• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইরানের হামলায় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত
ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে  দুই শতাধিক মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইরান। এতে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের হামলার বিষয়ে দেওয়া আপডেটে এ কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। খবর আল জাজিরা। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ইরানি হামলায় তাদের সামরিক ঘাঁটির ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহায়তায় আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে পড়েছে, ফলে একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র একটি ছোট মেয়ে আহত হয়েছে এবং আশা করি সে ভালো হয়ে যাবে। এদিকে পরে নতুন করে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করার আগে এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সাথে তার ‘অ্যারো’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে আটকে দিয়েছে। অ্যারো অ্যারিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম হলো অতি উচ্চতায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার একটি পদ্ধতি। সম্প্রতি ইসরায়েল হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলায় এটি ব্যবহার করে। এদিকে ইসরায়েলে হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে। তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন। বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

মিয়ানমারে আরও ঘাঁটি হারিয়েছে জান্তা, নিহত ৬২ সেনা
মিয়ানমারে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা সরকার। দেশটির একের পর এক সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে গণতন্ত্রকামী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। গত তিন দিনে অন্তত জান্তা বাহিনীর ৬২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও) সারাদেশে শাসকদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে। এতে গত তিন দিনে নিজেদের আরও কয়েকটি ঘাঁটি এবং ৬২ জন সেনা হারিয়েছে জান্তা সরকার। সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনাগুলো সাগাইং, ম্যাগওয়ে এবং মান্দালয় অঞ্চল, কাচিন এবং কারেন রাজ্যে ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পিডিএফ এবং ইআও’র গণমাধ্যম শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে ইরাবতী। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেনি জান্তা সরকার। মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্ত-ঘেঁষা এলাকায় আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে জান্তা সেনারা। এতদিন এই যুদ্ধকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা হলেও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সে দেশের একের পর এক সীমান্তরক্ষী বা সেনা সদস্যের অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশেও। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে রোববার দুপুর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির সদস্যরা। রোববার রাত পর্যন্ত ৯৫ জন জান্তা সেনা প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর। এমন অবস্থায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝেও উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়