• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের স্প্রিংমিটিং-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং মাহমুদ আলীর বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক কর্মজীবন সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন এবং তার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তিনি জাতিকে এর অভীষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান এবং তারা দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে তার কূটনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রথম কূটনীতিক যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর আগে, অর্থমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। দূতাবাসে পৌঁছলে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সূত্র : বাসস
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় এ আহ্বান জানান দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির পক্ষে তাদের প্রতিনিধি ইকবাল আনোয়ার। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিগারেটকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন বাস্তবতায় নিম্নস্তরের সিগারেটের ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদেশি ভালো মানের ব্র্যান্ডের সিগারেট দাম ও কর হার বাড়িয়ে এবং শুধুমাত্র মধ্যমস্তরে উৎপাদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।  দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস উপরোক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়িত হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ শলাকা বিক্রয় করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানোর ধারাবাহিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অপরিহার্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আর্ন্তজাতিক বিখ্যাত ভালো ব্র্যান্ডের সিগারেট নিম্নস্তরে কমমূল্যে বাজারজাত করার সুযোগ থাকায় তা গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে, শহরের অলিগলিতে সর্বত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা উদ্বেগজনক অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে নিম্নস্তরের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, বিদেশী কোম্পানীর অতি উচ্চ ও ভালো ব্র্যান্ডের  সিগারেট প্রায় ৯০% বাজার শেয়ার দখল করে আছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাসের সম্ভবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির প্রস্তাব, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে এনে সিগারেটকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাজার থেকে বিদায় করার জন্য এদের দাম ও কর হার বাড়িয়ে মধ্যমস্তরে উৎপাদন এবং নিম্নস্তরের বর্তমান দাম ও কর হার অপরিবর্তিত রাখা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এই পরামর্শক কমিটির সভা আয়োজন করে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

টাইগারদের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি
শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্য অঘোষিত ফাইনাল। প্রথমবার লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি দিচ্ছে টাইগারদের সামনে। শনিবার (৯ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বিকেল তিনটায় লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। এই প্রথম তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। কারণ, এর আগে যতগুলো সিরিজ হয়েছে দুই অথবা এক ম্যাচের। ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাঠে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২ রান এবং ৩ উইকেটে যথাক্রমে দুটি ম্যাচে জয় পায় লঙ্কানরা। ২০১৮ সালে আবারও ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে আতিথেয়তা দেয় বাংলাদেশ। ৬ উইকেট এবং ৭৫ রানে সিরিজের ওই দুই ম্যাচেও হেরে যায় টাইগাররা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে রং পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সাল থেকে কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে কঠিন লড়াই হবে বোঝায় যায়। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জয় এবং ১০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৩

সবুজ পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারে যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প
‘তরুণ নেতৃত্বে হোক সবুজ পৃথিবীর অঙ্গীকার' প্রতিপাদ্যে গাজীপুরের মৌচাকে শুরু হলো জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প ২০২৪। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রায় সাড়ে ৪শ’ যুব স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেয় এতে। তিন দিনব্যাপী এই ক্যাম্প চলবে আগামী ৫ মার্চ ২০২৪ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। রোববার (৩ মার্চ) সকালে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাঠে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মোহাম্মদ আতিকুল হক শামীম। স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রকৃতি সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরিতে রেড ক্রিসেন্ট অঙ্গীকারবদ্ধ। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও বন উজাড়ের বিরূপ প্রভাবের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনে সংঘঠিত দুরযোগ মোকাবিলায় যুব স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যকলাপের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দেশব্যাপী সবুজায়ন আন্দোলন জোরদার করতে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।    স্বাধীনতার মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথমদিনের কর্মসূচী। পরে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ কুচকাওয়াজে অংশ নেয় স্বেচ্ছাসেবকরা। মানবতার শক্তিতে উদ্ভাসিত হয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারে গ্রহণ করা হয় শপথ। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শবেবরাত উপলক্ষ্যে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আসুন সকল প্রকার অন্যায়-অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।  শবেবরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের এই রজনী বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।  সরকারপ্রধান বলেন, মহান আল্লাহ শবেবরাত রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। প্রধানমন্ত্রী পবিত্র এই রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন, আমিন। সূত্র : বাসস  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৬

সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এই দেশ উন্নয়নে সারাবিশ্বে একটি বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (দিবা শাখা) ৫৬তম বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদক সমাজের ক্যানসার। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, অভিভাবক ও সুধী সমাজের কাছে একটি আস্থার নাম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পিতা-মাতা এই স্কুলে সন্তানকে দিতে পারলে মনে করেন সন্তান শিক্ষা, আদব-কায়দা, আচার-আচরণসহ সব কিছুতে সুন্দর করে গড়ে উঠবে। আদর্শ মানুষ হয়ে বেরিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানান ধরনের এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রম চলে। বিভিন্ন ইভেন্ট ও ক্যাটাগরিতে আজ প্রায় ৯০০ ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, যেটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক বিষয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জীবন একটি যুদ্ধ ক্ষেত্র। জীবনের শুরু থেকে যুদ্ধ করতে হয়। ছাত্রজীবন যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাথমিক পর্যায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব  আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমাম হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দ্বাদশ সংসদের যাত্রা শুরু
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)। এদিন বিকাল ৩টায় প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্টপ্রতির ভাষণের পর সংসদ অধিবেশন মূলতবি করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী।  সাংবিধানিক ধারবাহিকতা রক্ষায় গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পাটিসহ ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরোধীতার মুখে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ২৯৯টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ৬২জন। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পায় ১১টি আসন। এছাড়া জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পায় একটি আসন। প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করে। ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে ১০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা স্পিকারের কাছে শপথ নেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ উপনেতা নির্বাচন করা হয় আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে।  এছাড়া সংসদের প্রধান হুইপ হিসেবে নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনকে এবং সরকারি দলের হুইপ হিসেবে ছয় জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। প্রথমবারের মত সংসদে হুইপ করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকটে দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মরতুজাকে।  অপরদিকে ১১টি আসন নিয়ে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। বিরোধীদলের উপনেতা নির্বাচিত করা হয় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ নির্বাচন করা হয় জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে।   টানা চতুর্থবারের মত জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সংসদ দলের সভায় তাকে স্পিকার হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। একইভাবে একাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের শুরুতে একাদশ সংসদের বিদায়ি ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠের পর শুরুতেই স্পিকার নির্বাচন করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর সংসদ ২০ মিনিটের জন্য মুলতবী হয়। এরপর স্পিকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে নির্বাচিত করা হয়। তাকেও শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  স্পিকার ও ডেুপটি স্পিকার নির্বাচনের পর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরপর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেওয়া হয়। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর প্রথম দিনের অধিবেশন মূলতবী ঘোষণা করেন স্পিকার। যেভাবে আসন বিন্যাস হলো দ্বাদশ সংসদে এবারের সংসদে সরকারি দলের আসনের প্রথম সারির প্রথম আসনটি থাকছে যথারতি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তার পাশের আসনটি সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এবং তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে। এছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনটি পেয়েছেন সরকারি দলের প্রধান হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে জি এম কাদের এবং বিরোধীদলীয় উপনেতার আসন আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দেওয়া হয়েছে।  প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটিতে বসেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তার পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে। বিরোধীদলীয় নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে বসেছেন বিরোধী দলের প্রধান হুইপ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এছাড়া বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের পাশে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের আসন দেওয়া হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়