• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বিদ্যা
বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা মালবাড়ে। শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘চাক দে ইন্ডিয়া’-তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে ভক্তদের মন জয় করেছিলেন। সিনেমায় ভারত দলের অধিনায়ক ছিলেন বিদ্যা। যেখানে তার অভিনয় ছিল প্রশংসা পাওয়ার মতো। তবে ওই সিনেমার পর আর সেভাবে নিজেকে কোনো সিনেমায় মেলে ধরতে পারেননি এই অভিনেত্রী। পেশাগত জীবনে সাফল্যের শিখরে উঠেও ব্যক্তিগত জীবন সমস্যার সম্মুখীন হয় বিদ্যা। স্বামীর মৃত্যুর পর আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের কঠিন সেই সময়ের কথা বলেছেন এই তারকা।  ২০০২ সাল। অরবিন্দ সিং বাগ্গাকে বিয়ে করেছিলেন বিদ্যা। অরবিন্দ একজন পাইলট ছিলেন। বিয়ের বছরখানেকের মাথায় অভিনেত্রীর স্বামী বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। স্বামীর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না বিদ্যা।  সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে শেষ করে ফেলবেন। একটা পর্যায়ে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতে শুরু করেন বিদ্যা। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে থাকে তার।  বিদ্যা বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম স্বামী আমার কাছে আসতে পারবে না। কিন্তু আমি তার কাছে যেতে পারি। মেডিকেল থেকে ঘুমের ওষুধ এনেছিলাম। আমার বাবা আমাকে দেখে ফেলেন ঘুমের ওষুধ খেতে। এরপর সিদ্ধান্ত নিই, বাবা-মাকে আর কষ্ট দেব না। নিজের যত্ন নেব।’ স্বামীর শোক কাটিয়ে উঠে প্রায় ৯ বছর পর আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিদ্যা। এবার সঞ্জয় ডাইমাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বিয়ের জন্য এই পরিচালককে ‘হ্যাঁ’ বলতেও নাকি দুই বছর সময় নিয়েছিলেন এই তারকা। ব্যক্তিজীবনে বর্তমানে স্বামী-সংসার নিয়েই খুশি অভিনেত্রী। 
২ ঘণ্টা আগে

‘নাসিরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন পরীমণি’
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যা করতে গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এমনটাই জানিয়েছেন বোটক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরীমণি মদ্যপ ছিলেন। ফ্রিতে মদ না পেয়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করেন নায়িকা পরীমণি। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন পরীমণি। এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়ে আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছিল। মানুষ এখন জানবে আমি নিরপরাধ ছিলাম। হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভালো লাগত। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন বাদীপক্ষ। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি। বুধবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।  এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্কযুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরীমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাসির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শনপূর্বক ২/৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।  এর আগে, ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।  একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন।  এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৩

কানাডার হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বুমরাহ!
জাসপ্রিত বুমরাহকে ভারতের পেস ইউনিটের প্রাণভোমরা বলা হয়। চোট বা বিশ্রামের কারণে দলে এই পেসার না থাকলে ম্যান ইন ব্লুদের বোলিং আক্রমণকে দুর্বলই মনে হয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। তবে এই পেসারই জানালেন, এক সময়ে কানাডার হয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার কথা। সেখানে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টাও শুরু করেছিলেন তিনি। তবে সফল হয়নি সেই পরিকল্পনা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দিয়ে ভাগ্য খুলে তার। ২০১৩ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে আইপিএলে খেলার সুযোগ হয় বুমরাহর। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সম্প্রতি স্ত্রী সানজানা গনেশানকে নিয়ে জিও সিনেমার একটি ভিডিওতে হাজির হন বুমরাহ। সেখানে স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি তো কানাডায় গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলে?’ জবাবে বুমরাহর ভাষ্য, ‘ক্রিকেট খেলে বড় হতে কে না চায়? ভারতের প্রতিটি সড়কেই অন্তত ২৫ জন খেলোয়াড় আছে, যাদের স্বপ্ন ভারতের হয়ে খেলা। (তাই) আপনাকে বিকল্পও কিন্তু ভাবতে হবে। সেখানে (কানাডা) আমাদের আত্মীয় থাকেন। আমি ভাবতাম পড়াশোনা শেষ করে যাব সেখানে। পুরো পরিবার নিয়েই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শুরুতে, পরে ভিন্ন সংস্কৃতির দেশে মা যেতে চাইলেন না।’ এই পেসার বলেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগিয়েছে। নইলে কে জানে, আমি কানাডা দলে খেলার চেষ্টা করতাম কি না, পাশাপাশি অন্য কিছুও হয়তো করতাম। ভালো লাগছে যে আমি ভারত দল ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে খেলছি।’
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

যে কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন জনি লিভার
বলিউড অভিনেতা জনি লিভার, পর্দায় উপস্থিতি মানেই দর্শকদের পেট ফাটা হাসি। প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন। রুপালি পর্দায় হাজির হয়ে লোক হাসালেও তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল রংহীন। কারণ, তার বাবা ছিলেন মাতাল; অর্থ-কষ্টে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বলা যায় সংগ্রামী এক জীবন পার করে বর্তমান অবস্থান তৈরি করেছেন এই অভিনেতা। এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, পর্দায় লোক হাসানো মানুষটি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। রণবীর আল্লাহবাদিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জনি লিভার। এ আলাপচারিতায় আত্মহত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমার বয়স যখন ১৩ বছর, তখন পাশের রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি। রেললাইনে মাথা দিয়ে রেখেছি, ট্রেন অনেকটা কাছাকাছি চলে আসছে। এমন সময়ে আমার তিন বোন চোখের সামনে চলে আসে। তারা আমাকে বলে, এটা তুমি কি করতেছো? এটা পাপ। তারপর কীভাবে নিজেকে সরিয়ে নেই, তা আমি বলতে পারব না। এর আগে ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন জনি লিভার। এ আলাপচারিতায় সংগ্রামী জীবনের গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন জনি লিভার। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, আমার বাবা একজন মাতাল ছিলেন। তিনি কখনো আমাদের খেয়াল রাখতেন না। আমার বড় কাকা আমাদের স্কুলের বেতন এবং রেশনের জন্য অর্থ দিতেন। তাই কিছুদিন পর আমি বিরক্ত হয়ে স্কুল ছেড়ে দিই। কিন্তু আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি সবার মিমিক্রি (নকল) করতাম। এমনকি শিক্ষকদেরও। এখনও স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৬৬ বছর বয়সী জনি লিভার। তা উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেছিলেন, আমার ক্লাস শিক্ষক দময়ন্তী ম্যাডাম খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমি এখনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমি যখন স্কুল ছেড়ে চলে আসি, তখন তিনি ছাত্রদের দিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে স্কুলের ফি, জামাকাপড় কিনে দিতে চেয়েছিলেন; যাতে আমি পুনরায় স্কুলে ফিরে যাই। অর্থের জন্য রাস্তায় কলম-প্যান্ট বিক্রি করতেন জনি লিভার। ভিক্ষাবৃত্তি না করে বেঁচে থাকার জন্য মুম্বাইয়ের রাস্তায় এ কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে বাবার কারখানায় কাজ নেন জনি। মিমিক্রি করার কারণে সেখানেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে কল্যাণ-আনন্দর দপ্তরে ক্যারাম খেলছিলেন জনি লিভার। হঠাৎ সেখানে হাজির হন দক্ষিণী সিনেমার পরিচালক কে বিজয়ন। ওই সময়ে তিনি ‘ইয়ে রিস্তা না টুটে’ সিনেমার কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে নতুন মুখ খুঁজছিলেন। গায়ক কল্যাণ জনির নাম সুপারিশ করলে তাকে কাস্ট করেন তিনি।১৯৮১ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি জনিকে। তারপর সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ, শাহরুখ খানের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমায় কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনি লিভার।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৫

প্রধান নির্বাচক হিসেবে যাকে চেয়েছিলেন সুজন
নানান সমালোচনা আর বিতর্কের পর প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অধ্যায় শেষ হয়েছে। জায়গা হারিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও। নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন দাবি ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের। বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও বিষয়টি নাকি তিনি জানতেনই না। এমনকি বোর্ডও তাকে কিছুই জানায়নি। তাই নিজের পদে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুজন আশা করেছিলেন, হাবিবুল বাশার সুমনই প্রধান নির্বাচক হবেন।  তার ভাষ্যমতে, হ্যাঁ, আমি আশা করেছিলাম সুমনই হবে। কেন হয়নি, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্তের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, তারাই বলতে পারবেন। আমি অবশ্যই মনে করি সুমন যোগ্য ছিল। সুজন যোগ করেন, ও (সুমন) বাংলাদেশের সফল ক্যাপ্টেন ছিল, সফল ক্রিকেটার ছিল। এতো বছর দলের সঙ্গে কাজ করেছে। আমি আশা করেছিলাম, নান্নু ভাইকে না রাখা হলে ও-ই প্রধান নির্বাচক হবে। যে সিদ্ধান্ত বোর্ড দিয়েছে, আমাদের সম্মান জানাতে হবে। এদিকে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা জানিয়েছে, বোর্ডের অন্য কোনো ভূমিকায় বাশারদের কাজে লাগানো হবে। এ বিষয়ে সুজনের মন্তব্য, কোথায় লাগানো যেতে পারে, এটা এখনই বলা যাবে না। ওদের ক্রিকেট মেধা নিয়ে আমরা অনেকভাবে কাজ করতে পারি। হয়ত অন্য কোনো ম্যানেজেরিয়াল পোস্টে কিংবা আমি জানি না…। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নিয়োগ সম্পর্কে বিসিবির এই পরিচালকের মন্তব্য, আমি তো ক্লিয়ার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি, সেটাও জানি না আসলে। সুজন যোগ করেন, লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

স্ত্রীর পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছিলেন জোভান!
বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। বিয়ে করলেও স্ত্রীর পরিচয় বেশ গোপনেই রাখতে চেয়ে ছিলেন এই অভিনেতা। তবে আরটিভিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে জোভানের স্ত্রীর নাম নির্জনা।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে জোভান। প্রথম ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, অ্যান্ড উই বোথ সেইড আলহামদুলিল্লাহ, কবুল। ছবিতে দেখা যায়, একটি মেয়ের হাত ধরে উঁচু করে ঠোঁটের সঙ্গে আদুরে ভঙ্গিতে ধরে রেখেছেন জোভান। খানিক দূরে ঝাঁপসা হয়ে আছে মেয়েটির মুখ। এরপর আরও একটি ছবি পোস্ট করেন জোভান। যেখানে হবু স্ত্রীর কপালে কপাল রেখে হাসতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে ছোটপর্দার এ অভিনেতা, প্রেম না কি পারিবারিকভাবে, আর কীভাবে সম্পন্ন হলো বিয়ে? না কি শুধুই কাবিন করে রেখেছেন? এসব নিয়ে যেন শেষ নেই কৌতূহলের। মূলত জোভানের ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এসব জল্পনা। এই অভিনেতাকে বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।    জোভানের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ জনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, জোভান খুব চাপা স্বভাবের মানুষ। তিনি এসব বিষয় আড়াল রাখতে পছন্দ করেন। শীঘ্রই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। জানা গেছে, জোভানের স্ত্রীর বাড়ি পুরান ঢাকা। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন আগে থেকেই জানাশোনা ছিল দুজনের। তবে বিয়ের আয়োজন পারিবারিকভাবেই করা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রী সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে শোবিজে পথচলা শুরু জোভানের। গেল ১২ ধরে টানা অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। ছোট পর্দার পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্র ও ওয়েব কনটেন্টেও।   
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮

কঙ্গনাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তার বাবা
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা কঙ্গনা রানাউত। শোবিজ অঙ্গনে ঠোঁট কাটা হিসেবেও বেশ পরিচিত এই অভিনেত্রী। কথা বলতে যেন কাউকেই পরোয়া করেন না তিনি। তবে কঙ্গনাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তার বাবা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। মেধাবী ছাত্রী ছিলেন কঙ্গনা। ছোটবেলা থেকেই মা-বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে চিকিৎসক হোক। কিন্তু চিকিৎসক নয়, পর্দার তারকাই হতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা। আর হয়েছেনও তাই। বর্তমানে বলিউডে শক্ত অবস্থান রয়েছে কঙ্গনার। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনারও দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। বলিউডের সুপরিচিত লেখক, গীতিকার মনোজ মুনতাসিরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, কৈশোরেই তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক নয়, একটু আলাদাভাবে গড়তে চান ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ার গড়তে চান মডেলিং পেশায়। আর মেয়ের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনার বাবা।     মাধ্যমিক পাস করে মেডিকেলের কোচিং করতে চণ্ডীগড়ে যান কঙ্গনা। কিন্তু সেখানে কোচিং না করে নাম লেখান সুন্দরী প্রতিযোগিতায়। সেবার বিজয়ীর মুকুট ওঠে কঙ্গনার মাথায়। আর ঠিক তখনই কঙ্গনা ঠিক করেন, ডাক্তারি পড়বেন না তিনি। মডেলিং করবেন। তারপর বিজয়ের মুকুট ব্যাগে পুরে বাড়ি ফেরেন। বলা যায়, শোবিজের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। এদিকে মেয়ের এই সিদ্ধান্ত কঙ্গনার বাবার কাছে ছিল বড় ধাক্কা। এমনকি আশপাশের মানুষ ও সমাজের কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, সেটা নিয়েও ব্যাপক ভয়ে ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। শুধু তাই নয়, হিমাচলের রাজপুত পরিবারের কর্তা কঙ্গনার বাবাও রেগে গিয়ে এটাও বলেছিলেন, আমার বন্দুকটা নিয়ে আয়, ওকে গুলি করে মেরেই ফেলব। পাশাপাশি সিনেমার জগতে আসার সিদ্ধান্তে কঙ্গনার বাবা তাকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, এরপর থেকে তিনি আর নেবেন না মেয়ের কোনো দায়িত্ব। অভিভাবক হিসেবে কোনো কাজই করবেন না। যদিও অভিনেত্রীর বিশ্বাস, তার বাবার নেওয়া সেই পদক্ষেপের কারণেই তিনি আজকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। আত্মবিশ্বাস এসেছে তার মধ্যে। কঙ্গনা জানান, তার পরিবারের সদস্যরা সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ঐতিহ্যগত বিশ্বাস পোষণ করে। এই বিশ্বাস অনুসারে, নারীর নির্দিষ্ট সীমানা বা গণ্ডি অতিক্রম করা উচিত নয় এবং সেই গণ্ডি অতিক্রম করা গুরুতর পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে, যা বন্দুক প্রসঙ্গটা প্রতীকী। তবে প্রথম দিকে মেয়ের সাফল্য বিশ্বাস না হলেও জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কঙ্গনাকে নিয়ে গর্ব বোধ করেছিলেন তার বাবা। বর্তমানে মেয়ের সাফল্যে গর্বিত তিনি।  সূত্র : আনন্দবাজার
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়