• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
চা আসলেই চমৎকার পানীয়। বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চা মেলে। চায়ের কত ধরণ আর স্বাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাদে আলাদা হলেও এর কদর কিন্তু কোথাও কম নয়। আর এ রোজার সময় সারা দিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করতে চা প্রেমিদের ইফতারের পর এক কাপ চা যেন জাদুর মত কাজ করে। আর সেটা যদি হয় ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা, তাহলে তো কথাই নেই। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর গুলশান এলাকার ৫২ নম্বর রোডে “ব্যাচেলর এক্সপ্রেস” নামের একটি দোকানে। তবে অন্যান্য চায়ের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম এই চা। উপকরণ ও প্রস্তুতকরণেও আছে ভিন্নতা। এই চা খেতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন বলে জানান রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা তরুণ দুই বন্ধু আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। এ ব্যাপারে তারা দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মাহবুব হাসান জানালেন, তিনি আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সেখানেই প্রথম এই চা খান। উটের গুড়া দুধ দিয়ে মূলত এই চা তৈরি করা হয়। এরপর দেশে যখন ব্যবসা শুরু করলেন, তখন এই চা বিক্রির চিন্তা মাথায় আনেন। তিনি জানান, আমি দুবাইতে থাকাকালে এটা খেয়েছিলাম। তো এটা গরুর দুধের মতো না। পরে যখন দেশে আমি রেস্টুরেন্ট দিলাম তখন এটা রাখলাম। বাংলাদেশের মানুষ খাবার পিপাসু। নতুন কিছু পেলেই লোকজন আসে। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশে আর কোথাও পাওয়া যায় না। তারা সবসময় তো খাবে না। তাই শখের বশে ৪০০ টাকা খুব বেশি না। মাহবুব জানান, দুবাইয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসা আছে। সেখান থেকেই আনেন এই দুধ। আগের দিন জানালে পরের দিন এই গুঁড়া দুধ তার হাতে চলে আসে বলেও জানান তিনি। প্রতি প্যাকেট উটের গুঁড়া দুধের মেয়াদ এক বছর বলে জানান এই ব্যবসায়ী। কামাল উদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনে অনেক রকম চা খেয়েছি। পরে যখন পত্রিকায় খবর দেখলাম উটের দুধের চা পাওয়া যাচ্ছে, তখন এটার স্বাদ নিতে আসলাম। বলা হয়েছিল এই চা নাকি ব্যতিক্রম। তো এসেও তাই-ই দেখলাম, একটু ব্যতিক্রম। নাসির উদ্দীন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এটার স্বাদ একটু ব্যতিক্রম, ঘ্রাণটাও আলাদা। না খেলে বুঝা যাবে না। গুলশানের এই ক্যাফেটি খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে গেলেই পাওয়া যাবে উটের ‍দুধের চা।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

সিলেটের চা বাগানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
বিপিএল শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা। আগামীকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে দুই দল। এর আগে সিরিজের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন সেরেছে দুই দলের অধিনায়ক। রোববার (৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন লাক্কাতুড়া চা বাগানে ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। দুপুর সোয়া ১ টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে এই ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।ট্রফি উন্মোচন করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।  ট্রফি উন্মোচন করলেও দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় থাকায় প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবেন না লঙ্কান অধিনায়ক হাসানাঙ্গা। তার অবর্তমানে অধিনায়কত্ব করবেন চারিথ আসালাঙ্কা।  ম্যাচ পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। অধিনায়ক হিসেবে নিজের লক্ষ্যের কথাও অকপটে জানালেন, ‘আমার মনে হয় সবার আগে দলের কথা চিন্তা করা উচিত। আগেও যখন ক্যাপ্টেন ছিলাম সবসময় চিন্তা ছিল কীভাবে দলে ইনপুট দিতে পারি।  ‘আমার মনে হয় এটা এখন আরও ভালোভাবে সহায়তা করবে। ক্যাপ্টেন হওয়ায় অনেক কিছু একা করতে হবে এমন করে ভাবছি না। যার যার দায়িত্ব সবাই পালন করলে আমার কাজ সহজ হয়ে যাবে।’ বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শান্ত বলেন, এটি অবশ্যই অনেক আনন্দের। আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। প্রত্যেক ক্রিকেটারের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন থাকে। এই সুযোগ বিসিবি করে দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি খুবই আনন্দিত।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৭

শ্রীমঙ্গলে সুপেয় পানি পেলো চা জনগোষ্ঠী
শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন ও পানি সংরক্ষণে আড়াই হাজার লিটারের একটি ট্যাংকের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। সেখান থেকে আশপাশের প্রায় ৩০টি পরিবারের পানির সমস্যা মিটবে। এছাড়া এখান থেকে সুপেয় পানি পান করতে পারবেন চা বাগানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানে গভীর নলকূপটি উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়।  এ সময় এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব, এস এস জি জলধারা সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মুহাম্মাদ হাছানুজ্জামান চৌধুরী এবং কাকিয়াছড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানাজার সৈয়দ সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নলকূপ পেয়ে চা শ্রমিক কবিতা হাজড়া বলেন, এখানে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে কুয়া ও ছড়ার (খাল) পানি ওপরই বেশি নির্ভর থাকতে হত। এখন নলকূপ পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব জানান, চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের জীবন মান খুব কঠিন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

মান্না দের সঙ্গে স্টেজ কাঁপানো গায়িকা এখন চা বিক্রেতা
কিংবদন্তি শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা, মান্না দে, লোপামুদ্রা মিত্র, আরতি মুখার্জির মতো বিখ্যাত তারকাদের সঙ্গে স্টেজ শো করতেন একসময়। তার সুরের জাদুতে মুগ্ধ হতো দর্শক-শ্রোতারা। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! এখন সংসারের হাল ধরার জন্য স্বামীর সঙ্গে চা বিক্রি করছেন ভারতের বর্ধমানের শ্যামলাল এলাকার পূজা ভৌমিক। এ গায়িকা বর্তমানে দোকানেই ব্যস্ত থাকেন। বিভিন্ন স্বাদের চা তৈরি করে ক্রেতাদের মনে নতুন করে জায়গা করে নিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মালাই চা, ফ্লেবার চা-সহ নানা ধরনের চা তৈরি করেন গায়িকা পূজা।  পূজা এখন তার অতীত প্রতিভার কথা কারও সঙ্গে ভাগ করতে চান না। আর দোকানে আসা অনেকেই তার এ প্রতিভার কথা জানেন না। নিষ্ঠুর বাস্তবতার কাছে বদলে গেছে তার জীবন। এ কারণে বর্ধমানের নার্স কোয়ার্টার মোড়ে এখন স্বামীর সঙ্গে চায়ের দোকান করেন তিনি। এক সময়ের এই তারকা শিল্পীকে এখন চা দোকানে দেখে কেউ ভাবতেই পারেন না যে, দশ বছর আগেও তার পরিচয় ছিল সেলিব্রেটি। পূজার ভাষ্যমতে, পুরনো দিনের কথা মনে হলে খুব কষ্ট হয়। ওই দিনগুলোর আর ফিরে পাব না। কিন্তু এখনো সুযোগ পেলে আবার অনুষ্ঠান করব আমি। বাড়িতে নিয়মিত চর্চাও করা হয় আমার। ২০১১ সালে বর্ধমানের কাঞ্চন উৎসবে শেষ অনুষ্ঠান করেছেন পূজা। স্বামী বিজন ভৌমিক তাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। কিন্তু হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় গায়িকার স্বামীর পা ভেঙে যায়। আর তারপরই বদলে যায় তাদের জীবন। এরপর আর অনুষ্ঠান করা হয়নি তাদের। কোনোরকম দোকানে এসে বসেন। আর স্বামীকে সাহায্য করতে ব্যবসায় যোগ দেন গায়িকা পূজা। তারপর আর কখনো স্টেজে দেখা যায়নি তাকে। বর্তমানে এই গায়িকার বয়স ৫৩ বছর। দোকানে বসে চা তৈরি করতে করতে তিনি বলেন, এখন যে ধরনের অনুষ্ঠান হয়, তা আমাদের সময়ের মতো নয়। এখনকার অনুষ্ঠানের ধারা ভিন্ন। এসব আমাদের উপযুক্ত নয়। এর থেকেও বড় কথা আমার স্বামী আর পারছেন না, তাই তাকে সঙ্গ দিতে ব্যবসায় হাত দিয়েছি।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়