• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লোভনীয় অফার, অনলাইনে সক্রিয় প্রতারক চক্র
ঘরে বসে বাড়তি আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডিজিটাল প্রতরণায় সক্রিয় হয়েছে বেশ কিছু চক্র। অনলাইনে আয়ের কথা বলে যারা মূলত গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি এদের তৎপরতা বেড়েছে। অপরাধী সনাক্তে সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে শক্তিশালী করছে পুলিশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন প্রতরণার কবল থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।  আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, ঘরে বসে দৈনিক দেড় থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় করুন! কিংবা কোনো বিদেশী ফোন করে লোভনীয় বেতনে কাজের অফার দেন। সম্প্রতি এমন ম্যাসেজ বা ফোন কল পাচ্ছেন অনেকে। অথচ এর পুরোটাই প্রতারক চক্রের কাজ। ভোলার মনপুরায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় বিভাগে কাজ করেন সাইফুল রহমান ইমন। গেল মাসে অনলাইনে আয়ের লোভনীয় অফারের ম্যাসেজ আসে তার ফোনে। প্রথমে সহজ কিছু কাজ করে পাঁচ/ছয়শো টাকা আয়ও করেন। তাদের বিশ্বাস করে প্রথমে দেড় হাজার ও পরে ধার করে আরও পনেরো হাজার টাকা জমা দেন তিনি। এরপর থেকেই তার টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ইমন। প্রায় ২৮ হাজার টাকা প্রতারক চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে বলেন জানান তিনি। চক্রটির ফাঁদে পা দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইমনের মতো অনেকেই। সম্প্রতি সাইবার প্রতরণার এমন অভিযোগ বাড়লেও এখনও কাওকে শনাক্ত করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সাধারণ মানুষকে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার প্রলোভন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ পুলিশের। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের নতুন ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম একটি ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। ক্রাইমগুলো দেশের বাইরে থেকে সাধারণত হয়ে থাকে। সেই আসামিদের দেশে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আইনগত অনেক জটিলতা রয়েছে। এ কারণে আসলে ভুক্তভোগীকেই আগে সচেতন হতে হবে। নিজের লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ প্রতারণা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা ও সাধারণের সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা  ।  সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, ‌‘প্রতারণার বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনের কাছে সোপর্দ করতে গেলে যে ধরনের মানব সম্পদ এবং ডিজিটাল যন্ত্রপাতি পুলিশের দরকার তা সংখ্যায় কম আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা প্রযুক্তিগত অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।’
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩

টাকা দিলেই রোহিঙ্গারা পেত নাগরিকত্ব সনদ
টাকা দিলেই রোহিঙ্গারা পেতেন নাগরিকত্ব সনদ। হয়ে যেতেন বাংলাদেশের নাগরিক। মাত্র ৩০ হাজার টাকায় মিলত এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন সনদ। একটি চক্র তাদের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করছে। টাকার বিনিময়ে এসব ভুয়া সনদপত্র দিচ্ছেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটররা বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন, দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর আব্দুর রশিদ, বিরলের রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সোহেল চন্দ্র, তাদের সহযোগী শহিদুল ইসলাম মুন্না, রাসেল খান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারাই মূলত রোহিঙ্গাদের এসব দোকানে নিয়ে আসতেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সংবাদ সন্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।  এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর–রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার রশিদ ও সোহেল পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের আইডি ব্যবহার করে এনআইডি সার্ভার ও জন্ম নিবন্ধনের সার্ভারে প্রবেশ করে এসব কাজ করতেন। তাদের কাছে গ্রাহক এনে দিতেন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বাকি তিনজন। ডিবি প্রধান বলেন, চক্রটি ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির কথা বলে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করত। বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে সাইবার টিমের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে চক্রটির সন্ধান পান তারা। অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, চক্রের মূলহোতা আব্দুর রশিদ দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত এবং সোহেল চন্দ্র বিরলের ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ওই ইউনিয়নের নাগরিক দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ বানিয়ে দিতেন। চক্রের অন্য সদস্যরা কাজের ধরণ অনুযায়ী টাকা পেত।  এছাড়াও কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অন্যান্য পৌরসভা ও ইউনিয়নে তাদের লোকজন রয়েছে। যারা পাঁচ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়েছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২১

‘ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রে আটকে গেছে প্রান্তিক জীবন’
দেশে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থায় প্রান্তিক মানুষের জীবনমানে কোনো উন্নয়ন আসেনি। দারিদ্র‌ থেকে মেলেনি মুক্তিও। চড়া সুদে ঋণ নিতে নারীদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিরা নিজেদেরকে বিশ্ব দরবারে চেনাতে এ ক্ষুদ্র ঋণকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে পশ্চিমা বিশ্বকে সুযোগ করে দিচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এডিটরস গিল্ডের ‘ক্ষুদ্র ঋণ বির্তক’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এমনটাই দাবি করেছেন বিশিষ্টজনরা। গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে ১০ শতাংশ মানুষও তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি বরং দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রে আটকে গেছে। গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ জামানত, চড়া সুদ, স্বল্প অর্থ এসব দিয়ে এদেশের মানুষকে মানসিকভাবে আরও বেশি ক্ষুদ্র করে তুলছে। বক্তাদের পরামর্শ, ক্ষুদ্র ঋণে আদায় মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয় বরং এ ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানো উচিত। এটিকে টাকা ছড়ানোর কোনো মডেল না বানিয়ে বরং স্থিতিশীল প্রকল্প বানানো উচিত।  অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের মডেল কতোটা কাজ করে? সুদের হার, ঋণ দিয়ে পরের সপ্তাহে কিস্তির চাপ। সুদের হার চক্রাকারে বাড়তে থাকে। ৯০ দশকে এটি রীতিমতো ব্যবসা হয়ে গেল। তিনি বলেন, গ্রামীন ব্যাংকের সুদ হার ২০-২২ শতাংশের কম নয়, অনেক জায়গায় ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ। এসব কখনো সামনে আনা হয় না, মানুষ জানে না। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয় না, শুধু প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম বলেন, ক্ষুদ্র ঋণে নারীদের কেন টার্গেট করা হয়? পুরুষরা ঋণের অর্থ নিলে সেটি নিয়ে চলে যায়, কিন্তু নারীরা নিলে তা কাজে লাগায়। নারী পালাতে পারবে না, নারীদের টার্গেট করা সহজ। নারীরা ঋণ নিলে ক্ষমতায়ন হয়েছে এটি একেবারে সত্য নয়। এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীরা ঋণ নেওয়ার ঢাল হয়েছে।  নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। একেকজন চারটা বিয়ে করে, একজনকে ব্র্যাক, একজনকে আশা আরেকজনকে অন্যখানে পাঠায়। তবে এখন সে অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হলেও মোটাদাগে যায়নি। তিনি বলেন, সরকারের অনেক প্রকল্প আছে, সেগুলো কেন জনপ্রিয় হতে পারল না সেটি নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। কেন রুট লেভেলে গ্রামীন ব্যাংকের মতো এনজিওগুলো সফলতা পেলো। ক্ষুদ্র ঋণ সামাজিক সম্পর্ক ও পরিবেশ নষ্ট করছে। গোলটেবিল আলোচনার সঞ্চালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ বিতর্ক বিষয়টি এমন যে, এটি অনেক আগে থেকে প্রচলন আছে। রবীন্দ্রনাথের সময় থেকে যেটি শুরু। ড. ইউনূস এটি বাংলাদেশে প্রচলন করেছে। এটি নিয়ে বির্তক আছে, আসলে এটি দারিদ্রতা ঠিক কতোটা কমাতে পেরেছে? ক্ষুদ্র ঋণকে কি পশ্চিমারা ব্যবহার করছে নাকি নারী ক্ষমতায়নের নামে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করছেন সেটি নিয়েই আলোচনা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়