• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইন্টার্ন চিকিৎসককে যৌন হয়রানি, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের পোশাক পরিবর্তনের গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে যৌন হয়রানি করার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার আসামিদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে৷  আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানায়, গত ৬ এপ্রিল হাসপাতালে দায়িত্ব শেষে কোয়াটারে গিয়ে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক পোশাক পরিবর্তন করার সময় নার্সদের কোয়াটারের ছাদ থেকে নাইমুর রহমান, ইমরুল হাসান, জাকারিয়া হোসেন বেনজির ও আরাফাত হোসেন ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও নারী চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করে ও কুপ্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে ভাইরাল করা হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার পর গত ১০ এপ্রিল চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।  ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. জাকারিয়া জাকি বলেন, মামলার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবার ও প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর পরিবার ভয়ে দিন পার করছে। গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ ও দৃষ্টান্ত শাস্তিসহ ভুক্তভোগীর জীবনের নিরাপত্তার দাবি করছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির দেওয়া হয়।  আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মোহনা দেব তৃষা বলেন, দেখুন হাসপাতালে এতো ভিড়ের মধ্যে আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি। কোয়াটারে থেকেও আমরা নারী চিকিৎসকরা নিরাপদ না। এ বিষয়ে নানা ধরনের হুমকি আসছে। আসামিরা ছাড়া পেয়ে গেলে ভুক্তভোগীসহ যারা আছি তাদেরকে দেখে নেওয়ার কথাও শুনেছি। তারা যেনো জামিন না পায় ও তাদের রিমান্ডে এনে আরও কারো কাছে ভিডিও রয়েছে কি না তা তদন্তের দাবি জানাই। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৪

শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে আইসিইউতে পাঠালেন স্বজনরা
চট্টগ্রামের একটি মেডিকেল সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেছেন স্বজনরা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল রাত  ১০টার দিকে চট্টগ্রামে মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক বছর বয়সী এক শিশুকে নিওনাটাল আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ ছিল। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনার পরপরই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলা চালায় শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান চিকিৎসক রিয়াজ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টারের ম্যানেজার ডা. মো. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো এলাকা থেকে এক শিশুকে শনিবার রাতে এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায় তার স্বজনরা। গুরুতর ওই চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে আইসিইউর ১৫ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে।  বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি।  তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪

কর্মস্থলে না থাকায় চিকিৎসককে বরখাস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কর্মস্থলে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকি আরও যারা সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তাদের বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধাবার (৬ মার্চ) সকালে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার দু’দিনের সফরে সিলেট পৌঁছান। এদিন সকালে তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন প্রসঙ্গে সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বনাথ ও জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছি। জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা খুব ভালো মনে হয়নি। ওখানে অনেক কিছু করা দরাকার। অনেক জনবলও নেই। হাসপাতালটি অনেক পুরোনো, অনেক ভবনের কাজ করা দরকার। চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়েও সন্তুষ্ট নই। একটি কড়া নির্দেশ দিয়ে এসেছি। একজন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়েছে। বিশ্বনাথ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ভালো হাসপাতাল মনে হয়েছে। এসময় তিনি উপজেলা পর্যায়ে তথা প্রান্তিক জনপদে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে বলেন, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীরা ভিড় করবে না। তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো শুধু সেবা নয়, শিক্ষা নেওয়ার জায়গা। এখানে গবেষণা করতে হবে। আমাদের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।  এদিন বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৪

৫০ ইউরোপীয় চিকিৎসককে জরিমানায় ক্ষুব্ধ মোমেন
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে এসে জরিমানার শিকার হয়েছেন ৫০ জন চিকিৎসক। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ৫০ বিদেশি চিকিৎসকের এই টিমকে ব্রিটিশ প্রাইভেট ফাউন্ডেশন (তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন) বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। তারা বিনা পয়সার উন্নত চিকিৎসা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গরিবদের চিকিৎসা দেবেন। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিদেশি চিকিৎসক বাংলাদেশে চিকিৎসা দিতে পারবেন না। তবে আমাদের বিশেষ অনুরোধে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় তারা এক শর্তে রাজী হন। শর্ত হচ্ছে, স্পন্সর এজেন্সিকে প্রতিজন চিকিৎসক বাবদ ১৩ হাজার টাকা ও ভ্যাট দিতে হবে। তিনি জানান, তাফিদা হলো একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ৯ বছরের মেয়ের নাম। মেয়েটির বয়স যখন ৪ বছর ছিল, অজানা অসুখের কারণে বহু মাস অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিল। মা-বাবা মেয়েটির হাসপাতাল খরচ বহন করতে না পারায় ব্রিটিশ সরকার তার মেশিন ও ভেন্টিলেটর ডিসকানেন্ট করবে বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সারা ইউরোপে তোলপাড় হয়ে যায়। তখন ইতালি সরকার শিশুটির দায়িত্ব নেয়। তাফিদা বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভালো হয়ে উঠেছে। যখন ব্রিটিশ সরকার টাকার কারণে মেয়েটির ভেন্টিলেটর খুলে দিতে চেয়েছিল তখন বহু লোক মেয়েটির জন্য টাকা তোলে। ওই চ্যারিটির টাকায় তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে এই ৫০ জন মেডিকেল বিশেষজ্ঞকে আনা-নেওয়া বাবদ প্লেনের টিকিট অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্স বিনা পয়সায় দিয়েছে। স্থানীয় হোটেল এদের থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) একমাত্র ব্যতিক্রম। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিদেশি ডাক্তারদের দেশের কোনও হাসপাতালে বিনা পয়সায় রোগী দেখা বা সেবা করা, এমনকি প্রদর্শনী শিক্ষা অপারেশন করাও নিষিদ্ধ। তবে, কয়েক বছর আগে রোকেয়া ও রাবেয়া নামক দুটি সিয়ামিজ শিশুর চিকিৎসা আমাদের সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালের সহযোগিতায় করে  হাঙ্গেরি সরকার এবং সার্থক হয়। সর্বমোট প্রায় ১৩৯ জন (বাংলাদেশি ও বিদেশি) চিকিৎসক ও সহযোগী এতে কাজ করেন। বিএমডিসির কাছ থেকে তখন কোনও অনুমোদন নিতে হয়নি। কোনও চার্জ বা জরিমানা দিতে হয়েছে বলে শুনিনি। বর্তমানে হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় উদ্যোগে রোকেয়া রাবেয়ার কাহিনী উভয় দেশে বহুল আলোচিত। শুধু তাই নয়, রোকেয়া-রাবেয়ার সম্পর্কের পথ ধরে আমার অনুরোধে হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশের ১৫০ ছাত্রছাত্রীকে ফুল স্কলারশিপ দিচ্ছে। রোকেয়া-রাবেয়ার কারণে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে আমার এখন একান্ত বন্ধু। ড. মোমেন বলেন, ইউরোপের তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশন ও আরটিএম বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত চিকিৎসা সেবা বিষয়ক যে কো-অপারেশনের ব্যবস্থা করল, বিএমডিসি তাতে উৎসাহ না দিয়ে বরং জরিমানা করল। বিষয়টি অস্বাভাবিক। জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএমডিসি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

পছন্দের কোম্পানির ওষুধ না লেখায় চিকিৎসককে মারধর, আ.লীগ নেতা হাজতে
পছন্দের কোম্পানির ওষুধ না লেখায় এক নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার মামলার আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শরীয়তপুরের ডামুড্যা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত জুলহাস মাদবর ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও তার ভাগনে শহিদুল ইসলাম মৃধা ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার। ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর সঙ্গে কিছুদিন আগে ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার শহিদুল ইসলাম মৃধার পছন্দের ওষুধ লেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম মৃধা তার মামা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান সম্পাদক জুলহাস মাদবরকে জানান। এরপর গত বুধবার রাতে চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর বাড়ির কাছে তার পথরোধ করে হামলা চালান জুলহাস মাদবর, তার ছেলে ডামুড্যা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি লিখন মাদবর ও শহিদুল ইসলাম মৃধা। এ সময় নুসরাত তারিন তন্বীর চিৎকারে বাসা থেকে তার মা মাসুমা খাতুন ও চিকিৎসক স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় নুসরাত তারিন তন্বী ও মাসুমা খাতুনকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ডামুড্যা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দিন দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর ও শহিদুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বী বলেন, ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম বারবার তার কোম্পানির ওষুধ লিখতে আমাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। আমি তার দাবি না মানায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গতকাল রাতে শহিদুল, স্থানীয় জুলহাস মাদবর, তার ছেলে লিখন মাদবরসহ বেশ কয়েকজন লোক আমার ওপর হামলা চালায়। তারা ধাতব পদার্থ দিয়ে আমার মুখে আঘাত করলে আমি জখম হই।  পরে আমার চিৎকার শুনে আমার মা আর স্বামী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমরা সরকারি চাকরি করতে গিয়ে গ্রামে সেবা দিতে আসছি, কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর বিচার দাবি করছি। নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ওরা চেয়েছিল ওদের কিছু মানহীন ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে। কিন্তু একজন চিকিৎসক হিসেবে একটি কোম্পানির ওষুধ ঢালাওভাবে লেখার সুযোগ নেই, তাই আমার স্ত্রী তাদের কথায় রাজি হয়নি। ওরা স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কাল রাতে আমার স্ত্রী ও আমাদের ওপর হামলা চালায়। চিকিৎসকেরা  সেবা দিতে গ্রামেগঞ্জে কাজ করে, এভাবে আমাদের ওপর হামলা হলে কেউ আর চিকিৎসা সেবা দিতে গ্রামে আসবেন না। আমরা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।  আহত মাসুমা খাতুন বলেন, আমি আমার মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে এগিয়ে যাই। পরে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। একজন নারী চিকিৎসক এখানে নিরাপদ না। আমরা কীভাবে থাকব। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবরের মামাতো ভাই এনামুল হক ইমরান বলেন, আমার ভাই কারও ওপরে হামলা করেনি। জুলহাস ভাইয়ের সঙ্গে চিকিৎসক ও তার মায়ের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পড়ে গিয়ে উনি আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ল্যাবএইড ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহীদ ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক তন্বীর ওপরে হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি ও তার মা আহত হয়েছেন। তন্বীর মুখমণ্ডলে জখমের আঘাত রয়েছে। বর্তমানে উনি তার মা’সহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, একটি কোম্পানির ওষুধ না লেখা নিয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মো. হারুন অর রশিদ (৪৮) নামের এক হোমিও চিকিৎসককে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।   আরও পড়ুন : বাগেরহাটে ২ তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার   এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাইথল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামান ঢালী। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি লোমহর্ষক। তবে কেন বা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। আরও পড়ুন : যুবলীগ কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা     নিহতের ফুফাত্ত ভাই মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় শাহাব উদ্দিন ডাক্তারের ছেলে রুবেল ডাকাত প্রকাশ্যে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, ঘটনাস্থলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবস্থান করছেন, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬

যৌন হয়রানির মামলায় রাবি চিকিৎসককে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ
যৌন হয়রানির মামলায় অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান চিকিৎসক ডা. রাজু আহমেদের আগাম জামিন বাতিল করে তাকে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক এমদাদুল হক রিপন এই নির্দেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট দিল সেতারা বেগম চুনি। অ্যাডভোকেট দিল সেতারা বেগম চুনি বলেন, মামলা হওয়ার পরে ডা. রাজু আহমেদ হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে জামিন নিয়েছিলেন। আমরা নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-১ এ তার জামিন বাতিলের আবেদন করেছিলাম। আজ বিজ্ঞ আদালত তার জামিন বাতিল করেছে এবং হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে। রাজু আহমেদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন রাজশাহী বারের সভাপতি জাহিদ হোসেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ অক্টোবর নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ডা. রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন। মামলার এজাহারে মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, ডা. রাজুর ব্যক্তিগত চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য তার কিশোরী মেয়েকে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে, তিনি চেম্বার থেকে বের হলে, ডা. রাজু তার মেয়েকে যৌন হয়রানি করেন। ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে কয়েক দফায় মানববন্ধন করেন ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে গতবছরের ৫ নভেম্বর ডা. রাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ বিষয়ক কমিটিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে ২২ জন ডা. রাজুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত যৌন হয়রানির সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ডা. রাজুকে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়।  
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়