• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
'কর্পোরেট গ্রুপ চাইলে খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি করতে পারে'
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের ফুড ব্যবসাটা ৫-৬ টি কর্পোরেট গ্রুপের হাতে চলে গেছে। যারা চাইলে দেশে খাদ্যপণ্যের সংকটও তৈরি করতে পারে। তারাই এখন সব কিছু করে কারণ আইনে তো বাধা নেই। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ে অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার বন্ধে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা সব কিছুতে পাকিস্তানের চেয়ে ভাল আছি কিন্তু বাংলাদেশে কর্পোরেট কালচারের কারণে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ এসএমই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে দেয়া হলে একটা সময় ভয়াবহ হয়ে উঠবে। যে কোন পণ্য অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, জনগণকে বুঝাতে হবে খোলা ড্রামের তেলে কি কি ক্ষতি আছে। কারণ ক্যামিকেলের ড্রাম গুলো ঠিক মত পরিস্কার পর্যন্ত না করেই তেল ভর্তি করে তা বাজারজাত করছে। এ সব কারা করছে যারা মেঘনা ঘাট থেকে শুরু করে শীতলক্ষ্যার পাড়ে সামরাজ্য তৈরি করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সোহেল রেজা চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৫

‘শিক্ষার্থীরা চাইলে হাবিপ্রবির হলের ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে’
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি-২ হলের ক্যান্টিন দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় হল সুপার প্রফেসর ড. মো রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যান্টিনের দায়িত্ব নিজেরাই নিতে পারে। ক্যান্টিন পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও আমরা লোক খুঁজছি ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য।  এ দিকে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হলে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হলে উঠার সময় ক্যান্টিনটি জাঁকজমকভাবে চলতে দেখা গেলেও গত কয়েকমাস যাবত সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ রয়েছে ক্যান্টিনটি। প্রয়োজনের সময়ও আমাদের অন্য হলের ক্যান্টিনে যেতে হয়। শীতের রাতে আবার বাঁশেরহাটও যেতে হয় ।  রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন রায় বলেন, ডরমেটরি-২ হল হাবিপ্রবির অন্যতম একটা হল। যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক ছাত্র অবস্থান করেন। এই বড় হলের ক্যান্টিন সর্বদায় বন্ধ থাকে। রাতে এবং সকালে নাস্তার প্রয়োজনে হলের বাহিরে যেতে হয়, যেটা অনেকটা বিরক্তিকর। মানসম্মত খাবার যেখানে প্রয়োজন সেখানে ক্যান্টিন সবর্দাই বন্ধ থাকে। খুব শিগগিরই এটার সমাধান হওয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।ডরমেটরি-২ হলের ক্যান্টিন পরিচালনায় যারা দায়িত্ব নিয়েছিল কেউ স্থায়ী ছিল না। প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীদের একটি মাত্র ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় প্রায় সময়ই ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন বন্ধের বিষয়ে ডরমেটরি-২ হলের হল সুপার আরও বলেন, কিছু ছাত্রের বিরূপ আচরণের জন্য ক্যান্টিনের দায়িত্বরত লোক ক্যান্টিন বন্ধ করে চলে যান। তারপর থেকেই ক্যান্টিনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা লোক খুঁজছি এক্ষেত্রে ছাত্রদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩২

সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন / সংবিধানের বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে : আইনমন্ত্রী
বর্তমানে সংসদে ৬৪৮ জন সদস্য আছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ নিয়ে নিজে থেকে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও সবকিছুই সংবিধান মেনে হয়েছে বলে দাবি তার। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আনিসুল হকের সামনে এ সময় প্রশ্ন রাখা হয়, বলা হচ্ছে সংসদে এখন ৬৪৮ সদস্য। ব্যাপারটি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আইনমন্ত্রী মনে করেন কি না, কিংবা সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।  জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।' আইনমন্ত্রী হিসেবে আনিসুল হক নিজে তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।' কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। কোন জায়গায় স্পষ্ট করা দরকার, সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়