• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফ্যান চালানো নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, অতঃপর...
নোয়াখালীর সেনবাগে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শ্রাবণী বৈষ্ণব (২১) নামের এক গৃহবধূ ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের বৈষ্ণব বাড়িতে এ ঘটে।  নিহত গৃহবধূ ওই বাড়ির নয়ন বৈষ্ণবের স্ত্রী। নিহতের বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহর আনন্দ বাজার এলাকায়। তাদের ৩ মাসের অরাধ্য বৈষ্ণব অবন্তিকা নামের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। নিহত গৃহবধূর মা যুগ মায়া বৈষ্ণব ও বোন স্মৃতি বৈষ্ণব এ ঘটনায় জন্য নিহতের স্বামী নয়ন বৈষ্ণব, শাশুড়ি লক্ষ্মী  বৈষ্ণব, তিন বোন শিল্পী বৈষ্ণব, শিখা বৈষ্ণব, বিউটি বৈষ্ণবসহ পাঁচজনকে দায়ী করেন। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই নিউটন চৌধুরী ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূ তার স্বামী নয়ন  বৈষ্ণবের সঙ্গে ফ্যান চালানো নিয়ে ঝগড়া করেন। এরপর স্বামী কাজে বের হয়ে বসুরহাটে চলে যান। পরে স্ত্রী নিজের রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে সেবারহাট নুর প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ দিকে নিহত গৃহবধূর স্বামী নয়ন বৈষ্ণব খবর পেয়ে থানায় গিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্চ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

‘বিপিএল না হলে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে’
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টকে রীতিমতো সার্কাসের সঙ্গেই তুলনা করেছিলেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টার। তিনি এও মন্তব্য করেছিলেন, বিপিএল দেখতে দেখতে মাঝেমাঝেই টিভি বন্ধ করে দেন তিনি। তবে হেডমাস্টারের কথায় সুর মেলাতে পারলেন না উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উল্টো বিপিএলের এবারের উন্নতির কথা জানালেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ইতিবাচক বার্তায় মুশির মন্তব্য, বিপিএলের কল্যাণেই অনেক ক্রিকেটারের সংসার চলে। মুশফিকের ভাষ্যমতে, প্রথমত বিপিএল না হলে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এটা ভাই মোদ্দা কথা। বিপিএলে যে পারিশ্রমিক পায়, জাতীয় দলে কেউ যদি টপ-পেইড স্যালারি হয়; ২-৩ বছর খেলে তাহলে হয়তো ইনকাম করতে পারবেন। এটার মান যদি খারাপ হয়, এটা কোন দিক দিয়ে করেন। কেউ চাইবে না এখানে এসে খারাপ খেলে পরের বছর আনসোল্ড থেকে টিভিতে বসে খেলা দেখবে। মুশি যোগ করেন, কোয়ালিটি অনেক উঁচুতে। হ্যাঁ, এটা বলতে পারেন যে এক বা দুটা পিচ একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। এই বছর অনেক ভালো ছিল পিচ। খেলার কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়েছে আগের তুলনায়। যারা বলেছে তারা কোন মর্মে বলেছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন। বিপিএলের কোয়ালিটি বলেন সবকিছু উন্নত হয়েছে। এ সময়ে সংবাদ সম্মেলনে তরুণদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এ প্রসঙ্গে মুশির মন্তব্য, না, না। আপনার (সাংবাদিক) সঙ্গে আমি একমত না। তারা অবশ্যই অনেক সামর্থ্যবান। তারা যদি সুযোগ পায়… যেমন হৃদয় সে কিন্তু জাতীয় দলে তিনে খেলে না। ৪,৫,৬ এ-ও খেলে। কুমিল্লাতে তিনে খেলছে। সে তার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। জুনিয়র তামিম ওপেন করছে। উইকেটকিপার এই ব্যাটার যোগ করেন, আমার মনে হয় সুযোগ দিলে তারাও সামর্থ্যবান এবারের বিপিএলেও অনেক দেশি আছে যারা ভালো ভালো ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছে। হ্যাঁ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা একটু কঠিন। যে অবদান রাখছে তা যেন দলের জয়ে হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়