• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিয়াম-মেহজাবীনের বিস্ফোরক পোস্ট ঘিরে রহস্য
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম  আহমেদ। বড় পর্দায় কাজের  আগে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনচিত্রেও। অপর দিকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ মেহজাবীন চৌধুরী। এই দুই জনপ্রিয় তারকা আবার বেশ ভালো বন্ধুও। নাটক থেকে শুরু করে একসঙ্গে কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনেও। এবারের ঈদ উৎসবে বিখ্যাত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতেও পারফর্ম করেছেন তারা। কিন্তু হুট করেই অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজন দুজনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দুজনের পোস্টে নেট দুনিয়া ভাইরাল। হঠাৎ কী হলো দুজনের মধ্যে? এই প্রশ্ন অল্পসময়েই তৈরি হয়েছে দর্শক ভক্তদের মনে। তারা দুজনেই ফেসবুকে লিখেছেন কেউ কারও সঙ্গে নেই। একজন থাকলে অন্যজন সেখানে পা মাড়াবেন না। মেহজাবীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, সিয়াম আহমেদ যেখানে থাকবে, প্লিজ আমাকে সেখানে ডাকবেন না।   এদিকে মেহজাবীনের কিছুক্ষণ পরই সিয়াম তার ফেসবুকে লিখেছেন, মেহজাবীন-ও যেখানে থাকবে, আমার সেখানে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই। তাদের পোস্টের পর অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। এটা সত্য নাকি কোনো ইভেন্ট কিংবা নাটকের প্রচার কিনা তা নিয়ে ঘোরের মধ্যেও রয়েছে নেটিজেনরা। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলে 
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির কোনো নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে আছে তৃণমূল বিএনপি’র অর্ধশত নেতা। নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে নারাজ তৃণমূল নেতারা। এতে করে নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব দুটাই বাড়ছে। তাঁদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপি’র নীতিনির্ধারকেরা। কারণ, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেরানো না গেলে পরের ধাপগুলোতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, আর তাতে দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।   আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট। এর মধ্যে বিএনপির ৪৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তৃণমূল নেতারা বলছেন, জাতীয় আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাঁদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবেন। এতে বিএনপির অনেক নেতার সম্ভাবনা আছে জেতার।   অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করে বসে আছেন যে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিলের আগেই সবাই ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে কোথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না কারণ তারা ‘প্রহসনমূলক নির্বাচনে’ অংশ নিতে চায় না। গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।  নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত থাকলেও সারা দেশের নেতাদের অনেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাঁরা বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা নির্দলীয় ব্যানারে প্রার্থী হবেন। এজন্য লন্ডন বা কেন্দ্রীয় নেতাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় থাকছেন না।  নির্বাচনে আগ্রহী ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার শাদাত বলেন, আমার বাবা বিএনপি থেকে ত্রিশালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমিও জনপ্রতিনিধি হই। তার ইচ্ছাতেই বিএনপির সঙ্গে আছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে জনগণের সেবা করতে চাই। যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোনও প্রতীক থাকবে না, সেই বিবেচনা থেকে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।  ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ যুবদলের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে নেমেছেন।  নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এবং তাদের সংঘবদ্ধ করতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন অংশ নিলে বহিষ্কারও করতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিশাল উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে জনগণ চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের প্রতিনিধি হই। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।  নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই নির্বাচন করতে আগ্রহী।  বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচন বিএনপিকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি জানান, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত। তার পরও অনেক সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয় মতামতে ভিন্নতাও আসে। আমরা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়। বিএনপি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর আগেও সিটি করপোরেশন বা ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৮

‘বর্ষবরণ ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‌্যাব’
বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) এম. খুরশীদ হোসেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। র‌্যাব ডিজি বলেন, নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও যেকোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যেকোনো কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হবে। তিনি বলেন, নববর্ষ উদযাপন ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও র‍্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। রাজধানীর শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন কেউ গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতেও সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে। এম. খুরশীদ হোসেন আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে নারীদের ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ ইভটিজিংয়ের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‌্যাব ডিজি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। র‌্যাবের ডিজি বলেন, ঈদে গুজব নিয়ন্ত্রণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারিতে বিশেষ দল কাজ করছে। ঈদুল ফিতরের জামাত উপলক্ষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত র‌্যাব সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, চেকপোস্ট। পাশাপাশি সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। চেকপোস্ট এমনভাবে করা হবে যাতে ঘরমুখো মানুষদের হয়রানির মুখে পড়তে না হয়। তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহসহ অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের নামাজে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। যেকোনো হামলা এবং নাশকতা মোকাবিলার র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য বজায় থাকবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩২

ঈদ ঘিরে জমজমাট তৃণমূলের রাজনীতি, কেন্দ্রীয় নেতারা এলাকায়
মাসখানেক বাদেই উপজেলা নির্বাচন। ফলে ঈদের পরপরই শুরু হচ্ছে নির্বাচনী ডামাডোল। ঈদকে উপলক্ষ্য করে এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন এলাকায়। পছন্দের প্রার্থীদেরকে সমর্থন জানাতে রাজধানী ছেড়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরাও। পাশাপাশি ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। সব মিলিয়ে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা এখন তৃণমূলমুখী, যার ফলে দেশব্যাপী জমে উঠেছে ঈদ রাজনীতি। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের নামে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা। ঈদের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোলাকাত করছেন জনসাধারণের সঙ্গে। আর ‘প্রভাব-প্রতিপত্তি’ ধরে রাখার জন্য তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গ দিতে নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের বড় বড় নেতারা।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি গণসংযোগ ও মতবিনিময়ের কাজটাও সেরে নেবেন তারা। এলাকার দুস্থদের মধ্যে জাকাত ও ফিতরা বিতরণ করছেন সবাই। ঈদকার্ড ও এসএমএস পাঠানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থনকারী নেতারা। আবার ‘ঈদ বকশিশ’ বিলাচ্ছেন নির্বাচনের অনেক প্রার্থী। নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের জন্য ঈদের দিন ভোজের আয়োজনও করছেন অনেকে। অন্যদিকে তৃণমূলে নিজেদের নেতাকর্মীদের চাঙা করতে ঈদের লম্বা ছুটির সুযোগটা লুফে নিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন নিজ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের। এবার উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করার কথা জানিয়েছেন অন্য রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতাও। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়েই মানুষের পাশে ছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ইফতার পার্টি না করে অসহায়, দুস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে ঈদ উপহারসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে।  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস যেতেই স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তৃণমূল নেতাদের। আর এবার এই তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করা বড় নেতাদের সামনে সুযোগ হয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। বড় নেতারাও হারাতে চাচ্ছেন না এ সুযোগ। এবারের ঈদে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিই। ঈদের টানা ছুটিতে এলাকায় গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পেছন থেকে কাজ করবেন তারা। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ প্রচারণায় নামতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা। পাশাপাশি প্রার্থী ঘোষণাসহ কারো পক্ষে সমর্থন জানিয়ে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ না করার কঠোর নির্দেশনা আছে তাদের প্রতি। অবশ্য তথ্য আছে, স্বজন ও ঘনিষ্ঠরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় অনেক মন্ত্রী-এমপি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাবেন ঈদের দিনগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদ উপযাপন করবেন পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও ঈদ কাটাবেন চট্টগ্রামে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঈদ উদযাপন করবেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ঈদে থাকবেন নরসিংদীর মনোহরদীতে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক থাকবেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঈদ কাটবে ফরিদপুরের মধুখালীতে।  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ঈদ করবেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদে থাকবেন দিনাজপুরের বিরলে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন নেত্রকোনায়, ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে, মাহবুব-উল-আলম হানিফ কুষ্টিয়ায়, বি এম মোজাম্মেল হক শরীয়তপুরে, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটে, মির্জা আজম জামালপুরে এবং অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন পটুয়াখালীতে এবারের ঈদ কাটাবেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও ঈদ করবেন ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে। প্রতিবারের মতো ঈদের দিন আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিদেশি কূটনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীর খোঁজখবর রাখছেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাড়ি যাচ্ছেন না এবারের ঈদে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঈদ উৎসবটা সবার। মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তারা চেষ্টা করেন উৎসবের আনন্দটা জনগণের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আড়াই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর তৃণমূলকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা। ঈদের দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের আবারও চাঙা করতে কাজ করছেন নেতারা। ঈদ আয়োজনের মধ্যেই দেওয়া হবে দলের নির্দেশনা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূলে ছুটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারাগারে আটক কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিতে টিম গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ কার্যক্রমও পালন করছেন দলটির নেতারা।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে। সেখানে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও ঈদ পালন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঈদে কাটাবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে আসতে পারেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঢাকায় আরও থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত এবং চিকিৎসার জন্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যায়, আবার জনমতও সৃষ্টি করা সম্ভব। বিএনপি সেটাই করবে। এদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও গত রোববার থেকে সাত দিনের সফরে অবস্থান করছেন রংপুরে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৪

ঈদ ঘিরে মেট্রোরেলে বাড়তি নিরাপত্তা
মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনায় ও যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে কাজ করছে ‘ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ।’ এ ছাড়াও ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এপিবিএন সদস্যরা মেট্রোরেলের স্টেশনে নিরাপত্তা দেবেন।    সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে এমআরটি পুলিশের প্রধান ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এমআরটি পুলিশ সদস্যরা মেট্রোরেলে প্রতিটি স্টেশনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দায়িত্ব পালন করছেন। ঈদ পর্যন্ত এবার এপিবিএন সদস্যদের মেট্রোরেলের স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।  তিনি জানান, মেট্রোরেলে প্রতি স্টেশনে এমআরটি পুলিশ সদস্যরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দায়িত্ব পালন করছেন। ঈদ পর্যন্ত এবার এপিবিএন সদস্যদের মেট্রোরেলের স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত, অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর ৭০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঈদের ছুটির আগ পর্যন্ত তারা মোতায়েন থাকবেন। যেসব স্টেশনে বেশি যাত্রী ওঠা-নামা করে এবং নিরাপত্তা যেখানে প্রয়োজন, তারা সেসব স্টেশনে মুভমেন্ট করবেন। গত বছরের ২১ অক্টোবর থেকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করে মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ। পরে বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশে যুক্ত হয়েছে আরও ২০০ জনবল। এ নিয়ে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশে জনবল বর্তমানে ৫৩৭ জন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৬

ঈদ ঘিরে সক্রিয় অপরাধী চক্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠছে অপরাধীরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক বা শপিং মল এলাকার অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী চক্র ছাড়াও চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা বাড়ছে। আরেক গ্রুপ জড়িত জাল টাকার সাথে। ঈদে এই চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এ ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। এরপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে ঘটে নানা অপরাধ। ডিএমপি বলছে, রাজধানীরর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপি আরও বলছে, রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি,  চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র। তবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ‌র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‌্যাব। ‌ তিনি আরও বলেন, ঈদে জালনোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র‌্যাব। ‌ র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮

মক্কায় ফেরদৌসকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি নিজেই বিষয়টি জানান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ফেসবুকে মক্কা শরিফে তোলা নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেন ফেরদৌস। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ’। একই দিনে আরও বেশ কিছু ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যেখানে এই অভিনেতাকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক দেখা যায়।   ফেরদৌস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করার পর অনেকে প্রবাসী কমেন্টে তাকে দাওয়াত দিচ্ছেন। আবার অনেকেই তার জন্য দোয়া চাইছেন। সেই তালিকায় আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন,আল্লাহ তোমার ওমরা কবুল করুক। সঠিক সহজ করে দিক ।তোমার জন্য অনেক দোয়া। আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমার গোটা পরিবারের জন্য আমাদের অনেক দোয়া ভালো থেকো। ওমরাহ মোবারক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচিত হন ফেরদৌস আহমেদ। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মডেলিং ও উপস্থাপনায়ও ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৭

একটি পোস্টার ঘিরে ময়মনসিংহে আতঙ্ক
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এতদিন মাঠ গরম করে রেখেছেন প্রার্থীরা। শনিবার (৯ মার্চ) ভোটের মাধ্যমে মাঠের এ লড়াইয়ের অবসান হতে যাচ্ছে। এরই মাঝে শহরের বিভিন্ন জায়গাতে বেনামে সাঁটানো পোস্টার নিয়ে এক নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।  নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঠিক দুদিন আগে এমন পোস্টার কে বা কারা টানালো তা নিয়ে নগরজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকলে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের আঁকা এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে পোস্টারটির আদলে ময়মনসিংহ নগরীতে সাঁটানো হয়েছে পোস্টারটি।  তবে পোস্টারে একটি নতুন কথা যুক্ত করা হয়েছে, ‘এই রক্তখেকো জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’।  কাকে উদ্দেশ্য করে কারা এ পোস্টার সাঁটিয়েছে এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে। পোস্টার দেখে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি করতে সাঁটানো হয়েছে এই পোস্টার। তবে এ ধরনের লেখা সম্বলিত পোস্টার দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। পুলিশ বলছে, যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, কারা কী উদ্দেশ্যে এসব পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪১

নয়নতারার পোস্ট ঘিরে রহস্য
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নয়নতারা। তাকে ইন্ডাস্ট্রির লেডি সুপারস্টারও বলা হয় তাকে। দুর্দান্ত অভিনয় গুণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। কয়েক দিন আগেই গুঞ্জন রটে সংসার ভাঙতে চলেছে নয়নতারা। এবার অভিনেত্রীর একটি পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।  নয়নতারা তার স্বামী পরিচালক বিঘ্নেশ শিবনকে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করে দিয়েছিলেন। মূলত এরপর থেকেই সংসার ভাঙার গুঞ্জন শুরু হয় নেটিজেনদের মধ্যে। এবার নেটিজেনদের সেই জল্পনাই উসকে দিলেন নয়নতারা।  এদিকে ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে ‘আনফলো’ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার বিঘ্নেশকে ‘ফলো’ করতে শুরু করেন নয়নতারা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দেন নয়নতারা। আর সেই স্ট্যাটাস ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। পোস্টে নয়নতারা লেখেন, ‘সে চলে গেল সারা জীবনের মতো। ও বলল আর আমি অশ্রুভেজা চোখে মেনে নিলাম’। এরপরেই নয়নতারার অনুরাগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এতদিন যে জল্পনায় মেতেছিলেন নেতিজেনরা, সেটাই যেন উস্কে দিয়ে ইনস্টাগ্রামে নতুন এই পোস্টটি করলেন নয়নতারা। একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জনের পর  ২০২২ সালে দীর্ঘ দিনের প্রেমিক বিঘ্নেশ শিবনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নয়নতারা। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সারোগেসির মাধ্যমে যমজ পুত্রের বাবা-মা হন এই তারকা দম্পতি।  বিঘ্নেশ-নয়নতারার দাম্পত্য সম্পর্কে আদৌ চিড় ধরেছে কি না— সে প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানাননি এই অভিনেত্রী। তবে নয়নতারার পর পর পোস্টে সম্পর্ক ভাঙনের ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।  সূত্র : আনন্দবাজার    
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়