• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়তে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ চাই : এমপি জাহাঙ্গীর
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে মুরাদনগরের কৃতি সন্তানরা কাজ করছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন মুরাদনগরের মেধাবী সন্তানরা। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী পাঁচ বছরে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ে তুলতে চাই। বুধবার (২৭ মার্চ) বুয়েট কেমিকৌশল বিভাগের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এতে মুরাদনগরের কৃতি সন্তান বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম খান। সঞ্চালনা করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রাজ্জাক। মুরাদনগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বর্তমানে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার উপর ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।  রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক সন্তান বিসিএস ক্যাডার হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। মুরাদনগরের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী আকারে বিভক্ত করে কাজ করতে হবে। সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বাস্তবায়নাধীন মুরাদনগরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং তা সঠিকভাবে ও মানসম্মত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা প্রয়োজন। এজন্য স্থানীয়দের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ড. মহিদুস সামাদ খান বলেন, মুরাদনগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের তিনটি গ্যাসক্ষেত্র এই এলাকায় হওয়ায় শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রপ্তানি-নির্ভর শিল্পে সরকারি প্রণোদনার দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং চীন, জাপানসহ বিভিন্ন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।  ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এমডি আব্দুল্লাহ নোমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে বলেন, মুরাদনগর উপজেলাকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারলে তা শুধু স্থানীয় চাহিদাই মেটাবে না, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।  মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর তার বক্তব্যে মুরাদনগরের আধুনিকায়নে তার বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, যেখানে থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই জোন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের জন্য মুরাদনগরে হাই স্পিড ডাটা কানেক্টিভিটি, শেখ রাসেল আইটি ইউনিভার্সিটি স্থাপন, ইপিজেড স্থাপন, এগ্রো বেইজড প্রকল্পের সংখ্যা বাড়ানো, নারী কর্মসংস্থান, বেকারত্ব নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরিসহ নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মো. আব্দুল হাকিম খান বলেন, একটি জনপদকে কয়েক হাজার বছর এগিয়ে দিতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি মুরাদনগরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।  অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খান, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক (মহাব্যবস্থাপক-প্রকল্প) মো. বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. গোলাম ফারুক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।  উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ মুরাদনগরের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী শ্রীকাইল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বেকার সমস্যার সমাধান, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মুরাদনগরসংলগ্ন প্রস্তাবিত ঢাকা চট্টগ্রাম রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপন, শিল্পায়ন ও আধুনিক কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না : পরীমণি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়ান তারকারা। তারপর সেই বিবাদের সুত্র ধরে পাল্টাপাল্টি জবাব দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারকারা। গত ২১ মার্চ ছেলে বীরের জন্মদিনে একটি আবেগঘন বার্তা দেন মা বুবলী।  এরপরই ফেসবুকে একটি রহস্যঘেরা পোস্ট দেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আর এতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। স্ট্যাটাস, পাল্টা স্ট্যাটাস নিয়ে রীতিমতো আলোচনায় ছিলেন এই দুই নায়িকা। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বুবলী-পরীর এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ চর্চা হয়ে আসছে নেটদুনিয়ায়। এর মাঝেই হঠাৎ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নিজের ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন পরীমণি। অনেকের ধারণা—  বুবলী-পরীর মধ্যকার ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের প্রেক্ষাপট ধরেই এই পোস্টটি দিয়েছেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন—‘যে বা যারা আমার শক্রর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, আজ থেকে কোনো দিন আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না। অনেক তো হলো।’ পরীমণির এই স্ট্যাটাস নিয়ে নেটিজেনরা মনে করছেন, একজন পরিচালককে ইঙ্গিত করেই মূলত স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সেই নির্মাতাকে পরী ও বুবলী দুজনের সঙ্গেই প্রায় সময় দেখা যায়।  দুই নায়িকার ভার্চুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরের কয়েক দিনও বিভিন্ন স্থানে বুবলীর সঙ্গে দেখা গেছে ওই নির্মাতাকে। আর এতেই খেপেছেন পরীমণি। সেই কারণেই নাকি এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে খোলসা করেননি, করতে চানওনি পরীমণি।            এ প্রসঙ্গে দেশের এক গণমাধ্যমে পরীমণি বলেন, এই শত্রু পরিচালকও হতে পারে, আবার ভাই-বন্ধুও হতে পারে। বলব না। তবে যার বোঝা সে এতক্ষণে বুঝে গেছেন। অন্যদের না বুঝলেও চলবে। চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমার সঙ্গে যার ঝামেলা, যে আমার শত্রু, তার  সঙ্গে ঘটনার পরের সারা দিনই ওই মানুষটি ছিলেন। আহারে, আমার শত্রুর সঙ্গে তিনি হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাকে যেভাবে তিনি ভালোবাসা দেখান, এখন মনে হচ্ছে, এ ভালোবাসা পুরোপুরি ভুয়া। আমিও তাকে সরল মনে ভালোবেসেছিলাম, বিশ্বাস করেছিলাম, নানা সময়ে পাশেও দাঁড়িয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, এসব আমার জন্য বৃথা, ভীষণ কষ্ট পেয়েছি আমি।   যাকে আপনি শত্রু ভেবে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন, তিনি এসে ক্ষমা চাইলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, অনেক হয়েছে আর নয়। আমি জানি সে হয়তো আসবে। কিন্তু আসলেও তাকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এখন আমি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না। এ ধরনের মানুষের জায়গা আমার কাছে আর কখনোই হবে না। এ ধরনের বেইমানির জন্য আমি সংসার পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি। আর কী জানতে চান?   
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৭

আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না। নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না। নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। —চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’—যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তবচিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনঃস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে ও তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম : নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইড’ -শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি; ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। একইসঙ্গে তিনি সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৯

স্বাস্থ্যখাতে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাই করতেন। আমরা সেটি করতে পারলেই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার ইচ্ছাগুলোও পূরণ করতে পারব। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, এই মার্চ মাসে আমরা থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লুঙ্গি পরে নিচে আসতেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল। তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সেই সময়ে কয়েকবারই গিয়েছিলেন তিনি। তখন ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, ‘তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবাদান করো তাহলে আমি সন্তুষ্ট। আমি বুঝবো, আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক’। তিনি বলেন, আমি চাই, এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় জড়িত আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। তাই সময়ের মাঝেই অনুষ্ঠান শেষ করব। আগত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, আসুন, আজকে আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করি। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই, যাতে সারাবিশ্বের মানুষ তালি মারে। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

অনেকগুলো বিয়ে করে শিরোনাম হতে চাই না : জায়েদ খান
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। কিছুদিন পর পরই নতুন নতুন ঘটনা দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। বিশেষ করে নারী বা বিয়েকেন্দ্রিক নানান মন্তব্য করে। সম্প্রতি ফের বিয়ে কেন্দ্রিক কথা বলে আলোচায় এসেছেন এই নায়ক।  জায়েদ খান বিয়ে করলে মন ভেঙে যাবে অগণিত নারীর। এমনটা মনে করেন তিনি। সেকারণেই আজও সিঙ্গেল আছেন। কেননা নিজের একার জীবন সুখী করে অসংখ্য ভক্তের হৃদয় ভেঙে দেওয়ার পক্ষে নন তিনি। একাধিকবার কথাগুলো বলেছেন এ নায়ক।  এবার ফের বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে গণমাধ্যমকে জায়েদ বলেন, এত নারীর মাঝে বিশেষ কাউকে আপন করে নিতে সাহস করছি না। তাহলে বাকি নারী ভক্তদের মন ভেঙে যাবে। সবাই থাকুক না আমার ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে! বিয়ে কবে করছেন জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, ইনশাআল্লাহ, দেখা যাক। বিয়ে তো স্রষ্টার হাতে। তিনি যখন করাবেন তখন হবে। নিশ্চয়ই সেটা সুন্দরভাবে করব। তবে শিরোনাম হতে চাই না অনেকগুলো বিয়ে করলেন জায়েদ খান। একটা বিয়ে নিয়েই সুন্দরভাবে কাটাতে চাই। প্রসঙ্গত, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে জায়েদ অভিনীত সিনেমা ‘সোনার চর’। রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসবে ছবিটি। এটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ হাসান। আরও অভিনয় করেছেন ওমর সানি, মৌসুমী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, আবুল হোসেন মজুমদার, শাওন আশরাফ, পাপিয়া মাহি প্রমুখ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫২

আমি আর পেছনে তাকাতে চাই না : শরিফুল রাজ
চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিচ্ছেদের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের নানান ঝামেলায় দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন শরীফুল রাজ। তবে চলতি বছর সব বিতর্ক পেছনে ফেলে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। শিগগিরই তিনটি চলচ্চিত্র দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন এই অভিনেতা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাজ। এসময় অভিনেতা বলেন, তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাতে চান না।  রাজ অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। সিনেমাগুলো হলো— গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ এবং মিশুক মনিরের ‘দেয়ালের দেশ’। তবে তিনটি সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তনে খুব একটা খুশি নন বলে জানিয়েছেন রাজ। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ভেবেছিলাম শুধু ‘ওমর’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাবে। ‘কাজলরেখা’ ও ‘দেয়ালের দেশ’ আগেই মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এক ঈদেই আমার এতগুলো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, এটা আমার মোটেও ভালো লাগছে না।  কারণ— এই সিনেমাগুলো আমার অনেক কষ্টের, অনেক পছন্দের কাজ। বিরতি দিয়ে মুক্তি পেলে, সময় নিয়ে প্রতিটি সিনেমা বিচার–বিশ্লেষণ করে দর্শকেরা চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারতেন। কিন্তু একসঙ্গে মুক্তির কারণে দর্শকেরা তিনটি সিনেমা নাও দেখতে পারেন। বিভ্রান্ত হতে পারেন দর্শক। ভাগ করে দুই ঈদেও সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া যেত।   এদিকে তিনটি কাজ নিয়েই আশাবাদী হয়ে রাজ বলেন, তিন সিনেমার গল্প ও তার অভিনীত চরিত্র তিন ধরনের। আগে কখনও এমন চরিত্রগুলোতে তাকে দেখেনি দর্শক। সিনেমা তিনটির প্রস্তুতিতে বছরের পর বছর সময় লেগেছে।      গেল বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে বিচ্ছেদ হয় রাজ-পরীর। ওই সময় মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছিলেন রাজ। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন কাজে যুক্ত হয়ে চেষ্টা করেন কাজে ডুবে থেকে নিজেকে চনমনে রাখতে।    ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রাজ বলেন, ওই সময়টা আমার জন্য ভালো ছিল না। এক ছাদের নিচে বসবাস করা দুটো মানুষ আলাদা হয়ে গেলে, কেমন লাগে সেটা যাদের হয় তারাই বুঝবেন। এছাড়া ওই সময় আমার সন্তানকেও মিস করছিলাম খুব। প্রতিদিন যে সন্তানকে দেখছি, খেলছি, আদর করছি— সেই সন্তানের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটা খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।  তিনি আরও বলেন, এখন বেশ ভালো আছি। খাচ্ছি, ঘুরছি, কাজ করছি, সময় কেটে যাচ্ছে। নতুন নতুন চিত্রনাট্য হাতে আসছে। সেসব পড়ছি। এখন আমি আর পেছনে তাকাতে চাই না। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। তবে রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই। সংসার ভাঙার পর থেকে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন তিনি। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫

প্রতিটি সেবা আমরা নিজেরাই তৈরি করতে চাই : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রতিটি সেবা আমরা নিজস্ব উদ্ভাবক, গবেষকের মাধ্যমে তৈরি করতে চাই। আমরা বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করতে বাধা দেব না, কিন্তু আমাদের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকতে হবে। সেজন্য আমরা দেশি উদ্ভাবক, গবেষকদের উৎসাহিত এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত পাঁচ বছর আমি খুব বেশি আশাবাদী ছিলাম না। তবে আমাদের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিটি, কম্পিউটার কাউন্সিল মিলে এখন আমরা এমন একটা অবস্থানে এসেছি যে, এখন আমি খুবই আশাবাদী। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ‌‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, তার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্ম ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পরনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা নয়। আমরা সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগাযোগ রেখে চলব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জিপন প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত গতির ইন্টারনেট বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে চাই। সেজন্য গ্রাহক প্রান্তে অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছি। আমরা বিটিসিএলকে আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। আমরা এখন সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

সংখ্যা নয়, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডাক্তার চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডাক্তারের সংখ্যা বা পদের সংখ্যা বাড়াতে চাই না। আমি চাই বাংলাদেশে সুষ্ঠু, সুন্দর, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডাক্তার।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সরস্বতী পূজা উদযাপন পরিষদ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সকাল থেকে বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপে আমি গেয়েছি। আমি ডাক্তার, আমি আপনাদেরই লোক; আগে যা ছিলাম, এখনও তাই আছি, ভবিষ্যতেও তাই থাকব। আমি মেডিকেল কলেজগুলো পরিদর্শন করলে ছেলে-মেয়েরা (শিক্ষার্থীরা) উৎসাহ পায়।  সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। মাত্র অল্পদিনের ব্যবধানে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২২টি কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছেন আমাদের সার্জনরা। আমরা দেশের জনগণ যাতে দেশের বাইরে না যায় সেজন্য আমরা নিরলস কাজ করছি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। এ ছাড়াও মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোপেন কুন্ডু, এনেসথেশিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সুশংকর কুমার মন্ডল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল হারুন, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি.জে. ডা. রেজাউর রজমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬

‘আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি। তাই আমি প্রত্যাশা করি, দেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দেবেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, এবারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য সময়ের তুলনায় স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল বা যন্ত্র এলাউ ছিল না। এমনকি প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যে কারণে এবার প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ ছিল না। তিনি বলেন, এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া ছিল। প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনো মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা। মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, আমরা থেকেছি। স্বাস্থমন্ত্রী জানান, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে মেডিকেল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

মিয়ানমার নয়, কারও সঙ্গেই যুদ্ধে জড়াতে চাই না : কাদের
রোহিঙ্গা ইস্যুসহ চলমান কোনো বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে মিয়ানমার কিংবা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।    মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে তিনি সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে সমস্যা সেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তাদের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো কারণ নেই। মিয়ানমার নয় শুধু, কারও সঙ্গেই আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না। ওবায়দুল কাদের এরপর যোগ করেন, আমরা একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত না। তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এসে সীমান্তে গড়াচ্ছে। ছিটকে এসে পড়ছে আমাদের সীমান্তে। একজন নারী ও পুরুষ মারা গেছেন। এসব ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে ৫৪টা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী আছে। বিভিন্ন জায়গা তারা এরই মধ্যে দখল করে নিয়েছে। এটা তাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর বিরোধের বিষয়। আমাদের সঙ্গে তাদের (মিয়ানমার) কোনো বিরোধ নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবারের (১০ ফেব্রুয়ারি) বর্ধিত সভায় যারা থাকবে তাদের মতামতও গ্রহণ করা হবে। কারণ, এটা মৌলিক একটা সিদ্ধান্ত। কাজেই এ ব্যাপারে সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের নেত্রী। তিনি বলেন, আমরা আসা করছি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। তারপর আমরা আমাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মনোনয়ন বোর্ড বসবে। আমাদের ৪৮টি আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়