• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, দুশ্চিন্তায় বোরো ধান চাষিরা
মেহেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার চাষিরা। অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঝলমলে রোদে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ অঞ্চলে।  চাষিরা জানান, রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে সেচ-পাম্প। তবুও সেচের জোগান হচ্ছে না। দিনের বেলায় তীব্র খরতাপে জমিতে সেচ দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ধানের শীষ বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষের জীবনে।  গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে যেখানে মানুষ অবসর সময় আড্ডা দেয় সেখানের চিত্রও বদলে গেছে। সকাল ৯টার পর তেমন কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের সড়কগুলোর মতো গ্রামের রাস্তাঘাট হয়ে যাচ্ছে ফাঁকা। শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ তীব্র রোদ আর গরমে কাজ করতেও পারছে না। ফলে তাদের আয়-রোজগারে একটা বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।  গ্রামের অনেকেই জানান, এক সময় গাছ গাছালিতে ভরপুর ছিল গ্রামগুলো। বড় বড় গাছ উজাড় করার কারণে শহুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। যতটুকু শীতল ছায়া রয়েছে তা তীব্র গরমকে প্রতিরোধ করতে পারছে না।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪২

বাংলাদেশি শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় মালয়েশিয়ার চাষিরা
অপ্রত্যাশিত বিদেশি শ্রমিক সংকটে আগামী কয়েক মাসে সবজি চাষ কমিয়ে আনার চিন্তা করছে মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের সবজি খামারিরা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্যামেরুন হাইল্যান্ড মালয় ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দাতুক সৈয়দ আবদুল রহমানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রিট টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের বিদেশি শ্রমিকদের কোটা বাতিল করার পদক্ষেপ চলতি বছরের মে বা জুন থেকে দেশটির অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব পড়বে। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রায় ৬০০০ জন ভাড়া করা বিদেশি শ্রমিক ছিল। এপ্রিল শুরুর আগেই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বেশির ভাগ শ্রমিক ঈদে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। যেসব শ্রমিক ১০ বছর খামারে কাজ করছেন তাদের অধিকাংশের ওয়ার্ক পারমিট আর রিনিউ হবে না। যাদের বৈধ পারমিট আছে তারা এখনও ১০ বছর কাজ করতে পারবেন কিন্তু ঈদের পরে মালয়েশিয়ায় না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, যা খুবই খুবই হতাশাজনক। এতে বলা হয়েছে, দেশটির পাইকারি বাজারের জন্য দৈনিক ১০০০ টন সবজি উৎপাদন করে ক্যামেরুন হাইল্যান্ড। কিন্তু শ্রমিকের ঘাটতি এ উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। খামারিরা বলেন, শ্রমিকের অভাবে অল্প জমি চাষ করবেন তারা। যদি একজন খামারির ১.৬ হেক্টর জমি থাকে, তবে তিনি ০.৮ হেক্টর চাষ করবেন। ফেডারেশন অব ভেজিটেবল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান লিম সের কুই বলেন, বিদেশি শ্রমিক কোটা বাতিল করায় বাজারে সবজির দাম বাড়বে। সৈয়দ আব্দুল রহমান বলেন, বিদেশি শ্রমিকের অভাব এবং পরবর্তীতে উৎপাদনে হ্রাস সরকারকে দাম স্থিতিশীল করতে বাইরে থেকে সবজি আমদানি করতে হবে। কর্মীর অভাব রোধে দেশটির সবজি অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে বিদেশি শ্রমিকদের আনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার চিঠি দিয়েছে।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হিলির মৌ চাষিরা
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা। সরিষা ক্ষেতে বক্স বসিয়ে মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করছেন তারা। প্রতিটি মৌ বক্স থেকে সপ্তাহে তিন থেকে চার কেজি করে মধু আহরণ হচ্ছে। এদিকে মৌ চাষিরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে আশানুরুপ মধু আহরণ করতে পারছেন না। তবে আগামীতে আরও বড় পরিসরে কৃষকদের নিয়ে মধু চাষের আশা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।  দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত থেকে ৩ কিলোমিটার পূর্বে ছাতনি গ্রামে ১০৩টি বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছেন সাকিল আহম্মেদ ও তার সহযোগিরা। সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলার মাঠগুলো এখন যেন হলুদের গালিচা। সরকারি সহযোগিতায় এ উপজেলায় বেড়েছে সরিষার দ্বিগুণ চাষ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। যতদূর চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ নিদর্শন। মৌমাছিরা মৌ মৌ গন্ধে ছুটে বেড়াচ্ছে। হলুদ ফুলের ঘ্রাণে পাখিরা যেমন উড়ে, তেমনি মৌমাছিরাও ব্যস্ত ফুলের মধু আহরণে। মধু সংগ্রহ করা দেখতে এবং মধু কিনতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয়রা।  হিলির জালালপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান, মানিক মিয়া ও আসমা বেগম বলেন, আমরা খাঁটি মধু নিতে এখানে এসেছি। এখানকার মধু অনেক ভালো মানের। প্রতি বছর সাকিল আহমেদ নামে এক যুবক সরিষা ফুল থেকে মৌমাছির দ্বারা মধু সংগ্রহ করে থাকেন। তার এই কার্যক্রম আমাদের অনেক ভালো লাগে। আমরা আগামীতে নিজেরাই এই রকম ভাবে মধু সংগ্রহ করতে চাইছি। হিলির মৌ-চাষী সাকিল আহমেদ বলেন, উপজেলার ছাতনী এলাকায় সরিষা ক্ষেতের পাশে ১৬ শতক জমির উপর মধু সংগ্রহের জন্য ১০৩টি বক্স বসানো হয়েছে। ১০৩টি বক্স থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৫ মন মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ হওয়ার কারণে মধু কম সংগ্রহ হয়েছে।  হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় এবার সরিষার আবাদ দ্বিগুণ হয়েছে। সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯ শত ৫৫ হেক্টর জমি। আর আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি। যা ক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হেক্টর জমিতে বেশি। এবার এলাকায় মৌ বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের জন্য ১০৩টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। 
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪

কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা
এক বছর মেয়াদি ফসল কলা। বারো মাস লাভের অঙ্ক কষে কৃষকের ফল দাঁড়াচ্ছে লোকসানের ঘরে। বাগানেই পেঁকে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কলা। স্তূপ করে রাখা হচ্ছে বাগানের পাশে। মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গবাদি পশুও। কলার দাম কমে যাওয়ায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভাবাচ্ছে চাষিদের। চাষে ভাটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। নীরবে কাঁদছেন কৃষক। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।  ঘাটাইল উপজেলার আয়তনের এক তৃতীয়াংশই হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চল। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বারোমাসি এ ফসলের ফলন হয়েছে বাম্পার। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর কলার চাষ হয়েছে এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এখানকার কৃষকের ফলানো কলা পুষ্টির চাহিদা মেটায় রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের। এদিকে কলার বাজার পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। আরও পড়ুন : বিরোধী দলে ছিলাম, থাকতে চাই : জি এম কাদের   উপজেলার পাহাড়ী সাত ইউনিয়ন সাগরদিঘি, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, লক্ষিন্দর রসুলপুর, সন্ধানপুর ও সংগ্রামপুর এসব এলাকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরি ফসল হচ্ছে কলা। সাগরদীঘি এলাকায় কলার ২০ জন বড় চাষি রয়েছেন। অধিকাংশ চাষিই চাষ করেন সাগরকলা। তাদের একজন নাসির সিকদার।  তিনি জানান, এ বছর ৮৫ বিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। গত বছর কলার যে ছড়া বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকায়, এ বছর একই ধরনের ছড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫০ টাকায়। তিনি বলেন, লাভ নয়, আসলের ঘর থেকে লোকসান হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। ২৯ বছর ধরে কলা চাষের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার ভাষ্য, কলার বাজারে এমন ধস এর আগে দেখেননি।  কৃষক আব্দুল কাদের জানান, এ বছর তিনি ১০১ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। কলা ব্যবসায়ীরা তাদের জানিয়েছেন গার্মেন্টসে এখন আর নাকি নাস্তার সঙ্গে কলা দেওয়া হয়না। আর কিছুদিন আগে হরতাল এবং অবরোধের কারণে সঠিক সময়ে তারা কলা বিক্রি করতে পারেননি। তাই কলা বাগানে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।  আরও পড়ুন : বিরোধী দল গঠন নিয়ে যা বললেন নিক্সন চৌধুরী   তার ভাষ্য, গরু-ছাগলেও কলা খাচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রায় তার ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।  কথা হয় কলা ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় সব গার্মেন্টসে টিফিন বন্ধ রয়েছে। কলার বড় একটা চালান আমরা গার্মেন্টসে দিতাম, এখন আর তা হচ্ছে না। ঢাকার পাইকারি বাজারেও খুব একটা টান নেই কলার। কলার দাম গত বছর যা ছিল, এ বছর তার অর্ধেকে নেমে এসছে।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলা হচ্ছে কলা চাষের জন্য বিখ্যাত। কলা এমন একটা ফল যা সারা বছরই লাগে। প্রকৃতপক্ষে আমরা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বাজারটা নির্ভর করে সাধারণত মার্কেটিং পলিসির ওপর। কৃষকদের বাঁচানোর জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়