• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে প্রথমবার চাষ হচ্ছে কিনোয়া ও চিয়া সিড
দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে সুপারফুড নামে পরিচিত কিনোয়া ও চিয়া সিড। নতুন এ দুই ধরনের ফসল আবাদ করে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা শামীম খান। তার ৪২ শতাংশ জমিতে শস্যদানাটির আবাদ হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষিতে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। ফলে এই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। এ দিকে নতুন ফসলটির চাষাবাদে সব ধরনের সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। হিলির কৃষি উদ্যোক্তা শামীম খান জানান, সুপারফুড হিসেবে পরিচিত কিনোয়া ও চিয়া সিড। ইউরোপ, আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলের আবাদ হয় বেশি। এই শস্যদানাটিতে রয়েছে ব্যাপক পুষ্টিগুণ। তবে বাংলাদেশে তেমন পরিচিত না হলেও কয়েকবছর ধরে কয়েকটি জেলায় এর আবাদ শুরু হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের কাছে তেমন পরিচিত হয়ে উঠেনি এখনও। অনেকে এই ফসলের নামও জানেন না। কিন্তু এই প্রথম দিনাজপুরের হিলির বোয়ালদাড় গ্রামে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। এর আগেও তিনি কয়েকটি নতুন জাতের ফসল আবাদ করে সাড়া ফেলেছিলেন এলাকায়। এবারও তিনি থেমে যাননি। পঞ্চগড় থেকে বীজ সংগ্রহ করে নিজের ৪২ শতাংশ জমিতে আবাদ করেছেন কিনোয়া ও চিয়া সিড। এরই মধ্যে ফসল কাটা-মাড়াও শুরু করেছেন তিনি।  এরপর প্যাকেটজাত করে তা বিক্রির জন্য সরবরাহ করছেন দেশের সুপারশপগুলোতে। মাঠ থেকেই প্রতি কেজি কিনোয়া ও চিয়া সীড বিক্রি করছেন ৬০০-৮০০ টাকা মুল্যে। আমন ধানের পর মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষের মতো একই পদ্ধতিতে রোপণ করতে হয় কিনোয়া ও চিয়া সিড। ফসল ঘরে তুলতে সময় লাগে ৬০-৭০ দিন। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৩-৪ মণ। হাকিমপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, সরিষা চাষে যেমন মাটি ও আবহাওয়ার প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনই কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষের বেলাও তাই। সময় ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এই অঞ্চলের জন্য আবাদ উপযোগী। কেউ আবাদ করতে চাইলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।  তিনি আরও বলেন, এই দুটি শস্যতে রয়েছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড, ক্যালসয়িাম, আমিষ, খনিজ উপাদান, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিনসহ পুষ্টিতে ভরপুর। হয়ে উঠতে পারে ভাত ও গমের উত্তম বিকল্প। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কিনোয়া ও চিয়া সীড। যা কিনা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৮

রাজবাড়ীতে ‘কালো সোনা’ পেঁয়াজ বীজ চাষে স্বপ্ন দেখছে কৃষক
রাজবাড়ীতে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া বেশ অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার পাচটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে কালো সোনার সাদা ফুল। আর এই সাদা ফুলের কদমেই লুকিয়ে রয়েছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিয়াজ বীজ।  বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রাজবাড়ী জেলার অবস্থান। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় রাজবাড়ীতে। এ জেলায় পেঁয়াজ আবাদের পাশাপাশি কদম পেঁয়াজ বীজের আবাদও হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে। পেঁয়াজ আবাদে যে পরিমাণ বীজ প্রয়োজন তার অধিকাংশ বীজ জেলাতেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। উৎপাদিত এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। বেশি দাম হওয়ায় পেঁয়াজের এ বীজকে চাষি ও কৃষি অধিদপ্তর ‘কালো সোনা’ বলে ডাকেন। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া ভালো হলে খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হয় দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। তাই কৃষকরা ‘কালো সোনা’ চাষে স্বপ্ন দেখছেন। এ বীজ আবাদ করে চাষিরা অন্যান্য ফসলের চাইতে অধিক পরিমাণে লাভবান হয়ে থাকেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা, পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও গোয়ালন্দে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে জেলা সদর, পাংশা ও কালুখালী উপজেলাতে কদমের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। চলতি বছর রাজবাড়ী সদরে ৪২ হেক্টর,পাংশা উপজেলায় ৪৪ হেক্টর, কালুখালী উপজেলায় ৪২ হেক্টর,বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের আবাদ হয়েছে। এদিকে সরেজমিনে পাংশা উপজেলার যশাই গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।  পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বোস বলেন, পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য অনেকে কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। পেঁয়াজের কদম প্রথমে সাদা দেখতে হলেও পরে কালো রংয়ে ধারন করেন। প্রতি কেজি বীজ চলতি বছর প্রায় সোনার দামে আট হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বলে কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজ কে আদর করে ‘কালো সোনা’ বলে ডাকে। তবে এ মৌসুমে প্রচণ্ড গরমে ক্ষেতে মৌমাছির সংকট দেখা দিয়েছে। আর মৌমাছির না থাকায় পিয়াজের ফুলের পরাগায়ন কম হওয়ায় বীজ উৎপাদনে ঘাটতির শঙ্কা দেখা দেবে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন। জেলায় চলতি মৌসুমে ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের চাষাবাদ হয়েছে। আর ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে ৭০ মেট্রিক টন। এ পরিমাণ পেঁয়াজের বীজের বাজার মূল্য ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান,চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে মূলত তাহের পুরী, কিং ব্যান্ড ও বারী-৪ জাতের পিঁয়াজ  দানা আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার জেলায় দেড় হাজার কৃষক পেয়াজ বীজ আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ফলনও ভালো হবে। এতে করে লাভবান হবেন চাষিরা।      
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৬

মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী শাপলা আক্তার
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের বধু শাপলা আক্তার। ২টি মুরগি বিক্রি করে শুরু মাশরুম চাষ। পরে মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার নারী উদ্যোক্তা শাপলা আক্তার। শুধু নিজে নয় ৩০ জন মাশরুম চাষিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। তার এই সফলতায় খুশি স্বজনসহ এলাকার মানুষ। তার মাশরুম চাষ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন অনেকেই। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সুবিধা।  হিলির চন্ডিপুর গ্রামের পলাশ, সোহেল রানা বলেন, আমরা শাপলা আপার মাশরুম চাষ দেখতে এসেছি। এসে দেখলাম তার দুইটি ঘরে প্রায় ৭০০ টি স্পন রয়েছে। আমরা শাপলা আপার থেকে পরামর্শ নিলাম। আমরাও বাসাতে নিজেরাই মাশরুম চাষ করবো।  হিলির মাশরুম চাষি শাপলা আক্তার বলেন, ২০২২ সালে ইউটিউব দেখে মনে ইচ্ছে জাগে মাশরুম চাষ করবেন। পরে তিনি বাড়িতে থাকা ২টি সখের মুরগি বিক্রি করে ১২০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন সফল উদ্যোক্তা। শাপলা আক্তার জানান, ১২০০ টাকার মাশরুম কিনে ছোট একটি ঘরে মাশরুম চাষ করেন তিনি। যার নাম দেন স্নেহা মাশরুম ঘর। এখান থেকে প্রতিদিন তিনি ৫ থেকে ৭ কেজি মাশরুম তুলেন তিনি। তার এই মাশরুম সেন্টার পরিদর্শন করেন সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় আগ্রহীরা। জেনে নেন মাশরুম চাষের নানা দিক। ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করতে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্য অংশ নেন বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তা মেলায়। নিজে সফল হবার পর আরও ৩০ জন উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন তিনি। বর্তমানে তার ঘরে ৭০০ স্পন রয়েছে।  হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের শাপলা আক্তার নামে এক নারী মাশরুম চাষ করছেন। আমরা উপজেলার কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছি। তিনি বর্তমানে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা চাই যারা বেকার রয়েছেন তারা মাশরুম চাষ করতে পারেন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। শাপলা আক্তারের মাশরুম ঘর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন এলাকার মানুষ। ইচ্ছে পোষণ করছেন তারাও মাশরুম চাষ করবেন। নারী উদ্যোক্তার এমন সফলতায় মুগ্ধ তারা। নিচ্ছেন নানা পরামর্শ। শাপলা আক্তারের এই মাশরুম স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাশরুম বিক্রি হচ্ছে অনলাইনেও।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৮

নয়নাভিরাম পপি চাষ করে কৃষক গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ভুট্টাখেতের মাঝে লুকিয়ে নিষিদ্ধ পপি গাছ চাষ করায় কৃষক নুরুল খানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের পুরান পয়লা নামক স্থান থেকে পপি গাছ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার কৃষক একই এলাকার জাবেদ খানের ছেলে। জানা গেছে, এদিন সকালে ৯ হাজার ৮২০টি পপি গাছসহ নুরুল খানকে আটক করা হয়। এরপর তার ক্ষেত থেকে প্রায় ৩০ হাজার পপি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গাছে ফুল ও ফল ধরেছিল।  স্থানীয়রা জানায়, আমরা আগে কখনও পপি চাষ করতে দেখিনি। পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এখানে আফিমের চাষ হচ্ছে। জানতে পারলাম এটা ভয়াবহ মাদক মাদক তৈরির উপকরণের গাছ। এ ধরনের ভয়াবহ মাদক যারা চাষ করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। জেলা ডিবি পুলিশের এসআই রিপন নাগ জানান, রোববার সকালে পপি গাছসহ কৃষক নূরুল ইসলামকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পপি গাছসহ নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় ১টি মামলা প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধার করা আফিম গাছগুলো পরীক্ষার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, দেখতে নয়নাভিরাম হলেও পপি চাষ বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ। কারণ এই ফুলের রস থেকেই তৈরি হয় আফিম, হেরোইন ও মরফিনের মতো ভয়ংকর সব মাদক।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩

হাবিপ্রবি উদ্ভাবিত রাসায়নিক মুক্ত টমেটো চাষে আগ্রহী কৃষকরা
বিগত কয়েক বছর ধরেই রাসায়নিক কীটনাশক মুক্ত ফসল চাষে গবেষণা করে যাচ্ছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হক। গবেষক ড. আজিজুল হক ও তার দল কোনো রকম রাসায়নিক বিষ ও হরমোন ব্যবহার ছাড়াই খুবই স্বল্প মাত্রায় ইউরিয়া, ফসফরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহার করে টমেটো চাষে সাফল্য পেয়েছেন। সম্প্রতি তার এই গবেষণা মাঠ দিনাজপুর অঞ্চলের টমেটো চাষি কৃষকের একটি দল পরিদর্শন করেছেন। বিনা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া এত সুন্দর টমেটোর ফলন দেখে অভিভূত হয়েছেন পরিদর্শনকারী কৃষকেরা। এ সময় মাঠের পাকা টমেটো খেয়ে দেখেছেন তারা। কৃষকরা জানান, আমরা টমেটো চাষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকবার বিভিন্ন রাসায়নিক বালাইনাশক ও কীটনাশক ব্যবহার করি এছাড়াও অনেক পরিমাণের সার ইউরিয়া, ফসফেটসহ গোবর সার ও ব্যাবহার করি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু টমেটোর ফলন দেখে বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এখানে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় নি। রাসায়নিক কীটনাশক ও সার ব্যবহার ছাড়ায় টমেটোর এত ফলন ও এত সুন্দর কালার, খেতেও অনেক স্বাদ। স্যারের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করতে পারলে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে সেই সাথে টমেটোর কালার এবং সাইজের জন্য অতিরিক্ত লাভ হবে বলে আশা করছি। আমরা চাইবো স্যার যেন আমাদের অল্প পরিসরে হলেও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেন। দিনাজপুরের প্রান্তিক অঞ্চলের আরও একজন কৃষক জানান, স্যারের বিনা রাসায়নিক সার ব্যবহারে টমেটোর উৎপাদন দেখে ভালো লাগছে। আমরা সাধারণ কৃষকরা টমেটো চাষে স্যারের তুলনায় অনেক বেশি কীটনাশক ও সার ব্যবহার করি। আবার স্যারের এই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে টমেটো চাষে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না আমরা নিজেরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারব এবং গ্রাহককেও সর্বোত্তম টমেটো সরবরাহ করতে পারব। আমরা টমেটো চাষে সারের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আগ্রহী।  কৃষক প্রদর্শনী শেষে ড. আজিজুল হক কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সারের ব্যবহার কমিয়ে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করার উপকারিতা, পদ্ধতি নিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।   ড. আজিজুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে বিষ, হরমোন-মুক্ত ও স্বল্পমাত্রার ফার্টিলাইজার প্রয়োগে সুস্বাদু টমেটো উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করছি। ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে টমেটোর ফলন ও গাছের শাখা উপশাখা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। আমার লক্ষ্য হলো টেকসই উন্নয়নের জন্য আমার এই গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি কৃষকের হাতে তুলে দিতে চাই। এর ফলে টমেটো চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার কমবে কৃষক লাভবান হবে বেশি এবং ভোক্তা সাধারণ মানুষ ভালো স্বাস্থ্যকর ফসল খেতে পারবে। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। গবেষক ড. আজিজুল হক বর্তমানে দ্যা সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এজেন্সি ও ইউনেস্কোর দ্যা ওয়ার্ল্ড একাডেমী অব সাইন্সেস এর যৌথ অর্থায়নে রাসায়নিক কৃষি সামগ্রীর পরিবর্তে এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে টমেটো চাষে গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যেই তার এই গবেষণা প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের ভিন্ন ভিন্ন তিন জায়গায় কৃষকের জমিতে পরীক্ষামূলক টমেটো চাষ করা হচ্ছে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল আসলাম আলী
ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী। তার রঙিন ফুলকপিতে পাবনা শহরের এমনকি জেলার অন্যান্য হাটবাজারগুলোর সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। লাভও পাচ্ছেন ভালো।  রঙিন ফুলকপি আবাদ করে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে কপি দেখার জন্য ভিঁড় করেন। বেশ ভালোই লাগে। পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তারা কৃষক আসলামকে সব সময়ই পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছেন।  আগামীতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এমন রঙিন কপি আবাদ করে এখানকার কৃষক আরও বেশি লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১

মরিচ চাষে ব্যস্ত উপকূলের কৃষকরা
চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন পটুয়াখালীর  কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা। জমি তৈরি এবং চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষেও আগ্রহী হচ্ছেন। মরিচের বীজ বপণের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু হয়। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। জমিতে বিঘা প্রতি ১৫/২০ মণ মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমণ কাচা মরিচ হাটবাজারে ২৫শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারে কৃষক। সরজমিনে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ চাষে ভালো লাভ হবে। বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছের পাতা শুকিয়ে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মাসুম জানান, গত বছর ১ একর জায়গায় মরিচ দিয়েছিলেন। খরচ শেষে তার এক লাখ টাকা লাভ হয়েছে। তাই এবারও তিনি ১.৫ একর জায়গায় মরিচ দিয়েছেন। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এ বছরও ভালো ফলন পাবার আশা তার। কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। প্রতি বছরের চেয়ে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ চাষে লাভ ভালো হয়। এবার তিনি বেশি ফলনের আশা করছেন। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কে আর এম সাইফুল্লাহ জানান, এ বছর ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রোগবালাই ও সার ব্যবস্থাপনা মাঠপর্যায়ে প্রত্যক্ষ করছে। আরও সহনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, কৃষক এবার মরিচের ভালো দাম পাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪

বরই চাষ করে সফল মিজানুর রহমান
বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু বরই আর বরই। ছোট গাছগুলো বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়েছে। আপেলের মতো দেখতে লাল টুকটুকে বড় বড় বরই শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে। গাছগুলো রোপণের পর নিজেই পরিচর্যা শুরু করেন। সঠিক পরিচর্যায় গাছগুলোতে এ বছর ফল ধরেছে। গাছে গাছে শুধু দুলছে লাল আভা ছড়ানো থোকায় থোকায় বরই। পাকতে শুরু করেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই। বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। আকার, স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে মিজানুর রহমানের বাগানের বরইয়ের চাহিদাও খুব বেশি। এখন ১০০ টাকা দরে বাজারে বরই বিক্রি করছেন।  বরইয়ের এ বাগান গড়ে তুলেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যটিয়াখালীর গ্রামের মিজানুর রহমন। শীতকালীন ফলের মধ্যে বরই অতি পরিচিত ফল। প্রাচীনকাল থেকে এ ফলটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিতি। শীতকালীন অন্যান্য ফলের তুলনায় বরই অত্যন্ত সুস্বাদু। বিভিন্ন হাটবাজারে সবত্রই পাওয়া যায় এ মৌসুমী ফলটি। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ও ফলন ভালো হওয়ায় বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।  একসময় দেশি টক জাতীয় বরই পাওয়া গেলেও কৃষি গবেষণার ফলে আমাদের দেশেই বিভিন্ন ধরনের বরইয়ের উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। এখন দেশেই বিভিন্ন প্রজাতির বরই পাওয়া যায়। অবশ্য বরইকে অনেকে কুল নামেও চেনে-জানে। দেশি টক জাতীয় বরইয়ের পাশাপাশি রয়েছে নারকেল বরই, আপেল কুল, বাউকুল ও থাইকুল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। বরই চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। বরই এমন একটি ফল, যা শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তবে টক বরইয়ের চাহিদা রয়েছে এক শ্রেণির মানুষের কাছে। এ মুখরোচক ফলটি শীতকালে আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলে পাওয়া যায়। শখের বশেও অনেকে বাড়ির ছাদে বরইয়ের চাষ করছেন। খেতে সুস্বাদুর পাশাপাশি পুষ্টিগুণে ভরা। বরইয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামসহ নানা উপাদান, যা মানবদেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বরই চাষ করেই এখন মিজানুর রহমান একজন স্বাবলম্বী কৃষক। বরই চাষি মিজানুর রহমান টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালীর গ্রামের সাবেক মেম্বার ফকরুদ্দিন ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সিয়াম স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মিজানুর রহমানের বাগানজুড়ে বরই গাছে ভরা। লাল, সাদা আর মেরুন রঙের বাহারি ফলে ভরে গেছে বাগান। কর্মচারীরা ঝুড়িভর্তি করে বিক্রির জন্য গাছ থেকে ছিঁড়ছেন পাকা বরই। পাখির ঠোকর থেকে রক্ষার জন্য পুরো বাগানজুড়ে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে জাল। চলতি মৌসুম শুরু থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই বরই কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন বাগান থেকে কম বেশি বরই কিনে নেন ক্রেতারা। এদিকে বাগানটিতে বরই কিনতে, ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্রেতারা। পরে ফেসবুকে জুড়ে দেওয়া ছবি দেখে অন্যরা অনুপ্রণিত হয়ে ছুটে যাচ্ছেন বরই কিনতে বাগানে। এতে কৃষক মিজানুর রহমন মুখে হাসি ফুটে ওঠে এবং ক্রেতাদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু হয়ে যান। মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ এপ্রিল ২০২৩ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩৫০টি বরই চারা ক্রয় করে ও কৃষি অফিস থেকে ৭৫টি চারা সংগ্রহ করেন। ২৪০০০ টাকার বরই চারা কিনে নিয়ে পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমি বরই চাষ শুরু করেন তিনি। সেই কুল বিক্রি করেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন করেন। চলতি মৌসুমে বরই বিক্রি করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। বরই গাছ ৭-৯ ফুট লম্বা। সেখানে বল সুন্দারী কুল জাতের বরই আবাদ করেন। এক বছরে মিজানুর রহমান পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। ছেলের এ সফলতায় গর্ব বোধ করছেন বাবা ফকর উদ্দিন। এই বাগানে ৪২৫টি মতো বরই চারা রয়েছে। মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই তাদের বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে বরই ধরেছে। প্রচুর পরিমাণে বরই ধরায় পুরো বাগানটি নেট দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাগানের গাছ থেকে বরই তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। মচমচে স্বাদে সুমিষ্টি হওয়ার কারণে তাদের এক মণ বরই চার হাজার টাকা দরে বিশ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এই বাগানের উদ্যোক্তারা আশা করেছে চলতি মৌসুমে এখানে থেকে আরও ৩৫-৪০ মণ বরই বিক্রি করবেন। যা থেকে তারা প্রথম বছরেই বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করার সম্ভাবনা দেখছেন। একই সঙ্গে তাদের বাগান থেকে বারোমাসি থাই পেয়ারা আম ও বিক্রি করবেন। বর্তমানে তার বাগান ২০৫ শতাংশ জমি রয়েছে। বরই চাষি মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রথম আমি বরই চাষ করে বুঝতে পারলাম ও অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিভাবে আগামী বছর বরই গাছ পরিচর্যা করতে হবে। কৃষি অফিস থেকে আমাকে অনেক সুপরামর্শ দিয়েছে। আগামি বছর আরও ভালো ফলন ফলাতে পারবো বলে আশা করি। ৭ মাসের মাথায় বরই গাছগুলোতে ভালো ফলন দিয়েছে। গাছ থেকে পাকা বরই সংগ্রহ করেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। অনেকেই বাগানে এসে বরই কিনে নিয়ে যান। এ বছর আবহাওয়া শেষের দিকে খারাপ থাকায় ফুল ঝরে পড়েছে ও পাখির আক্রমণে অনেক বরই নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বশির বলেন, মিজানুর যে বরই চাষ করে সফল হবে তা কেউই কখনো কল্পনা করেনি। মিজানুর রহমানের বরই বাগানে ভালোই উৎপাদন হয়েছে। আশা করি, এ বছরই তিনি তার খরচ ওঠাতে পারবেন। বরই কিনতে যাওয়া চাকরিজীবী কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, এ ধরনের বরই বাগান কলাপাড়ায় আর কোথাও নজরে পড়েনি। বরইগুলোও খেতে দারুণ মিষ্টি। মিজানুর রহমানের বরই বাগানে সফলতা দেখছেন। তার মতো অন্যরাও যদি ঝুঁকি নেয় উপকূলীয় এ অঞ্চল কাজ করে কৃষিক্ষেত্রে আরও সফলতায় এগিয়ে যাবে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, মিজানুর একজন সফল চাষি। তাকে কৃষি অফিস ও এসএসিপি সংস্থা সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ে জোবায়েদা আক্তার সহকারী কৃষি অফিসার আছেন তারা কুল চাষে কৃষকদের সবরকম পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭

হিলিতে বেড়েছে সরিষার চাষ
দেশি বাজারে সয়াবিন, সরিষা, পামেলসহ বিভিন্ন প্রকার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে সরিষার চাষ। আমন ধান কাটাই-মাড়াইয়ের পর ৩ মাস ফেলে না রেখে বাড়তি আয় করতে একই জমিতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। দিনাজপুরের হিলিতে মাঠে মাঠে হলুদের সমাহার, প্রকৃতি সেজেছে হলুদ সাজে, প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমিদের। মাঠে-ঘাটে, গ্রাম-গঞ্জে আর রাস্তায় সরিষার ফুলের সুভাষ ছড়াচ্ছে, মুগ্ধ হচ্ছে পথচারীরা। দেশে ভেষজ তেলের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এসব ভেষজ তেল আমদানি করতে হয় বেশিরভাগ দেশের বাহির থেকে। বাহির থেকে আমদানিকৃত তেলের মূল্য বৃদ্ধি দিন দিন বেড়েই চলছে। তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে এবং চাহিদা মেটাতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করেছে সরিষার চাষিরা। তেলের দাম বাড়ায় সরিষার আবাদ বেশি করছেন তারা।  হিলির জালালপুর গ্রামের কৃষকরা বলেন, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে কৃষকের খরচ হয় তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কৃষকরা সরিষা উৎপাদন করে থাকে ৬ থেকে ৭ মণ। সরিষা চাষের উপযোগী আবওহায়া ভালো থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে উৎপাদন খরচ কম ও দাম ভালো পাওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এসব এলাকার কৃষকেরা। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা আরজেনা বেগম বলেন, কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অন্য ফসলের তুলনায় সল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৯ হাজার ৫৫শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে ৩ হাজার ৩৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে মোট ৩ হাজার ২০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়