• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে বেড়েছে আখের রসের চাহিদা
দেশের অন্যান্য জেলার মতো তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। আর এই গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে কদর বেড়েছে আখের রসের। হিলির বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা মিলছে রস বিক্রি। প্রতি গ্লাস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে।  হিলির জিরোপয়েন্ট আখের রস নিতে আসা সোহান মল্লিক বলেন, হিলিতে অতিরিক্ত গরম পড়ছে। পানির তৃষ্ণা পাচ্ছে বেশি। যার জন্য আখের রস নিতে আসলাম। রস পান করে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।  হিলিতে রস বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আখ কিনে এনে হিলির বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রস বিক্রি করছি। আগে থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা গ্লাস বিক্রি করছি। দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। কারণ এই গরমে মানুষের পানির তৃষ্ণা পেলেই তো রস পান করবেন। যদি দাম বেশি রাখি তাহলে মানুষ কষ্ট পাবে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ পিচ আখ থেকে রস তৈরি করে বিক্রি করি। এই দিয়ে আমার সংসার ভাল ভাবেই চলে।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কিছুদিন। আপাতত দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই তাপমাত্রা থাকছে।  এদিকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, তীব্র এ গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার খেতে হবে। কারণ গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যাচ্ছে। রোদে ছায়ার মধ্যে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বের হলে সঙ্গে ছাতা নিতে হবে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

তারল্য ঘাটতি / ব্যাংকে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি
ব্যাংকগুলোর কাছে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি। ফলে স্থানীয় মুদ্রা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রিনব্যাক কিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে সহজে অর্থ ঢালতে বাধ্য হয়েছে। কেননা সব ব্যাংক না থাকলেও বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংকই তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। দেশের মুদ্রা বাজারের সংকট উল্টো দিকে মোড় নিয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ব্যাংকে ডলার হোল্ডিং বাড়ার সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার শান্ত হয়েছে এবং টাকার তারল্য চাপের মুখে পড়েছে, যা বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমদানি বিল কমে যাওয়া এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর দৈনিক ডলার হোল্ডিং এক মাস আগের নেতিবাচক অবস্থান থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে উন্নতি করেছে। ডলার হোল্ডিংয়ের বিকাশও দেশের চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে প্রতিফলিত হয়, যা গত বছরের একই সময়ের ৪.৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থেকে এফওয়াই ২৪-এর জুলাই-জানুয়ারিতে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে। তবে, আমদানি বিধিনিষেধের ফলে স্থানীয় মুদ্রার তারল্যের অবনতি ঘটে। যা ব্যাংকিং শিল্পকে নগদ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্টের (সিআরআর) ঘাটতিতে ফেলে দেয়, যা আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।   রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা হল নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল যা একটি ব্যাংক হঠাৎ আমানত প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা পূরণ করতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য দৈনিক ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে রিজার্ভে থাকে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকিং শিল্পে দৈনিক সিআরআর ঘাটতি ছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। এই সংকট কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারল্য ঘাটতি পূরণের জন্য উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেও সহজ অর্থ পাম্প করার জন্য একটি মুদ্রা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করতে প্ররোচিত করেছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নতুন ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৩ শতাংশের কম সুদে ১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে। কারেন্সি সোয়াপ রেট রেগুলার লোয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট রেপো রেট ৮ শতাংশের অনেক নিচে। ফলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকিং শিল্পে সিআরআর ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। তবে সব ব্যাংক না থাকলেও বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংকই এই তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের সূত্র বলছে, গত ৬ মার্চ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে সিআরআর ঘাটতি ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু শুধু প্রচলিত ব্যাংকগুলোর কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল, অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ এসেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোর। স্বল্প সুদে টাকা ঢাললেও কিছু ইসলামী ব্যাংক এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ রাখতে পারছে না, যার ফলে চেক ডিজঅনার হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ না থাকায় ফেব্রুয়ারির বেতনের চেক ছাড়পত্র না পাওয়ায় সম্প্রতি একটি করপোরেট হাউজ একটি ইসলামী ব্যাংকের চেক অসম্মানের সম্মুখীন হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার থেকে স্থানীয় বাজারে সংকটের এই পরিবর্তনটি অর্থের হারেও স্পষ্ট। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবমূল্যায়নে না যাওয়ায় গত তিন মাস ধরে ডলারের আনুষ্ঠানিক বিনিময় হার ১১০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে একই সময়ে বাজারে বিনিময় হার ১২০ টাকার ওপরে স্থিতিশীল রয়েছে। সরকারি রেট ও বাজার দরের পার্থক্য এখনো ১০ টাকার ওপরে থাকলেও ডলারের তারল্য বাড়ায় গত তিন মাসে ডলারের দামের ওঠানামা বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারিতে ঘোষিত অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) পরামর্শ অনুযায়ী অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ডলারের দামের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করার জন্য একটি ক্রলিং পেগ প্রবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে এখন রমজানের আগে নতুন পদ্ধতিতে না যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কারণ এটি ডলারের দাম ১ টাকা বা ২ টাকা বাড়িয়ে দেবে, মুদ্রাস্ফীতি আরও তীব্র করবে। এই নতুন প্রক্রিয়াটি রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট (আরইইআর) এর সাথে যুক্ত হবে, যা ট্রেডিং অংশীদার দেশগুলির মুদ্রা ঝুড়ির বিপরীতে পরিমাপ করা হবে এবং একটি পূর্বনির্ধারিত বিনিময় হার করিডোরের মধ্যে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী বলেন, বর্তমানে আরইইআর সূচক নির্দেশ করে যে ডলারের দাম ১১৪ টাকা হওয়া উচিত এবং এই মূল্য গ্রহণ করার জন্য ১১০ টাকার বর্তমান মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য করতে আরও অবমূল্যায়ন প্রয়োজন, যা মুদ্রাস্ফীতির উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে স্থানীয় তারল্য সংকটে ঋণের সুদহার ১২ শতাংশের ওপরে এবং কল মানি রেট ৯ শতাংশের ওপরে উঠে গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আমদানি হ্রাসে শতভাগ মার্জিন, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল কমানো, ডলার সংকটের মধ্যে জোরপূর্বক ঋণ বৃদ্ধি, ওভারকেনাসহ একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত শতভাগ মার্জিন মেটাতে এলসি খোলার জন্য আমদানিকারকরা ঋণ নিচ্ছেন, এতে ব্যাংকগুলোর তারল্যের চাপ পড়ছে। ডেফার্ড এলসিতে আমদানিকারকরা এখন আগ্রহী নন। ফলে তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দৃশ্যমান মূল্য পরিশোধ করছেন বলে জানান তিনি। একটি বড় গ্রুপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ব্যবসায়ী গ্রুপটি বিলম্বিত পেমেন্টে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করত, কিন্তু এখন তারা দৃশ্যমান মূল্য পরিশোধ করছে। বিলম্বিত পেমেন্টে তারা এক বছর পর পেমেন্ট করতে পারলেও এখন তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সেই পেমেন্ট করার জন্য, যার ফলে তারল্যের চাপ পড়ছে। তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটের কারণে ঋণগ্রহীতারা পরিশোধ করতে না পারায় বাধ্যতামূলক ঋণ ও ওভারকেয়া বাড়ছে, এটিও টাকার তারল্য সংকটের একটি কারণ। আরেকটি বিষয় হলো, ইল্ড রেট ১১ শতাংশের ওপরে থাকায় ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে আসে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪

যে কারণে বাড়ছে পোপা-ভোল মাছের চাহিদা 
বেশ কিছুদিন হলো বাজারে পোপা বা পোয়া এবং ভোল মাছের চাহিদা অনেক বেড়েছে। বাজারে মাছগুলো বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে কেনো এ মাছের চাহিদা দিনদিন এতো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে এ মাছের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদাও অনেক। কিন্তু কেনো এ মাছের বাজারে এত চাহিদা এবং কি স্বাস্থ্য গুণাগুণ রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।  ঢাকার বাজারে সাধারণত প্রতি কেজি পোপা বা পোয়া মাছের দাম আড়াই শ' টাকা থেকে শুরু হয়। তবে আকৃতির ওপর ভিত্তি করে দামের ওঠানামা নির্ভর করে। কক্সবাজার মেরিন ফিশারিজ ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, দামটা আসলে নির্ভর করে মাছের এয়ার ব্লাডারের ওপর। এয়ার ব্লাডার বা সুইম ব্লাডার মাছের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটি মাছকে পানিতে ভাসিয়ে রাখে। ভেতরে বাতাসে ফাঁপা সাদা রংয়ের এই বস্তুটিকে কক্সবাজারের স্থানীয় ভাষায় ফদনা বলা হয়ে থাকে। কারো কারো কাছে এর পরিচয় ফ্যাপড়া বা ফটকা নামেও। শফিকুর রহমান বলেন, যে সমস্ত মাছে ফটকা বড় হয় তাদের মূল্যও বেশি হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এখন সব মাছের এয়ার ব্লাডার সংগ্রহ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা আছে, এগুলো বিদেশে রপ্তানি হয়। তিনি আরও বলেন, এই এয়ার ব্লাডার থেকে সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং কসমেটিকস তৈরি হয় বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা। জাপানে এর গুরুত্ব বেশি, সেলাইয়ের সুতা, বিভিন্ন মেডিসিন এ থেকে উৎপন্ন হয়। পোয়া বা পোপা মাছ সম্পর্কে যা জানি আমরা-  স্থানীয় বাজারে পোপা মাছের আট থেকে ১০ রকমের প্রজাতি আছে। তবে বাজারে মূলত লোনা পানি এবং মিঠা পানির পোয়া মাছ হিসেবেই লোকে আলাদা করেন একে। তবে বাজারে যে পোয়া মাছ পাওয়া যায়, সেটা মিঠা পানির পোয়া মাছ। এটি আকারে কিছুটা ছোট। সাধারণত দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা বা পটুয়াখালীর দিকে নদীতে পাওয়া যায় এটি। এছাড়া চিংড়ি ঘেরেও এই জাতের পোয়া মাছের চাষ হয় এখন। কিন্তু কালো ও লাল পোয়া গভীর সমুদ্রের মাছ। এগুলো লবণাক্ত পানিতে থাকে এবং আকারেও অনেক বড় হয়। ট্রলার মালিক এবং মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বিবিসিকে বলেন, আমাদের চোখে দেখার মধ্যে এই মাছটা দামি মাছ। সুন্দরবনের হরিণের মতো হঠাৎ এক ঝাঁক পাওয়া যায়। এটা বিভিন্ন জাতের হয়। তিনি দাবি করেছেন, গভীর সমুদ্রের এই জাতের ৪০ বা ৫০ কেজি ওজনের মাছ কেজিতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া এই মাছের কিছু উপকারিতার কথাও বলেন মৎস বিজ্ঞানীরা। শফিকুর রহমান জানান ডায়েবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রেও এই মাছ উপকারী। এছাড়া এটি কোলস্টেরল মুক্ত বলেও জানান তিনি। এমনিতে এই মাছ খেতেও অনেক সুস্বাদু। আর এসব কারণেই এ মাছটি এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। দেশের আরও সব দামি মাছ- পোপা বা পোয়া মাছের মতোই দামি আরেকটা মাছ হল ভোল মাছ। ভোল মাছের ওজন ৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কক্সবাজারের একজন সাংবাদিক বলছিলেন, বড় ভোল মাছ গরুর মত জবাই করা হয়। এরপর শহরে মাইকিং করে মাংস বিক্রি হয়। মৎসবিজ্ঞানী শফিকুর রহমান বলেছেন, মোট কথা যেসব মাছের আকার বড়, তাদের এয়ার ব্লাডার বড় হয় এবং দামও বেশি হয়। আর এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। “এখন কক্সবাজারে মাছ কিনলে জিজ্ঞেস করে এয়ার ব্লাডার রেখে দেবে কি-না। এয়ার ব্লাডার ছাড়া নিলে দাম কম পাওয়া যায়। আগে এগুলো জানতাম না।” এ ছাড়া স্যামন মাছ যা স্থানীয়ভাবে তাইল্যা মাছ নামে পরিচিত সেটি এবং কামিলা মাছ সমুদ্রের দামি মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে জানান মি. রহমান। দামি এখন মাছের আঁশও- বাংলাদেশে এখন অন্যতম কয়েকটি অভিনব ব্যবসার একটি মাছের আঁশের রপ্তানি। যদিও মাছে-ভাতে বাঙালি হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাছ বরাবরই জনপ্রিয় থাকলেও, মাছের আঁশের কোন কদর ছিল না। কিন্তু সেই ফেলে দেওয়া পণ্যটিও এখন রপ্তানি আয় আনতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ সাত-আটটি দেশে রপ্তানি হয়। রপ্তানিকারক জুলফিকার আলম বিবিসিকে বলেছেন, বাংলাদেশে এখন প্রায় প্রতিটি বাজারে যারা মাছ কাটেন, তারা সবাই আর আঁশ ফেলে না দিয়ে সংগ্রহ করে রেখে দেন। সারা দেশ থেকেই আমরা আঁশ সংগ্রহ করি। এক সময় যে পণ্যটি ফেলে দেওয়া হতো, সেটি থেকে আমরা এখন রপ্তানি আয় করছি। তাদের কাছ থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসব আঁশ সংগ্রহ করে ময়লা দূর করে ধুয়ে শুকিয়ে নেন। এরপর রপ্তানিকারকরা সেগুলো প্রক্রিয়া করে বিদেশে রপ্তানি করেন। যদিও মাত্র ১০-১২ জন ব্যক্তি আঁশ রপ্তানি করেন, কিন্তু সব মিলিয়ে এই ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। এখন বাংলাদেশ থেকেই প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার টন আঁশ রপ্তানি হয় জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয়। সেখানে মাছের আঁশ থেকে কোলাজেন ও জিলেটিন তৈরি করা হয়। ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট তৈরি মাছের আঁশ ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া কোলাজেন ও জিলেটিন মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হয়, যা ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রীতে কাজে লাগে। এখন মাছের এয়ার ব্লাডার বা ফটকা যাই বলি না কেন সেটাও হয়ে উঠতে পারে রপ্তানি আয়ের উৎস। সূত্র: বিবিসি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬

‘শিশুদের চাহিদা অনুসারে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে'
শিশুদের চাহিদা অনুসারে নতুন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে শিশু একাডেমিকে নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম শিশুদের শিক্ষা, পুষ্টি ও সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। পথশিশুদের শিক্ষা, প্রাশিক্ষণ ও তাদের  উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসিসহ শিশু একাডেমির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় পর্ব শেষে ছিল শিশুদের পরিবেশনায়  'উঠবো জেগে, ছুটবো বেগে’ শিরোনামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৭

ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি : সাজু মুনতাসির
পুরো নাম মুনতাসির মামুন হলেও শোবিজের সকলে তাকে সাজু মুনতাসির নামেই চেনেন। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা হিসেবে। বর্তমানে একজন সফল প্রযোজক হিসেবে দেশে ও বিদেশে সুপরিচিত তিনি। সাজু মুনতাসির বর্তমানে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ১৯৫২ ইন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সিইও। এ ছাড়াও তার মালিকাধীন আরেকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালিয়া। সোমবার (৮ জানুয়ারি) তার জন্মদিন।  সাজু মুনতাসির ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ওবায়দুল কবির এবং মা কানিজ নাজনীন আক্তার।টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির জীবনের বিশেষ দিনটিতে ভাসছেন শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায়। সাজু মুনতাসির বলেন, এটা সত্যি দারুণ একটি বিষয় যে প্রতিবছর জন্মদিন এলে কাছের মানুষেরা, সহকর্মীরা শুভেচ্ছা দিয়ে সেটি রঙিন করে রাখেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবার কাছে আমি দোয়া চাই যেন সততা নিয়ে একজন প্রযোজক নেতা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারি। ভালো ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি। তিনি ১৯৯৭ সালে র‌্যাম্প মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন টিভিসিতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি ২০০২ সালে জনপ্রিয় পরিচালক আহমেদ ইউসুফ সাবের পরিচালিত বাংলা নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় একশ পঞ্চাশটিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়