• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফর্মে থাকা নারিনকে বিশ্বকাপে চান পাওয়েল
অবসর ভেঙে ঘরের মাঠে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য সুনীল নারিনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে প্রচেষ্টা করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন নারিন। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে বল হাতে দুই উইকেটও নেন তিনি। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৪ বছর আগে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ৩৫ বছর বয়সী নারিন। তবে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে নারিনকে পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন পাওয়েল।  রাজস্থানের হয়ে খেলা পাওয়েলের ভাষ্য, ‘গত ১২ মাস ধরে তার কানে ফিসফিস করছি আমি। কিন্তু সে কারও কথাই শুনছে না।’ এদিকে পাওয়েলের আশা, আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিনিয়র ক্রিকেটার কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো এবং নিকোলাস পুরাণরা তাকে রাজি করাতে পারবেন। পোলার্ড ও ব্রাভো কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে লখনৌর হয়ে খেলছেন পুরাণ। ক্যারিবীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পুরাণ। বাঁ-হাতি ব্যাটার নারিন সাধারণত মিডল কিংবা লোয়ার-অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন। কিন্তু আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার ইনিংস উদ্বোধন করছেন তিনি। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত এবারের আসরে ২৭৬ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি হাই-স্কোরিং উইকেটে বল হাতে ৬ দশমিক ৮৭ ইকোনমি রেটে ৭ উইকেট শিকার করেছেন। এবারের মৌসুমের শুরুতে নারিন বলেছিলেন, ‘বাড়িতে বসে আগামী বিশ্বকাপ দেখবেন।’ কিন্তু সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরে আসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রহস্যময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নারিন। ২০১২ সালে অভিষেকের পর ৫১ টি-টোয়েন্টি খেলা নারিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। তবে দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি হয়।’
২ ঘণ্টা আগে

স্মৃতিকথা / ‘চান উইল্ল্যে চান উইল্ল্যে, হালিয়ে ঈদ’
আমার গ্রামের নাম গুনাগরী। চট্টগ্রাম শহর থেকে দুইটা মোটামুটি বিখ্যাত নদী পার হয়ে যেতে হয়। প্রথমটা কর্ণফুলী। দ্বিতীয়টা সাঙ্গু বা শঙ্খ। দুই নদীর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে একসময় আপনার চোখ প্রবেশ করবে দুইপাশে সবুজের ছড়াছড়ি আর সর্পিলদেহী একটা মোটামুটি সংকীর্ণ হাইওয়েতে। যার পুবে উঁচু পাহাড় আর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি ও খেতখামার। আর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ। সবজি আর ধানের মাঠ। যেখানে প্রায় সারা বছরই চাষ হয়। খিল নেই কোনো জমি। আরও পশ্চিমে গেলে, কয়েক কিলোমিটার জনবহুল এলাকা ফেলে, বঙ্গোপসাগর; যার পাড়ে দাঁড়িয়ে আপনি আকাশ আর জলরাশি ছাড়া আর কিছুই দেখবেন না। আসলে ওদিকটাতে আর কোনো বসতির চিহ্ন নেই। পাড়ের কোনো নিশানা নেই। আমার নানারা বলতেন, আমাদের পশ্চিমে বেমান সাইগর! আমি জীবনের প্রথম ষোলো বছর কাটিয়ে এসেছি এই বাঁশখালী উপজেলায়। একসময় রাস্তাঘাট তেমন পাকা ছিলো না। শুধু মেইন রোড বাদ দিলে আর সব রাস্তাই বর্ষাকালে কাদামাটির দমদমা হয়ে যেতো।  শীতকালে অবশ্যই সুন্দর লাগতো সবকিছু। বিল পাতাড়ি হাঁটাই ছিলো যোগাযোগের অন্যতম সহজ উপায়। শহর থেকে যেতে গেলেও পড়তে হতো বিড়ম্বনায়। সাঙ্গুর উপর দিয়ে ফেরি পার হয়ে। মিস হলে সাম্পান। সাম্পানওয়ালার সেই বিখ্যাত গান তো দেশের প্রায় সবাই জানেন। ‘বাঁশখালী -মহেশখালী, পাল উড়াইয়া দিলে সামপান/গুরগুরাই টানে/তোরা হন হন যাবি আঁর সাম্পানে!’  আমাদের ছোটো বেলায় ঈদ হতো শীতকালে। সেসময় স্কুলের প্যারা থাকতো না। নিরবচ্ছিন্ন অবসর যাকে বলে। তো, রোজা আর ঈদ ছিলো আমাদের ছিলো বিশাল এক উপলক্ষ। রোজার আগে আগে মক্তবের মিজ্জি আমাদেরকে রোজার প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করতেন। দলবেঁধে সুরা তারাবি, রাতে কেয়ামুল লাইল, সেহেরির আগে গজল পরিবেশনে আমাদের কয়েকজনের দায়িত্ব ছিলো বেশি। বিশেষ করে হুজুর যাদেরকে তাঁর পাঠশালার মেধাবী ছাত্র মনে করতেন! সৌভাগ্যক্রমে আমি ছিলাম হুজুরের প্রিয়। তাই আমার অংশগ্রহণ ছিলো অগ্রভাগে।  সেহেরিতে উঠে খাওয়ার আগে মসজিদে গিয়ে ‘রোজাদার অক্কল ঘুমত্তুন উড়ি যনগুই’ কয়েকবার বলে লোকজনকে ডেকে দিয়ে শুরু করতাম গজল গাওয়া। ‘ওহে সকালের বাতাস তুমি কোথায় চলে যাও?/ মদিনার খুশবু তুমি আমায় দিয়ে যাও’, ‘ওগো মদিনা মনোয়ারা হে,/ ওগো মদিনা মনোয়ারা’, ইত্যাদি গজল গাইতাম। রোজা শেষ হওয়ার আগে আগে আমরা ঈদের প্রস্তুতি সেরে নিতাম। তবে অন্য দশজনের মতো ঈদ ছিলো না আমার। আমাদের স্কুলে একটা প্রবন্ধ বা নিবন্ধ ছিল এতিমদের নিয়ে। ঈদের দিন তাদের দুঃখী মুখে রাসুল (সা.) হাসি ফুটাতে বলেছিলেন। আমার বাবা-মা দুইজন থাকলেও নিজেকে আমি এতিম মনে করতাম। কারণ, আমি তাদের কারো ঘরে থাকতাম না। থাকতাম নানা বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবে আমার মনে সবসময় একটা ভয় কাজ করত। কারো কাছে ঈদেও জামা চাইতে পারতাম না! ঈদের আগের দিন দেখা যেতো আমার মা তার নতুন সংসার থেকে একটা শার্ট পাঠাত। আর বাবা এলাকার এক লোককে দিয়ে চাঁদরাতে বা তার আগের দিন একটা কী দুইটা শার্ট পাঠাতেন। দুয়েকবার বাঁশিসহ জুতো। অবশ্যই নানাভাইও একটা কিনে দিতেন। সেটা কোনো মার্কেট থেকে নয়। হকার থেকে। আমরা তখন হকারকে নিলামি টাল বলতাম! ঈদ তবুও খুশির উপলক্ষ ছিল।  মসজিদের হুজুর তার খুতবা পূর্ববর্তী ওয়াজে প্রায়ই বলতেন ঈদ আসলে রোজাদারের জন্য। অন্যরা সেদিন ঈদ মানে খুশি সেটা বুঝতে পারে না। এই বুঝ নিয়ে চাঁদ ওঠা সন্ধ্যায় রাজ্যের যত আগ্রহ নিয়ে মাগরিবের নামাজ কোনো রকম ফরজটুকু পড়ে আমরা মিছিলে চলে যেতাম। ‘চান উইল্ল্যে, চান উইল্ল্যে’, ‘আঁজিয়ে রোজা/হালিয়ে ঈদ, তোর মা কাঁদের ফিইতফিইত!’ তারপর বাড়ির পশ্চিমে আদ্দুনী বিলের মোহনায় গিয়ে নতুন চাঁদ দেখে গড়্গড়িয়ে পড়তাম, নতুন চাঁদ উঠিলে এই দোয়া পড়িতে হয়- আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’  ঈদের দিন খুব ভোরে আমার ঘুম ভেঙে যেত খিদেয়; যা এখনো ঘটে। দীর্ঘ ত্রিশ দিন সেহেরি খাওয়ার অভ্যাসের কারণে এইদিন খিদে লেগে যায় ভোরে। আযানের সাথে সাথে মসজিদে যেতাম। নামাজ সেরে আবারো গজল ধরতাম। যা চলতো দিন শুরু পর্যন্ত। ঈদের জামাতেও আগে আগে যেতাম। নামাজের আগে যদি আরেকবার গজল গাওয়ার সুযোগ পাই! এবং, সেটা জুটতো। আরো দুয়েকটা গজল গাওয়ার সুযোগ পেতাম!  জামাত শেষে শুরু হয়ে যেতো আমাদের ঈদচলা। পুরো গ্রাম ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম। সন্ধ্যা নামার আগে ঘরে ফিরতাম। আমাদের দল ছিলো মোটামুটি আট দশ জনের। দলের তেমন কারো সাথে এখন যোগাযোগ নেই অবশ্যই।এদের অধিকাংশই  মধ্যপ্রাচ্যে এখন। তো, আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে সবাইকে কদমবুসি করতাম। লাল সেমাই, জর্দাসেমাই, মুরাব্বা, লাচ্ছাসেমাই আর বোম্বে সেমাই ছিলো ঈদের খাবার। যাদের কৃষি ছিলো, তাদের ঘরে ঘুরাপিঠা বা চুটকি বানানো হতো। গুড়, দুধ আর নারিকেল দিয়ে বানানো হতো এই পিঠা। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাসা হলে আমরা দেশি মুরগী অথবা গরু মাংস দিয়ে ভাত খেতাম!  তবে সেমাই আর পানিতে সেদিন আমাদের পেট হয়ে উঠতো একেকটা চালের মটকা! তখন সেলামীর অত চল ছিলো  না। তবুও আমাদের কিছু নির্দিষ্ট টার্গেট থাকতো। আমার মার কাছে গেলে পাঁচ টাকা পেতাম!  আরো কিছু কিছু আত্মীয় বা পরিচিত মানুষের ঘরে গেলো আমাদেরকে  দোয়েলপাখির ছবিসহ দুই টাকার নতুন নোট দিতেন! এক টাকার হরিণমার্কা নোটও ছিলো আমাদের আগ্রহের তালিকায় । ঈদে সাকুল্যে দশ বারো টাকা পেতাম। সেটা দিয়ে নানারকম প্ল্যান করতাম। আর দিনশেষে আইস্ক্রিমওয়ালার পকেটে যেতো এর একটা অংশ।  অবশ্যই প্রায়সময় আমি কলম কিনে রাখতাম এই টাকা দিয়ে।  একসময় গ্রামের ঈদ মানে ছিলো অনাবিল আনন্দ। আমার এক বন্ধু ঈদ কার্ড দিতো আমাকে। সেখানে লেখা থাকতো, ঈদ আপনার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ। আর উপরে সে লিখে দিতো, ঈদ মানে খুশির দিন।আসতে হবে ঈদের দিন! ঈদের আগে আমার টার্গেট থাকতো বাণী সম্বলিত  ছোটো ছোটো কার্ডের দিকে। দুই টাকার এসব কার্ড লাগিয়ে ঘরের সৌন্দর্য একটু বাড়াতে চাইতাম। কারণ স্কুলে আমার বন্ধুদের প্রায় সবারই বাবা চাকুরিজীবী ছিলেন। ওদের স্বচ্ছলতার গল্প শুনে ভয়ে কুঁকড়ে থাকতাম আমাদের ঘরে আসলে কি ভাববে! অবশ্যই আমার নানুর আন্তরিকতা যাবতীয় সব শংকা দূর করে দিতো। তবে আমার বন্ধুদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া ছিলো। তারা আমাকে কখনো বাবা মা কোথায় সেটা জানতে চাইতো না। আমার কাছে গ্রামের ঈদের প্রতি আজো একটা মোহ কাজ করে। ঈদ মানে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের সাথে দেখা হওয়া। বছরে একবারের জন্য হলেও প্রায় শ’খানেক বাড়িতে গিয়ে কুশল বিনিময় করা। ভালো মন্দ কিছু খেতে পারা। একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা পরস্পরের মধ্যে৷ সারা বছরের যাবতীয় সব গ্লানি অনায়াসে ভুলে গিয়ে এই একটা দিনে আমরা সকল ভেদাভেদ অতিক্রম করে কাঁধে কাঁধ রেখে দাঁড়িয়ে যেতাম ঈদের নামাজে৷ বেরিয়ে পরস্পর কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি। সেমাই খাওয়া দিন ভর। যার ছিঁটফোটাও নেই শহুরে নাগরিক জীবনে।  ঈদ মানে আমার কাছে গ্রামে যাওয়া। যেখানে বেড়ে উঠেছি। যাদের সাথে বড় হয়েছি সুখ, দুঃখ, ক্লেদ ও আনন্দে। বছর শেষে আবারো সবার সাথে হাসি বিনিময়। সালাম বিনিময়। অধুনা প্রচলিত সেলামি তো আছেই! ঈদ সবার জীবনে এক দিনের জন্য হলেও হাসি ফোটাক। দুঃখ, মান-অভিমান ভুলে সবাই গেয়ে উঠুক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক!  লেখক : শিক্ষক ও অনুবাদক, ইংরেজি বিভাগ, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৫

দস্যুদের কবলে জিম্মি জাহাজ / মুক্তির পর আমিরাত থেকেই ফিরতে চান নাবিকরা
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের কবলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনো মুক্ত হয়নি। দ্রুতই জাহাজটি মুক্তি পাবে এমন আশা করছেন মালিকপক্ষ। জাহাজটি মুক্তির পর যাতে দ্রুত নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। এমনটিই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।  প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জাহাজটি মুক্ত হলে নাবিকেরা কোথা থেকে সাইন অফ করবেন তথা জাহাজের কর্ম হতে অব্যাহতি নিবেন, তার তালিকা জাহাজের ক্যাপ্টেনকে দেওয়ার জন্য মালিকপক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নাবিকরা একটি তালিকা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।  সূত্র জানায়, মালিকপক্ষের নির্দেশনার পরজাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে সাইন অফ করবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে বাকি পাঁচজন সাইন অফ করবেন। জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। আশা করছি, কম সময়ের মধ্যে নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে পারব। কয়লা নিয়ে জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি মুক্ত হলে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দরে নেওয়া হবে। সেখানে কয়লা খালাসের পর চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে। তাই নাবিকদের মধ্যে কারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সাইন অফ করবেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করছে মালিকপক্ষ। যতজন নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে নেমে যাবেন, ততজন নাবিক বাংলাদেশ থেকে সেখানে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার অগ্রগতি হয়েছে বলে  জানিয়েছে কবির গ্রুপ। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতার কথা বলেনি তারা।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩২

আমিরকে জাতীয় দলে দেখতে চান না রমিজ রাজা
২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। ১৪ বছর হলেও আমিরকে এখনও ক্ষমা করতে পারেননি সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। তাই আমিরের জাতীয় দলে ফেরা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন আমির। তবে ২০২০ সালের পর অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার পথে এই বাঁহাতি পেসার। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। গত মাসে আমির জানিয়েছেন, অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরতে ইচ্ছুক তিনি। দলে চতুর্থ পেসার হিসেবে বিশ্বকাপে ভূমিকা রাখার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ উপলক্ষে সামরিক প্রশিক্ষণের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে আমিরকে। মূল দলেও তার থাকার আভাস স্পষ্ট। এই বিষয়ে পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে রমিজ রাজা বলেন, এই ব্যাপারে আমার মতামত খুবই সোজসাপ্টা। দেখুন ক্রিকেট শোধরানোর শপথ আমি নেইনি। তবে সমাজ ও ভক্তদের জন্য এটা বোঝা জরুরি। লর্ডস টেস্টে আমি তখন ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম।  ‘মানুষ তখন আমাকেও ঘৃণা করা শুরু করে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ফিক্সারদের সঙ্গে আমাকেও দেখা গেছে। যে সমালোচনার মুখে আমরা পড়েছিলাম কখনোই ভোলার নয়।’ তিনি আরও বলেন, আমিরের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও কোনো দয়া নেই। সৃষ্টিকর্তা এই পথে না নেক, তবে আমার ছেলেও যদি এই কাজ করে তাকে আমি ত্যাজ্য করে দেবো।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

প্যারিস অলিম্পিকে এমবাপ্পেকে চান ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকে জাতীয় দলের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পের খেলার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি রাজধানীতে একটি স্কুল পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমে এ সম্পর্কে ম্যাক্রোঁ বলেন, আশা করছি সে অলিম্পিক গেমসে খেলতে পারবে।’ এর আগে অলিম্পিকে ফ্রান্সকে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন এমবাপ্পে।  কিন্তু সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ স্পষ্ট ভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে তারা তাদের কোন খেলোয়াড়কে অলিম্পিকে অংশ নিতে অনুমতি দিবে না। বিশ্বকাপ বিজয়ী ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বর্তমানে পিএসজিতে খেললেও লিগ ওয়ানের ক্লাবটির সাথে তার এ মৌসুমের পরেই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদই হতে যাচ্ছে তার সম্ভাব্য পরবর্তী গন্তব্য। অলিম্পিকে প্রতিটি দেশের অনুর্ধ্ব-২৩ দলটি অংশ নিয়ে থাকে, তবে সেই দলে তিনজন বেশী বয়সী খেলোয়াড় খেলানোর নিয়ম রয়েছে। অলিম্পিকের ম্যাচগুলো ফিফার আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য নয়। এদিকে আগামী ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরো ২০২৪-এ ফ্রান্স দলকে নেতৃত্ব দেবেন এমবাপ্পে। অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট ২৪ জুলাই শুরু হয়ে ৯ আগস্ট শেষ হবে। গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ড। গ্রুপের শেষ দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, লেস ব্লুজরা  ইউরোর সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করতে পারলে  তিনি জার্মানিতে গিয়ে খেলা দেখবেন। বার্লিনে যেদিন ইউরোর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সেই ১৪ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৮

বিয়ের পর যে কারণে সিনেমা ছেড়ে দিতে চান পূজা চেরি
ক্যারিয়ারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’। সিনেমায় পূজার সঙ্গী হয়েছেন আদর আজাদ। বর্তমানে তাই এই সিনেমার প্রচারণার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন পূজা। এদিকে দিন কয়েক আগেই মা হারিয়েছেন পূজা। ফলে ঈদ ও সিনেমা নিয়ে এখন খুব একটা উচ্ছ্বসিত নন তিনি। কিন্তু তবুও পেশাগত কারণে সিনেমার প্রচারণা করছেন। কারণ তার মায়েরই স্বপ্ন ছিল নায়িকা হবেন পূজা। মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই নিজের কাজ গুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে করতে চান।  তবে সম্প্রতি সিনেমার প্রচারণা অনুষ্ঠানে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন পূজা। এসময় তিনি জানান, বিয়ের পর পূজার পরিবার যদি চায় তাহলে আর সিনেমা করবেন না। বিদায় নেবেন শোবিজ দুনিয়া থেকে। পূজা বলেন, এবার ঈদে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সেটা অবশ্যই অনেক আনন্দের। আবার অন্যদিক থেকে ভীষণ কষ্টেরও। কেননা— এই ঈদে আমার মা নেই। এরপরও আমাকে অভিনয় এবং সিনেমার প্রোমোশনে যেতে হবে। কারণ এটা আমার পেশা। যে পেশায় সফলতা পেলে সবথেকে বেশি খুশি হবে আম্মু। এজন্য তার স্বপ্ন পূরণে কাজটি মন দিয়ে করতে চাই আমি। মাকে হারানোর পর এখন পরিবারই সবকিছু উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা বলেন, পরিবার যদি চায় বিয়ের পর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিতে হবে, তাহলে ছেড়ে দিব। আমার মায়ের নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। তিনি হতে পারেননি। তবে আমাকে বানিয়েছেন। আর এখন মা নেই। এখন পরিবারই আমার কাছে সব। পূজা আরও বলেন, পরিবার চাইলে বিয়ে করে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব আমি। আমার কাছে তাদের চাওয়াই সব। আর এই ঈদে কোনো আনন্দ নেই আমার। শপিংও নেই। সিনেমার প্রচারে বের হব,  পরে ফের বাসায় চলে যাব। প্রসঙ্গত, রোমান্টিক ধাঁচের সিনেমা পূজা অভিনীত ‘লিপস্টিক’। গ্রাম থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসে বুচি নামের এক কিশোরী। একপর্যায়ে নায়িকাও হয়ে যান। কিন্তু এরপরই শুরু হয় তার ভিন্ন এক জীবন। সিনেমায় বুচির চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮

মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান পূজা চেরি
মৃত্যুর পরেও যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন অটুট থাকে। মা-ই যেন সব। ব্যতিক্রম নন চিত্রনায়িকা পূজা চেরিও। ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে আমার পথচলা চিত্রনায়িকার। সব কাজেই ছায়ার মতো পাশে থাকতেন তার মা। মেয়েকে নিয়ে মায়েরও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেসব পূরণের আগেই গত ২৪ মার্চ পূজাকে একা করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার মা ঝর্ণা রায়। তবে মা বেঁচে না থাকলেও মায়ের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে চান এই নায়িকা। আর তাই মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করতে চান পূজা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নিজেক কাজ ও মাকে নিয়ে কথা বলেন পূজা। চিত্রনায়িকা বলেন, মাকে কতটা ভালোবাসি, সেটা বেঁচে থাকতে তাকে বলতে পারিনি। আসলে বুঝিনি, এত তাড়াতাড়ি মা আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন না ফেরার দেশে। পূজা বলেন, মা সব সময়ই আমাকে শক্ত মনের মানুষ বলতেন। তোমার পথে যত বাধাই আসুক, তুমি ঠিক কাটিয়ে উঠতে পারবে, সেই বিশ্বাস আমার আছে। এখন সেসব কথাগুলো মনে করে আমি আরও উৎসাহিত হই।    এদিকে আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পূজা অভিনীত সিনেমা ‘লিপিস্টিক’। গত ৩০ মার্চ বিকেলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমাটি ঈদে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যার পর ‘বেসামাল—ড্যান্স নম্বর ওয়ান’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির প্রচার শুরু হয়। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এ প্রসঙ্গে পূজা বলেন, মায়ের রেখে যাওয়া কথা মাথায় রেখেই ঈদের সিনেমার প্রচার করতে হবে। নতুন নতুন কাজ করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই আমার সব কাজে ছায়ার মতো পাশে থাকতেন মা। সেসময় থেকেই মা চাইতেন— আমি যেন আমার কাজ দিয়ে বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারি। আজ মা নেই, মাকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই আমি। যেভাবেই হোক মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাকে।  চিত্রনায়িকা বলেন, মা মারা যাওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। কাজে ফিরতে হচ্ছে। তবে শত কাজের মধ্যেও মাকে ভুলে থাকা যাবে না। চলার পথে, কাজের পথে ঘুরেফিরে মায়ের স্মৃতি ডাকবে আমাকে। আমি যেমন মাকে বিশ্বাস করতাম, তেমনই মা–ও করতেন আমাকে। পরিচিতজনদের মা প্রায়ই বলতেন, পূজা আমার হাতের লাঠি, আমার শক্তি। তবে মা যেখানেই থাকুন, তার সঙ্গেই আছেন জানিয়ে পূজা বলেন, মায়ের ঘরটা এখন শূন্য কিন্তু আমি ভাবি, মা ঘরেই আছেন। আগে যেমন করতাম, এখনও বাসা থেকে কাজে বের হলে, রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলি, মা আমি বের হলাম।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪

যেকোনো মূল্যে সিন্ডিকেট সভা চান বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদ ও শিপনসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া ও উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিংকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থমথমে পরিবেশ বিরাজ করেছে।  এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। তবে যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিং করে এডহকে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করে যেতে চান বিদায়ী উপাচার্য। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজ বিদায়ী উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিং হওয়ার কথা। এটিকে কেন্দ্র করে যেন কোনোরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি রোধে সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিংটি সম্পন্ন করে যেতে চান উপাচার্য। জানা গেছে, ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবার উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ সিন্ডিকেট মিটিং করতে চান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টার হলে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল কথা বলেননি। এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) উপাচার্যের শেষ মেয়াদে এডহকে নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। এ সময় ওই চিকিৎসকদের বের করে দেওয়া হয়।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

৫০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে চান খলিল, বর্ডার খুলে দেওয়ার দাবি
সরকার যদি অন্তত ১০টা দিনের জন্য ইন্ডিয়ান বর্ডারটা খুলে দেয় তাহলে গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান। শুক্রবার (২২ মার্চ) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। এতদিন ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করলেও সম্প্রতি কেজি প্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করেছেন তিনি। কিন্তু কেন তিনি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন, কারো চাপে পড়ে মাংসের দাম বাড়িয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, করো চাপে নয়, ইদানিং গরুর দাম অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়িয়েছি। তবে গরুর দাম বাড়ার পেছনে বড় বড় খামারিদের দায়ী করেছেন। এসব বড় খামারিদের কাছে হরে গেছেন বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ ছিল না বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বড় বড় খামারিরা ঈদ ও কোরবানিকে সামনে রেখে হাট থেকে গরু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাই গরুর দাম বাড়ছে। এতদিন কম লাভ করলেও তার বিক্রির পরিমাণ ছিল কোটির টাকার উপরে। তাই লাভের পরিমাণটাও কম ছিল না।কিন্তু এবার গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের দামে অর্থাৎ ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন তিনি। দাম বেড়ে যাওয়ার পরও মাত্র ১০ দিন তিনি ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। আর এতেই তাকে লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। যদিও তিনি লোকসানের পরিমাণটা গণমাধ্যমকে বলতে চাননি। সরকারের প্রতি তার অনুরোধ, সরকার যেন মাংস ব্যবসায়ীদের কথা শোনে। অন্তত ১০টা দিনের জন্য ইন্ডিয়ান বর্ডার খুলে দেয়। যাতে ইন্ডিয়ান গরু বাংলাদেশে আনা যায়। তাহলে মাংস ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা সম্ভব।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৮

তবে কি ছেলেকে গায়ক বানাতে চান মাহি
দিন কয়েক আগেই স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার পর থেকেই কাজ ও ছেলে ফারিশকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।  কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব মাহি। প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে বিভিন্ন খুনসুটির ছবি কিংবা ভিডিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।    সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন মাহি। ছবিগুলোতে দেখা যায়— ছেলেকে গিটারের কর্ড বোঝাচ্ছেন এই নায়িকা।   ছবির ক্যাপশনে ভালোবাসার কিছু ইমোজি ছাড়া আর কিছু লেখেননি মাহি। ফারিশের সঙ্গে চিত্রনায়িকার এই ছবিগুলো একটি স্টুডিওতে তোলা। তবে কি ছেলেকে গায়ক বানাতে চান মাহি? এমন প্রশ্ন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে নেটিজেনদের মনে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় মাহির পোস্ট করা ওই ছবিগুলোতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার ভক্তরা। আবার চিত্রনায়িকাকে কটূ কথা বলতেও পিছপা হননি অনেকে।   এর আগে, গেল ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় রকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। তবে ঠিক কী কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।   প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী রকিবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি । তবে এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন মাহি। ছেলের নাম রাখেন ফারিশ।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়