• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা প্রথম বিদেশ সফর করেন জার্মানিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন। তবে সেটি দ্বিপাক্ষিক সফর ছিল না, বহুপাক্ষিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের বিষয় ছিল।  থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে বুধবার ব্যাংকক গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনেও যোগ দিয়েছেন তিনি।  থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ব্যাংককে এটাই হবে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এ উপলক্ষে গত সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রচার করে ঢাকা ও ব্যাংকক। তাতে বলা হয়, আসন্ন সফরের মধ্যদিয়ে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হবে। এটি হবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর আগে এই দফা ক্ষমতা গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান সফর করেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলথানি ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেনজা শুলজেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচনের আগে বহুবিধ চাপের মুখে ফেলার চেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও এখন নানা কারণেই আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইজিং নেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন। ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, রমজানে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করেন না। বেইজিংয়ের চাওয়া, চলতি বছরের মধ্যে অবশ্যই যেন চীন সফরে যান শেখ হাসিনা। ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর কোথায় যাবেন সেটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হয় ঢাকাকে। প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর দুই শীর্ষ নেতা ওই বৈঠকে বসেন। এখন প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে গেলে আবার তাদের মধ্যে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের পাশাপাশি তালিকায় আছে ভারত সফরও। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দিল্লি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লোকসভা নির্বাচন শেষ হবে পহেলা জুন। তবে দিন-তারিখ এখনো নির্ধারিত নয়।   সম্প্রতি সফর শেষ করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফায় ৭০ মিনিটের বেশি সময় আলোচনায় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বাংলাদেশ ও কাতারের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংযুক্তি, পর্যটনসহ নানা খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজতে কাতারের আমির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে তিনি দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
৩ ঘণ্টা আগে

ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা
লক্ষ্মীপুরে কামাল হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসকরা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কামাল হোসেন বশিকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পোদ্দার বাজারের ফল ব্যবসায়ী। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কামাল হোসেন ইফতারের পর বাড়ি থেকে পোদ্দার বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। নন্দীগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাকে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে রড দিয়ে খুঁচিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, কামাল হোসেনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তার ডান চোখসহ মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার মাথা, নাখ-মুখ ও চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

হাথুরুর চোখ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
বাংলাদেশের সামনে প্রথমবার শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর সুযোগ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩ রানে হতাশার পরাজয়ের পর দ্বিতীয়টিতে ৮ উইকেটের জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজেরা। শনিবার (৯ মার্চ) লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় এলেই ইতিহাস গড়বে টাইগাররা। তেমন কিছুরই অপেক্ষায় আছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।  একই সঙ্গে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চোখ রাখছেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টার। বিশেষ করে সেখানকার উইকেট নিয়েই ভাবছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের অস্ট্রেলীয় যোগাযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন হাথুরু। শুক্রবার (৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হাথুরুসিংহে। সেখানে তার দাবি, আমরা ইতিহাসটা বদলানোর দ্বারপ্রান্তে আছি। হাথুরুসিংহের ভাষ্যমতে, আমরা সিরিজটা জেতার মতো অবস্থানে আছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচটা জেতা। ম্যাচটা যেহেতু দিনে, আমাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে ম্যাচটা জেতার। তবে এটাও বলব, শ্রীলঙ্কা খুবই ভালো টি-টোয়েন্টি দল। যা-ই হোক, আমরা নিজেদের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। লঙ্কান এই কোচ যোগ করেন, শেষ ম্যাচের কথা যদি বলি, আমরা প্রায় নিখুঁত খেলেছি। এটা দেখে ভালো লেগেছে যে ছেলেরা খুব দ্রুত এর আগের ম্যাচ থেকে শিখেছে। বোলাররা প্রথম ম্যাচে যেমন বল করেছে, তার চেয়ে ভালো করেছে পরের ম্যাচে। ব্যাটসম্যানরাও প্রথম ম্যাচে পাওয়ারপ্লের ভুল শুধরে নিয়েছে পরের ম্যাচে। এদিকে চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় শুধু লঙ্কান সিরিজ নিয়ে ভাবছেন না হাথুরু। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ নিয়েও তাকে ভাবতে হচ্ছে। তবে ঘরের মাঠে এই সিরিজ দিয়ে সঠিক সমন্বয় পরখ করে দেখতে আগ্রহী তিনি।  হাথুরুর মতে, আমরা বিশ্বকাপের জন্য সমন্বয় খুঁজছি। সেই সমন্বয়ে কে, কোনভাবে জায়গা করে নেয় এবং সেখানে কে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেটাও দেখছি। টাইগারদের কড়া এই হেডমাস্টার যোগ করেন, আমরা ভালো উইকেটে খেলতে চাই। আমি জানি না আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কেমন উইকেট পাব। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ আছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। কারও কোনো ধারণা নেই, সেখানে উইকেট কেমন হবে। সেখানকার কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমি জেনেছি, সেখানে ড্রপ-ইন উইকেট থাকবে। অ্যাডিলেডে প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। আশা করছি, অস্ট্রেলীয় উইকেট যেমন হয়, তেমনই হবে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৮

‘শেখ হাসিনা বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি ভয় পান না’ 
শেখ হাসিনা বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি ভয় পান না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সিলেট নগরীর সারদা হলের সামনে আয়াজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অদম্য। তিনি বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি ভয় পান না। বহু রক্তচোখ অপেক্ষা করে, অনেক মোড়লদের চোখ রাঙানি উপক্ষো করে এ বাংলার মানুষকে নির্বাচন উপহার দিয়েছেন তিনি। সংবর্ধনা সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটের মানুষ শেখ হাসিনকে ভোট দিয়েছেন। শেখ হাসিনা প্রতিদান দিতে ভোলেন না। যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিল। নির্বাচন হবে না বলেছিল। বিভিন্ন হুমকি স্যাংশন দেখিয়েছিল, তাদের মুখের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলা মানুষ আমার সঙ্গে আছে। বিশ্বের কোনো মোড়লের চোখ রাঙানিতে আমি পাই না। তাই আমাদের সবাইকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে কাজ করতে হবে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগরের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৮

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন ববিতা
মেয়েকে আদর্শ শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন হৃদরোগে আক্রান্ত বগুড়ার ধুনট উপজেলার শাহেলা খাতুন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন দেখে যাওয়া হলো না। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন তিনি। মাকে চিরনিদ্রায় রেখে সকল কষ্ট চেপে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের দলিলুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন। জানা গেছে, হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে শাহেলা খাতুনের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছেন গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ববিতা। পরীক্ষার হলে অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে বসে বারবার চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষার আগে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন মা, এটাই ছিল হয়তো স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু লড়াকু ববিতার ভাগ্যে তা আর হয়নি। মায়ের নিকট থেকে দোয়ার পরিবর্তে মাকে কবরে রেখে কেন্দ্রে আসতে হয় তাকে। মমতাময়ী মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে কেন্দ্রে এসেছিল সে। ববিতা খাতুন বলেন, আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি চাইতেন আমি যেন পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আমাকে শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ খবর পেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর্জা ওমর ফারুক ববিতার খোঁজ খবর নিতে পরীক্ষা কক্ষে যান। তিনি শোকাহত ববিতার পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। এসময় কক্ষের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চোখেও পানি চলে আসে। ববিতা ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া ও বাড়িতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কেন্দ্র সচিব।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩

চোখ ধাঁধানো ‘হীরামান্ডির’ ঝলকে উত্তাল নেটদুনিয়া (ভিডিও)
বলিউডের গুণী নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি। তার সিনেমা মানেই দুর্দান্ত সেট, আর নজরকাড়া লুক। ইতোমধ্যে ‘বাজিরাও মাস্তানি’, ‘দেবদাস’সহ একাধিক সিনেমায় সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। এবার তার নির্মিত ‘হীরামান্ডি: ডায়মন্ড বাজার’ সিনেমার ঝলকে রীতিমতো উত্তাল নেটদুনিয়া।    বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সের তারকাবহুল এই সিনেমার ফার্স্ট লুক। আর সেই ভিডিও দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। আবারও সঞ্জয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারা। শুধু নির্মাতারই নয়, সিনেমার অভিনয়শিল্পীদেরও ব্যাপক প্রশংসা করেন সিনেমাপ্রেমীরা।      ‘হীরামান্ডি: ডায়মন্ড বাজার’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা, মনীষা কৈরালা, অদিতি রাও হায়দারি, শারমীন সেগাল, সানজিদা শেখ, রিচা চাড্ডা।  প্রকাশিত ফার্স্ট লুকে এসব তারকার লুক প্রকাশ্যে এসেছে। মনীষা, সোনাক্ষীদের রহস্যময় ও সাবলীল উপস্থিতি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে এই সিনেমায়।  ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, অবিভক্ত ভারতের লাহোরের এক গণিকালয়ের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘হীরামান্ডি: ডায়মন্ড বাজার’। যে গণিকালয়ের গল্পের চরিত্রদের হাত ধরে উঠে আসবে— প্রেম, ক্ষমতা, বিশ্বাসঘাতকতা, উত্তরাধিকার এবং রাজনীতি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘হীরামান্ডি: ডায়মন্ড বাজার’। আর এই সিনেমা দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হবে সঞ্জয়ের।    সূত্র : এএনআই     
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮

সবার চোখ সংসদ অধিবেশনে, যা যা হবে প্রথম দিন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)। বিকেল ৩টায় শুরু হবে অধিবেশন। এর আগে কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রথম অধিবেশনের মেয়াদ ঠিক করা হবে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এবার ভোটগ্রহণের পরদিন থেকেই নতুন সংসদের অধিবেশন আলোচনায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র ৬২ প্রার্থী, আগের সংসদের বিরোধী দল জাপার ১১ সদস্য ও আরও তিন দলের তিনজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এবার সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের বাইরে ৭৫ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।  এদিকে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধীদলের উপনেতা করা হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি সংসদ সচিবালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। ২৯ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের মধ্যে সমালোচনা ছিল গৃহপালিত বা এই ধরনের শব্দ। এই শব্দগুলো যাতে আর ব্যবহার না হয় সে লক্ষ্যে সংসদ ও সংসদের বাইরে আমরা আগামীতে ভূমিকা রাখবো। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে কাজ করবো। জাপা আসলেই বিরোধী দল সেটা প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে এবার। দ্বাদশ সংসদের ২০ শতাংশই স্বতন্ত্র এমপি। সংসদে তাদের ভূমিকা কী হবে, সেটা দেখতে আজ সংসদ অধিবেশনে চোখ সবার। সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করবেন নাকি দলের অনুগত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তা দেখতে আগ্রহী সাধারণ মানুষ। যদিও এরমধ্যে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে এবং সংবিধান আত্মস্থ করতে হবে। সংসদ কার্যপ্রণালী বিধি পড়তে হবে। আমাদের সংসদ ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ পার্লামেন্ট। কাজেই সংসদ প্র্যাকটিস ভালো করে জানতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প দেশের মানুষের জন্য অর্থবহ সেসব প্রকল্পই গ্রহণ করা হয়। স্বতন্ত্র এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকেন, তাদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সংবিধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচন যেমন প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে, তেমনি তার প্রতিফলন দেখা যাবে অধিবেশনে। নির্বাচিতরা প্রত্যেকেই এলাকায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সংসদকেই মূল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখবেন। স্বতন্ত্রদের ভূমিকার কারণেই অন্য সংসদের থেকে এবারের সংসদ ভিন্ন হিসেবে পরিচিতি পারে। বিশ্লেষকরা বলেন, গত দুটি সংসদের তুলনায় এবারের সংসদ আগের ভাবমূর্তি ফিরে পাবে বলে আশা করা যায়। স্বতন্ত্ররাই সংসদকে প্রাণবন্ত রাখবেন। তারা তাদের অবস্থান জানানোর মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আচরণই প্রাণবন্ত করবে অধিবেশন। জাতীয় পার্টির আগের ধরণের সমালোচনা করে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, গত দুটি সংসদে সেই অর্থে জনগণের কোনো বিরোধী দল ছিল না। জাতীয় পার্টিকে কখনই বিরোধী দল হিসেবে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার তারা বিরোধীদল হিসেবে আবারও এসেছে। এবং স্বতন্ত্রদের কারণে জাতীয় পার্টিকেও সক্রিয় থাকতে হবে। এবার ব্যাপক আগ্রহ মানুষের মধ্যে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ শফিক আহমেদ বলেন, যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তার একটা চিত্র সংসদেও দেখা যাবে বলে আমার মনে হয়। স্বতন্ত্ররা সংসদে সক্রিয় থাকলে অনেকদিন পরে অংশগ্রহণমূলক সংসদ মানুষ আগ্রহভরে দেখবে।’ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন ১০ জানুয়ারি। শপথ নেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অধিবেশনের প্রথমদিনে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে একই পদে মনোনীত করেছে। ফলে তারা আবারও নির্বাচিত হবেন। রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংসদের প্রথম বৈঠকে ভাষণ দেবেন। প্রথম অধিবেশন সংসদ থেকে সরাসরি দেখার জন্য বিদেশি কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদীয় কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। এতে অধিবেশনের কার্যকাল ও আলোচ্যসূচি ঠিক করা হবে। এরই মধ্যে নতুন সংসদের সদস্যদের আসন বিন্যাস করা হয়েছে আগেই। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংসদের কার্যক্রম বিষয়ে দুইদিনের ‘ওরিয়েন্টশন’ দেওয়া হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই এলাকায় যান চলাচল সীমিত করেছে  
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৬

মন্দা কাটাতে নতুন বাজারে চোখ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের
মন্দা পরিস্থিতিতে ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করায় নতুন নতুন বাজারের সন্ধানে নেমেছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প মালিকরা। বিশেষ করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও আফ্রিকার মতো অপ্রচলিত বাজারে পণ্য রপ্তানি বাড়ানো হচ্ছে। রপ্তানির এ ধারা বজায় রেখে তৈরি পোশাক খাতের ঘুরে দাঁড়াতে সেসব দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাসেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মত ব্যবসায়ীদের। গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির মূল বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া ৪৭.৩৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশেই রপ্তানি হয়েছে ২৩.৩৮৪ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। এছাড়া আমেরিকায় ৮.২৭৩ বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যে ৫.৩৪৪ বিলিয়ন ডলার এবং কানাডায় ১.৫১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এদিকে ২০২১ সালে এক লাফে গার্মেন্টস খাতের আয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৪৫.৮০৯ বিলিয়ন ডলার হলেও গত দু’বছরে মন্দা পরিস্থিতির কারণে প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ কমছে। এই সংকট কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের রপ্তানি কমার বিষয়টি অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাড়ানো মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনা করছি এবং তা কিছু কাটিয়ে উঠেছিও।   বৈশ্বিক মন্দার পাশাপাশি রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে ইউরোপ-আমেরিকার বাজার হারানোর শঙ্কা থেকেই নতুন নতুন মার্কেটের সন্ধানে নেমেছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গত কয়েক বছর ধরে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি বাড়ছে। ২০২৩ সালে অপ্রচলিত দেশ থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৮.৮৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে জাপানে ১.৬৭৫ বিলিয়ন ডলার, অস্ট্রেলিয়ায় ১.২৮৪ বিলিয়ন ডলার, ভারতে ৯১৮ মিলিয়ন ডলার, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং রাশিয়ায় ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে এসব বাজার থেকে আয় হয়েছে ৭.৩৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া ২০২১ সালে অপ্রচলিত বাজার থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫.৬৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে এই আয় ছিল ৪.৫১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিষয়ে বিজিএমইএ সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা যখন শুরু হয়েছে, তখন আমরা ইউরোপকে পাশ কাটিয়ে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকেছি। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে এখন আমাদের পণ্যের বড় বাজার সৃষ্টি হচ্ছে।’   বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে গত চার বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০.৯৮ শতাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭.৪২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩৯.২৮ শতাংশ এবং অপ্রচলিত বাজারের দেশগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার ৬০.৮৯ শতাংশ। তবে, নতুন বাজারগুলোতে পণ্য পাঠাতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক এ এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আগে থেকে নতুন বাজারে খোঁজে ছিলাম। কিন্তু এখন ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সেই খোঁজ আরও জোরালোভাবে হওয়াটা প্রয়োজন। অপ্রচলিত দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি বাড়িয়ে মন্দাভাব অনেকটা কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। তবে রপ্তানির এ ধারা বজায় রাখতে গেলে সেসব দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।’
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫

এবার চোখ ‘ছায়া-মন্ত্রিসভায়’ 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে সচিবালয়ে যার যার কার্যালয় বুঝে নিয়েছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোট গঠনে অনাগ্রহ প্রকাশে নিশ্চিত হয়ে গেছে সংসদের প্রধান বিরোধী দলও। এবার চোখ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এই কমিটির সভাপতি অনেকটা ছায়ামন্ত্রীর মতোই। নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি, তদারকি ও কাজে গতিশীলতা আনতে সংসদীয় কমিটি করার রেওয়াজ আছে সংসদে। আট থেকে ১৫ সংসদ সদস্যের ওই কমিটিতে একজন থাকেন সভাপতি। আর স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাধারণত হন সাবেক মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ কোনো সংসদ সদস্য। নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। তিন মন্ত্রণালয় নিজের কাছে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতৃত্বেই মূলত চলবে মন্ত্রণালয়। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের তদারকি করবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের দফা (১)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদ (ক) সরকারি হিসাব কমিটি, (খ) বিশেষ অধিকার কমিটি এবং (গ) সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি গঠন করবে। দফা (২)-এ সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলির বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিটি সংবিধান ও অন্য কোনো আইন সাপেক্ষে (ক) খসড়া বিল ও অন্যান্য আইনগত প্রস্তাব পরীক্ষা করতে পারবে; (খ) আইনের বলবৎকরণ পর্যালোচনা এবং অনুরূপ বলবৎকরণের জন্য ব্যবস্থাদি গ্রহণের প্রস্তাব করতে পারবে; (গ) জনগুরুত্বসম্পন্ন বলে সংসদ কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করলে সে বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ বা প্রশাসন বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারবে; কোনো মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ এবং প্রশ্নাদির মৌখিক বা লিখিত উত্তর লাভের ব্যবস্থা করতে পারবে; এবং (ঘ) সংসদ কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে।  অর্থাৎ, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের সার্বিক তদারকির মাধ্যমে সরকার পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্ব ধারণ করে এই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বা ‘ছায়া-মন্ত্রিসভা’। অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়। কারা হচ্ছেন ছায়ামন্ত্রী  এবারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন মোহাম্মদ সাদিক বা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বা জাহিদ আহসান রাসেল। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আসতে পারেন। সাবেক মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আসতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বা প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আসতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকই থাকছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ফের আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি রওশান আরা মান্নান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু আসতে পারেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বা টিপু মুনশি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বা উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি শাজাহান খান বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে দেওয়া হতে পারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমানকে। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বা কাজী কেরামত আলী। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার হতে পারেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকতে পারেন বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ বা বর্তমান কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার হতে পারেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম বা সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অথবা মুজিবুল হককে রাখা হতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন এম এ লতিফ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাহাদারা মান্নান বা উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়