• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।  এরই মধ্যে রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের বিচারে অভাবনীয়। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীরের অঢেল সম্পদের মধ্যে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।  অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনও জানান, বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের নামে থাকা অঢেল সম্পদ কীভাবে অর্জিত হয়েছে, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেছেন তিনি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

প্রচণ্ড তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ ও আমল
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়িয়েছে। এমন সময়ে বৃষ্টি আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। আল্লাহর রহমতে প্রকৃতি পায় স্বস্তি ও উর্বরতা শক্তি। এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে মানুষ। এমন সংকটময় মুহূর্তে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয় ইসলাম। নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে তার রহমতের প্রার্থনা করার বিধান হাদিসে এসেছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমা করবেন। তোমাদের জন্য মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (সুরা নুহ: ১০-১১) আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার বাইরে কিছুই হয় না। রোদ-বৃষ্টিও তারই রহমত ও মহান কুদরতের প্রকাশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বাতাস পাঠান, এরপর তা মেঘমালা সঞ্চালিত করে। এরপর তিনি মেঘমালা যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও যে তা থেকে বৃষ্টি নেমে আসে। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা রুম: ৩৮) সালাতুল ইসতিসকার পদ্ধতি ইসলামের পরিভাষায় বৃষ্টির এই বিশেষ নামাজকে সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টিপ্রার্থনার নামাজ বলা হয়। ফিকহের কিতাবে এই নামাজের বিশেষ পদ্ধতির কথা এসেছে। খোলা ময়দানে আজান-একামত ছাড়া উঁচু স্বরে কেরাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের পর ইমাম খুতবা দেবেন। খুতবায় বেশি বেশি ইস্তিগফার ও কোরআন তিলাওয়াত করবেন। এরপর দুই হাত উঠিয়ে মিনতির সঙ্গে দোয়া করবেন এবং হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়বেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে তার সঙ্গে শরিক হয়ে দোয়া-প্রার্থনা পড়বেন। বৃষ্টির নামাজ আদায় করতে বিনয়ের সঙ্গে যাওয়া সুন্নত। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই যে বান্দার সব প্রয়োজন পূরণ করেন—এই বিশ্বাস অন্তরে জাগ্রত রাখতে হবে।  ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খুবই সাদামাটাভাবে, বিনয়-নম্রতা এবং আকুতিসহ বাড়ি থেকে বের হয়ে নামাজের মাঠে উপস্থিত হয়েছেন।’ (আবু দাউদ)   বৃষ্টির নামাজের দোয়া বৃষ্টির নামাজ আদায়ের সময় নিচের দোয়াটি পাঠ করা খুবই কল্যাণকর। এই দোয়া নবী (সা.) নিজেই বৃষ্টির জন্য পাঠ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, লোকজন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা বললে তিনি ঈদগাহে সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে এই দোয়া করেন। এরপর আল্লাহর হুকুমে বৃষ্টি বর্ষণ হতে শুরু করে। বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষের ছোটাছুটি দেখে নবীজি হেসে ফেলেন। (আবু দাউদ: ১১৭৩) দোয়াটি হলো—আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর-রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফয়ালু মা ইউরিদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল গানিয়্যু ওয়া নাহলুল ফুকারাউ। আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজআল মা আনজালতা লানা কুওয়্যাতান ওয়া বালাগান ইলা হিন। অর্থ: সব প্রশংসা পৃথিবীর প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তিনি পরম করুণাময়, দয়ালু ও শেষ বিচারের মালিক। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি যা ইচ্ছা করেন। হে আল্লাহ, তুমিই একমাত্র মাবুদ, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি ধনী, আমরা গরিব। আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করো এবং আমাদের জন্য যা অবতীর্ণ করো, তা আমাদের জন্য শক্তিময় ও কল্যাণ দান করো।’ (আবু দাউদ: ১১৭৩)
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

‘ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফল ইরান’
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফলতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। রোববার (১৪ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনা। আইআরজিসি প্রধান বলেন, ইসরায়েলে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে, সেগুলোর সবগুলোর সম্পর্কে তথ্য জানা যায়নি। তবে সেগুলোর একটি অংশ নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। মাঠপর্যায় থেকে যেসব তথ্য-প্রমাণ এসেছে তাতে দেখা গেছে, ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফলতা পাওয়া গেছে। তিনি জানান, ইসরায়েলে আরও বড় পরিসরে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে ইরানের। তবে সে পথে হাঁটেনি তেহরান। চলতি মাসের শুরুতে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালাতে ইসরায়েলের যে স্থাপনাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, শুধু সেগুলো নিশানা করেই হামলা চালানো হয়েছে। হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এখন ইসরায়েল যদি ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেয়, তাহলে তেহরান আরও শক্তিশালী হামলা চালাবে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে ইরান। বিশ্বের যেকোনো অংশে ইরানের স্বার্থ, সম্পদ, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল কোনো হামলা চালালে ইরানের তার মাটি থেকে দেওয়া হবে এর জবাব দেবে। এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। এতে ইসরাইলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে, ইরানের দাবি, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫

নিজেকে যে কারও চেয়ে বেশি ইসরায়েলপন্থী দাবি ট্রাম্পের
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার ইহুদি ভোটব্যাংকের দিকে নজর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই লক্ষ্যে নিজেকে এবার অতীতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় বেশি ইসরায়েলপন্থী বলে দাবি করলেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।  চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।    রিয়েল আমেরিকাস ভয়েস নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে ইহুদি ব্যক্তি বাইডেনকে ভোট দেয় সে ইসরায়েলকে ভালোবাসে না এবং খোলাখুলিভাবে তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। ইহুদিদের বুঝতে হবে যে তারা বাইডেন বা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিতে পারেন না; কারণ ডেমোক্রেটরা শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।  সত্যিই, এটা অবিশ্বাস্য যে ঐতিহাসিকভাবে ইহুদিরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেয়। এরপরই ট্রাম্প দাবি করেন, এখন পর্যন্ত অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি অনেক বেশি ইসরায়েলপন্থী ছিলেন। এ সময় ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার ও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব কেউ চায়নি; কিন্তু আমি না চাইতেই করে দিয়েছি।’ ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেওয়া ইহুদিদের খারাপ একটি অভ্যাস উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বুঝি না, কোনো ইহুদি কীভাবে ডেমোক্র্যাটদেরকে ভোট দেয়।’
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬

শাহরুখের চেয়ে আমি বেশি জনপ্রিয় : ঝন্টু
শাহরুখ খানের চেয়েও বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয় দেলয়ার জাহান ঝন্টু। শুধু তাই নয়, ভারতে যতটা শাহরুখ জনপ্রিয় তারচেয়েও অনেক বেশি বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই নির্মাতা। নিজমুখেই এমনটা বললেন প্রখ্যাত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।  একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ঝন্টু বলেন, শাহরুখ খান ওখানে যে পরিমাণ জনপ্রিয়, তারচেয়ে আমার দেশে আমি বেশি জনপ্রিয়। কে আমার নাম না জানে? আমি বলি না যে ওর থেকে আমি বেটার। আমার নাম ওর থেকে বেশি জানে আমার দেশে।  দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, চলচ্চিত্র আমাকে সুনাম দিয়েছে। ২০ কোটি লোকের মধ্যে ১৮ কোটি লোক আমার নাম জানে। আপনি রাস্তায় যান, যেকোনো রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন। রিকশাওয়ালাকে যদি বলেন, শাহরুখ খানরে চেনোস, তখন ওই রিকশাওয়ালা কয় ওর বাপের নাম কী, বাড়ি কই? তাকে যদি বলেন, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুরে চেনোস? হ, ওই যে সিনেমা বানায়। নির্মাতা বলেন, আমি সত্যি কথা বলতে ভয় পাই না। যে যত অপরাধ সে কথা বলতে আমি দ্বিধা করি না। সত্যি কথা বলবো আমি ভয় পাবো কেন? তবে আমার কোনো শত্রু নেই। সবাই জানে আমি স্পষ্ট কথা বলি। তবে যেখানে সত্য কথা বলললে আমাকে গুলি করে দেবে, সেখানে সত্য কথা বলবো না।  দর্শক বেড়েছে কিন্তু মানুষ হলে কম যায়- এমনটাই অভিমত তার। বললেন, চলচ্চিত্রের দর্শক বেশি হয়েছে। কারণ, এখন ইউটিউব বা ইন্টারনেট আসায় মানুষ এক টিপ দিলেই পৃথিবীর সব ছবি দেখতে পায়। সিএনজি ভাড়া করে কিংবা রিকশা ভাড়া করে সিনেমা হলে গিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে সিনেমা দেখার লোক কমে গেছে। চাইলেই ঘরে বসে অর্ধেক ছবি দেখে পরে যখন সময় হবে তখন সেখান থেকে আবার শুরু করতে পারবে।  দীঘিকে নিয়ে আর কোনো চলচ্চিত্রই বানাবেন না এই নির্মাতা। বললেন, আমি ভেবেছি তাকে নিয়ে সিনেমা বানাবো। একটা সিনেমা বানিয়েছি। কিন্তু এখন আর তাকে নিয়ে কাজ করবো না। কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমি যেমন তাকে নেব না বলেছি তেমনই সেও বলতে পারে আমার সিনেমায় কাজ করবে না।  হিন্দি ছবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বললেন, হিন্দি ছবি আছে শুধু অল্প কয়টা ছাড়া প্রচুর ছবি আছে সেগুলোর ব্যবসা হয় না। সেসব আসে না তাই আমরা জানি না। আর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ছবি গেলে সেখানে লাভের একটা অংশ দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তো হয় না। এই যে কদিন আগে শাহরুখের ছবি আসলো। তবে আমি বাংলাদেশে হিন্দি ছবি আসুক এটা চাই না, ভালো হলেও চাই না; মন্দ হলেও চাই না।  সম্প্রতি অপারেশন জ্যাকপট সিনেমা নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। 
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

বুয়েটের হলে ছাত্রলীগ নেতার সিট ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে রাব্বীকে ওই সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।  ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। এর আগে গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে ছয় দফা দাবি জানান তারা। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করে মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের দায়ে মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বীর স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিলের দাবি জানানো হয় বুয়েটের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ওই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বীর সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কারেরও দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  পরে শুক্রবার (২৯ মার্চ) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট বাতিল করে বুয়েট প্রশাসন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত রাত ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ. দা) অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

গরমে ড্রেসকোড পরিবর্তন চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন
বাংলাদেশের তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে কালো কোটের কারণে আইনজীবীদের অসহনীয় গরম সহ্য করতে হয়। তাই উচ্চ তাপমাত্রার প্রেক্ষাপটে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ড্রেসকোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সর্দার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার এবং ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে এ আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মূলত একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। বছরের প্রায় আট মাস উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজমান থাকে। আদালতে আইনজীবীদের পরিধানের জন্য সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুলস ১৯৭৩ এবং আপিল বিভাগের রুলস ১৯৮৮-তে শীত ও গ্রীষ্মকালে একই ধরনের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বর্তমানে প্রচলিত আইনজীবীদের পোশাকটি মূলত ব্রিটিশ ভাবধারা এবং আবহাওয়া বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। সময়ের পরিবর্তনে এ অঞ্চলের আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হিসেবে পরিগণিত। কিন্তু আইনজীবীদের কল্যাণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিবেচনায় পোশাকের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। আবেদনে আরও বলা হয়, এর ফলে সারাদেশের হাজার হাজার আইনজীবী প্রতি বছর মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উচ্চমাত্রার গরমে অসহনীয়, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে নিম্ন এবং উচ্চ আদালতের বিচারকরা একই ধরনের পোশাক পরায় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন। সেখানে বলা হয়, করোনা মহামারির সময় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে ড্রেসকোড পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং তাতে আদালতের বিচারকার্য বা আইনজীবীদের পেশাগত কোনো অসুবিধা হয়নি। বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ড্রেসকোড নির্ধারণের আবেদন জানানো হয়।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৩

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল, তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চে দুপুর ১টায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশে সক্রিয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরালোভাবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এরপর শুক্রবার (২৯ মার্চ) থেকে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
দেশে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি বিয়ে হচ্ছে। একইসঙ্গে তালাকের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে গ্রামের লোকজন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল প্রতি হাজারে ১২টি। আর গ্রামে এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৮। এ ছাড়া ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে বিয়ের হার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।  গ্রামে শুধু বিয়ে নয়, তালাকের হারও বেশি। ২০২৩ সালে গ্রামে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। শহরে তালাকের হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২২ সালে গ্রামে তালাকের হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরে তালাকের হার ১ শতাংশ ছিল। তালাকের কারণ হিসেবে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদি রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিয়ের হার কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। পাশাপাশি তালাকের হারও কমেছে। দেশে ২০২২ সালে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৮

‘ইফতার খাওয়ার চেয়ে মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইফতার খাওয়াটা বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। এ জন্য আমাদের নেতাকর্মীসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বণ্টন করতে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪’ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা মানুষের মাঝে বিনাপয়সায় খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন বিশ্ব অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্যা শুধু আমাদের না, এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গৌরব হারাতে বসেছিল। আমরা সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ বিশিষ্টজনের হাতে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে আসছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়