• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই মামলায় চিত্রনায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এই আবেদন করেন বাদীক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।   জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবের পরিচালক নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। কিন্তু চিত্রনায়িকার করা সেই মামলায় কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।  তবে গত ১৮ মার্চ পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বিরুদ্ধে নাসিরের পাল্টা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে তদন্তের চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।  এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনির বলেন, পরীমণি ও জিমির বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এখন সাক্ষীরা আদালতে এই মামলার অভিযোগ প্রমাণ করবে। তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই জানায়, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশ্যে বাদী নাছিরকে ফাঁদে ফেলে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদী নাছিরের দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে ও মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া ক্লাবের বারের ভিতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল, এসট্রে ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যে কারণে আসামি পরীমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকিকে বাদী নাছির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জিমি তেড়ে এসে বাদী নাছিরকে গালমন্দ করার পাশাপাশি হুমকি প্রদর্শনসহ কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে গণমাধ্যমে মামলার বাদী নাছির বলেন, পরীমণি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিল। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমি সব সময় ন্যায় বিচার চেয়েছি এখনও সেটাই চাই আমি। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন। নাসির ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য নাসিরকে চাপ দেন পরীমণি। তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে গালমন্দ করেন তিনি। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির তার মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসিরকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমণি।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

‘নাসিরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন পরীমণি’
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যা করতে গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এমনটাই জানিয়েছেন বোটক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরীমণি মদ্যপ ছিলেন। ফ্রিতে মদ না পেয়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করেন নায়িকা পরীমণি। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন পরীমণি। এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়ে আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছিল। মানুষ এখন জানবে আমি নিরপরাধ ছিলাম। হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভালো লাগত। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন বাদীপক্ষ। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি। বুধবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।  এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্কযুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরীমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাসির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শনপূর্বক ২/৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।  এর আগে, ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।  একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন।  এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৩

চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় মারা যান তিনি।  জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন পূজার মা। চিত্রনায়িকার মায়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।  তিনি জানান, ঝর্ণা আন্টি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। কয়েক সপ্তহ আগে  তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে  রাখা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় আনা হয়। আজ হুট করেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন টু’ সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই নায়িকা। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পূজা। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি 
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৯

আজীবন সম্মাননা পেলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা
রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সোনার বাংলা গ্রীন সিটি সাকসেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আয়োজনটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন উর রশিদ (বীর বিক্রম)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অর্থ সচিব পীরজাদা শহিদুল আলম ও অতিরিক্ত জনপ্রশাসন সচিব জনাব আল আমীন। অনুষ্ঠানে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জনাকে। এ সময় উপস্থিত দর্শকরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানান এ গুণী অভিনেত্রীকে। জানা যায়, জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর অভিনয় যাত্রা শুরু হয় ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমার মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করে গেছেন তিনি। অঞ্জনা রহমান থেকে শুধু অঞ্জনা নামেই পরিচিতি পান ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। ১৯৯২ সালের পর থেকে সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে যান তিনি। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় অঞ্জনার সর্বশেষ ছবি ‘ভুল’। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এ গুণী অভিনেত্রী। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত এ আয়োজনে আরও সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়িকা শাহনূর। অশ্রুসিক্ত চোখে অঞ্জনা বলেন, আজীবন সম্মাননা পাওয়া মানে বয়স শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এ গুণী অভিনেত্রী আরও জানান, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন চলচ্চিত্র আসবে। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, প্রতিটি পদকই আনন্দের। পুরস্কার নেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ অভিনেত্রী আরও জানান, মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ তিনি।  এ দিন ব্যবসায়িক অবদানের জন্য সাকসেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ইউরো বাংলা বিল্ডার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ফাতেমা আক্তার আখিকে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৫

জয় পেয়ে যা বললেন চিত্রনায়িকা পলি
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা রিয়ানা রহমান পলি। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরেই রয়েছেন পলি। রুপালি পর্দায় তাকে এখন দেখা না গেলেও চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তার।  এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন পলি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য এই সমিতির নির্বাচনে ২৪৬ ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন তিনি। সভাপতি প্রার্থী কামাল মো. কিবরিয়া লিপুর প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন এই নায়িকা।   জানা গেছে, দেশের চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে ২৬৬ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সামসুল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী কামাল মো. কিবরিয়া লিপু পেয়েছেন ২০৪ ভোট। এদিকে জয়ে পেয়েই দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন পলি। উচ্ছ্বসিত হয়ে চিত্রনায়িকা বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। টানটান উত্তেজনায় নির্বাচনটি হয়েছে। ভেবেছিলাম এমন হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় জয় পাব না। আমায় দোয়া এবং ভালোবাসায় রেখেছে ভোটাররা। এ জয়ে আমি অনেক খুশি। ভোটারদের প্রতি অফুরান্ত ভালোবাসা। এই এক বছর ভালো কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ভোটের আগে পলি বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ক্লাবটির আরও উন্নয়ন করবেন। নিকেতন থেকে ক্লাব গুলশান-বনানীর মতো জায়গায় নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান। সেখানে আরও সুন্দর পরিবেশ এবং একটি বাড়ি নিয়ে পুরো ক্লাব সাজানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলাধুলার স্থান এবং বড়দের জন্যও বিলিয়ার্ড খেলার স্থানও থাকবে।    এ ছাড়া বড় কনফারেন্স রুম এবং রেস্টুরেন্ট তো থাকবেই। সুযোগ পেলে রাতারাতি ক্লাবের পরিবর্তন আনতে চান পলি। নির্বাচনের আগে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। পলি বলেন, আমি লিপু ভাইয়ের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছি। কিন্তু সামসুল আলম ভাইয়ের প্রথম প্রযোজিত ও পরিচালিত সিনেমার নায়িকা আমি। তাদের দুজনেরই সিনেমা করেছি। মালাবদলের নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। আলম ভাইয়ের প্রতি সম্মান ছিল, আছে ও থাকবে। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে ক্লাবটি আরও এগিয়ে নেব। আশা করছি, তারাও আমাকে সহযোগিতা করবেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিএফডিসিতে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হয় প্রযোজক সমিতির এই নির্বাচন।    
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫২

বীরের প্রথম সাগর দেখা
বর্তমানে ছেলে শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। কাজের ফাঁকে অবসর সময়টা ছেলেকেই দেন তিনি। মাঝে মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলের সঙ্গে খুনসুটির সুন্দরমুহূর্ত কিংবা ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি শেয়ার করেন বুবলী। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। বীরকে নিয়ে শীত অবলোকন করতে সাগর পাড়ে গিয়েছেন বুবলী। শুধু তাই নয়, মা-ছেলের সুন্দর সেই মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন তিনি।   বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সাগর পাড়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন বুবলী। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, এই শীতে বাপজানের প্রথম সাগর দেখা। ওই ছবিগুলোতে দেখা যায়, বুবলী পরেছেন একটি ব্ল্যাক মিনি স্কার্টের সঙ্গে একই রঙের ওভারকোট। অন্যদিকে বীরের পরনে রয়েছে নীল জিন্স সঙ্গে ব্ল্যাক হুডি। সাগর পাড়ের মিষ্টি রোদে ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন দুজনেই।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ৫৫ হাজারেরও বেশ প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, মাশাআল্লাহ ছোট কিং’কে অসাধারণ লাগছে। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, মিষ্টি মায়ের কিউট বাবাটা, মাশাআল্লাহ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে বীরকে প্রকাশ্যে আনেন শাকিব-বুবলী। এরপর থেকে প্রায়ই ছেলের ছবি পোস্ট করেন নায়িকা। বরাবরের মতোই বুবলীর নতুন পোস্টটিও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়