• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নরসিংদীতে অটোরিকশায় গাড়ির ধাক্কা, নিহত ২ 
নরসিংদীর বেলাব উপজেলা অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।  শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় বেলাব উপজেলার পুরাদিয়া-আগরপুর আঞ্চলিক সড়কের চর লতিফপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ভাটিপাড়া এলাকার মৃত মোতালেব মিয়ার ছেলে মোস্তফা মিয়া (৫৭) ও একই গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার ছন্দু মিয়ার ছেলে মুরশিদ মিয়া (৪৫)। তাদের মধ্যে মোস্তফা মিয়া কৃষিশ্রমিক ও মুরশিদ মিয়া প্রবাসী ছিলেন। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের আগরপুর থেকে ওই সড়ক ধরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় করে তিনজন যাত্রী বেলাব উপজেলার পুরাদিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। চর লতিফপুর এলাকায় পৌঁছার পরপরই একটি গাড়ি পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা সড়কে ছিটকে পড়ে ওই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মোস্তফা মিয়ার মৃত্যু হয়। আর মুরশিদ মিয়ার শরীর থেকে এক হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অজ্ঞাত গাড়িটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুরশিদ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্য দুজনকে পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের একটি হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে বেলাব থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত মোস্তফা মিয়ার নিথর মরদেহ উদ্ধার করেন।  এ সময় বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে গাড়িতে মারা যান মুরশিদ মিয়া। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, মোস্তফা মিয়ার স্বজনেরা হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেছেন। তারা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর চাইছেন। এ দিকে একহাত বিচ্ছিন্ন হয়ে আরেকজন যাত্রীর আহত হওয়ার খবর শুনেছি, কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা তাকে পাইনি। স্থানীয় লোকজন আমাদের জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয়সহ সর্বশেষ পরিস্থিতি আমরা জানার চেষ্টা করছি।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৩

শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু
গাজীপুরের শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুলাল হোসেন (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত দুলাল হোসেন দিনাজপুর জেলার মোড়ালিপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।  তিনি মাওনা চৌরাস্তায় খোলাবাজারে সবজি বিক্রি করতেন।  দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ। ছোট বোন আনোয়ারা বেগম জানান, তার ভাই দুলাল হোসেন মাওনা চৌরাস্তায় সবজির ব্যবসা করে খুব কষ্টে সংসার চালাতেন। সকালে আমি ভাইয়ের জন্য একটি বৈদ্যুতিক পাখা, এক বস্তা চাল ও ডাল কিনে খবর দেই বাসায় এসে বাজারগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার বাসায় আসার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, মহাসড়ক পার হতে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চাপায় সবজি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক কাভার্ডভ্যান আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

মাটি খুঁড়তে গিয়ে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
রংপুরের পীরগাছায় সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার সময় ধসে সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম একই উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মাস্টার পাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খুঁড়তে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। প্রায় ২০ ফিট খননের পর আকস্মিক বালু ধসে সাইফুল ইসলাম নিচে চাপা পড়েন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা এসে দীর্ঘসময় চেষ্টা করেও সাইফুলকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্কেভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, বালু ভরাট করা একটি জায়গায় সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার সময় ধসে যায়। এতে চাপা পড়ে সাইফুলের মৃত্যু হয়। পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

বাড়ির সামনে বেপরোয়া লরির চাপায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মাটিভর্তি বেপরোয়া গতির লরির চাপায় বাইসাইকেলে থাকা এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম রাব্বি মিয়া (১২)। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এনামুল (১৫) নামে আরেক কিশোর। ঘটনার পর লরিচালক আল আমিনকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিহত রাব্বি তেতুলিয়া গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আহত এনামুল একই গ্রামের এখলাছ মিয়ার ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছিল এনামুল। আর তার পেছনে বসা ছিল রাব্বি। এসময় হাওর থেকে মাটিভর্তি একটি লরি বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের সাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে পেছনে বসা রাব্বি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর এনামুলের পা ভেঙে যায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী লরিচালককে আটক করে। আহত এনামুলকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লরি জব্দ করে ও এর চালক আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনামুলের চাচা জুলহাশ মিয়া জানান, হাওরের খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে এলাকার একটি চক্র। দিনে ১৫-২০টি লরি বেপরোয়া চলাফেরা করছে। সন্ধ্যার দিকে একটি লরি রাব্বি ও এনামুলকে চাপা দেয়। এতে রাব্বি ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর এনামুলের পা ভেঙে যায়। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪

বাবার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেল ছেলে, চাপা দিলো পিকআপ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরুভর্তি পিকআপের চাপায় হাফেজ রায়হান মিয়া (১৯) নামে এক দাখিল পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের (পুরাতন) পোষ্টকামুরী চরপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রায়হান মিয়া উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া নায়াপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে এবছর মির্জাপুর আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছিল। পুলিশ জানায়, রায়হান মিয়া সকালে তার বাবা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোটরসাইকেলে পরীক্ষা দিতে আসছিলেন পথিমধ্যে মহাসড়কের ওই স্থানে পৌঁছালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে রায়হান ও তার বাবা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এ সময় একটি গরুভর্তি পিকআপ রায়হানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। দুর্ঘটনায় রায়হানের বাবা আহত হন। তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

ঠান্ডায় বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় ভারী কিছু চাপা দিচ্ছেন, যা বলছেন চিকিৎসকরা
শীতের এবার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। তাপমাত্রা কখন কি অবস্থায় থাকবে তা বোঝার যেনো কোন সুযোগই নেই। কখনও এক ধাক্কায় চারদিকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা, কখনও আবার এমন আবহাওয়া, গরম কালকেও হার মানায়। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অবস্থা বেশ কাহিল। সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। এমন সময় একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের যত্নের সময় নানা রকম চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। গোসল করানো থেকে গরম-জামা পরানো, নানা বিষয় নিয়েই বাড়ির বড়দের মনে থাকে বিভিন্ন চিন্তা। অনেক অভিভাবক জানেন না শিশুকে ঘুম পাড়ানোর নিরাপদ উপায় কী হতে পারে। অনেকেই আবার নানা রকম ভুলও করেন যা সদ্যোজাত শিশুদের জন্য অনেক বিপদেরও কারণ হতে পারে।  জেনে নিন বিষয়গুলো-  >> অনেকেই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না দিয়ে গরম তেল মালিশ করেন। অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না। >> যারা সরিষের তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। একবার বাচ্চার র‍্যাশ হয়ে গেলে কষ্ট কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাবে। >> প্রতিদিন গোসল করাতে না চাইলেও অল্টারনেটিভ দিনে শরীর স্পঞ্জ করা প্রয়োজন। একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় দক্ষভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।  >> লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে? উত্তর হবে না। এতে খেয়াল না রাখলে যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। যাকে বলে সিট (SID : Sudden Infant Deaths)।  >> শিশুকে লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার ওপর জামা পরিয়ে দেবেন না। >> যিনি শিশুর যত্ন করছেন তিনিই বুঝে নেবেন শিশুর কি শীত লাগছে নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমে গিয়েছে। তা বুঝে জামা পরাতে হবে বা খুলে দিতে হবে। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়