• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কাভার্ডভ্যানের চাপায় চিকিৎসক নিহত
মাগুরায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক হোমিও চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রীসহ দুজন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মাগুরার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের লক্ষ্মীকান্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হোমিও চিকিৎসকের নাম শাহজাদ জোয়ার্দার (৪০)। তিনি ঝিনাইদহের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ জোয়ার্দারের ছেলে। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী আরাবী খাতুন ও প্রতিবেশী এক নারীকে নিয়ে মাগুরার ওয়াপদা এলাকায় যাচ্ছিলেন শাহজাদ। পথে লক্ষ্মীকান্দর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে যশোরমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শাহজাদ। তার স্ত্রীসহ আহত দুজনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌতম চন্দ্র মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

নেইমারের মাঠে ফেরা নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক লাসমার
ইনজুরির কারণে এবারের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট মিস করবেন নেইমার জুনিয়র, তা অনেক আগে জানা গিয়েছিল। তবে আল হিলালে ফিটনেস অনুশীলন করতে দেখে অনেকেই ভেবেছিলো টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মাঠে ফিরবেন এই ব্রাজিলিয়ান পোস্টার। নেইমারের মাঠে ফেরার নিয়ে কথা বলেছেন তার চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার। গত বৃহস্পতিবার লাসমারের হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছেন নেইমার। এরপর স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোকে এই চিকিৎসক জানান, আমরা এখনো তার পুনর্বাসনের অর্ধেকটাতেও পৌঁছাতে পারিনি।  তিনি বলেন, যখন আমরা ৯ বা ১০ মাসের তার ফিজিওথেরাপি সম্পন্ন করব, তখনই শুধু আমরা তার মাঠে ফেরার সময় নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারবো। গত ১৭ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে চোট পান নেইমার। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান নেইমার।  ব্যথায় মাঠে শুয়েই কাতরাতে থাকেন তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। এরপরে ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তের হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার করা হয় তার পায়ে। অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক লাসমার। এরপর অনেক কষ্ট করেই আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন। ক্লাবটির চিকিৎসক দল নেইমারের পেশির শক্তি বাড়ানোর কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। কারণ, কয়েক মাস আগে এক ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। যেখানে ফিজিওর সাহায্যে তিনি পা ওঠানো-নামানোর চেষ্টা করছেন। বিছানায় শুয়ে-বসে সেই কাজটি করতেই নেইমারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। কখনও ব্যথায় চিৎকার করছেন, কখনও সেটি সহ্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।   
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৭

সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা মারা গেছেন
সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) মারা গেছেন। আজ দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।  চিকিৎসক লতা আক্তারের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণের টেক গ্রামে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে একটার দিকে গ্রামের বাড়িতে লতার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার সাবেক স্বামী মো. খলিলুর রহমান (৩৫)। তিনি নিজের গায়েও আগুন ধরান। খলিলুর গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গ্রামের বাড়িতে লতা ও তার মা থাকতেন। তার বাবা মারা গেছেন। বড় দুই ভাই-বোন ইতালিপ্রবাসী। রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে লতা নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। খলিলুরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬

সিলেটে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ইউরোপের ৫৫ চিকিৎসক
একটি মেগা মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ইউরোপ থেকে ৫৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম সিলেটে এসেছেন। লন্ডন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেলিনা বেগমের নেতৃত্বে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান তারা। এসময় চিকিৎসকদের বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহমদ আল কবির। শেলিনা বেগম বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি অভূতপূর্ব সুযোগ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীর্ষ স্থানীয় চিকিৎসকদের একত্রিত করার মাধ্যমে দেশের অগণিত অসহায় দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় অংশ নিতে পারছি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। বিমানবন্দরে বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল জব্বার জলিল, ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬

শিশু আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২ চিকিৎসক
মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুতে দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব। ওসি বলেন, এ ঘটনায় জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আয়হামের আর জ্ঞান ফেরেনি। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আয়হামের সুন্নতে খতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট। তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭

ওএমআর ছেঁড়া সেই চিকিৎসক লাপাত্তা, মারধরকারীর নেতৃত্বে কমিটি!
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল না করলেও হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামে এক শিক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ নিয়ে চলছে তোলপাড়। একদিকে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত যে পরিদর্শকের দিকে সন্দেহের তীর, ঘটনার পর থেকে তিনি লাপাত্তা, আরেকদিকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে যে চিকিৎসকের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। সব মিলিয়ে সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর অভিবাবকরা।   ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার চিঠির প্রেক্ষিতে জানা যায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৩ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার পাশের এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করছিলেন। এক ঘণ্টা পরীক্ষার ৪০ মিনিট পর দায়িত্বরত এক নারী পরিদর্শক ডিভাইস ব্যবহার করা শিক্ষার্থীকে ধরে ফেলেন। হুমাইরার দাবি, এ সময় নকল করা শিক্ষার্থীর মতো সন্দেহবশত তারও ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন ওই নারী পরিদর্শক। পরে, হুমাইরার দাবির মুখে যাচাই করে তার উত্তরপত্র সঠিক ছিল বলে প্রমাণ হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে তাকে নতুন একটি ওএমআর শিট দেওয়া হয়। তবে তখন পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ছিল শেষ পর্যায়ে। এতে শেষ হয়ে যায় হুমাইরার সব স্বপ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে। ঘটনার পর শুরুতে শেরেবাংলা কেন্দ্র এবং পরে মেডিকেল কলেজে এসেও কোনো সুরাহা পায়নি হুমাইরার পরিবার। শেষমেষ ১১ ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণার দিন স্বাস্থ্য অধিপ্তরে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেই অভিযোগ জানান হুমাইরা ও তার পরিবার। মন্ত্রী চলে যাবার পর ঘটে মারধরের ঘটনা। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ওই কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন তিনজন চিকিৎসক। যাদের মধ্যে দুজন নারী, অপরজন পুরুষ। দুই নারী চিকিৎসকের একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের। হুমাইরা বলছেন, যিনি তার ওএমআর ছিঁড়েছেন তিনি বাঙালি। নথি বলছে, ডা. নাফিসা ইসলামের সঙ্গেই হুমাইরার ওই কাণ্ড ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা নাফিসা ইসলাম। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের কোথাও পাওয়া যায়নি তাকে। বন্ধ পাওয়া গেছে পরিদর্শন নথিতে দেওয়া তার মোবাইল নম্বরটিও। হাসপাতালে থাকা তার সহকর্মীরাও অবস্থান জানাতে পারেননি। ফলে নাফিসা ইসলামের কাছ থেকে ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধাক্ষ্য ডা. সোহেল মাহমুদ অবশ্য দাবি করছেন, অভিযোগকারী যা বলছে তা সত্য নয়। সেদিন এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ আসার পর হল সুপারদের আমি ডাকাই। তাদের তিনজনের সাক্ষাৎকার নেই। তারা বলে, এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’ এমন অবস্থায় অভিযোগকারী সেই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবার অভিযোগের ইতিবাচক ফল নিয়ে পড়েছেন সংশয়ে। তারা বলছেন, কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এমন অভিযোগ জানানো হয়েছে 'সেই অপরাধে' যিনি মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন তাকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদন্ত কমিটির প্রধান করেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে কমিটির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলেনি। সাংবাদিকদের সামনে পড়লেও তাদের এড়িয়ে যান কমিটির চার সদস্য। সব শুনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন হুমাইরার সঙ্গে কোনো অন্যায় ঘটবে না। তিনি বলেন, আমি খুবই দুঃখিত। একটা পরীক্ষার্থী কোনওভাবে কারো গাফলতিতে বঞ্চিত হোক, সেটা কোনোভাবেই কাম্য না। আমি দেখবো মেয়েটির সঙ্গে যেন কোনও অন্যায় না হয়।   হুমাইরার পরিবারের দাবি, পরিদর্শক ডা. নাফিসার সঙ্গে হুমাইরার সাক্ষাৎ করানো হোক এবং বাকি পরীক্ষার্থীদের কাছেও শোনা হোক সেদিন আসলে কী ঘটেছিল।    
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫

চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যা জানাল চিকিৎসক
খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা লাগিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূকে (৪৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করা হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল থাকায় তিনি কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসক জানান, চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী আগে দেখিননি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই নারীর ছেলে বলেন, সোমবার রাতে তার মায়ের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তিনি কথা বলতে পারছেন না। কিছু বলতে গেলে ইশারা করছেন। তার মায়ের শরীর এখনও বেশ দুর্বল। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২-এর সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক মো. কনক হোসেন বলেন, হাসপাতালে যখন আনা হয়, তখন ওই রোগী পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন তেমন নয়। তবে তিনি একটু অবচেতন অবস্থায় ছিলেন। চোখের পাতা ও দুই ঠোঁট শক্ত আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের দাগ ও ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন ছিল। অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আঠা অপসারণ করা হয়। এরপর রোগীকে পাঠানো হয় চক্ষু ওয়ার্ডে।  তিনি বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ছিল, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাই চক্ষু ওয়ার্ড থেকে তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। তবে এর আগে কখনও চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী দেখিনি। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় কেউ মামলা করেননি। তবে অপরাধীদের শনাক্ত করতে অভিযান অব্যাহত আছে। এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে খুলনার পাইকগাছায় চোখ-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় গৃহবধূর কানের দুল ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর ছেলে বাগেরহাট ও মেয়ে খুলনায় থেকে পড়ালেখা করে। রোববার রাতে তার স্বামী ব্যবসায়িক কাজে গড়ুইখালী বাজারে ছিলেন। এ সুযোগে ভোর তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা মই দিয়ে ছাদে যায়। এরপর সিড়ির দরজা ভেঙে গৃহবধূর বেডরুমে প্রবেশ করে তার চোখে ও মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর কানের দুল ও গলার চেনসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪

চাঁদপুরে চিকিৎসক হত্যা মামলায় ২ কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ (৮৫) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত কিশোর মো. শফিউল আলম শুভ (১৪) ও মো. আসিফ মিয়াজী বাবুকে (১৭) ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এ রায় দেন। আটকাদেশপ্রাপ্ত কিশোর শুভ শাহারাস্তি উপজেলার বানিয়াচো গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মো. জামাল হোসেনের ছেলে এবং বাবু একই বাড়ির মফিজুল ইসলামের ছেলে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর থেকে নিজ বাড়ি বানিয়াচো গ্রামে নিজস্ব চেম্বারে এলাকার লোকদেরকে চিকিৎসা প্রদান করতেন। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে তিনি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। স্ত্রী মৃত্যুবরণ করায় ওই ঘরে তিনি একাই থাকতেন। পাশের ঘরে থাকতেন তার ছেলে ও ছেলের বউ নাতি নাতনিরা। রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলাকেটে হত্যা করে ওই ঘরের সিঁড়ির পাশে রেখে চলে যায়। পরদিন ২৭ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় চা দোকানি তোয়াব আলী গলাকাটা মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজনকে জানান। মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহর ছেলে মোশারফ হোসেন ২৮ জানুয়ারি শাহারাস্তি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শাহরাস্তি থানা পুলিশ উভয় আটকাদেশপ্রাপ্ত দুই কিশোরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারাস্তি থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূর হোসেন মামুন মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছর ৯ জুন আদালতে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ৬ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে দুই কিশোরের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৭

নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসক গ্রেপ্তার
বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাসকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার( ২ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ দল। গ্রেপ্তার ডা. সবুজ কুমার প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি। তিনি বাগেরহাট কচুয়ার সনাতন দাসের ছেলে। র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি খান আসিফ তপু জানান, গত ১৫ জানুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকার সন্তানসম্ভবা এক নারীর প্রসব ব্যথা উঠলে তার বাবা ও স্বামী তাকে বামনা থানাধীন ০৪ নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। এএসপি খান আসিফ তপু জানান, কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে জানান, ২০ হাজার টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দিয়ে তার মেয়ের অপারেশন করবেন। ভিকটিমের বাবা রাজি হয়ে ক্লিনিকে অগ্রিম ১০ হাজার টাকা জমা দেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিমকে অপারেশন থিয়েটার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তার সবুজ কুমার দাস অন্য কোন অভিজ্ঞ সার্জন ও স্টাফ ছাড়া তার অদক্ষ সহকর্মীদের নিয়ে অপারেশন শুরু করেন। র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক জানান, দীর্ঘ সময় পার হলেও অপারেশন থিয়েটার থেকে কোনো খবর না আসায় পরিবারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এ জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অপারেশন থিয়েটার খোলার জন্য বললেও অপারেশন চলছে বলে অপারেশন থিয়েটারের দরজা বন্ধ রাখেন তারা। র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এভাবে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর দরজা খোলার জন্য দাবি জানালে ডা. সবুজ কুমার দাস ভিকটিমের বাচ্চাকে তার পেটের মধ্যে পুনরায় রেখে তার পেট বাহির থেকে সেলাই করে স্কচটেপ লাগিয়ে রাত ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করেন। রোগীর হার্টবিট বেড়ে গেছে এই অজুহাতে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে বলে অভিযুক্ত ডা. সবুজ কুমার দাস রোগীর স্বজনদের জানান। তাদের কথামতো অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরিশাল নেওয়ার পথে ভান্ডারিয়া থানা এলাকায় পৌঁছালে ভিকটিমের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রসূতিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃতের বাবা বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বামনা থানায় ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ দল গতকাল (শুক্রবার) রাতে মামলার প্রধান আসামি ডা. সবুজ কুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে। তাকে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

পরীক্ষার্থীর কান থেকে ডিভাইস বের করলেন চিকিৎসক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে এক পরীক্ষার্থীর কানের ভেতর থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বের করেছেন চিকিৎসক। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) যশোর সরকারি এমএম কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  আটক জাহিদ হাসান যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রামের আবু দাউদ হোসেনের ছেলে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এম এম কলেজের নতুন বিজ্ঞান ভবনের ১০৫ নম্বর কক্ষে জাহিদ পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু উত্তরপত্র পেয়ে বসেই ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় হলেও তিনি উত্তরপত্রে কিছুই লিখছিলেন না। ফলে উত্তরপত্র দেখে সন্দেহ হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। এরমধ্যে একটি শব্দ হওয়ায় জাহিদের জালিয়াতি নজরে আসে। প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, জাহিদের কানের মধ্যে একটি ডিভাইস ছিল। আরেকটি ছিল পকেটে। তবে, বাইরে থাকা একটি চক্র কথা দিয়েছিল ওই ডিভাইসের মাধ্যমে একজন প্রশ্নের উত্তরগুলো জানিয়ে দেবেন জাহিদকে। তবে উত্তর আসতে বিলম্ব হওয়ায়, জাহিদ অপেক্ষা করছিল। এরমধ্যে ডিভাইসে সমস্যা ভেবে চাপাচাপি করতে গিয়ে পুরোটা কানের ভেতরে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ জাহিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা সাঁড়াশি দিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করেন। রাতে এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছিল। যশোর সরকারি এসএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মরজিনা আক্তার বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের হাতে ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক পরীক্ষার্থীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো চক্র জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখছেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়