• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ কম
আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ট্রেন ও অসংখ্য পরিবহন চলছে বলে ঢাকার অধিকাংশ মানুষ সেপথেই যাত্রা করছে। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। চাপ কম থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমী। ঈদ করতে নাড়ির টানে কুষ্টিয়া নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসলে কথা হয় তার সঙ্গে।  তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় এবার কোনো ভোগান্তি নেই। ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে না। ঈদে চাপ একটু থাকে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ এবার খুবই কম। বেশির ভাগ যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারীদের এবার ভোগান্তি কম। আমি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফাঁকা ছিল। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গেলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী নেই। ঈদের আগে দৌলতদিয়াতে যাত্রীর চাপ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ যানবাহন ও যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

গাজীপুরে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল, তীব্র যানজট 
গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার পরপরই ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। হঠাৎ সড়কে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় যাতায়াত ভাড়াও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ—এমন অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঈদযাত্রায় শামিল হওয়ায় চন্দ্রা পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।  ঘরমুখো কয়েকজন পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, কবিরপুর থেকে চন্দ্রা পার হয়ে ঈদযাত্রার গাড়িগুলো মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে মহাসড়কে চলাচলকারী দূরপাল্লার যানবাহনগুলো গতি হারাচ্ছে। গতি হারিয়ে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যায়- গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রী ও পরিবহন মালিকরা জানান, গাজীপুরে ছোটবড় প্রায় ৫ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে গতকাল সোমবার থেকেই অনেক কারখানা ছুটি হয়ে গেছে। আজ দুপুর ১২টার পর অধিকাংশ কারখানা শ্রমিকরা ছুটি পেয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ফলে বেড়েছে যাত্রীদের ভিড়, দেখা দিয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট। তবে বিকেল নাগাদ এই চাপ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত পৌঁছাতে অটোরিকশায় যেখানে ৩০ টাকা ভাড়া ছিল এখন সেই ভাড়া ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর, বগুড়া, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের গাড়ি স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। যেখানে ৫০০ টাকা ভাড়া ছিল সেখানে ১০০০-১২০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে পরিবহন মালিকরা বলছেন, ঢাকাগামী গাড়িতে যাত্রী না থাকায় খরচ ওঠাতে তারা বেশি ভাড়া আদায় করছেন। ঈদের বাকি আর একদিন। শেষ মুহূর্তে পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় একযোগে ছুটছেন শ্রমজীবী এই মানুষরা। অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়েও গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। এর পাশাপাশি গাড়ির চাপ বাড়ায় গাড়ির গতি কিছুটা কম। তবে বিকেলের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৩

বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় চাপ
ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সেতুর টোল প্লাজায় ৭টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহনের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. জিয়া বলেন, ঈদের বাকি আর একদিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তাই এ সময়ে যানবাহনের চাপ একটু বেশি হবেই। পদ্মা সেতু এলাকায় ভোরে বাসের চেয়েও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কমেছে। টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ গাড়ির সারি রয়েছে। আজ গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি। এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেলেও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রয়েছে। তবে বেপরোয়া মোটরসাইকেল যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভার ট্রেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ দিকে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথের মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন, ভোরে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা কমছে। আমরা সকাল থেকে মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। ওসি কাঞ্চন কুমার আরও বলেন, হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে এবার বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মহাসড়কে কাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে বিভিন্নভাবে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫০

কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের চাপ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদভর্তি যাত্রী নিয়েই রওনা করছে ট্রেন। ঈদে ঘরমুখো মানুষের এ চাপকে স্বাভাবিক বলছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মানুষের চাপের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আগের মতো ট্রেন দেরিতে ছাড়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভিযোগ নেই যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি, কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি, কিন্তু এসেছেন কোনোভাবে যাওয়া যায় কি না। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। এ ছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ। রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী ফারিন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোনো অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ, অতিরিক্ত নিরাপত্তা
ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। টার্মিনাল ও মহাসড়কে বেড়েছে ভিড়। ঈদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনে সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, চেকিংয়ের আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ট্রেন এলেই দ্রুত উঠে পড়ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ। তবে কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠাচ্ছেন পুলিশ ও স্কাউটসের কর্মীরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামাল দিতে ট্রেন না বাড়ালে কোচ যুক্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের।   সকাল ৬টা থেকে ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে পর্যন্ত ছেড়ে গেছে ২০টি ট্রেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) আন্তঃনগর ৪২, লোকাল-কমিউটার ২৫টি ট্রেন ও ২টি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা অঞ্চলের তিন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। ঢাকা রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ দু-একটি ট্রেন কিছু সময়ের জন্য দেরি হচ্ছে কিন্তু কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২০টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তিনি বলেন, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। এবার ঈদে যাত্রীচাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব সদস্যদের এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আর দালালের দৌরাত্ম্য ও টিকেট কালোবাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২

সদরঘাটে  দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ভিড়
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল, ভোলা ও চাঁদপুর যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। লঞ্চগুলোতে দুপুর থেকে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীদের উঠানোর জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। ঈদযাত্রা শুরুর পর রোববার যাত্রীর চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি ছিল। লঞ্চ শ্রমিকরা জানান, পদ্মা সেতুর প্রভাব না থাকায় চাঁদপুর রুটে শিডিউল অনুযায়ী চলছে লঞ্চ। ভোলা অঞ্চলের লঞ্চে দুপুর থেকে ভিড় করেছে যাত্রীরা। সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন রুটে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত বাকি লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে। তারা আরও জানান, ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় বেড়েছে। আগামী দুদিন যাত্রীর চাপ থাকবে। রিশালের লঞ্চ ৯টা থেকে ছাড়া শুরু করে। এরই মধ্যে ডেকের যাত্রীরা জায়গা নিয়েছেন। কেবিনও বিক্রি হচ্ছে। সারাবছর তো যাত্রী তেমন হয় না। ঈদ উপলক্ষে চারদিন যাত্রীর চাপ থাকবে। ঈদ উপলক্ষে ভাড়া আগের মতোই আছে। অনেকে ২০ রমজানে অগ্রিম টিকিট কেটেছেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে লঞ্চযাত্রীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের সেবায় ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও র‌্যাব নিয়োজিত রয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৫

ঈদে ঘরমুখো মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা 
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। প্রতিদিন বাস, ট্রেন, লঞ্চ-সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। গত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার (৬ এপ্রিল) বেশিসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। তবে এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় দুর্ভোগ নেই।  রাজধানীর মহাখালী, গাবতলি, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর ও গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক সড়কগুলোতে যানজট দেখা গিয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোটামুটি সব ট্রেনই সময়মতো ছেড়েছে।  কয়েকটি বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের প্রায় ৭০০ সদস্য। নৌপথে শুরুর দিকে যাত্রী কম থাকলেও এখন সদরঘাটে যাত্রীর বিচরণ বেড়েছে। লঞ্চের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে যানজটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপ্রান্ত অর্থাৎ টাঙ্গাইল অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশে ১২ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এদিকে ঈদ সামনে রেখে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সব লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করাসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। একসময় শিমুলিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো ফেরি পারাপারের জন্য। পদ্মা সেতু হওয়ায় এখন আর সেই চিত্র নেই। ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত পার হচ্ছে মানুষ। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিং এর আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। কারো কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।  যাত্রীদের প্রত্যাশা, সারা বছর যদি রেলওয়ে এমন সার্ভিস দেয় তাহলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশনে চলে আসায় প্লাটফর্মে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।  লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একজন যাত্রী বলেন, জেনেছি ট্রেনটি ছাড়তে ১৫ মিনিট বিলম্ব হবে। এ নিয়ে তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্টেশনে আসতে পেরেছি এবং ট্রেনে উঠতে পেরেছি। লালমনিরহাট অনেকটা দূরের পথ। ঈদ ছাড়াও যে কোনো সময় এই পথে বাসে যাতায়াত অনেক কষ্টকর। ভাগ্যক্রমে অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতেই সেখানে যাওয়া। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আমির হোসেন সিফাত বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেন একমাত্র ভরসা। যমুনা সেতুতে যে পরিমাণ গাড়ির জট হয় ঈদের আগে এটি খুবই ভোগান্তির। এ বছর খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা গেছে। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে। জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজকে পঞ্চম দিনের মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে হয়তো আরও বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। ঈদ উপলক্ষে ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সেগুলো হলো-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বের হতে হবে। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে হবে। 
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

গাবতলীতে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
আর কয়েক দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাই গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। সেই ধারা অব্যাহত আছে আজও। সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে বাড়িফেরা মানুষের ভিড়। রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই বাস টার্মিনালে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা। হাতে বাড়ি ফেরার টিকিট। কারও কোনো অভিযোগ নেই। গাড়িও ছেড়ে যাচ্ছে যথাসময়ে।  কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা জানা যায়, যাত্রীরা এসে সহজেই টিকিট কাটতে পারছেন, কোনো সমস্যা বা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। তবে যাত্রীর পরিমাণ তখনই বেশি হবে, যখন সরকারি ছুটি শুরু হবে। এখন যারা বেসরকারি চাকরি করেন, তারাই ঢাকা ছাড়ছেন।  কথা হয় ঝিনাইদহগামী যাত্রী জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস টার্মিনালে এসে টিকিট কেটেছি। এতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। একটু পরেই বাস ছাড়বে, ব্যাগ নিয়ে আপাতত অপেক্ষায় আছি। কুষ্টিয়াগামী যাত্রী মিলন মাহমুদের মুখেও একই কথা। ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন। গাড়িও এসেছে যথাসময়ে। ভোগান্তিহীন এই ঈদযাত্রায় যদি কেউ যথাসময়ে এসে কাউন্টারে উপস্থিত না হন কিংবা যাত্রা না করেন, অথবা যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে চান, তার কোনো সুযোগই থাকছে না এবার, এমনটাই মন্তব্য কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৫

ঈদযাত্রার পঞ্চম দিন / কমলাপুরে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনযাত্রার পঞ্চম দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন ঘরমুখো মানুষ। ট্রেন এলেই দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়ছেন তারা। তবে, কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। যাত্রীদের প্রত্যাশা, সব সময় রেলওয়ে এমন সার্ভিস থাকলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে। কারওয়ান বাজারের বাসিন্দা তোফায়েল তার স্ত্রীকে নিয়ে ভোরেই কমলাপুরে এসেছেন। বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে লালমনিরহাট যাবেন তারা। তোফায়েল বলেন, আমার বন্ধু আগেই আগাম টিকিট কিনে দিয়েছিল। এবার যাত্রীদের জন্য কমলাপুরে বস্থাপনা ভালো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের যাত্রী নোমান গাজী বলেন, আজকে যাত্রীদের চাপ বেশি। তারমধ্যে গরমও আছে। কিছুটা কষ্ট হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার আনন্দই আলাদা। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কাফি জমাদার বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেনই একমাত্র ভরসা। খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট পেয়েছি। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।  এছাড়া ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য গত ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। আজ (রোববার) বিক্রি হচ্ছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ৯ এপ্রিল।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২০

ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ১৪ পরামর্শ ডিএমপির
রাজধানী ঢাকা থেকে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের যাবেন অধিকাংশ নগরবাসী। ইতোমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরুও করেছে ঘরমুখো এসব মানুষ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মসজিদে মসজিদে খুতবা পাঠের পূর্বে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যা মেনে চলার অনুরোধ করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। ডিএমপি জানায়, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ঢাকা মহানগরবাসীকে সচেতন করার জন্য প্রতিটি মসজিদে খুতবার আগে থানার ওসি থেকে শুরু করে অন্য অফিসাররা পরামর্শ পড়ে শুনিয়েছেন। পরামর্শগুলো হলো– ১। গ্যাসের ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না। ২। বাসা-বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে। ৩। বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৪। নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন। ৫। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দিতে হবে। ৬। মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম লাগাতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকাতে উন্নত মানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে। ৭। দেশের কিংবা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না। ৮। যার নাম ঠিকানা আপনার জানা নেই এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এমন ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে। ৯। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোন কল পেয়ে থাকলে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড কিংবা পিন কোড দেওয়া যাবে না। ১০। ভুল করে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে– এমন ফোন কল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। ১১। লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার কিংবা ডলার পাঠানো হবে এমন কল পেয়ে থাকলে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না। ১২। অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এমন প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই। ১৩। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ ও ইমো আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ না করে টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়। ১৪। সস্তায় হোটেল ভাড়া করা, বিমানের টিকিট কাটা কিংবা কম খরচে ইউরোপ ও কানাডা কিংবা আমেরিকায় পাঠানোর প্রস্তাব কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা অ্যাপসে পাঠালে বিশ্বাস করবেন না। এছাড়াও প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১২৯৯, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮, নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ০১৭৭৭৭২০১৯৯ নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়