• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁর মহাদেবপুর অটোরিকশা চুরির অভিযোগে আরমান সাকিদার (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদরের পাইকারি কাঁচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আরমান সাকিদার পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়খলি খাঁপাড়ার আমজাদ সাকিদারের ছেলে। জানা যায়, দুপুরে পাইকারি কাঁচাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে। পরে হাত বেঁধে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে হাটের ইজারাদারের লোকজন হাত বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাদের অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

হাওরে চুরি ৩ বৈদ্যুতিক টান্সফর্মার, ৪ চোর গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত অষ্টগ্রামের হাওরে সেচপাম্পের তিনটি বৈদ্যুতিক টান্সফর্মার চুরির ঘটনায় চার চোরসহ টান্সফর্মারের খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ মার্চ) ইটনা, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক সময়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ইটনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে মো. সায়েম (২২), একই ইউনিয়নের বড়হাটির গ্রামের সোনা উল্লাহ ছেলে মাইনুল ইসলাম (২৬), নয়াহাটি গ্রামের সিজিল ঠাকুরের ছেলে মো. লিটন ঠাকুর (২৫) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার তেরহাসিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৭)। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের হাওরে একটি সেচপাম্পের তিনটি টান্সফর্মার চুরি হয়। এ ঘটনায় বুধবার মামলা দায়ের হলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে অষ্টগ্রাম থানা পুলিশ। শুক্রবার গোপন খবরের ভিত্তিতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী ফেরীঘাট থেকে চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের ৬টি তামার কয়েল ও চোরাই পণ্য পরিবহনে জড়িত ব্যাটারীচালিত একটি অটোরিকশা এবং অষ্টগ্রামের ভাতশালা হাওরের ভুট্টাখেত থেকে ট্রান্সফর্মারের ৩টি খালি টাংকি (ঢাকনাসহ) উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বুধবার মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৫

শ্রীপুরে আন্তজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে আন্তজেলা চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের স্বীকারোক্তিতে ৯টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে শ্রীপুর থানায় প্রঙ্গনে কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মোটরসাইকেল চোর চক্রের প্রধান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ফিসারী রোড এলাকার সিরু মিয়ার ছেলে শিপন হোসেন (৩০), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আলীহরগাতি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দুরন্ত খান (৩০), একই উপজেলার বৈতাগৈর গ্রামের চন্দন সরকারের ছেলে রঞ্জিত সরকার (২৯) ও সাগর (২১), এবং নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর গ্রামের মুন্নাফের ছেলে রিপন মিয়া (২১)। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, গত ১০ দিন আগে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকার এসএম পলাশের একটি মোটরসাইকেল রাতে বাড়ী থেকে চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ওই এলাকা থেকে দুরন্ত খান ও রঞ্চিত সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তিতে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা এলাকা থেকে তাদের সহযোগী শিপন হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে নিয়ে পুলিশ শ্রীপুর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের সদর, করিমগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৯টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এ সময় চোর চক্রের আরও দুই সদস্য রিপন মিয়া ও সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করে তারা গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, শেরপুর, জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে। তারা আন্তজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। চোর চক্রের প্রধান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ফিসারী রোড এলাকার সিরু মিয়ার ছেলে শিপন হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। সে ৫-৬বছর যাবৎ মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত।
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৮

রাজধানীতে মোবাইল চোর চক্রে জড়িত ৬ ভারতীয় আটক  
রাজধানীর বাড্ডায় মোবাইল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকরা চোরাই মোবাইল ছাড়াও কসমেটিকস, শাড়ি-কাপড় ও থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানে যুক্ত বলে জানা গেছে।  বুধবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে ভারত থেকে চুরি করে নিয়ে আসা ২১টি মোবাইল, চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা কসমেটিকস, শাড়ি-কাপড় ও থ্রি-পিস জব্দ করা হয়।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটা চক্র বাংলাদেশ থেকে স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করছিল। আবার ভারতে চুরি যাওয়া কিছু মোবাইল বাংলাদেশে এনেও বিক্রি করে তারা।   ডিএমপির এ কর্মকর্তা আরও জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তদন্তে এ রকম একটি চক্রের সন্ধান মেলে রাজধানীর বাড্ডায়। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ভারত থেকে আনা চোরাই ২১টি মোবাইলসহ অনেক চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

সাবধান চোর ভাই, বাজারে আসছে ‘গণধোলাই’
বাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও বিরক্ত। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। না করে উপায় কী? প্রতিদিন পত্রপত্রিকায় বাজারের যেসব অদ্ভুত চিত্র আসছে, তাতে কারোরই প্রতিক্রিয়াহীন থাকার সুযোগ নেই। আর তিনি তো প্রধানমন্ত্রী। দেশের অভিভাবক। তিনি নিশ্চয়ই জানেন, দেশের প্রতিটি মানুষ বাজার চিত্র বোঝে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। কারণ, সরকার দাম ঘোষণা করে দিচ্ছে কোন পণ্যের। কিন্তু বাজারে গিয়ে সেই দামের সঙ্গে পণ্যেরে দামের কোন মিল পায় না মানুষ। বিক্রেতার কাছে ক্রেতা হয়তো বলেছে সরকারি দামের কথা। কিন্তু আমি নিজে বিক্রেতাকে বলতে শুনেছি সরকারের কাছে গিয়ে কেনেন প্রতিদিন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার বচসা কখনও কখনও হাতাহাতি পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এই তথ্য নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর অজানা নয়।  আমি দু-একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেন বেশি দামে কিনতে হয়। বেশি দামে বিক্রি না করে উপায় কী? সব পণ্যের দামেরই একই অবস্থা। ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে মাংস পর্যন্ত। অথচ সরকার বলছে, প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স আছে। যদিও অতীতেও সবসময় এসব ছিল। কিন্ত বাজারের স্বেচ্ছাচার যায়নি। তাই কোন সন্দেহ নেই আমাদের সবচেয়ে বড় অস্বস্তির নাম বাজার। খোদ প্রধানমন্ত্রীই এই অস্বস্তির উদাহরণ দেন। বলেন, ‘একবার পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা দিল। পরে দেখা গেলো, বস্তার পর বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এদের কী করা উচিত, আপনারাই বলুন। তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। পণ্য লুকিয়ে রেখে পঁচিয়ে ফেলে দেবে, আরেক দিক দিয়ে দাম বাড়াবে।’ তিনি নিশ্চয়ই এও জানেন জানেন যে, বাজারে কোন পণ্যের দাম সরকার যদি কমায়, বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে অন্তত তিন মাস। আর দাম বাড়ার সময় সরকারের ঘোষণা আসার আগেই দাম বেড়ে যায়। এর জন্যে খুচরা বিক্রেতা দোষ দেন পাইকারি বিক্রেতাকে, আর পাইকারি বিক্রেতা দোষ দেন খুচরা বিক্রেতাকে। আর ক্রেতা দোষ দেন সরকারের। বাজার থেকে বাসায় ফেরেন শাপ-শাপন্ত করতে করতে। আসলে দোষ কার? কৃষক কী অস্বাভাবিক বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন? খোঁজ নিলে দেখা যাবে, আসলে কৃষকের পণ্য মজুদ করে করে রাখার সুযোগ নেই। কারণ তার ওপর বীজ, সার, পানি বিক্রেতার চাপ থাকে। তিনি ফসল ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। কোন কোন কৃষকের ফসল ক্ষেতে থাকতেই কিনে নেয় ফড়িয়া। আসলে মজুদটা হয় ফড়িয়ার ঘরে। বাজার কারসাজি করলে ফড়িয়া করে। মোদ্দা কথা বাজার থেকে পণ্যের উৎপাদকও স্বস্তি পান না, ক্রেতাও স্বস্তি পান না।  উৎপাদক এবং ভোক্তার অস্বস্তির বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিস্কার। তিনি বললেন, “দরকার দাম বাড়ালে ভোক্তার ক্ষতি আর দাম কমালে কৃষকের ক্ষতি” আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের হাতে থাকলে কারোরই ক্ষতি নয়। কারণ আমজনতার সবাই ক্রেতা অথবা বিক্রেতা। মাছ ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করে সবজির ওয়ালার কাছে যান। সবজি ব্যবসায়ী যান একটু আগে তার দোকান থেকে ঘুরে যাওয়া চাল ব্যবসায়ীর কাছে। সমস্যাটা করে তারা যাদের আম জনতার কাছে যাওয়ার দরকার নেই। অর্থাৎ যে শ্রেণি উৎপাদকও নয় আবার প্রকৃত ভোক্তাও নয়। কেউ কেউ তাদের বলে মধ্যস্বত্বভোগী।  আমার হিসাবে এদের শুধু মধ্যস্বত্বভোগী বললে দোষী সবাইকে চিহ্নিত করা হবে না। কারণ আমাদের বাজার ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগী হওয়াটা দোষের নয়। সৎ ভাবেও মধ্যসত্ব ভোগ করা যেতে পারে। আসলে এই দায়টা যাদের তারা আসলে এক শ্রেণির অসৎ মধ্যসত্বভোগী। যে কারণে এদের সংখ্যাও খুব বেশি নয়। কিন্তু এদের টাকা আছে পেশিশক্তিও আছে। এরাই আসলে কৌশলে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কেন? এই সহজ কিন্তু দামী কেনর উত্তর কিছু দিন আগ পর্যন্ত মন্ত্রীরা দিতেন। এখন খোদ প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন লেখে। এই লেখায় আমি আর সেই বিস্তারে গেলাম না। মোদ্দা কথা যারাই বাজার অস্থির করুক না কেন , তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। সে সরকারের সঙ্গে থাক বা বিরোধী দলে থাক সেটা তার কৌশল। তার মুল লক্ষ্য বাজার থেকে মুহূর্তেই টাকা তুলে নেয়া।       মুহূর্তেই যারা বাজার থেকে টাকা তুলে নিতে চায়, তারা বাজার অস্থির করার সুযোগ খোঁজে। রোজার মাস তেমনই সময়। প্রতিবছর এই সময় বাজোরের অস্থিরতার চূড়ান্ত হয়। একেবারে প্রকাশ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম নিয়ে কারসাজি হয়। কারও কিছু বলার থাকে না। কারসাজিটা শুরু হয় সরবরাহ দিয়ে। বছরের অন্যান্য সময় টের পাওয়া না গেলেও এই সময়ই বোঝা যায় বাজার অস্থিরতার মূল সূত্র পণ্যের সরবরাহ লাইনে। এই লাইনেই সারা বছর ঘাপটি মেরে বসে থাকে ওই দুর্বৃত্ত মধ্যসত্বভোগী। এখানে আবারও একটি কথা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে সরবরাহ লাইনের সবাই দুর্বৃত্ত নয়। কিন্তু দুর্বৃত্তরা শক্তিশালী। যে কারণে চাইলেও অনেকে সৎ থাকতে পারেন না। কিছু দিন আগে একজন মাংস বিক্রেতা সরকারি দামে মাংস বিক্রি করতে চেয়ে জীবন দেয়াটা এর উদাহরণ।  গত সংসদের একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলে ফেলেছিলেন সে কথা। এবারও বলা শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রমজান সামনে রেখে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই, বাজারে কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অবৈধভাবে নিত্যপণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে, এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। অবৈধভাবে যারা নিত্যপণ্য মজুত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তা বাহিনী সেই অনুযায়ী কাজ করছে। আর সব শেষ বললেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, রমজানে কোনো জিনিসের অভাব হবে না। সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে” বলতে দ্বীধা নেই বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অতীতের যেকোন সময়ের সরকার এখন তৎপর মনে হচ্ছে। সেই নির্বাচনী ইশতেহার থেকে সবখানেই এই তৎপরতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। এখন দরকার ঠিকঠাক মনিটরিং। সেটা যে নেই তাও বলা যাবে না। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক হওয়া দরকার। ঠিকঠাক শব্দটি ব্যবহার করলাম কারণ, প্রতিবার বাজার মনিটরিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রত্যেক বাজারে একটি পণ্যের দাম ঝোলানো বোর্ড রাখা হয়। সপ্তাহ খানেক সজিবও থাকে এই ব্যবস্থা। কিন্তু এর পরপরই সব কেমন ঝিমিয়ে পড়ে। মনিটরিং এর কাজটি ঠিকঠাক হয় না।  কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এবার বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে। কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী এবার বাজার কারসাজিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গণধোলাই এর কথা বলে তিনি সাধারণ ক্রেতাদেরও সতর্ক হতে বলেছেন। এখন দরকার মানুষের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা। আজকের অনলাইনের যুগে যেকোন মানুষ তার পরিচয় নিশ্চিত করে একটি বাজারের যেকোন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করতেই পারেন। চাইলে তিনি ছবিও যুক্ত করতে পারেন এই অভিযোগের সঙ্গে। এর পর ঘোষণা অনুযায়ী প্রকাশ্যে শাস্তি শুরু হলে, জানা যাবে কে কেন বাজার অস্থির করতে চায়। সবচয়ে বড় কথা এতে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।  লেখক : গণমাধ্যম কর্মী
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬

যে কারণে চোখে-মুখে সুপার গ্লু দিয়ে ধর্ষণ করেন চোর
খুলনার পাইকগাছায় গৃহবধূর চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনার মূল হোতা এনামুল জোয়াদ্দারকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগরে একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনামুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার গদাইপুর এলাকার বাসিন্দা একরামুল জোয়াদ্দারের ছেলে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। গ্রেপ্তার এনামুলের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেছে মনে করে প্রথমে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন এনামুল। পরে পকেটে থাকা সুপার গ্লু ভিকটিমের চোখে এবং মুখে লাগিয়ে দেন। এনামুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার মায়ের কাছ থেকে একটি চোরাই মোবাইল ও পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্ণকার সুমন হালদারের (৪০) কাছ থেকে চোরাই সোনার কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।  এর আগে, পুলিশ ওই মামলায় ছামাদ সরদার (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিমের স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী (৫০) গড়ইখালী হাটের উদ্দেশ্যে কাঁচামাল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।  ওইদিন রাতে দুর্বৃত্তরা মান্নানের একতলা পাকা বিল্ডিংয়ের চিলেকোঠার দরজা ভেঙে তার স্ত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। প্রথমে ওড়না দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এরপর কানে থাকা দু আনা ওজনের সোনার দুল, গচ্ছিত ১১ হাজার টাকা ও গৃহবধূর ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে নেন। চলে যাওয়ার আগে আসামিরা গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬

৯ মাসের শিশুকে রাস্তায় ফেলে পালায় চোর
লক্ষ্মীপুরে গভীর রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কম্বল মোড়ানো একটি শিশুকে দেখতে পান এক পথচারী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের পর পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর মাকে থানায় ডেকে নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে দেওয়া হয়।   পুলিশ জানায়, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স মাত্র ৯ মাস। তার মায়ের নাম মরিয়ম বেগম। গত চারদিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে তাকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক নারী।   এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে থানার কাছে উপকূল কলেজের পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময় কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। পরে এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তার পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। এর আগে শিশুর মা থানায় একটি জিডি করেছিলেন। সে সূত্রে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল।   শিশু মালিহার মা মরিয়ম বেগম বলেন, গতরাত ১২টার আগ পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাড়ি আসার ১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। থানায় গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে পাই। পরে আমার কাছে মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।   এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটি বিদ্যালয়ের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা যাচাই করে দেখতে পায় মাথায় লাল হিজাব, মুখে মাস্ক ও কালো বোরকা পরিহিত এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। বাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা যাচাই করেও একই দৃশ্য দেখা গেছে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯

চোর সন্দেহে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটুনি, যুবক নিহত 
যশোরে চোর সন্দেহে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় যশোর সদর উপজেলার রামনগরের সতীঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ফয়েজুল গাজী (২৭) যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটা গোলদারপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিন গাজীর ছেলে। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে রামনগরের সতীঘাটা এলাকায় চোর সন্দেহে ফয়েজুল গাজীকে মারপিট করেন স্থানীয় একদল লোক। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়েজুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।  হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত ফয়েজুলের ভাতিজা মো. বাদল গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমার চাচা একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। ভাটা থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধরে নিয়ে একটি কারখানার মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি, রড দিয়ে মারপিট করা হয়েছে।  চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিট করা হলেও তার চাচা কোনো ধরনের খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত নয় বলেও জানান নিহত ফয়েজুলের ভাতিজা। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। চোর সন্দেহে তাকে স্থানীয় জনতা মারপিট করে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

জয়পুরহাটে চোর চক্রের ৫ সদস্য আটক 
জয়পুরহাটে পিকআপসহ মুরগি চোর চক্রের ৫ সদস্য আটক করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর এলাকায় একটি মুরগির খামারে চুরি করার সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে সোহরাব হোসেন (৪৫), পশ্চিম পারুলিয়া গ্রামের জরিপ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫০), পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের জব্বার মন্ডলের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৪২), দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৬২), বৈগ্রাম গ্রামের সাত্তার মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৫০)। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ূন কবির জানান, আটকৃতরা দীর্ঘদিন থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খামারে মুরগি চুরি করে আসছিল। উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর এলাকায় একটি মুরগির খামারে চোর চক্রের সদস্যরা অবস্থান করছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চুরি কাজে ব্যবহার করা একটি পিকআপসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়