত্র ১০/১২ মিনিটে আগারগাঁও চলে যাচ্ছে, এখন দেড় ঘণ্টার মত সময় বেঁচে গেছে। দেড় ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে একটা ক্লান্তি চলে আসতো, এখন সেই ক্লান্তিটা নাই। তিনি বলেন, এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপ নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকিগুলো চালু হয়ে গেলে ঢাকার পরিবেশটাই সুন্দর হয়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী আগারগাঁও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য মো. মুসা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালনার পরিষদের সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর আজকে আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোন সংস্থায় প্রথম সফর। আজকের অনুভূতিটা একটু ভিন্ন ধরনের- কারণ আজকে মেট্রোরেলে চড়ে সচিবালয় থেকে আগারগাঁও এসেছি। প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা থাকতে হবে; শৃঙ্খলা রাখতে হবে। আমার খুব ভালো লাগছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের এফডিআর এ জমা আছে ৮০০ কোটি টাকা। সেটি মিলিয়ন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

মেট্রোরেলে চড়ে অনুষ্ঠানে গেলেন পরিবেশমন্ত্রী
মেট্রোরেলে চড়ে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওস্থ বন অধিদপ্তরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেট্রোরেলে চড়ে বিশ্ব জলাভূমি দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। মেট্রোরেলে ভ্রমণকালে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী। পাশে বসা যাত্রীর কোলে থাকা শিশুর হাতে হাত দিয়ে নামও জানতে চান মন্ত্রী। এ সময় পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে জনসাধারণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এর আগে সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন মত থাকতেই পারে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো থাকবে। নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করলেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে। পিটার হাস বলেন, যদিও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এরপরও কিছু ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এরমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশ ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৭

ভ্যানে চড়ে মিরপুরে প্রবেশ করল ক্রিকেটারদের কিট ব্যাগ
গত আসরে বিপিএলের নানা অনিয়ম চোখে পড়াই সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। তাই এবারের আসর শুরু অনেক আগে থেকেই টুর্নামেন্টকে জাঁকজমক করার চেষ্টা করছে আয়োজকরা। তবে বিপিএল বলে কথা অনিয়ম থাকবে না, তাই কখনও হয়। এবার দেখা গেল ভ্যানে করে ক্রিকেটারদের কিট ব্যাগ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মিরপুরে অনুশীলন করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী দিনের দুই ম্যাচে চার দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এ সময় দেখা যায় দুটি ভ্যান ক্রিকেটারদের বেশ কয়েকটি কিট ব্যাগ নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করছেন। তবে নির্দিষ্ট করে বোঝা যায়নি আসলে কোন দলের ক্রিকেটারদের এই ব্যাগগুলো। তবে দুইটি ব্যাগে খুলনা টাইগার্সের লোগো দেখে মনে হচ্ছিল ভ্যান দুটি খুলনা টাইগার্সের হতে পারে। এর আগে আমরা দেখেছি যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলো নিজেদের টিম বাসকে ক্রিকেটারদের ছবি এবং দলের লোগোর ছবি দিয়ে রাঙিয়ে তুলতেন। তবে এবারের আসরে সেই ঐতিহ্যও হারিয়েছে দলগুলো। বিসিবি যেখানে নিজেদের লভ্যাংশ ভাগ করতে চাই না, সেখানে দল গুলোই বা কেন বাড়তি খরচ করবে। তাই সাদামাটা ভাবে আয়োজন করে যতটা টাকা বাঁচানো যায়, এই পথেই হাঁটছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। আসরের সব থেকে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালতো বলেই দিয়েছেন, চলতি আসর শেষে দল রাখবেন না তিনি। আগামীকাল আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে মোকাবিলা করবে দুর্দান্ত ঢাকা। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে সিলেট ও চট্টগ্রাম।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

সোনাগাজীতে হেলিকপ্টারে চড়ে প্রবাসীর বিয়ে
ঘোড়ায় চড়ে স্বপ্নের রাজপুত্র এসে নিয়ে যাবে রাজকন্যাকে গল্পকথায় এমন উপমার দেখা হরহামেশাই মেলে। তবে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একালের রাজকন্যাদের বিয়ের গল্পরও আধুনিকায়ন হয়েছে। এখন রাজকন্যাদের স্বপ্নের রাজপুত্র আর ঘোড়ায় চড়ে নয়, আসেন হেলিকপ্টারে চড়ে। একালের এমনই এক রাজপুত্রের দেখা মিলল ফেনী জেলার সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলি গ্রামে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে তুলাতলি মাঠে এসে নামল এমনই একটি হেলিকপ্টার। চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে উঠেছে। কিছুক্ষণ পর আকাশযান থেকে নেমে এলেন বর স্পেন প্রবাসী ইসরাফুল আলম।  লালগালিছা অতিক্রম করে পাশেই অপেক্ষা করা ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের গাড়িতে ওঠেন বর। তাতে চড়েই রাজকন্যাকে আনতে জারা কমিউনিটি সেন্টারে গেলেন স্বপ্নের রাজপুত্র।  বর-কনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের স্পেন প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন ও রোকেয়া বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে মো. ইসরাফুল আলম রিফাত। আর কনে হলেন সোনাগাজী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মাঈন উদ্দিন মানিক ও নুর নাহার বেগম দম্পতির মেয়ে খাদিজাতুল কোবরা নিঝুম। বিয়ের এই মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও গ্রামবাসীর মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়াতে দুই লাখ দশ হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন বর পক্ষ। মাঠে হেলিকপ্টারটি যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই চারপাশে ছিল উৎসুক জনতার উপচেপড়া ভিড়। নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন সোনাগাজী মডেল থানার একদল পুলিশ।  সরেজমিনে দেখা যায়, হেলিকপ্টারে করে আসা বরকে দেখার জন্য আশপাশের অনেকেই ভিড় জমান মাঠে। বিশ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বর-কনের। বর ও কনে পক্ষের দুই হাজার ১০০ জন অতিথির ভোজন শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় কনেকে নিয়ে বর ফের চড়লেন হেলিকপ্টারে। কনের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছিল বরের বাড়ি। সেখানে কনেকে বরণ করে নেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।   বরের ভগ্নিপতি মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বাবা-মার একমাত্র ছেলে হিসেবে বিয়েতে হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়।  কনের বাবা মাঈন উদ্দিন মানিক বলেন, বরের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হলে আমিও গ্রামবাসীর মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়াতে হেলিকপ্টার ভাড়ার ব্যাপারে সম্মত হই। নবদম্পতির জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই। 
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

ছেলের কোলে চড়ে ভোট দিতে এলেন বৃদ্ধ মা
সারাদেশের মতো নেত্রকোণার কলমাকান্দায়ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করেই সকাল সকাল ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে। এদিন সকালে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দার পনার পারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট দেওয়াতে বৃদ্ধ মাকে কোলে করে নিয়ে আসেন ছেলে। ওই বৃদ্ধার নাম মৃণালিনী তালুকদার। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের বড় সালেঙ্গা গ্রামের যতীন্দ্র মোহন তালুকদারের স্ত্রী। এবং তাকে নিয়ে আসা ছেলের নাম জীবন কৃষ্ণ তালুকদার। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়