• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলো গো মরার কোকিলে
সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত হলো ২৩ তম টোকিও বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যাল ১৪৩১। এ উপলক্ষে প্রতিবারের মতো দেশ থেকে কিছু শিল্পী আসার কথা ছিলো। কিন্তু ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের কতিপয় বেরসিক কর্মকর্তা তাদের ভিসা না দিয়ে নাকি জাপানে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় শিল্পীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রবাসীদের বিনোদন দিতে সহযোগিতা করেননি। তাই তড়িঘড়ি করে আমেরিকা থেকে আমেরিকান পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী খ্যাতিমান কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়। শিল্পী বেবী নাজনীন যেহেতু আমেরিকার পাসপোর্টধারী তাই তাকে আমেরিকা থেকে জাপান আসতে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না মনে করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সমস্যা অবশ্য একটা ঘটেছিল অন্যত্র। নির্ধারিত সময় শিল্পী জাপানের উদ্দেশ্যে আমেরিকা থেকে রওনা হলে হঠাৎ একটি দুঃসংবাদ পান। ( মায়ের মৃত্যু ) এতে পথ ঘুরিয়ে তিনি চলে যান বাংলাদেশে। কারণ, সেই মূহুর্তে তাঁর মায়ের মৃত্যু সংবাদ তাকে কিছুটা হলেও মর্মাহত করে। ( আল্লাহ শিল্পী বেবী নাজনীনের মায়ের আত্মাকে বেহেশত নসীব করুন)। মায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে মন শক্ত করে যথাসময় চলেও আসেন তিনি জাপান। জাপানে শিল্পী বেবী নাজনীনের আসার সংবাদে মেলার আগেরদিন বাঙালী কমিউনিটিতে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে। এই জোয়ার বইতে দেখা যায় শিল্পীর ভক্তদের চেয়ে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের শিবিরে। স্থানীয় কয়েকজন আমার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে কথা বাড়াইনি। কারণ, অধিকাংশের কথা ছিলো, বেবী নাজনীনের জাপান আগমনে তার রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে তিনি একজন শিল্পী এটাহ বড় পরিচয়, তাই। আমিও তখন তাদের সেই যুক্তিকে প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু ফেসবুকে কয়েকজনের স্ট্যাটাস দেখে পরবর্তীতে সেটা আর মনে হয়নি। মনে হয়েছে সকলের যুক্তির উল্টো কথা। জাপানে যারা রাজনীতি সচেতন বলে দাবীদার তাদের কয়েকজনের সাথে এবিষয়ে কথা বলে ঠিক এমনটাই মনে হয়েছে যে, বেবী নাজনীন শুধুই একজন কন্ঠশিল্পী। জাপানে তিনি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আসেননি। রাজনৈতিক ইস্যু টেনে আমি যেন কোনো কথা না বলি। শুনে ভালো লেগেছে এই জন্য যে, একটা বিষয়ে অন্তত মানুষগুলোর বোধোদয় হয়েছে। এটাকে রেফারেন্স ধরে হলেও আগামীতে কথা বলা যাবে। আর এখানেই আমার মনে হয়েছে, শিল্পীর জনপ্রিয় এক গানের কথা, " আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলো গো মরার কোকিলে "। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই রেফারেন্স যে কাজ হবে না, তা বুঝে গেলাম বৈশাখী মেলার দিন শিল্পীকে নিয়ে ঘটে যাওয়া হট্টগোল দেখে। আর তখনই মনে হলো গানের পরের লাইন, " আমায় পাগলও করিলো গো মরার কোকিলে "। জাপানে এবার ২৩তম বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মেলা জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাণের মেলা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভান্ডারে ২৩তম মেলা করতে প্রতিবার ছোট বড় এমন ২৩টি ঘটনার জন্ম হয়েছে। আর এসবে জন্ম হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলের কথিত সমর্থকদের আচরণ থেকে। তারপরেও দেশের বাইরে এতো সুন্দর একটি অনুষ্ঠান করতে তাদেরই বারবার অংশগ্রহণ কেন জরুরী? তারা কি খরচ দিয়ে মেলা চালায়? নাকী এর পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? আশা করি বেবী নাজনীন ইস্যুতে বিষয়টি পরিষ্কার করার পরিবেশ তৈরী হয়েছে এবার।  দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের সদস্যদের মুখে যেভাবে খই ফোটার মতো বলতে শুনেছি, বেবী নাজনীন একজন কণ্ঠশিল্পী, তাকে নিয়ে বিতর্ক চলে না। এখন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, দেশ থেকে খ্যাতিমান সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দীন অতীতে বৈশাখী মেলায় উপস্থিত হলে তাদের বেলায় কি আচরণ করা হয়েছিল? কি হয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর কালের দৃশ্য? আপনারা এতো সহজে সেসব ভুলে যান কি করে? ভুললে চলবে না কোনোটাই। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর জন্য রাস্তায় ফুল ছিটান। তবেই আমাদের রাজনীতির পথ সুন্দর ও প্রশস্ত হবে। হবে আমাদের মঙ্গলও। আমরা সব মানি তবে তালগাছ আমার বললে কখনও ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না।  টোকিও তথা জাপানে বাঙালী কমিউনিটি আয়োজিত সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এই বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যাল। এই একটি আয়োজনের জন্য সারাটা বছর অপেক্ষায় থাকে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী সহ অনেকে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রতিবছরই কোনো না কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। রাতের অন্ধকারে সংশ্লিষ্টরস মাপ চেয়ে সাময়িক সমাধানও করা হয় মূচলেকা দিয়ে। যে কারণে পরবর্তীতে একই ঘটনা ঘটাতে সাহস পায় তারা। এর স্থায়ী সমাধান কাম্য। মেলাকে ধরে রাখতে এবং জাপানের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতিকে যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে চাইলে আবেগ আর লোভ সংবরণ করে কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যেমন, রাজনৈতিক পরিচয় বহনকারী কেউই মেলার কোনো দ্বায়িত্বে রাখা যাবে না। যারা একবার মেলা স্থলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িত হয়েছে তাদের মেলায় নিষিঘোষণা বা পুলিশ অনুমোদন নিয়ে মেলা স্থলে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি ভালো কিছু প্রত্যাশা করা হয় তাহলে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে, সেসকল সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে জাপানে বসবাসরত বাঙালীরা তাদের সুনাম ধরে রাখতে পারবে না।  আমার প্রত্যাাশা করছি, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবারের বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভেলে ঘটে যাওয়া বেবী নাজনীনকে নিয়ে ঘটানো ঘটনা থেকে। লেখক : জাপান প্রবাসী সাংবাদিক
১২ ঘণ্টা আগে

টেক এক্সপার্টদের ঘুম হারাম করতে চলে এলো ডেভিন
ইতিহাসের পাতায় নতুন এক অধ্যায় লিখলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। টেক সংস্থা কগনিশন নিয়ে এলো বিশ্বের প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নাম ডেভিন। এসেই দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এই রোবট ইঞ্জিনিয়ার। যার দক্ষতার জোরে কাজ হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন অনেক টেক এক্সপার্টই।   দাবি করা হচ্ছে, ডেভিন সিঙ্গেল প্রম্পট দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পারে একটা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট। কোডিং থেকে বাগ ফিক্স (প্রযুক্তিগত ত্রুটি) সব কিছু একাই করতে পারে এই রোবট ইঞ্জিনিয়ার। বানাতে পারে ভিডিও, আবার তা এডিট করে ক্লায়েন্টদের কাছে উপস্থাপনও করতে সক্ষম সে। এটি অনেকটা মাইক্রোসফটের বানানো এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট কোপাইলট এবং ওপেনএআই চ্যাটজিপিটির মতোই। তবে, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ডেভিন। এ কারণে অদূর ভবিষ্যতে বহু টেক সংস্থার কাছেই ভরসার পাত্র হয়ে উঠতে পারে এই এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কগনিশনের দাবি, সফটওয়্যার বানানো ও পরিচালনার ক্ষেত্রে যা যা দরকার, তার সবকিছুই নিখুঁতভাবে করতে সক্ষম ডেভিন। তবে সংস্থাটি এও জানিয়েছে যে, মানুষের চাকরির বাজার নষ্ট করা তাদের উদ্দেশ্যে নয়, বরং মানুষের কাজকে আরও সহজ করে তুলতেই তারা এনেছে এই টুল। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে সংস্থাটি পোস্ট করেছে, বিশ্ববাসীকে প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডেভিনের সঙ্গে পরিচয় করাতে পেরে আনন্দিত আমরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এআই সংস্থাগুলোর প্র্যাকটিকাল পরীক্ষায় পাশ করেছে ডেভিন। এমনকি বাস্তব দুনিয়াতে কর্মী হিসাবে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সে। যে যে দক্ষতা আছে ডেভিনের মানুষের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারবে, এমন পরিকল্পনা নিয়েই বাজারে আনা হয়েছে এআই ইঞ্জিনিয়ার ডেভিনকে। সফটওয়্যার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে যে বিশেষ সুবিধাগুলো এ এআই ইঞ্জিনিয়ার দিতে পারে সেগুলো হলো- ১। কোডিং, বাগ ফিক্স করা ২। সিঙ্গেল প্রম্পট দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো ৩। রিয়েল টাইম আপডেট ৪। ফিডব্যাক দেওয়া ৫। ডিজাইনিং এছাড়াও ওপেন সোর্স প্রোজেক্ট থেকে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বের করে তা সমাধান করতে পারে এই রোবট ইঞ্জিনিয়ার।  কগনিশনের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হচ্ছে, এর আগে যে এআই মডেলগুলো এসেছে, দক্ষতার দিক দিয়ে তাদেরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ডেভিন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে গেম চেঞ্জার হতে পারে এই টুল। সংস্থার দাবি, ডেভিনকে বাকিদের থেকে যা আলাদা করে তোলে তা হল দূরদর্শিতা এবং জটিল কাজ সহজে করার দক্ষতা। কয়েক হাজার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার কাছে। পাশাপাশি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সার্ভিস আপগ্রেড (পরিষেবা উন্নত) করতে পারে ডেভিন। শুধু ল্যাবটেস্ট নয়, আপওয়ার্কের মতো সংস্থাতে কাজের ক্ষেত্রেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে ডেভিন। অর্থাৎ ভার্চুয়াল জগতের পাশাপাশি বাস্তব দুনিয়াতেও যে সে সমানভাবে দক্ষ তা প্রমাণ করেছে বিশ্বের প্রথম এআই ইঞ্জিনিয়ার।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫১

ঘুম থেকে উঠেই যে দোয়া পড়তেন রাসুল (সা.) 
ইসলামি জীবন ব্যবস্থার মূলভিত্তিই কোরআন এবং সুন্নাহ। কোরআন মানুষের জন্য পথ নির্দেশক। আর তার ব্যাখ্যা হচ্ছে বিশ্বনবীর সুন্নাহ। রাসুল  (সা.) এর দিকনির্দেশনাই মুক্তির একমাত্র পথ।  বিশ্বনবীর দেখানো পথ অনুসরণ করে আমল করলে সহজ হয় মহান আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জন। কোন সময়ে কি দোয়া পড়তে হবে, নিজে আমল করে তা শিখিয়ে গেছেন রাসুল (সা.), যার উল্লেখ আছে হাদিসে। সকালবেলা পড়ারও দোয়া শিখিয়েছেন তিনি।  হযতর আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা ভোরে উপনীত হয়ে (ঘুম থেকে উঠে) এই দোয়া পড়বে। দোয়াটি হলো- আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা ওয়া বিকা আমসাইনা ওয়া বিকা নাহইয়া ওয়া বিকা নামুতু। অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার আদেশেই আমরা প্রভাতে উপনীত হই এবং তোমার আদেশেই আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হই, তোমার আদেশেই আমরা জীবন ধারণ করি এবং তোমার আদেশেই আমরা মৃত্যুবরণ করি। (ইবনে মাজাহ: ৩৮৬৮) এছাড়া, বুখারি শরীফে বর্ণিত আরেকটি দোয়া আছে, যা রাসুল পাক (সা.) ঘুম থেকে উঠেই পড়তেন।  দোয়াটি হলো- আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত করার পর পুনরায় জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই সবার পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪) সকাল থেকে সন্ধ্যা মহান আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামত ভোগ করে মানুষ। এসব নিয়ামতের যথাযথ কৃতজ্ঞতা আদায় সবার কর্তব্য। একটি হাদিসে রাসুল (সা.) নিম্নের দোয়াটি পাঠের মাধ্যমে নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে বলেছেন।  দোয়াটি হলো- আল্লাহুম্মা মা আসবাহা বি মিন নিমাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালকিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা, লা শারিকা লাকা, ফালাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু। অর্থ : হে আল্লাহ, আমি ও আপনার অন্য কোনও সৃষ্টি যে নিয়ামত ভোগ করছি তা একমাত্র আপনার পক্ষ থেকেই। আপনার কোনও অংশীদার নেই। সুতরাং আপনারই প্রশংসা ও আপনারই কৃতজ্ঞতা। হাদিস : আবদুল্লাহ বিন গান্নাম আল-বায়াজি থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ভোরে (ঘুম থেকে) উঠে উল্লিখিত দোয়াটি পড়বে সে যেন সকালের কৃতজ্ঞতা জানাল। যে ব্যক্তি তা বিকালে পড়বে সে যেন রাতের কৃতজ্ঞতা জানাল।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৩; ইবনু হিব্বান, হাদিস নং : ৮৬১)  এছাড়া ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পরপর একটি দোয়া পড়তেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ আমলটি প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার। কেননা মুমিন মুসলমানের জন্য হালাল রিজিক, উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমলই জীবনে একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি এসেছে এভাবে- হযরত উম্মু সালামাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলতেন-  'আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযকান তায়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা।'  অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করছি, উত্তম-পবিত্র রিজিক কামনা করছি এবং কবুল হওয়ার মতো কর্ম তৎপরতা কামনা করছি।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ) রাসুল (সা.) নিয়মিত ফজরের নামাজের পরপরই আল্লাহর কাছে হালাল রিজিক কামনা করতেন। এমন জ্ঞান কামনা করতেন, যাতে মানুষের উপকার হয়। আর নিজের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্যও দোয়া প্রার্থনা করতেন। পরিশেষে, সুন্নাতের অনুসরণে জীবন-যাপন মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ। বিশ্বনবী (সা.) মানুষকে দেখিয়েছেন সেই সঠিক পথ। দিয়েছেন সুখ ও বরকতময় জীবন পাওয়ার পাথেয় ও দিকনির্দেশনা। তিনি নিজে আমল করেছেন এবং নিজের উম্মতদেরকে আমল করতে বলেছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৪

তাদের কলিজা কাঁপে, ভয়ে রাতে ঘুম হয় না : নুর
ওবায়দুল কাদেররা যতই হুমকি-ধমকি দিক, তাদের কলিজা কাঁপে, ভয়ে রাতে ঘুম হয় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ভালো করেই জানে, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তারা জোর-জবরদস্তি করে সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো পরিচয় নেই। এদের কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। এদের কথা কেউ শুনছে না। কতগুলো অশিক্ষিত, দুর্নীতিবাজ, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী আজকে সংসদে বসে আছে। ওদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। এরা আছে টাকা বানানোর ধান্দায়। ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে ৬০০-এর বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে উত্তরা থেকে তুলে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে সীমান্তের ওপারে পাওয়া গেছে। ইলিয়াস আলীকে এখনও পাওয়া যায়নি। সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৩

হাজারো পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে যে গ্রামের মানুষের
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের সাতরা গ্রামে শত বছর বিচরণ করছে হাজারো পাখি। নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর আশপাশের এলাকা। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুগ্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা। এখানে প্রাকৃতিক ভাবে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকমুখে এ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী।   খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরফুদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ি। এ বাড়িতে বসবাস করছে ৩৬টি পরিবার। এ বাড়ির সামনে দুটি পুকুর পাড়ে রয়েছে বেশ কিছু গাছ। শত বছর ধরে পুকুর পাড়ের গাছ গুলোতে বসবাস করছে হাজারো পাখি। পাখিগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে আসে। আবার ফজরের নামাজের পরপরই চলে যায়। দিন শেষে সন্ধ্যায় তারা এখানে ফিরে আসে। এভাবে চলছে শত বছর। স্থানীয়দের অভিমত কেউ এ পাখির কোনো ক্ষতি করলে তারাও বিপদের সম্মুখীন হয়।     এখানে বিচরণ করা উল্লেখযোগ্য পাখিরা হলো-সাদা বক, কালো শালিক, শালিক, ঘুঘুসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির পাখি।     স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম তুহিন বলেন, এসব পাখিকে স্থানীয়রা খুব মেনে চলে। তাদের পূর্বপুরুষ থেকে পাখি গুলো এখানে বিচরণ করছে। দুটি পুকুরের মাছের জন্য দিতে হয় না আলাদা কোনো খাদ্য। পাখির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য। এতে সহজে পুকুরের মাছ গুলো অল্প দিনে ৩ থেকে ৪ কেজি হয়ে যায়। মাছও অনেক সুস্বাদু। পুকুরের পানি দেখতে খারাপ লাগলেও তারা ওই পানিই ব্যবহার করছে। এতে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না।  নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ জানান, পাখি এখানে বসবাস করার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। দীর্ঘ সময় পাখিগুলো এখানে বসবাস করার কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি স্থানীয়দের এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা হবে।    
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩২

মিয়ানমারের সংঘাতে সীমান্তবাসীর ঘুম হারাম
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ধরে উখিয়ার থাইংখালী বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে রহমতের বিল এলাকা। সেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার পূর্বেই মিয়ানমারের সীমান্ত ঢেঁকিবনিয়া। কয়েক দিন ধরেই অস্থিতিশীল মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি। ওপারের দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে তুমুল লড়াইয়ে নেমেছে আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি জাতিগত স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী।  টানা ৫ দিন বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে তুমুল গোলাগুলির পর গতকাল (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বন্ধ হয় সাময়িক সময়ের জন্য। প্রায় তিন ঘণ্টার বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় দু’পক্ষে সংঘর্ষ। এরপর থেকে রাতভর কিছু সময় বাদে বাদেই কানে এসেছে গোলাগুলির শব্দ। এতে আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে গেছে এপারের বাসিন্দাদের, থমকে গেছে সেখানকার স্বাভাবিক জীবনযাপন। রহমতের বিলের পাশের এলাকায় আনজুমান পাড়া বটতলী গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা শামীম মোস্তফা জানান, গুলির শব্দে কান ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। লোকজন ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।  কান থেকে হাত নামাতেই পারছেন না বেওলা খাতুন (৬০)। ওপাশ থেকে আসছে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। গত শুক্রবার থেকে টানা পাঁচ দিন এভাবে কাটছে বেওলা খাতুনের। তার ঘর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্তের ঢেঁকিবনিয়া। বেওলা খাতুন বলেন, পাঁচ দিন ধরে কিছুক্ষণ পরপর গুলি শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মঙ্গলবার ঘরের চালে এবং পুকুরে গুলি এসে পড়ে। এরপর ছেলের বউ ও নাতি-নাতনিদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরিস্থিতি বুঝে বেওলা খাতুনও চলে যাবেন। এদিকে ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে পেরে না উঠে সীমান্তের এই পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য, কাস্টমস অফিসার ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ২৬৪ জন সশস্ত্র সদস্য। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।  তার ওপর ওপারের সংঘাতে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা জেগেছে এপারে। যদিও বিজিবির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের ঘটনা এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালকের সর্বশেষ লাইনটা অবশ্য বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তের বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটাতে পারছে না। কারণ, সীমান্ত ঘেঁষে জান্তাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে এ সংঘর্ষ চলার কারণে বাংলাদেশে এসে পড়ছে মর্টারশেল ও গুলি। সোমবার মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান এবং প্রশাসনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগেও স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখেমুখে বিরাজ করছে আতঙ্ক। অনেকেই ঘর ছেড়ে সীমান্ত থেকে দূরবর্তী আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। সবার চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ, কখন গুলি এসে গায়ে পড়ে!  কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের মতো একই অবস্থা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, দিনের মতো রাতেও গুলি বর্ষণ হওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। এর আগে ২৯ ও ৩১ জানুয়ারি ঘুমধুম সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সে সময় মর্টার শেল ও গোলার অন্তত চারটি অংশ তুমব্রু, কোনারপাড়া ও পশ্চিম ঘুমধুমে এসে পড়ে।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৯

ঘুম থেকে উঠেই দুঃসংবাদটা পেলাম : চঞ্চল চৌধুরী
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভর মা খাইরুন নাহার আর নেই (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (২৪ জানুয়ারি)  রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। নায়কের মায়ের মৃত্যুতে ঢালিউডে নেমেছে শোকের ছায়া। অভিনেতার সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকেই সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন শোক। চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছেন দুঃসংবাদটি শুনেই ঘুম ভেঙেছে তার। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘ঘুম থেকে উঠেই দুঃসংবাদটা পেলাম। আমাদের খুব কাছের মানুষ, ছোট ভাই, অভিনেতা আরিফিন শুভর আম্মা গতরাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। খালাম্মার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।’ এরপর পর্দার কালুয়া লিখেছেন, বাবা-মা হারানোর কষ্ট যেকোনো সন্তানের জন্যই পৃথিবীর গভীরতম বেদনার অভিজ্ঞতা। বলতে গেলে শুভর শেষ আশ্রয় ছিল ওর মা। খুব কাছ থেকে জানা শুভ এবং খালাআম্মার কুশল জানাটা বেশ কিছুদিনের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল আমার। শেষ কুশল সংবাদটা আর জানা হলো না। সবশেষে শুভর উদ্দেশে চঞ্চল লেখেন, তোকেও এই গভীরতম কষ্ট বুকে নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে শুভ। শোক আর সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছু বলার নেইরে ভাই। মায়েরা চলে যায়, মায়ের বাড়িটাই শুধু থেকে যায়। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে মৃত্যু হয় শুভর মা খায়রুন নাহারের। সামাজিকমাধ্যমে এ খবর জানান চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন শুভর মা। ২০১৭ সাল থেকে আক্রান্ত ছিলেন সিজোফ্রেনিয়া রোগে। গত আট বছর ধরে শুভর ঢাকার বাসায় থাকতেন। কাজের ফাঁকে মায়ের সেবা-ডাক্তার-ওষুধ নিয়ে ছোটাছুটির মধ্যে থাকতে হতো শুভকে। ইহলোক বা পরলোকে সকল বাবা মায়ের জন্য প্রার্থনা।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়