• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে চালের দাম বেশি, বিপাকে সাধারণ ক্রেতা
দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিলাররা ধান গুদামজাত করে রাখার কারণে বেড়েছে চালের দাম বলছেন খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা। এদিকে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে হিলি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে অটো মিলের স্বর্ণা চাল ৪৯ থেকে ৫০ টাকা,  লোকাল স্বর্ণা ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, আটাশ জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, কাটারী জাতের চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং জিরা জাতের চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা আশরাফুল ও আবেদ আলী বলেন, দেশের বাজারে সব নিত্যপণ্যেরই দাম প্রায় বেশি। আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলার দাম অনেক চড়া। আমরা গরিব মানুষ ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে ব্যাগের কোনায় ভরে না। এর মধ্যে আবার চালের দাম বেশি। বিরামপুরের কাটলা বাজারের থেকে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশি যাচ্ছে স্বর্ণাচলের দাম। যার জন্য অল্প করে চাল কিনলাম। আমরা চাই সরকার নিত্যপণ্যসহ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুক। তাহলে গরিব মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে।  হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, চাল বিক্রি করে মোকামে চাল কিনতে গেলেই চালের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আগে যে চাল ৪৮ টাকা কেজিতে কিনেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই চাল এখন ৫২ টাকা দরে কিনে ৫৪ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কারণ, মিলাররা ধান মজুত করে রেখে চালের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। সেই সাথে স্বর্ণা চাল, পাইজাম চাল বলে বিক্রি করছেন মিলাররা। কারণ পাইজাম চাল বলে কোন চাল বাজারে নেই। সেই সাথে আঠাশ চাল এখন বাজারে নেই, তবু মিলাররা বস্তার গায়ে এই সব চালের নাম লিখে ক্রেতাদের ধোকা দিচ্ছেন মিলাররা। জহুরা, সাদিয়া পাইজাম বলে কোন চাল নেই বলেও অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৩

‘চালের দাম কমানোর কথা বলে আরও বাড়িয়েছে সরকার’
সরকার চালের দাম কমানোর কথা বলে আরও বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সব জায়গায় লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। চালের দাম চড়া। চালের দাম কমানোর কথা বলে সরকার দাম আরও বাড়িয়েছে। সরকারের লোকজন সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেন্ডের কারণে ব্যাংকগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে। ঋণখেলাপিরা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক। ঋণের পর ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে তাদের।’   তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার ঈদে কেনাকাটা অনেক কম হয়েছে। সব মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের আনন্দ কান্নায় পরিণত হয়েছে। যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা কেউ ভালো নেই।’ ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি কোন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন? বিএনপি এক হাজার ইফতার পার্টি করতেই পারে। গরিব- দুঃখীদের নিয়ে ইফতার করেছে বিএনপি। কিন্তু ভারত থেকে নায়ক-নায়িকা নিয়ে এসে পার্টি করেন, ওখানে টাকা খরচ হয় না? সরকার সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।’
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪১

অস্থির চালের বাজার
অস্থির চালের বাজার। দাম বাড়ছেই। সারা দেশে অভিযান, জরিমানা, শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণে নেই চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এসব পদক্ষেপকে পাত্তাই দিচ্ছে না অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এদিকে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ ও জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে সরকার। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল এসব থেকে বের হয়ে জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একই সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণে মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি  করা হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, এ জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেব। পয়লা বৈশাখ থেকে তা কার্যকর হবে।   এদিকে দাম বাড়ানো নিয়ে একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মিলারদের দুষছেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার সময় বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক থাকার কথা। তাদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই মিলগেটে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।   রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। গুটি স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। ৮-১০ দিন আগে এ দুই জাতের চালের দর ছিল যথাক্রমে ৫২ থেকে ৫৪ ও ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। একই সময় চিকন বা মিনিকেট চালের কেজি ছিল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, ভোক্তাদের এখন কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা দরে। দেখা যায়, এ তিন জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।   রাজধানীর মগবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দনি যে হারে বাড়ছে, সে হারে বেতন বাড়ছে না। তাই আমাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। রোজার শুরুতে আটাশ চাল কিনেছি ৫৪ টাকা। ২০ দিন পর একই চাল  নিতে হলো ৫৮ টাকায়।   অপরদিকে দালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, ধান সংকটের কথা। দায়ী করছেন মৌসুমি মজুতদারদের। তাদের অভিযোগ কৃষকের কাছ থেকে কম দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। ফলে কৃষকের কাছে ধান নেই। মজুতদারের কাছ বেশি দামে থেকে ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মিলাররা। ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিল পর্যায়ে চালের কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বেড়েছে।   কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসের তুলনায় বাজারে এখন সব ধরনের চালের দাম বেশি।   সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৮ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ ও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসের এ সময় চিকন চালের কেজি ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫২ থেকে ৫৬ ও মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে গত এক মাসে এ তিন ধরনের চাল কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।   কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আরও বলছে, শতাংশের হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাঝারি চালে ৬ দশমিক ৪৮ এবং ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম বেড়েছে চিকন চালের দাম।      
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

চালের দামও বেঁধে দেবে সরকার
বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সারাদেশে চালের দাম বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে চালের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরু চাল, চিকন চাল ও মোটা চাল— এ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের নাম ও দাম ঠিক করা হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে উৎপাদক, মিলমালিক, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে চাল বিক্রির একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য— এ তিন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজটি করেছে। আগামী পয়লা বৈশাখ, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে চালের নতুন দাম কার্যকর হবে।  সরকার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারবে আশা করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারব। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে এবং আপনারা সবাই তা জানেন। সরকার সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে চালের দাম বেঁধে দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ আগামী দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির খোলাবাজারে বিক্রি শুরু হবে। পেঁয়াজের প্রথম চালান পৌঁছানোয় এখন বাংলাদেশ চাহিদাপত্র দিলে বাকি পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত সরকার। টিসিবির কিছু নিত্যপণ্য কম দমে বিক্রির ফলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশা করেন তিনি। গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে মসুর ডাল, ছোলা, ডিম, পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসসহ ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দেয় এবং এই নির্ধারিত দামে ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত দাম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সময়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় কিছু কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চালকল মালিকদের বৈঠকে চালের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। যদিও তা কার্যকর করা যায়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত বিরতিতে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম ঠিক করে দেয়। তবে বাজার নির্ভর করে বিশ্ববাজার পরিস্থিতির ওপর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গত সেপ্টেম্বরে আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম ঠিক করে দিয়েছিল। এর কোনোটিই বাজারে কার্যকর হয়নি। চলতি রমজান উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। তা কার্যকর করানোর তেমন কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

মোংলায় ৬ হাজার চালের বস্তা নিয়ে ডুবে গেল জাহাজ
ঈদ উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য আনা ৬ হাজার বস্তা সরকারি চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নামের একটি বাল্কহেড জাহাজ ডুবে গেছে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মোংলায় পশুর নদী ও মোংলা নদীর মোহনায় বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয় এমভি শাহজাদা-৬ নামের অপর একটি কার্গো জাহাজ। এতে ডুবে যায় চালভর্তি বাল্কহেড জাহাজটি।  তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হননি বলে নিশ্চিত করেছেন মোংলা নৌপুলিশের ইনচার্জ এসআই সৈয়দ ফকরুল ইসলাম। এ ঘটনায় এমভি শাহজাদা-৬ কার্গো জাহাজটিকে রোববার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসআই সৈয়দ ফকরুল বলেন, ঈদ উপলক্ষে গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য রোববার সকালে খুলনার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ৬ হাজার বস্তায় ১৭৫ টন চাল নিয়ে মোংলার খাদ্য গুদামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমভি সাফিয়া।  তিনি আরও বলেন, দুপুরের পর এটি মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর মোহনায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা এমভি শাহাজাদা-৬ নামের অপর একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে চাল নিয়ে ডুবে যায় বাল্কহেড জাহাজ। তবে এ সময় বাল্কহেডে থাকা ৫ জন স্টাফ-কর্মচারী সাঁতরে কূলে উঠে আসেন। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড জাহাজ থেকে সোমবার সকালে চাল ওঠানো শুরু হবে বলেও জানান নৌপুলিশের এ কর্মকর্তা।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২

চালের আড়ত থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
যশোরে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদের চালের আড়ত থেকে বায়েজিত হাসান নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে শহরের বড় বাজার লোন অফিসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) জুয়েল ইমরান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বায়েজিত হাসান খুলনা জেলার বানরগাতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সে মুল্লুক চাঁদের আড়তের কর্মী ছিলেন।  পুলিশের ধারণা, ওই আড়তেই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আড়তের নাইটগার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে পাঁচ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় বায়োজিদ। সেই টাকাকে কেন্দ্র করে খুলনা থেকে তাকে যশোরে ডেকে এনে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বায়োজিতকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মুল্লুক চাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সে পাওনা টাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।  তিনি বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫০

বাড়ছে চালের দাম, চলছে চালবাজি
সব ধরনের চালের দাম হঠাৎই বেড়েছে। বিশেষ করে মোটা চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। ধানের এক মৌসুম মাত্র শেষ হলো, আরেক মৌসুম শুরু হবে কিছুদিন পরই। আর এই মধ্যবর্তী সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সংকট না থাকলেও সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি পাইকারি ব্যবসায়ীদের। মিলারদের দাবি হাটগুলোতে ধানের আমদানি কম, আর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবেই বাড়াতে হয়েছে চালের দাম। তবে কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে কম দামে ধান কিনে এখন বেশি দামে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে চালের বাড়তি দাম দেখা গেছে। চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা, এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। ৭ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রি ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা। একইভাবে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৭ টাকা, যা বিক্রি হয়েছিল ৬৯ থেকে ৭৯ টাকায়। নওগাঁর খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে মোটা জাতের স্বর্ণা চাল ৪৭ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলগেটেই বেশি দামে কেনা, আর পরিবহন খরচ পুষিয়ে নিতেই এমন মূল্যবৃদ্ধি। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানায়, কেনাবেচা নেই তাদের। চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দিনে ৩ থেকে ৪ মণ চালও বিক্রি করতে পারছেন না তারা।  এ ছাড়া মিল মালিকরাও বলছেন, গত কয়েক দিনে হাটগুলোতে হঠাৎই বেড়েছে ধানের দর। অন্যদিকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, সব মিলিয়ে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এদিকে গত কয়েক দিনে চট্টগ্রামের পাইকারি পর্যায়ে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই কঠোর না হলে বাজার আরও লাগামহীন হওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। গত কয়েক দিনে চট্টগ্রামের পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতিবস্তা চালের দাম ১০০-৩০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে চট্টগ্রামে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ৫০ কেজি মোটা সিদ্ধ চাল ২ হাজার ২০০ টাকা, পারীজা সিদ্ধ ২ হাজার ৪০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ২ হাজারে ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, বালাম সিদ্ধ ২ হাজার ৪৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা ও মিনিকেট সিদ্ধ ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ৫০ কেজি জিরাশাইল ৩ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, কাটারি সিদ্ধ ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, ইরি আতপ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১ হাজার ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা, পাইজাম আতপ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা, কাটারি আতপ ১ হাজার ৭৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, বেতি আপত ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫৮০ টাকা, বাসমতি ৩ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা ও চিনি গুড়া আতপ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮৫০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা।   ব্যবসায়ীরা জানান, মাত্র শেষ হলো অগ্রাহায়ণ মাসের ভরা চালের মৌসুম। আবার সামনেই বৈশাখে উঠবে দেশের সবচেয়ে বড় বোরো মৌসুমের চাল। এই ফাঁকেই সিন্ডিকেট করে বড় বড় মিলার ও করপোরেট কোম্পানিগুলো পরিকল্পিতভাবে চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে দাবি পাইকারি ব্যবসায়ীদের। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজা খান বলেন, চালের কোনো সংকট নেই। মিলাররা পরিকল্পিতভাবে চালের দাম বাড়াচ্ছে।   তবে এ মৌসুমে চালের দাম আর না কমার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিছু মিলার। এক মিলার বলেন, ধানের শেষ সময়ে কৃষকের কাছে ধানের মজুত কম। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মজুত সরকার আগেই চাপ দিয়ে বের করে নিয়েছে। যার ফলে ধানের বাজার বাড়তি। এই কারণে আজ চালের বাজার এমন। গত জানুয়ারিতে নির্বাচনের পরপরই বাজারে অগ্রাহায়ণের ভরা মৌসুমের চাল থাকার পরও হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। তারপর নানা তৎপরতায় তা কমে মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এ দামেই গত এক-দেড় মাস স্থিতিশীল থাকলেও হঠাৎ করে গেল এক সপ্তাহ ধরে অস্থির হতে শুরু করে চালের বাজার। 
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:৫২

চালের বস্তায় ৬ তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করল সরকার
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চাল বাজারজাত নিশ্চিত করতে বস্তার ওপর ছয়টি তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। বস্তায় উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সরকারি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। জারি করা এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তাগণ ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে ছয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম হতে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্যের এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকবে। ২. বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না। ৩. চাল উৎপাদনকারী সকল মিল মালিক (অটো/হাস্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে। ৪. কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। ৫. এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। খাদ্য পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ৬. আগামী ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) তারিখ থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

সরকারি ৪৪ চালের বস্তা জব্দ, এতিমখানা-মাদরাসায় বিতরণ
নওগাঁর রাণীনগরে সরকারি ভিডব্লিউবির ৪৪ বস্তা চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দের পর চালগুলো তিনটি এতিমখানা-মাদরাসায় বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি ক্লাবঘর থেকে চালগুলো জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে তাবাসসুম। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সোমবার সকাল থেকে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভিডব্লিউবির কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। এ সময় অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ওইসব সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে সরকারি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ চাল কিনে এনায়েতপুর ক্লাবঘরে মজুদ করে রাখেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই ক্লাবঘর থেকে ৪৪ বস্তা (প্রায় ২২শ’ কেজি) চাল জব্দ করা হয়। এ সময় চাল ব্যবসায়ী কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জব্দকৃত চালগুলো তিনটি এতিমখানা-মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। অভিযানে রাণীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, কাশিমপুর-মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আল হেলাল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৭

চালের দাম বাড়ালে মিলের লাইসেন্স বাতিল : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। এই কারণে চালসহ সকল নিত্য পণ্যের দাম কমাতে সরকার জিরো টলারেন্স। আশা করছি আমরা সফল হবো। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন ও জেলা চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা সুপার শপে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে নিম্ন পর্যায়ের খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও অতি মুনাফার লোভে কিছু মানুষ এটা করছে। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়াতে এ অভিযান প্রথম নয়। সারাদেশেই অভিযান চলছে। কুষ্টিয়ায় যে দাম বেধে দেওয়া হয়েছে সেটাই থাকবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখছি। যারা প্রতিযোগিতা করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এদের মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে দুপুরে অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের দাম বাড়াচ্ছে কি না এসব খতিয়ে দেখতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযানিক দল। এ সময় লাইসেন্স এর মেয়াদ না থাকা ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আটা মজুত করায় মেসার্স সুবর্ণা অটো ফ্লাওয়ার (আটার) মিলের গোডাউন সিলগালা করা হয়। এছাড়াও অবৈধ ধান মজুতের দায়ে আল্লাহর দান রাইচ মিলের ধানের গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ঢুকতে দেয়া হয়নি। বৈঠক শেষে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এদিকে, মন্ত্রীর এই অভিযান ও বৈঠক শেষে চালকল মালিকরা বলছেন, তারা সরকারকে সহযোগীতা করতে চান। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বেধে দেওয়া দামেই বিক্রি করছেন তারা। তবে ধানের দাম বেড়ে গেলে কিছু করার থাকবে না। আপাতত চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়