• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
নরসিংদীর পলাশে শোবার ঘরে ঢুকে দেলোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগরদী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা।  দেলোয়ারা ওই গ্রামের মৃত মালেক দেওয়ানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ারা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারের অভাব ঘোচাতে তার দুই ছেলে বিদেশে পাড়ি জমান। মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পর তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর তরকারি কাটছিলেন দেলোয়ারা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ কক্ষে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উন্মোচন হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭

গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও এনজিও, ঘরে মিলল কর্মকর্তার মরদেহ
নওগাঁয় সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) নামে এক নারী এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের রজাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  সাবিনা ইয়াসমিন জেলার মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের চকবালু এলাকার মৃত সৈয়দ পিয়াদার মেয়ে ও একই উপজেলার জোঁতবাজার নুরুল্যাবাদ এলাকার হেলালের স্ত্রী। তিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারটিভ সোসাইটি লি. নামে একটি এনজিওর প্রধান কার্যালয়ে সহকারী হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  বিষয়টি নওগাঁ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন দুলাভাই হোসেন আলী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শত শত মানুষের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় মাল্টিপারপাস এনজিও। বন্ধ হয়ে যায় তাদের সব শাখার কার্যক্রম। এতে বিপদে পড়েন এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাবিনাও চাকরি করার সুবাদে এলাকার পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখেন ওই এনজিওতে। হঠাৎ এনজিও উধাও হয়ে যাওয়ায় তিনিও বিপদে পড়ে যান। স্থানীয়দের ধারণা, আমানতকারীদের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বাড়িওয়ালা লিয়াকত আলী জানান, সাবিনা গত বছরের মার্চ মাসে তার বাসায় ভাড়া ওঠেন। তার স্বামী দেশের বাহিরে থাকেন। অফিসসংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় দুই তালার একটি ফ্লাটে ভাড়া নিয়ে তিনি একা থাকতেন। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল গফুর বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু দরজা জানালা বন্ধ ছিল, তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ জেলার মান্দায় আমানতের টাকা ফেরত নেওয়ার চাপে সিরাজুল ইসলাম বকুল (৪৫) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা গ্যাসবড়ি (ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। তিনি সুরমা মাল্টিপারপাসে পলাশবাড়ি শাখায় ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কশব গ্রামের ইয়াদ আলী সরদারের ছেলে ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে এই শাখা কার্যালয় তালাবদ্ধ করে আমানতকারীদের জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও হন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমানতকারীদের চাপের মুখে ৮ মার্চ বিকেলে টাকা ফেরত দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরের দিকে গ্যাসবড়ি (ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজুল ইসলাম। পরে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন ৮৮ থেকে ৯০ জন আমানতকারী। সংস্থায় জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় তারা। এই টাকা শুধু মাত্র একটি শাখার। এর আরও কয়েকটি শাখা অফিস ছিল। বর্তমানে সবগুলোই বন্ধ রয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস ঢুকল বসত ঘরে
মাগুরায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের এক ভ্যানচালকের বসত ঘরে ধাক্কা দিয়েছে। এতে বাসের ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।   মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের মালিকগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যান চালক আতিয়ার মোল্লা বলেন, সকাল আটটার দিকে মাগুরা থেকে মহাম্মদপুরগামী ফয়সাল পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমার বসত ঘরে ধাক্কা দেয়। এতে আমার গোয়ালঘর ও টিন সেড একটি বসত ঘর চুরমার হয়ে যায়। পরে বাসটির মালিক পক্ষ এসে আট হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এ ঘটনায় আমার অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।   স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসা করে দেওয়ায় আমি ৮ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ মেনে নিয়েছি। দুর্ঘটনার সময় ঘরে কেউ না থাকায় পরিবারের কেউ আহত হননি।   মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:০০

জিম্মি রুকনের ঘরে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, মা-বাবার আহাজারি
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে জিম্মি হওয়া ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকদের মধ্যে একজন নেত্রকোণার রুকন উদ্দিন। ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে বিলাপ করছেন তার মা-বাবা। অন্যদিকে এ খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। বুধবার (১৩ মার্চ) সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাঘরোয়া গ্রামে রুকন উদ্দিন বাড়িতে যেয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, বাঘরোয়া গ্রামের কৃষক মিরাজ আলী ও লুৎফুর নাহারের ছেলে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় রুকন। বাবা-মা ও বড় ভাই কাজ করে রুকনকে পড়াশোনা করিয়েছিলেন। ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেন ২০১৩ সালে। পরে ২০১৫ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে বর্তমান শিপ কোম্পানিতে যোগদান করেন ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে বিলাপ করছেন তার মা-বাবা। তাদের আহাজারিতে আশপাশের এলাকার মানুষের ভিড় জমেছে বাড়িতে। রুকনকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনরা। প্রথম রোজার দিন মায়ের সাথে কথা বলেন। কিন্তু এরপর থেকে মা-বাবা ভাই-বোনেরা জানতে পারেন তার জাহাজ দস্যুদের কবলে। এই খবরে বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে। এ খবরে অন্তঃসত্ত্বা আট মাসের স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গ্রামের মানুষ দেখতে এসে তারাও কান্নায় ভেঙে পরেছেন। সকলের একটাই দাবী সুস্থভাবে সন্তান ও স্বজনকে ফিরে পাওয়ার। ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৯

দরজা ভেঙে গৃহবধূর ঘরে যুবক, অতঃপর...
যশোরে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঈমাম হোসেন (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ মার্চ) জেলার শার্শা উপজেলার এ ঘটনা জানাজানি হয়। গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার জানিয়েছে, ওই দিন রাতে পরিবারের সবাই ওয়াজ মাহফিলে যায়। ওই গৃহবধূ অসুস্থ বোধ করায় তিনি ঘরের দরজা আটকে শুয়ে ছিল। এ সুযোগে ঈমাম হোসেন প্রথমে বাড়ির সামনের লাইট ভেঙে ফেলে, পরে ঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহবধূর গলায় ধারালো দা ধরে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ইমাম। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

কিস্তির টাকা না পেয়ে ঘরে তালা, খোলা আকাশের নিচে পরিবার
এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় পরিবহন ও পোশাক শ্রমিক দম্পতির ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। ওই দম্পতি বিকেল থেকে ঘরে ঢুকতে না পেরে তিন সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া (ফকির বাড়ি জামে মসজিদ) এলাকায়।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় আম্বালা ফাউন্ডেশন ওই দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।     পরিবহন শ্রমিক আলাউদ্দিন (৩৪) বাসের সুপারভাইজার এবং তার স্ত্রী ঋণ গ্রহীতা শামীমা আক্তার (২৮) স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক। শামীমা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের দেওয়ানিবাড়ি গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী এবং তার শ্বশুরের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়িকে দেখে বাসায় ফিরে তাদের ঘরের দরজায় তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন চলতি মাসের ঋণ দিতে না দেওয়ায় এনজিও কর্মীরা তার ঘরে তালা দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে শামীমার শ্বশুর আবুল বাশার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরের বাড়িতে থেকে শামীমা পাশের গিলাবেড়াইদ এলাকার ভিনটেজ ডেনিম লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি ওই কারখানা থেকে তার চাকরি চলে যায়। তার স্বামী আলাউদ্দিন এনা পরিবহন সুপারভাইজার। তাদের আমি এখন আমার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শাহরিয়া আফরিন (১৫), ছেলে মিনহাজ (১৩) মাদরাসায় লেখাপড়া করছে, আরেক মেয়ে আলভি (৬) রয়েছে। শামীম আক্তার জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময় আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওই ঋণের বিপরীতে তাকে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। নিয়মিত ঋণের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে পোশাক কারখানা থেকে তার চাকরি চলে গলে সে ফেব্রুয়ারি মাসের ঋণ পরিশোধ করতে পারে নাই। পরিবারের অপর সদস্য হয়ে, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসা চালিয়ে তার স্বামীর একার পক্ষে ঋণ পরিশোধ করা সম্বভ হয়নি।   তিনি বলেন, এক লাখ টাকার বিপরীতে তারা (আম্বালা ফাউন্ডেশন) আমাকে ৩২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সেলাই মেশিন ধরিয়ে দেয়। সেলাই মেশিন নিতে না চাইলে তারা ঋণ দেওয়া হবে না বলে জানায়। ঋণ ও যাবতীয় খরচসহ সঞ্চয় বাদে আমাকে এক লাখ টাকা না দিয়ে ৫৮ হাজার টাকা দেয়। প্রতি মাসে যথা নিয়মে কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি বকেয়া থাকায় এনজিও অফিসের লোকজন আমার ঘরে তালা দিয়ে গেছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় সময়মতো ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি পরিশোধ করতে পারিনি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায় কিস্তির টাকা জমা না দেয়ায় এনজিও কর্মীরা ঘরে তালা দিয়েছে। শামীমার স্বামী আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আম্বালা ফাউন্ডেশন  শ্রীপুর শাখার মাঠকর্মী কবির হোসেন বলেন, আমাদের লোনটা নিতে গেলে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিতে হয়। এর মধ্যে এক হাজার টাকা বীমা, আনুষঙ্গিক ২৬৫ টাকা খরচ আছে। ঘরে তালা লাগানোর বিষয়ে বলেন, ঋণ গ্রহীতা বাসায় থাকেন না। ফোন দিলে রিসিভ করে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাসায় গিয়ে না পেয়ে জামিনদারের উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আশিকুল ইসলাম বলেন, ঋণের কিস্তি শামীমা আক্তারকে সঠিক সময়ে পরিশোধ করছিল না। কিস্তি দেওয়ার সময় প্রতি মাসেই পাঁচ’শ এক হাজার টাকা কম দিতো। কিস্তির টাকা আনার জন্য মাঠ কর্মী বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা খোলা থাকলেও শামীমাকে বাসায় পায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও না আসলে ঋণের জামিনদারকে ডেকে এনে তার উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার টিটু চক্রবর্তীর বলেন, কিস্তি দেওয়ার কথা বলে কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে বাড়ি থেকে চলে যায় ঋণ গ্রহীতা। ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, কিস্তি না দেওয়ায় ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১

বাবার মরদেহ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিলেন মেয়ে
বাবার মরদেহ ঘরে রেখে অশ্রুসিক্ত নয়নে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার মেয়ে মেমেসিং মারমা।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। জানা যায়, মেমেসিং মারমা ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা উপাচিং মারমা (৪৭) গতকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুকিমারা পাড়ায় নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।  দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন বলে জানান কুকিমারা এলাকার কারবারি (পাড়াপ্রধান) চিংসুই মং মারমা।  চিংসুই মং মারমা আরও জানান, মেমেসিং মারমার বাবার একটি কিডনি অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল। তিনি এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতান। তার মেয়ে বাবার মরদেহ রেখে আজ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। বিকেলে ধর্মীয় কার্যাদি শেষে তাকে কুকিমারা শ্মশানে দাহ করা হবে।  ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তনচংগ্যা জানান, মেমেসিং মারমা ২০২৪ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় হতে অংশ নিচ্ছেন। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৪

ঘরে বসেই দূর করুণ নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস 
মুখের যে কোনও কালো দাগ বা ব্ল্যাক হেডস মুখ পরিষ্কার করার সময় তুলে ফেলাই ভালো। ত্বকে ময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাক হেডস। পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাক হেডস তোলার অভিজ্ঞতা হয়ত রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু সব সময় তো পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই জেনে নিন বাড়িতেই ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলার উপায়।  কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলবেন, জেনে নিন- >> ব্ল্যাকহেডস তুলতে বেকিং সোডা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সাধারণ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। মুখের যে সব অংশে ব্ল্যাক হেডস রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার তা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক দিনে যদি না ওঠে তাহলে পর পর দু'তিন দিন ব্যবহার করুন। >> ব্ল্যাক হেডস তুলতে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে টমেটো। প্রথমে টমেটো পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ এবার লাগিয়ে নিন ব্ল্যাক হেডসের ওপর। পুরো মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করুন। >> আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ডিম ভেঙে কুসুম প্রথমেই আলাদা করে নিন। এরপর সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন ব্ল্যাকহেডসের ওপর। মিশ্রণ পুরো শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ খুব সহজেই রোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন একটি কমিশন গঠন করি। ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখনই ওয়ার্ড থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত আইন পাস করি। জেলা পরিষদ আইন সেসময় করে দেই। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের সার্বিক কাজ হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছিলাম। সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।   এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাইডেন-জয়া দম্পতির ঘরে নতুন ৩ অতিথি
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার ঘরে তিনটি শাবক জন্ম নিয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খাঁচার ভেতরে শাবক তিনটির জন্ম হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনও তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। নতুন জন্ম নেওয়া বাঘ শাবকের লিঙ্গ নিশ্চিত হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, শাবক তিনটির মা বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এবং তাদের বাবা বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। জো বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা হতে পরিত্যক্ত হয়। এরপর তাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালনপালন করা হয়। এক বছর লালনপালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অন্য বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসেবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সে নিজের পরিবার তৈরি করল। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে সই করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে বাঘটির নাম রাখা হয়েছিল জো বাইডেন জানিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, মানুষের হাতে লালনপালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা। যার পুরো কৃতিত্ব বাঘ জো বাইডেনের। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়