• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষা ভবন থেকে দোয়েল চত্বর রাস্তার দেওয়া হলো নতুন নাম
রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষা অধিকার চত্বর থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়কের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সড়কটির নাম দিয়েছে ‘শফিউর রহমান সড়ক’।    শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সম্প্রতি এই সড়কে ভাষাশহীদ শফিউর রহমানের নামফলক স্থাপন করেন। শফিউর রহমান ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে নিহত হন। ১৯১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর জনপদের কোন্নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শফিউর রহমান। তার পিতা মাহবুবুর রহমান ছিলেন ঢাকার পোস্ট অ্যান্ড টেলিগ্রাফ অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট। তার মাতার নাম কানেতাতুন নেসা। কলকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে চব্বিশ পরগনা সিভিল সাপ্লাই অফিসে কেরানি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন শফিউর রহমান। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে পিতার সঙ্গে ঢাকায় আসেন ও ঢাকা হাইকোর্টে হিসাব রক্ষণ শাখায় কেরানির পদে যোগ দেন। তার মৃত্যুর বিষয়ে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার রঘুনাথ দাস লেনের বাসা থেকে সাইকেলে করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন শফিউর। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওয়াবপুর রোডে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেই মিছিলে পুনরায় গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। এ সময় গুলি এসে লাগে শফিউর রহমানের পিঠে। ১৯৫৪ সালের শহীদ সংখ্যা সাপ্তাহিক সৈনিকে তার সম্পর্কে প্রকাশিত বিবরণ থেকে জানা যায়, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. এ্যালিনসন তাকে অপারেশন করেন। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় মারা যান শফিউর রহমান। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩

হাবিপ্রবি শিক্ষকের আবেদনে দিনাজপুরে হচ্ছে লিচু চত্বর
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘লিচু চত্বর’ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ। লিচু চত্বর নির্মাণের জন্য শহরের প্রবেশমুখ দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড়কে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, আদিকাল থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দিনাজপুরে প্রথম লিচু চাষ শুরু হয়। তবে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা সন জানা যায়নি। জনশ্রুতি রয়েছে ব্রিটিশ আমলে কোন একসময় সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাশিমপুর গ্রামের আব্দুল হক ভারতের বোম্বাই থেকে বেদানা লিচুর চারা নিয়ে এসে রোপণে করেন। সেই থেকে দিনাজপুরে লিচু চাষ শুরু হয়। একে একে বোম্বাই, মাদ্রাজি, হারিয়া বেদানা, কাঁঠালি, চায়না-থ্রি, গোলাপিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু চাষ শুরু হয়। দিনাজপুরের লিচু দেশ-বিদেশে কদর অর্জন করলেও লিচু নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা বা কাজ হয়নি। অথচ এ জেলায় লিচু চাষে রয়েছে দেড়শ বছরের ইতিহাস। সারাদেশে লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। দেশের মানুষ দিনাজপুরের লিচুকে প্রাকৃতিক রসগোল্লা হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। কৃষিপ্রধান এদেশের একেকটি জেলা একেকটি পণ্য উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। দিনাজপুর জেলার জন্য একটি লোগো তৈরি করেছে প্রশাসন। যেখানে স্লোগান দেওয়া হয়েছে- ‘চাল লিচুতে ভরপুর, জেলার নাম দিনাজপুর’। যে লোগোটি জেলা উপজেলাসহ সব প্রশাসনিক দপ্তরে শোভা পাচ্ছে। তবে চাল, লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত হলেও এ জেলায় নেই কোনো চাল বা লিচু চত্বর।  গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জেলায় লিচু চত্বর স্থাপনের জন্য আবেদন করেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার কৃতি সন্তান হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান পারভেজ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনের সঙ্গে তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড়ে লিচু চত্বরের একটি নকশা সংযুক্ত করে দেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক লিচু চত্বর বাস্তবায়নের জন্য ২৯ নভেম্বর ডাক যোগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে দীর্ঘ দিন থেকে দিনাজপুরের মানুষ লিচু চত্বর স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। লিচু চত্বরের আবেদনের ব্যাপারে প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান পারভেজ বলেন,   নিজের এলাকার তথা দেশের জন্য ভালবাসার অনুভূতি থেকেই আমার এই উদ্যোগ গ্রহণ। দিনাজপুর জেলা চাল ও লিচুর জন্য বিখ্যাত।  কিন্তু এই জেলায় প্রাপ্ত লিচুফলের কোন ভাস্কর্য নেই। বাংলাদেশের রাজশাহীতে যেমন রয়েছে আম চত্বর  এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনারস চত্বরের মত আমাদের দিনাজপুরে এমন লিচু চত্বর তৈরী করা বিশেষ প্রয়োজন যা আমাদের দিনাজপুর জেলাকেও বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে লিচুর জন্য আরো নতুন করে পরিচিত করে তুলবে। লিচু চত্বর স্থাপনের ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, দিনাজপুরে একটি লিচু চত্বর করার সিদ্ধান্ত ছিল। শিক্ষকের আবেদন আমাদের কাজকে আরও তরান্বিত করবে। প্রাথমিকভাবে দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড়ে লিচু চত্বরটি করার প্রস্তুতি চলছে। তবে এর থেকে আরও ভালো জায়গা যদি পাওয়া যায় সেখানেও এটি করা যেতে পারে। যার মাধ্যমে দিনাজপুরের লিচু চাষের ইতিহাসকে তুলে ধরা হবে। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরুজ্জামান বলেন, জেলায় পাঁচ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। এ বাগানগুলোতে লিচু উৎপাদন হয় প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন; যা দিনাজপুরের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। আমরাও চাই দিনাজপুরে লিচু চত্বর স্থাপিত হোক।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়