• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘আলোকিত কোরআন’ চ্যাম্পিয়ন হাফেজ ইসমাইল
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আরটিভি আয়োজিত কোরআনে হাফেজদের প্রতিযোগিতামূলক রিয়্যালিটি শো আলোকিত কোরআন-২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জামালপুরের মো. ইসমাঈল হোসেন। এবার ১৪তম বারের মতো আয়োজিত হয়েছে আর্ন্তজাতিক মানের হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘জিপিএইচ ইস্পাত আলোকিত কোরআন-২০২৪।’ রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ১৪তম এ আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানটি আরটিভির পর্দায় সম্প্রচার হয়। দেশসেরা হাফেজ অন্বেষণে ১৪ বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় রিয়েলিটি শো আলোকিত কোরআন আয়োজন করে আসছে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। এবারের আসরে হাজার হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ের মুকুট ওঠে জামালপুরের ইসমাইল হোসেনের মাথায়। তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও তিন লাখ টাকার চেকের রেপ্লিকা তুলে দেন অতিথিরা। প্রথম রানার-আপ সিলেটের আবদুর রহমান জামির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও দুই লাখ টাকার চেকের রেপ্লিকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ নারায়ণগঞ্জের আবু তালহার হাতে এক লাখ টাকার চেকের রেপ্লিকা ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। মাদারীপুরের সাইফুল ইসলাম ফারহান ও কক্সবাজারের আইয়ুব বিন সাইদ হন যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম। ৯৫, তেজগাঁও বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, আজ আরটিভি পরিবারের জন্য একটি আনন্দঘন দিন, কারণ এখানে আজ সর্বকালের সেরা এবং সার্বজনীন মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআনের বাহক আলোকিত সব কোরআনের হাফেজগণ উপস্থিত হয়েছেন। আর এইসব আলোকিত মানুষের কারণেই পবিত্র কোরআন চর্চায় আরটিভির এই আয়োজন সময়ের সেরা আয়োজন হয়ে উঠেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, আলোকিত কোরআন ২০২৪-এর ১৪তম আসরে পবিত্র রমজান মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একঝাঁক তরুণ প্রতিভাবান হাফেজে কোরআনকে আরটিভি আমাদের সামনে হাজির করেছে, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ইসলাম প্রসারের পথকে আরও আলোকিত করবে। আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু বলেন, বিগত ১৪ বছরে  আরটিভির এই আয়োজন আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় একটু একটু করে এগিয়েছে। দেশ ছাড়িয়ে তাই এই আয়োজনের জনপ্রিয়তা আজ বিশ্বব্যাপী। আরটিভির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউব ও ফেজবুক পেজে মানুষের ভালোবাসা ও মন্তব্যগুলো তার অন্যতম প্রমাণ। এই আয়োজনের সকল বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীর জন্য আমার পক্ষ থেকে মোবারকবাদ। ধন্যবাদ সকল ওস্তাদ ও আলেম সমাজকে, ধন্যবাদ আমাদের দর্শকদের যারা বরাবরই আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। উক্ত আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন আরটিভির পরিচালক শামসুল আলম সুমন, জিপিএইচ ইস্পাত-এর জেনারেল ম্যানেজার  মো. মামুন কবির, আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর  মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। উল্লেখ্য, দেশব্যাপী আরটিভির ১৪তম হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শুরু হয় দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সহস্রাধিক প্রতিযোগী থেকে অডিশনের মাধ্যমে। সেই অডিশনে দুইশয়ের অধিক সেরা হাফেজকে বাছাই করে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিচারিক অডিশনের জন্য। রাজধানী ঢাকার ৯৫ তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে চূড়ান্ত অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয় সেরা ৩০ জন প্রতিযোগী হাফেজকে। তাদের নিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। মাসব্যাপী আয়োজনে প্রতিযোগী হাফেজদের তিলাওয়াতকে মূল্যায়ন করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্বারী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বিচারক হাফেজ ক্বারী মো. নাজমুল হোসাইন। বিচারক হিসেবে ছিলেন- আবুধাবী থেকে আগত মসজিদুল ওবায়েত মো আব্দুল্লাহ আল কায়োবি আল আইন, আবুধাবীর ইমাম প্রখ্যাত হাফেজ কারি আজহারুল ইসলাম ও অস্ট্রিয়া থেকে আগত মিশরের আল আযহার থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা অস্ট্রিয়ার মসজিদুল হিদায়ার ইমাম ও খতিব অধ্যাপক শায়খ আবদুল মতিন আল আজহারী। অনুষ্ঠান বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মো. শামসুদ্দিন মিঠুর নির্বাহী প্রযোজনায় গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজনের উপস্থাপনায় ছিলেন মাওলানা মো. হেদায়েতুল্লাহ। টাইটেল স্পন্সর জিপিএইচ ইস্পাত। পাওয়ার্ড বাই আরএফএল পাইপ এন্ড ফিটিংস। সহযোগিতায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, স্মার্ট একটিভ সিনথেটিক কালার পেস্ট। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল কিউএস মাল্টিমিডিয়া।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪

আসামে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ টিম রেনেসাস
আলচেরিঙ্গা, আইআইটি গুয়াহাটির বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব, এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এই উৎসবে অংশ নেয়।  প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে প্রায় এক লক্ষ মানুষের মিলনমেলা হয়ে ওঠে এই উৎসব।  ৭ থেকে ১০ মার্চ  ভারতের আসামের আইআইটি গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আলচেরিংগা ২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ টিম রেনেসাস। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩০ দলকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ দল। ভারতের গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) বার্ষিক সাংস্কৃতিক উত্সব ও প্রতিযোগিতা ‘আলচেরিঙ্গা’ বা ‘আলচার’। এবার এই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।  ১৯৯৬ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গুয়াহাটিতে ‘আলচেরিঙ্গা’ বা ‘আলচার’ নামে বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবের এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল। চলতি বছর একঘেয়ে বিশ্বে আর্ট ব্লকের মুখোমুখি হওয়া একটি অল্পবয়সী মেয়ের গল্প, যে একটি জাদুঘরের শিল্প প্রদর্শনীতে ভ্রমণ করে, যখন সে স্মৃতি এবং সাইকেডেলিয়ার একটি যাত্রা উন্মোচন করার অনুপ্রেরণা পায়।তাই  থিমের নাম  ক্রোম্যাটিক এলিসিয়াম এই মূলমন্ত্রে ‘আলচেরিঙ্গা’-২৪ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এটা ছিল আল চেরিঙ্গার ২৮ তম  অনুষ্ঠান।  চার রাত ও ৩ দিনের এ উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রো-শো, ক্রিয়েটর ক্যাম্প, প্রো নাইটস, সোশ্যাল থেকে শুরু করে ইভেন্টের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় লাইনআপ থাকে। এবারের  উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ  প্রতিযোগিতার বিস্তৃত পরিসর। যেখানে সামিট, সাংস্কৃতিক শোকেস, কুইজ, সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রতিযোগিতার লাইন আপসহ আরও অনেক কিছু অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রিয় বলিউড গায়ক আরমান মালিকের সঙ্গীত পরিবেশনাও এবারের ফেস্টিভালকে রঙ্গিন করে তোলে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

বঙ্গবন্ধু ৪৩তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় বিজিবি চ্যাম্পিয়ন
নড়াইলে ৪৩ তম বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আর রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।  রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, জেলা প্রশাসক আশফাকুল হক চৌধুরী, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া ইউসুফ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি আয়ুব খান বুলু, সহসাধারণ সম্পাদক কৃষপদ দাস প্রমুখ। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু ৪৩ তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ২৩টি জেলা ও ৫টি সার্ভিসেস দলসহ মোট ২৮টি দলের ২১৮ জন খেলোয়াড় পুরুষ গ্রুপে ১০টি ইভেন্টে ও মহিলা গ্রুপে ১০টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। গত ৮ মার্চে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ৩ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
১১ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কুবি
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার এফডিসিতে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  ‘দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারের ঘাটতি নেই’ এ শীর্ষক বিতর্কে সরকারি দল হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিরোধী দল হিসেবে ছিল গ্রিন ইউনিভাসিটি। বিতর্কে সরকারি দল অর্থাৎ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাদিয়া আফরিন, শাকিল আহমেদ সবুজ, সাদিয়া আফরিন মোহনা, আরাফাত হোসাইন ও এনায়েত হোসাইন অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান, এমপি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি, স্টাট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি ম্যানেজার, সার্ভিস রায়হান প্রমুখ। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তানজিনা শারমিন, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, সাংবাদিক অনিমেষ কর ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সবুজ। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান জনাব হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হলেও এখনো আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক মানুষ দুর্যোগ ঝুঁকিতে বসবাস করছে। দুর্যোগের কারণে বাস্তচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। দুর্যোগজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে অনেক মানুষ শহরে এসে ভীড় করছে। যারা পেশাহীন হয়ে নগদ দারিদ্র তৈরিসহ ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। বাস্তচ্যুত গৃহহীন এসব মানুষকে এখনও পুরোপুরি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন দশকে বাংলাদেশে ২০০ টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছে, এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষয়ক্ষতির ৮৫ শতাংশই হচ্ছে বন্যা, নদীভাঙ্গন ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে।  এ সময় তিনি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

চ্যাম্পিয়ন হতে বরিশালের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
বিপিএলের দশম আসরের ফাইনাল ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। পঞ্চম শিরোপা ঘরে তোলার লড়াইয়ে তামিমের বরিশালকে ১৫৫ রানে লক্ষ্য দিয়েছে লিটনের কুমিল্লা। শুক্রবার (১ মার্চ) ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সুনিল নারিনকে হারায় কুমিল্লা। ৪ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে এসেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই টাইগার ব্যাটার। ১০ বলে ১৫ রান করে জেমস ফুলারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখার কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। তবে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি লিটন। ১২ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে  রান তুলতে থাকেন গত আসরে কুমিল্লাকে শিরোপা এনে দেওয়ার নায়ক জনসন চার্লস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটার। ১৫ বলে ১৭ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৪ বলে ৩ রান করে জনসনের দেখানো পথে হাঁটেন মঈন আলীও।  কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৩৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ দিকে জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রাসেল। ১৯তম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ২১ রান তোলেন এই ক্যারিবিয়ান মারকুটে ব্যাটার। শেষ ওভারে প্রথম বলে ইয়োরকার দিয়ে রাসেলকে পরাস্থ করে সাইফউদ্দিন। কিন্তু নো বল ঘোষণা করে আম্পায়ার। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রাসেল। পরের টানা দুই বল ওয়াইট দেন এই টাইগার পেসার। পরের দুই বলেও রাসেলকে দুর্দান্ত ভাবে পরাস্থ করেন তিনি। চতুর্থ বলে স্ট্রাইক পান জাকের। সিঙ্গেল নিয়ে রাসেলকে স্ট্রাইক দেন তিনি। শেষ বলে এক রান নিয়ে সাত রান নিয়ে ওভার শেষ করেছে সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ২৩ বলে ২০ রান এবং রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানে ভর করে ১৫৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বরিশাল। ফরচুন বরিশালের হয়ে  দুই উইকেট শিকার করেন জেমস ফুলার। এ ছাড়াও কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং ওবেদ ম্যাকয় একটি করে উইকেট শিকার করেন।  
০১ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

চেলসিকে কাঁদিয়ে ইংলিশ লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ নামে পরিচিত) ফাইনালে চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১১৮তম মিনিটে রোমাঞ্চে জল ঢেলে দিলেন লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক। এ জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম ক্লাব হিসেবে রেকর্ড ১০ বার লিগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ল লিভারপুল। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রানে লন্ডনের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ও গোলবন্ধ্যাত্বেই কাটতে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে ফন ডাইকের গোলেই চেলসিকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল লিভারপুল। ম্যাচের শুরুতে বেশ ভুগতে দেখা যায় মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলকে। সেই সুযোগে তাদের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে লিভারপুল। টানা আক্রমণও করতে থাকে, যদিও তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। বরং আচমকাই ২০তম মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পেয়ে যায় চেলসি। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন কোল পালমার। তবে তার জোরাল শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন লিভারপুলের দ্বিতীয় সেরা গোলরক্ষক কুইভেন কেলাহার। ৩২তম মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের পাস ধরে বল জালে পাঠান চেলসির রাহিম স্টার্লিং; তবে সঙ্গে সঙ্গে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। জ্যাকসন কিঞ্চিৎ ব্যবধানে অফসাইডে থাকায় ভিএআরেও সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ধীরে ধীরে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠতে শুরু করে লড়াই। ৪০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। কোডি হাকপোর হেড বাধা পায় পোস্টে। গোল শূন্য থেকে বিরতে যায় দুই দল। ৬০তম মিনিটে ফন ডাইকের শক্তিশালী হেডে জাল কাঁপলে বুনো উদযাপনে মাতে লিভারপুলের দর্শকরা। কিন্তু লম্বা সময় ধরে ভিএআর যাচাইয়ের পর ওয়াতারু এন্দোর বিরুদ্ধে অফসাইডের রায় দেন রেফারি। এই ভুলের মাশুল দিতে বসেছিল লিভারপুল। ৭৭তম মিনিটে লিড নিতে পারতো চেলসি। পালমারের পাস থেকে কনর গালাঘেরের শট লক্ষ্যে ছুটছিল। কিন্তু দূরের পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ৮৫তম মিনিটে চেলসির এই দুজন আরেকটি সুযোগ তৈরি করেন। এবার দুর্দান্ত সেভে তাদের ব্যর্থ করেন কেলেহের। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও গাকপোর বদলি নামেন দুই টিনএজার জেমস ম্যাককনেল ও জেইডেন ড্যানস। লুটন টাউনের বিপক্ষে গত সপ্তাহে অভিষিক্ত ড্যানস অতিরিক্ত সময়ে গোল করার খুব কাছে ছিলেন।  কিন্তু তার হেড গোলবারের ওপর দিয়ে মাঠ ছাড়া করেন পেত্রোভিচ। গোলের জন্য মুখিয়ে ছিল লিভারপুল। হার্ভি ইলিয়টের দূরের পোস্টে নেওয়া হেড ফিরিয়ে দেন চেলসি গোলকিপার।  অবশেষে আসে আকাঙ্ক্ষিত গোল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেড করে জালে জড়ান ফন ডাইক। ওয়েম্বলিতে তখন লিভারপুল সমর্থকদের গর্জন। এতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪০

চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
হয়ে গেল ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ) ফাইনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বির দ্বৈরথ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। একদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দারুণ ছন্দে থাকা লিভারপুল। অন্যদিকে চিরচেনা জৌলস হারিয়ে শীর্ষ লীগে খোঁড়াতে থাকা চেলসি। কিন্তু, কাপ ফাইনালে এ ব্যবধান বোঝাই গেল না তেমন একটা। মৌসুমে  শিরোপা ছোঁয়ার একমাত্র সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রাণপণ লড়ে গেছেন মারিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। কিন্তু, বিধি বাম! একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে আর গোলবার আগলে পারলেন না চেলসির সার্বিয়ান গোলরক্ষক দোর্দে পেত্রোভিচ। খেলা শেষের দুই মিনিট আগে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ট্রেডমার্ক হেডে চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো অল রেড শিবির।  ম্যাচের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ ক্লপ শিষ্যদের দখলে থাকলেও খুব একটা পিছিয়ে ছিল না চেলসি। মূহুর্মূহু আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ভীড়ে উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল ফ্যানরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে অক্ষত ছিল দুই দলের গোলবারই। নির্ধারিত সময়ের দুই অর্ধে গোলের দেখা অবশ্য পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু দুবারই দুই শিবিরকে হতাশায় পোড়ায় ভিএআর। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও নিজেদের অতিমানবীয় রূপ ধরে রেখেছিলেন কেলেহার ও পেত্রোভিচ। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু, হঠাৎই দৃশ্যপটে ৮৭ মিনিটে মাঠে নামা কন্সটেন্টিনোস সিমিকাস। অতিরিক্ত সময়ে মাত্র ২ মিনিট বাকি থাকতে কর্ণার পায় লিভারপুল। আর ম্যাচের অন্তিম ওই মূহুর্তেই কর্ণার থেকে দূর্দান্ত এক কিক নেন অল রেডদের তরুণ গ্রিক লেফটব্যাক। খুব সহজেই উড়ে আসা সেই বল খুঁজে নেয় ডাচ ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকের মাথা। আর তাতেই বাজিমাত! নিজের দারুণ ট্রেডমার্ক হেডে এবার ফাঁকি দিতে সক্ষম হন চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালকে। একইসঙ্গে মৌসুমের প্রথম শিরোপা উপহার দেন বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে।  ফাইনালে নিজেদের আক্রমণভাগের তিন কাণ্ডারি মোহাম্মদ সালাহ, ডিয়েগো জোটা ও ডারউইন নুনেজকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিলো লিভারপুর। ইনজুরির কারণে ছিলেন না তারা। ক্লপকে শেষ পর্যন্ত তাদের অভাব বোধ করতে দেয়নি অল রেড শিবির। আর এফএ কাপের এ ফাইনাল হারার সঙ্গে সঙ্গে ধূলিস্মাৎ গেল পচেত্তিনো শিবিরের এ মৌসুমে শিরোপা জেতার একমাত্র বাস্তব সুযোগটাও।  ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ শতাংশ বল পসেশন ধরে রেখেছিল লিভারপুল। আর ৪৬ শতাংশ বল পসেশন ছিল চেলসির। যেখানে অল রেড শিবিরের ২১টি ফাউলের বিপরীতে ১৪টি ফাউল করেছে ব্লুজ শিবির। পুরো ম্যাচে সব মিলিয়ে গোলবারের দিকে ২৪টি শট নিয়েছেন ক্লপ শিষ্যরা। এর মধ্যে ১১টি ছিল অন টার্গেট শট, যার ১০টিই পরাস্ত হয়েছে চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালের সামনে। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে ১৯টি শট শানিয়েছেন পচেত্তিনো শিষ্যরা। এর মধ্যে ৯টি ছিল অন টার্গেট শট, যার সবকটি রুখে দিয়েছেন লিভারপুলের আইরিশ গোলরক্ষক কোয়াইমিন কেলেহার। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯

চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই কোটি টাকা ও বিএমডব্লিউ উপহার পাবে ক্রিকেটাররা
গত বছর ভারত বিশ্বকাপে সাকিব-মিরাজরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে টাইগারদের প্রত্যেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ। এবার নগদের দেখানো পথে হাঁটলো ভারতের রঞ্জি ট্রফির দল হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্লেট গ্রুপ ফাইনালে মেঘালয়কে ৫ উইকেটে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির আগামী মৌসুমে এলিট গ্রুপে উন্নীত হয়েছে হায়দ্রাবাদ। দল শীর্ষস্তরে ওঠায় হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন খু্বই খুশি। জয়ের পর দলের জন্য ১০ লাখ রুপি এবং সেরা পারফর্মারের জন্য ৫০ হাজার রুপি আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।  তবে ভারতের রাজ্য ক্রিকেট দলের এ সংস্থার সভাপতি জগন মোহন রাওয়ের মন্তব্য সবার নজর কেড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে হায়দ্রাবাদ রঞ্জি ট্রফি জিততে পারলে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বিএমডব্লিউ এবং দলকে এক কোটি রুপি দেয়া হবে। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা পোস্টে জগন মোহন লিখেছেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়কে একটি করে বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং দলকে নগদ এক কোটি রুপি দেয়া হবে, যদি আগামী তিন বছরের মধ্যে দল রঞ্জির এলিট ট্রফি জিততে পারে। এর আগে আফ্রিকান নেশনস কাপে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আইভরিকোস্ট। এতে দলটির প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ কোটি সিএফএ ফ্রাঁ বোনাস দেয় আইভরিকোস্টের সরকার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯১ লাখ টাকার সমান।  শুধু নগদ অর্থই নয় সব খেলোয়াড়কে একই মূল্যের ভিলা বা বাড়ি উপহারও দেয়া হয়েছে। রানার্সআপ নাইজেরিয়ার খেলোয়াড়রাও দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জমি ও ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

এশিয়ান কাপ ফাইনাল / তিন পেনাল্টিতে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন কাতার
শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে এশিয়ান কাপে অংশ নিয়েছিল কাতার। ফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। শিরোপা জয়ে লড়াই কাতারকে ৩-১ গোলের ব্যবধারে পরাস্থ করে টানা দুইবার এশিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মধ্য পাচ্যের দেশটি। তবে তিন গোলের প্রতিটিই পেনাল্টি থেকে এসেছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কাতার ও জর্ডান। এই ম্যাচে তিন পেনাল্টিকে গোলে রূপ দেন আকরাম আফিফ।  সেই সঙ্গে জর্ডানের রূপকথা থামিয়ে এশিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও ধরে রেখেছে তার দল। এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়। ৩২তম মিনিটে আফিফের কর্নারে লুকাস মেন্দেসের হেড গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় জর্ডানের। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারির প্লেসিং শট মোহাম্মদ ওয়াদের গায়ে লেগে ব্লকড হয়।  এতে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কাতার। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে জর্ডান। কাতারের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না। তবে সমতায় থাকতে পারে বেশিক্ষণ কারণ, ছয় মিনিট পরইবক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করেন আফিফ। ম্যাচের ১৩ মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে ওঠেন। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান এই ফরোয়ার্ড। এক পর্যায়ে তার সাথে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের সাথে। অফসাইডের পতাকাও ওঠে। কিন্তু কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ। এতে পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে এই কৃতিত্ব আছে কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৭

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / প্রতিবাদ করে শিরোপা উদ্ধার করল বাংলাদেশ, যৌথ চ্যাম্পিয়ন দুই দল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ সালে ফাইনাল ম্যাচ ইতিহাসে পাতায় হয়তো স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে যা ঘটেছে তা ফুটবল ইতিহাসে এর আগে কখনও ঘটেনি। এই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে যৌগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় ম্যাচের ঘটনাগুলো। শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিকরা। ফাইনালে ভারত রেফারির সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাঠ ত্যাগ করায় নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে সময়ে। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কারণ সাফের নিয়ম অনুসারে টস করে ম্যাচের রেজাল্ট ঘোষণা করার নিয়ম নেয়। ফলে প্রতিবাদ করায় ম্যাচ রেফারি ডি সিলভা ক্ষমা চেয়ে তার সিদ্ধান্ত পর পরিবর্তন করেন। আবারও টাইবেকারের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। তবে মানতে রাজি হয়নি ভারত। এরপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায় ভারতীয় দল। এরপর ম্যাচ রেফারি তাদের মাঠের নামার জন্য ৩০ মিনিটের সময় বেঁধে দেন। তবে সেই ৩০ মিনিটের পর প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার ম্যাচের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রেফারি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দল নয়, দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে রেফারি ডি সিলভা। এর আগে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মারিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রমণের পর আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে সাগরিকারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়