• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুঠো ভর্তি চুল উঠছে, ভয়াবহ অসুখ কি না জানুন এই ৫ পরীক্ষায়
আবহাওয়ার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, অযন্ত এবং অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণে অধিকাংশ মানুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই কথাও ঠিক যে, কয়েকটি বিশেষ শারীরিক সমস্যার কারণেও আপনার চুল পরার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই তো অতিরিক্ত চুল ঝরতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি বলে জানালেন ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ, ডা. অপরাজিতা লাম্বা। সাম্প্রতিক তার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করলেন তিনি। জেনে নিন অতিরিক্ত চুল পরলে কোন বিষয়গুলো নজরে রাখবেন- শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকঠাক কাজ না করলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই হাইপোথাইরেয়ডিসম বা হাইপারথাইরয়েডিসমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। শরীরে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে অন্যান্য উপসর্গ প্রকট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত মাত্রায় হেয়ার ফলও শুরু হয়। তাই আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে চুল পড়তে দেখেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করিয়ে নিন। চুলের জেল্লা বাড়াতে এবং গোড়া মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আয়রন। তাই আপনার শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়, তাহলে যে চুল পড়া বাড়বেই, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো এমন কোনও উপসর্গ দেখলেই রক্তে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলেন ডা. লাম্বা। কোনও মহিলার শরীরে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। আর তখনই বাড়ে হেয়ার ফল। তাই আপনিও যদি অকারণে এমন সমস্যার মুখোমুখি হন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে USG করান। এই ২ উপাদানের ঘাটতি আছে কি না জেনে নিন- চিকিৎসক জানালেন, শরীরে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যায়। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়তে দেখলে অবশ্যই রক্তপরীক্ষা করুন এবং দেখে নিন যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ঠিক রয়েছে কি না। আসলে ভিটামিন ডি আপনার চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, একই সঙ্গে চুলের গোড়াও মজবুত করে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:০১

৭ ফুট লম্বা চুলের অধিকারী কে এই আনিকা?
নিজের থেকে বড় চুলের অধিকারী বাংলোদেশের মেয়ে শামিমা আক্তার আনিকার সুনাম দেশ পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আনিকা পড়াশেনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন তিনি।  অস্ট্রেলিয়াতে আইটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পড়াশোনা শেষ করা আনিকার দাবি, বাংলাদেশের সবথেকে বড় চুলের অধিকারিনী তিনি।  আনিকা লম্বায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হলেও তার চুল ৭ ফুট। সেজন্য দেশের সবচেয়ে লম্বা চুলের নারী হিসেবে নিজেকে দাবি করেন তিনি। এমন বড় চুল হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে আনিকা বলেন, আমার মা-খালাদেরও এমন পা ছুঁই ছুঁই চুল রয়েছে। তারাও আমার চুল দেখে নিজেদের স্মৃতিচারণ করেন। বড় চুল সামলানোর প্রসঙ্গে আনিকা বলেন, অনেকবার ভেবেছি চুল কেটে ফেলবো। কারণ আমার চুলের ভারে প্রায়ই ঘাড় ব্যথা করে। তাই চিকিৎসকরাও পরামর্শ দিয়েছিলেন চুল কাটতে, তবে আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। অজানা এক মায়াতে আটকে চুল সযত্নেই রেখে দিয়েছি।   অস্ট্রেলিয়ার অনেকেই আনিকার কাছে জানতে চান তিনি কোন দেশের বাসিন্দা। এতো বড় চুল কীভাবে হলো। তাদেরকেও আনিকা বাংলাদেশ সম্পর্কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। আনিকা আরও বলেন, আমার চুল নিয়ে একটি স্বপ্ন আছে। আমি এখনও আমার জীবনসঙ্গীর দেখা পাইনি। পেলে তাকে সারপ্রাইজ দেবো। তারপর হয়তোবা চুল ছোট করার কথা চিন্তা করতে পারি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৪

হিজাব না পরা শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকা বরখাস্ত
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে হিজাব ও ওড়না না পরে ক্লাসে আসায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে বরখাস্ত করে রাজানগরের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রশাসন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলাকালে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় হিজাব ও ওড়না না পরায় ৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেন রুমিয়া সরকার। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিচার দাবি করছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মেয়েদের সামান্য চুল কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার আবার বসবো। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, যেসব ছাত্রীদের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ওই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

হিজাব না পরায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান উপজেলায় হিজাব ও ওড়না না পরে ক্লাসে আসায় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিয়েছেন এক শিক্ষিকা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগরের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, এদিন সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস চলাকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় ৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণির জীব বিজ্ঞান ক্লাসে ঘটনাটি ঘটেছে। হিজাব ও ওড়না না পরায় শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য বায়োলজির শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার ৩ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থীর চুল অল্প কিছুটা কেটে দেয়।  তিনি আরও জানান, এটা শিক্ষিকা অন্যায় করেছেন। আমি তখন বিদ্যালয়ে ছিলাম না, পরে জেনেছি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। আগামীকাল আমি প্রতিষ্ঠানে যাব এবং ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’  অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারের মোবাইলে ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ জানান, আমি ওই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে বিষয়টি জেনেছি। আগামীকাল ওই স্কুলে যেয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নেব। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

এক টুকরো শসাতেই মিলবে ঘন-কালো চুল
প্রতিদিন মাথার ত্বকে ধুলো ময়লা জমে নষ্ট হয় চুলের সৌন্দর্য। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। তাই চুল ও মাথার ত্বক সব সময় ঝলমলে রাখতে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। আর আমাদের মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শসার রস। শসার রস আমাদের ত্বকের জন্যে বেশ উপকারী। নিয়মিত শসার রস মাথার ত্বকে মালিশ করলে অনেক উপকারই পাবেন। চুলকে স্বাস্থ্যেজ্জ্বল করে তুলতে শসার রস ব্যবহার করুন এই নিয়মে- শসার ছোট টুকরো সরাসরি স্ক্যাল্পে ঘষতে পারেন কিংবা চুলের গোড়ায় মালিশ করতে পারেন। শসার টুকরো লাগানোর পরিবর্তে আপনি শসার রসও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শসার কুচি থেকে সাদা কাপড়ে রস ছেঁকে নিন। তারপর সেই রস স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। পরের ধাপ- শসার রস স্ক্যাল্পে লাগানোর পরে অন্তত ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। এতেই উপকার পাবেন।  দেখে নিন তালিকা:  স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখবে- শসার রস স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে স্ক্যাল্প সহজেই রুক্ষ হয়ে যাবে না আর চুলের উজ্বলতাও অটুট থাকবে। লম্বা চুল পাবেন আপনি- শসার রস মালিশ করার ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। ফলে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাবে। আর হেয়ার গ্রোথ হবে দেখার মতো। সংক্রমণ দূরে থাকবে- স্ক্যাল্পের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকবে, ফলে স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ হানা দেবে না। আর চুলের উজ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাতলা চুলও অতীত- চুল পাতলা হয়ে যাবে না। চুলের শাইন অটুট থাকবে। হেয়ার ফলিকলগুলো মজবুত হবে। তাই এই সপ্তাহ থেকে এই শসার রস ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

শিক্ষার্থীর চুল ছিঁড়লেন শিক্ষক, কাউকে না বলার জন্য দেন ৫ টাকা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বই বের করতে দেরি হওয়ায় ফারহানা খাতুন নামে এক শিশুশিক্ষার্থীর চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে শিক্ষার্থীর বাবা উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির একজন ছাত্রী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ক্লাস চলাকালীন নিজ ব্যাগ থেকে পাঠ্যবই বের করতে দেরি করলে, পাঠদানকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন ওই শিক্ষার্থীর দুই কানের ওপর থাকা চুল ধরে টান দেন। একপর্যায়ে চুল ছিঁড়ে ওই শিক্ষার্থী মাটিতে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান জানান, তার মেয়েকে সামান্য কারণে নির্যাতন করেছেন রতন স্যার। আবার নির্যাতনের পর মেয়ের হাতে ৫ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলে। এমন নির্যাতন করলে শিশুরা স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারাবে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান।  এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন বলেন, ওই মেয়েটাকে আমি অনেক স্নেহ করি। মেয়েটাকে আদর করতে যেয়ে তার চুলে একটু টান লেগে এমনটা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।  কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী রোববার আমি নিজে বিদ্যালয়ে যাব এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

তরুণীর চুল ধরে চলন্ত স্কুটার থেকে ফেলে দিলো পুলিশ
বিক্ষোভকারী তরুণীর চুল ধরে সড়কে ফেলে দিয়েছেন পুলিশের এক নারী সদস্য। পুরো ভারতে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করা সংগঠন 'অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি)' এক প্রতিবাদী তরুণীর সঙ্গে এই ঘৃণিত ঘটনাটি ঘটে হায়দরাবাদের রাজেন্দ্রনগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এই ভিডিওটি ইতোমধ্যে নেট জগতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি চলন্ত স্কুটার থেকে একজন নারী পুলিশ সদস্য এবিভিপি কর্মীর চুল ধরে টানতে থাকে। এক পর্যায়ে ভারসাম্য হারিয়ে সড়কে পড়ে যান ওই শিক্ষার্থী। স্কুটারটি চালাচ্ছিলেন পুলিশের এক নারী সদস্য। আর তার পেছনে বসা ছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য যিনি নিজেও একজন নারী। ইতোমধ্যে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব হয়ে পড়ে। তেলেঙ্গানা পুলিশ জানিয়েছে, কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি। ভারত স্কাউট অ্যান্ড গাইডের (বিআরএস) তেলেঙ্গানা চেপ্টারের চিফ কমিশনার কে. কবিতা ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে এমন ঘৃণিত কাজের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন।  চলন্ত স্কুটারটির পিলিয়ন রাইডার (পেছনের যাত্রী) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে এক প্রতিবাদকারী তরুণীর চুল ধরে টানতে থাকেন। বিক্ষোভকারী পড়ে গেল সামনের নারী পুলিশ সদস্য স্কুটারটি থামান। কে. কবিতা আরও জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানা পুলিশের এমন ঘৃণিত কাজটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং একেবারে অগ্রহণযোগ্য।  ক্যাম্পাসের একটি জমিতে উচ্চ আদালতের ভবন নির্মাণের বিরোধিতা করে এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  ভিডিও দেখতে ক্লিক করুণ। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস 
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪

বড় চুল কাটতে বলায় মারপিট, ৮ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি বৃদ্ধের
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) নামে এক প্রবীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে বাপ ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মানুদাকান্ত লাহিড়ী স্ত্রী শান্তনা লাহিড়ী বাদি হয়ে শাহজাদপুর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটদিন ধরে মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) মৃত্যু শয্যায় ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আন্তরিক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জামিরতা গুধিবাড়ী গ্রামের মৃত লক্ষীকান্ত লাহিড়ীর ছেলে। ঘটনায় জড়িত মূলহোতা একই গ্রামের মশিউর রহমান (৪৫) ও তার দুই ছেলে আবির রহমান (২৫) ও নিবির রহমান সনি (২২)।  মামলার এজাহার ও আহতের স্ত্রী শান্তনা লাহিড়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একই গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে আবির রহমান ও নিবির রহমান সনি বাড়ীর সামনের সড়কের চা স্টলে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইয়ার্কি ফাজলামি করতে থাকে। এ সময় বয়োজ্ব্যেষ্ঠ মানুদাকান্ত লাহিড়ী তাদের বারণ করে এবং তাদের চুল বড়বড় থাকায় চুল কাটতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবির ও সনির বাবা মশিউর রহমান মানুদাকান্তকে জরুরি কথা আছে বলে ফোন করে তাদের বাড়ির সামনে ডেকে নেয়। মানুদাকান্ত সরল বিশ্বাসে সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মশিউর রহমানের নির্দেশে তার ২ বখাটে ছেলে আবির ও সনি তাদের সহযোগী কয়েকজন বখাটে যুবক দিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মানুদাকান্ত লাহিড়ীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগন বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে মানুদাকান্তর নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার বেগতিক হলে তাকে ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।  বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে মানুদাকান্ত ৮ দিন যাবৎ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে স্বজনেরা নিশ্চিত করেছেন।  শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে। শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান আরটিভি নিউজকে বলেন, তারা মামলাটি করতেই একটু দেরি করে ফেলেছেন, যার ফলে আসামিরা পালানোর সুযোগ পেয়েছে। মামলাটি আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের একাধিক টিম নানান জায়গায় কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়