• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোডে আগুন / ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সিআইডির একটি টিম সকাল থেকে ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সিআইডির পাশাপাশি পিবিআইয়ের দলকেও দেখা যায় আলামত সংগ্রহ করতে। এদিকে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে র‍্যাব ও পুলিশ। বেইলি রোডের যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। পরবর্তীতে ইউনিট বাড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে। এ ছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও। একপর্যায়ে ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।   
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩

বেইলি রোডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বাহাউদ্দিন নাছিম
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছেন এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঢাকা ৮ আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম নিজে উপস্থিত থেকে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। পাশাপাশি অংশ নিয়েছে আনসার, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এদের মধ্যে ১৫ জন নারীও রয়েছেন। পাশাপাশি আহত ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৫

শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যু, তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
গাজীপরে শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যুর ঘটনায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এ সময় তারা সেখান থেকে কয়েকটি মারা যাওয়া পাখির নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সিটাপাড়া গ্রামের পাখি মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ওইদিন (বুধবার) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিটপাড়া গ্রামে অর্ধশতাধিক পাখি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। পাখি মারা যাওয়ার ঘটনাস্থল সিট পাড়া গ্রামের গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড (পোশাক কারখানা) সামনে কয়েকটি গাছ এবং স্থানীয় কৃষকদের শস্যখেত রয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সরেজমিনে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে পাখি মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি ও মৃত পাখি সংগ্রহ করি। এ সময় জানতে পারি ওইদিন স্থানীয় গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড কারখানা শ্রমিক চা বিরতির সময় (সকাল ১০টায়) কারখানা থেকে বাহিরে বের হলে দেখতে পান কয়েকজন নারী ও শিশু মারা যাওয়া পাখিগুলো ওই কারখানার সামনে এনে এক জায়গায় জড়ো করে রাখছে। পরে সে মারা যাওয়া পাখিগুলোর ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) পোস্ট করে। ফেসবুকে পোস্টে তথ্য প্রচার দেন কৃষকের খেতের ফসল প্রায় নষ্ট করে ফেলায় ক্ষেতে দেয়া বিষ বা বিষ মিশ্রিত পানি খেয়ে অর্ধশতাধিক পাখি মারা গেছে। বাস্তবে মৃত পাখির সংখ্যা আরও কম। বুধবার আমরা ঘটনাস্থল থেকে ১২টি মৃত পাখির তথ্য জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে ২টি ছিল তিলা ঘুঘু এবং বাকি ১০টি ছিল বনছাতারে পাখি (অঞ্চলিক নাম খেই খেই পাখি)। এগুলোর মধ্যে ১০টি মৃত পাখি ঢাকায় আই আর ডিসি আর ল্যাবে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা হিসেবে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আকস্মিক পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি বলেন, আশপাশে সবজিখেত রয়েছে। আগের দিন হয়তো কেউ সেখানে কীটনাশক স্প্রে/প্রয়োগ করেছে। ওই বিষ কিংবা কীটনাশক খাওয়া কোনো পোকামাকড় খেয়ে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণেই এরকম ঘটনা ঘটে থাকতে পরে বলে মনে করেন তদন্ত দলের সদস্যরা। সকাল বেলা খালি পেটে পাখির ফিডিং টাইমে ওই পোকামাকড় খাওয়ার পরে হয়তো পাখি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষ প্রয়োগ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে পাখি মারার জন্য কেউ বিষ প্রয়োগ করার কোনো তথ্য আমরা পাইনি। এটা ছিল বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা। তবে ঢাকার রোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারে স্যাম্পল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সর্জিন মোস্তাফিজুর রহমানও জানালেন একই তথ্য। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি অফিসার রুবিয়া ইসলাম ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকার খামারবাড়িতে কর্মরত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত ভেটেরিনারি সার্জন ফয়সাল আতিক, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান, বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ অফিসার কাজী নাজমুল হোসেন, চারজন ভেটেরিনারি সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়